নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

**সার্থ ছারা মানুষ নাই,এই কথার ভিত্তি নাই..কেননা,এখনো সার্থ ছারা মানুষ আছে বলেই,পৃথিবীটা টিকে আছে**

সব জীবেতে মানুষ সত্য,তাহার উপরে নাই. মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছি,গর্ব করি তাই

আমি আনোয়ার

আমি আবেগের ডালপালা ছড়িয়ে বসে থাকি, আমার শিকড় আবেগের । কিছুটা মিশ্র, আবেগে লুতুপুতু হতেও পারি আবার কঠোর ও হয়ে যাই । তুমি কেমন সেটার উপর নির্ভর করবে আমি সাবাবিক সভাবের আনোয়ার নাকি রুক্ষ স্বভাবের আনোয়ারকে ডিজার্ভ করো। মন চাইলে ফেসবুকেও এডিং মারতে পারেন। http://www.facebook.com/anwaralhaz

আমি আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি আবারও আসব তুমার স্সৃতিগুলি ছুঁয়ে দিতে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

পাড়ার মোড়ে বসে যে পাগলটা অজ্ঞাত কিছু নিয়ে গবেষনা করতো মনে মনে। আর ক্ষিদে পেলে জলিল চাচার শাপলা হোটেলের সামনে বুভুক্ষুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতো। কখনও স্বাভাবিক মানুষগুলোর মনে দয়া হবে দুমুঠো অন্ন দানের, শুনেছি সে মরে গেছে। তার জীবন নিয়ে সে সুখী ছিল না দুঃখী ছিল সে প্রশ্ন যদিও এখন অবান্তর তবুও কৌতুহল জাগে মনের কোণে। জীবন নিয়ে সেই পাগলের পয়েন্ট অব ভিউ আর কখনো জানা হবে না।

বাড়ীর সামনে স্কুলের কর্ণার ঘেষে মনিরদের বাগানের প্রিয় কৃষ্ণচূড়া গাছটাও নাকি কাটা পড়েছে রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য। কৃষ্ণ বৃষ্টি ইদানীং কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িকে ছুয়ে দিতে পারেনা হয়তোবা, গ্রামের কালো মেটুপথ-টাকে ফুলের রঙে হয়তোবা এখন আর লাল করে না।

সামনের পুকুরপাড় ঘেষে শত বছরের স্বাক্ষী যেই খেলার মাঠটা শত বছরের মতো এই ছুটিতেও অম্লান দেখে এসেছিলাম। শুনেছি সেই মাঠের বুকচেরে নাকি "মা-মনি" কমিউনিটি ক্লিনিক খুলার প্রস্তুতি চলছে। এই স্সৃতিটাও বুধয় আর ছুঁয়েদিতে পারব না একালে।

হারানোর প্রতিযোগীতার দৌড়াত্যে সবথেকে মূল্যবান জিনিষটি হারিয়েছি দেশে থাকা অবস্থায়ই। প্রিয় সেই জনকের মনের কোণঘেঁষা শেষ কথাগুলিও শুনার শুভাগ্য হয়নি এই অধমের। জানা হয়নি জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে মনের অজান্তে দেয়া কষ্টগুলির ক্ষমা আমি পেয়েছি কি না!! হয়তোবা সব বাবারা এমনই হয়, সন্তানের দেয়া কষ্টকে তারা কষ্ট হিসেবেই বিবেচনা করেন না। অচাওয়া ক্ষমা তারা করেই রাখেন। সারাটা জীবন যে শুধু নিশ্বার্থভাবে স্বগৃহে দিয়েই গেল এই আমায়, আমাকে কিছু করার সুজোগ না দিয়েই তিনি কেন চলে গেলেন না-ফেরার দেশে। জানতে অনেক ইচ্ছে করে কেমন আছ তুমি না-ফেরার দেশে?? নিশ্চই বাবা ভালই আছে, সর্বদা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।

পারার গোপাট গুলি অক্ষয় হয়ে টিকে আছে এখনও, শুধু তার কিনারায় বসে থাকা প্রিয় মুখগুলো আর সেখানে নেই। জীবনের ঘুর্ণনে সকলে ছিটকে পড়েছে পৃথিবীর আনাচে কানাচে। সেখানে এসেছে নতুন অচেনা কিছু মুখ যারা গোপাটের ঠিক নিচেই জাহাঙ্গীরের দোকানে ক্যারামের আড্ডা বসায় রোজ বিকেলে আমাদেরই মতো। খেলার মাঠটা ছোট হয়ে এসেছে নগরায়নের দাপটে। তবুও সেখানে আমাদেরই মতো অনেকে রোজ খেলতে আসে হয়তোবা।

শুনেছি আদর্শ স্কুলের গেটটা এখনো আছে। শুধু আমার প্রথম প্রেম আর সেখানে পড়তে আসে না। অন্য কেউ আসে হয়তো। হয়তো বা অন্য কোন কিশোর আমারই মতো দূরু দূরু বুকে দাঁড়িয়ে থাকে যদি একবার হলেও দৃষ্টি হানে তার দিকে সে আশায়।

অনেক কিছুই ছিল, অনেক কিছুই নেই। তবুও তোমার প্রতিটি ধুলি কনায়, প্রতিটি ইমারতের প্রতিটি ইটে আমার স্মৃতির ইতিহাস লেখা আছে। আমি আবারব আসব তুমার বুকে, তুমার কোমল হূদয়কে ছুয়ে দিতে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.