নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহনশীলতাই ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।

দেশ প্রেমিক বাঙালী

আমি একজন সাধারণ মানুষ। সর্বজন গ্রাহ্য মতামতকে প্রাধান্য দেই।

দেশ প্রেমিক বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায়দ্রাবাদ ১৯৪৮ : ভারতের গোপন গণহত্যা

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

হায়দ্রাবাদ হাউজ



ভারত ভাগ হয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্মের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল। এদের অধিকাংশই নিহত হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়। কিন্তু এর এক বছর পর ১৯৪৮ সালে মধ্য ভারতে আর একটি নির্বিচার গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল বলে সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া এক গোপন তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনতা থেকে ভারত স্বাধীন হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট। এর কিছুদিনের মধ্যেই ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে মধ্য ভারতে হাজার হাজার মানুষকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।এ ঘটনাটি ঘটে ওই সময়ের হায়দ্রাবাদ অঙ্গরাজ্যে। এটি ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজের অধীনে রাজা শাসিত ৫শটি রাজ্যের অন্যতম। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর এ ধরনের অধিকাংশ রাজ্যই ভারতে অংশ হতে রাজি হয়।



কিন্তু বেঁকে বসে মুসলিম রাজা (নিজাম) শাসিত হায়দ্রাবাদ, এটি স্বাধীনতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।কিন্তু এতে নতুন রাষ্ট্র ভারতের দিল্লিকেন্দ্রিক প্রধানত হিন্দু শাসকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে দিল্লি ও হায়দ্রাবাদের মধ্যে তিক্ত বাকবিতাণ্ডার এক পর্যায়ে ধৈর্য হারায় দিল্লি। ভারতের কয়েটি অংশে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব প্রতিরোধ করা ছাড়াও প্রধানত হিন্দু শাসিত ভারতে একটি মুসলিম নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এমনই এক সময় হায়দ্রাবাদের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম রাজনৈতিক দলের সশস্ত্র শাখা শক্তিশালী রাজাকার মিলিশিয়ারা হিন্দু গ্রামবাসীদের ওপর অত্যাচারের মাধ্যমে ব্যাপক ভীতি ছড়িয়ে দেয়।এটি ওই সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে কাক্সিক্ষত অজুহাত তৈরি করে দেয়। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সেনাবাহিনী হায়দ্রাবাদ আক্রমণ করে। মাত্র কয়েকদিনের যুদ্ধেই নিজাম বাহিনী পরাজিত হয়। তবে এটিকে পুলিশি অভিযান বলে প্রচারণা দিয়ে বলা হয়, এ অভিযানে বেসামরিক নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য মৃত্যু ছাড়াই নিজামের বাহিনী পরাজিত হয়।এ বিষয়ে লোকসভার হিন্দু সদস্য পণ্ডিত সুন্দরলালের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে অন্য ঘটনা প্রকাশ পায়। এ প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় অভিযানের সময় ভারতীয় বাহিনী নির্বিচার হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধ করেছে। অভিযানকালে বেসামরিক নাগরিকদের তেমন মৃত্যু হয়নি বলা হলেও প্রতিবেদনে ২৭ থেকে ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়। যাদের অনেককেই লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মারে ভারতীয় সেনারা। সরকারি ওই তদন্ত প্রতিবেদন কোনোদিন প্রকাশ করা হয়নি। খুব অল্পসংখ্যক ভারতীয় নাগরিক এ গণহত্যার কথা জানে। এ গণহত্যার ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন ভারতের সরকারগুলোকে দায়ী করেছেন সমালোচকরা।

















সূত্র : যুগান্তর ২৫-০৯-২০১৩

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কৈ কেউ তো আসলেন না? মনে হয় ভালো লাগেনি তা্ই আপনারা আসতেছেন না।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন: হাজার বছর হলেও ইতিহাসের নির্মমতার জবাব পাওয়া যাবে

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ড. মোস্তাফিজুর রহমান ভাই ঠিকই বলেছেন, হাজার বছর হলেও ইতিহাসের নির্মমতার জবাব পাওয়া যাবে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ড. মোস্তাফিজুর রহমান ভাই ঠিকই বলেছেন, হাজার বছর হলেও ইতিহাসের নির্মমতার জবাব পাওয়া যাবে।







ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ড. মোস্তাফিজুর রহমান ভাই ঠিকই বলেছেন, হাজার বছর হলেও ইতিহাসের নির্মমতার জবাব পাওয়া যাবে।



ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.