নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহনশীলতাই ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।

দেশ প্রেমিক বাঙালী

আমি একজন সাধারণ মানুষ। সর্বজন গ্রাহ্য মতামতকে প্রাধান্য দেই।

দেশ প্রেমিক বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় মুসলিমদের করুণ পরিনতির কলকাঠি নাড়া যেন বিজেপি ও কংগ্রেসের মূল এজেন্ডা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৭


ভারতের মুসলিমদের আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাগত অবস্থা জানার জন্য ভারত সরকার এক বিশেষ কমিটি গঠন করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রাজেন্দ্র সাচারে নেতৃত্বে যা সাচার কমিটি নামেই বেশি পরিচিত। এই কমিটি মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতে মুসলিমদের বিভিন্ন বিষয় তারা কি ধরণের কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত, তাদের বার্ষিক আয় কেমন, শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন, সরকারী সাহায্য ব্যাংকের ঋণ কেমন পান, কেমন এলাকায় এরা থাকেন, সেখানে পানি, বিদ্যুত, রাস্তাঘাটের অবস্থা কেমন, সম্পত্তি বা জমিজমার পরিমানই বা কত? সেখানে মুসলিমদের যে চিত্র উঠে আসে তাহলো মুসলিমদের অবস্থা দলিতদের থেকেও অনেক শোচনীয়।

ভারতে মোট জনসংখার ৮০% হিন্দু, ১৩.৪% মুসলিম এবং ৬.৬% খৃষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন ইত্যাদি (২০০১ সালের শুমারী অনুযায়ী) আমেরিকার একটি পত্রিকার মতে ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ২৫% যা ভারত কখনোই স্বীকার করেনা অর্থাৎ মুসলিমদের সঠিক সংখ্যা জানায় না।

সাচার কমিটির মতে মুসলিমদের শিক্ষাগত অবস্থা খুবই করুণ। কমিটির রিপোর্ট মতে সমগ্র ভারতে মুসলিম প্রধান গ্রাম গুলিতে এক তৃতীয়াংশে কোন স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় নেই। শহরে ৬০% মুসলিম কখনো স্কুলে যেতে পারেনি গ্রামের অবস্থা আরো করুণ। প্রতি ১০০ জন স্নাতকের মধ্যে হিন্দু ৮৫.৫% মুসলিম ৬.৩% ও তপশিলি ৮.২% অর্থাৎ তপসিলিদের চেয়েও খারাপ অবস্থা মুসলিমদের। টেকনিক্যাল স্নাতকের ক্ষেত্রে মুসলিমদের অবস্থা ১.৩% যা আরো খারাপ। মুসলিমদের সাক্ষরতার হার ৫৯.৯% যা জাতীয় গড় ৬৫.১% থেকেও অনেক কম। অনেকের যুক্তি মুসলিমরা ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠায় কিন্তু সাচার কমিটি বলছে মুসলিম শিশুদের মধ্যে মাত্র ৪% মাদ্রাসায় যায়।

স্বাধীনতা অর্জনের সময় চাকরীতে মুসলিমদের অবস্থান ছিল খুব ভালো। তখন চাকরিতে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব ছিল ৩৪%। সাচার কমিটির রিপোর্টটি অনুযায়ী আইএএস পদে ৩৮৮৩ জনের মধ্যে মুসলিম ১১৬ জন শতকরা হার ২.৯৯%। আইপিএস পদে ১৭৫৩ জনের মধ্যে মুসলিম ৫০ জন শতকরা হার ২.৮৫%। ইনকাম ট্যাক্স পদে ৮৮১ জনের মধ্যে মুসলিম ২৭ জন শতকরা হার ৩.৬%। আইএএস পদে ৩৮৮৩ জনের মধ্যে মুসলিম ১১৬ জন শতকরা হা ২.৯৯% । রেলওয়ে ট্রাফিক এবং অ্যাকাউন্ট পদে ৪১৫ জনের মধ্যে মুসলিম ১১ জন শতকরা হার ২.৬৫%। ব্যাংকে মুসলিম ২৪৭৯ জন শতকরা হার ২.১৮%। কেন্দ্রীয় দপ্তরে ৮২৬৬৬৯ জনের মধ্যে মুসলিম ৩৩৪৬ জন শতকরা হা ৪.৪১%। রাজ্য সরকারী দপ্তরে মুসলিম ৪৯৭১৮ জন শতকরা হার ৬.০১%। তৃতীয় ও চতৃর্থ শ্রেণীর কর্মসংস্থানে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব দলিতদের থেকেও কম। এই অবস্থার জন্য কংগ্রেস ছাড়া আর কে দায়ি?”

ভারতে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে ৩২% মানুষ যাদের পরিবারের লোকেদের মাথাপিছু খরচ ২৬ টাকার কম তাদেরকে দারিদ্র সীমার নিচে বলে ধরা হয়। কিন্তু সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী মুসলিম জনগোষ্টীর ৪৯.৯% দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে। আর ৬০% মুসলিম ভুমিহীন।

উল্লেখিত তথ্যমতে কংগ্রেস মুসলিমদের জন্য কিছুই করেনি পক্ষান্তরে তারা মুসলিদের ভোট ব্যাংক হিসেবে কাজে লাগিয়েছে। বর্তমানে বিজেপি কোন রাখঢাক না করে সরাসরি মুসলিমদের দমনে রাষ্ট্রিয় সমগ্র প্রতিষ্ঠানকেই ব্যবহার করছে। ভারতীয় মুসলিমদের করুণ পরিনতির কলকাঠি নাড়া যেন বিজেপি ও কংগ্রেসের মূল এজেন্ডা।

সূত্রঃ সাচার রিপোর্ট, মুসলিমদের বঞ্চনার দলিল - সন্তোষ রাণা / ফরিদ আলম

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভারতের কোন সরকারই মুসলিমদের উন্নতি চায়নি। পক্ষান্তরে মুসলিমদের বিভন্ন ভাবে দমনপীড়নের মধ্যে রেখেছে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কংগ্রেস মুসলিমদের ব্যবহার করেছে ভোট ব্যাংক হিসেবে কিন্তু মুসলিমদের ন্যূনতম কোন উপকার করেনি সেই রকম পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারও।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

যারীন তাসনীম আরিশা বলেছেন: ভারতে মুসলমাদের পক্ষে দাঁড়ানো যেন কেউ নেই!! :( Very Sad.

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অবস্থা দৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। রক্ষক ভক্ষক সেজেছে।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ ভালো রাখুক।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। ওরা খুবই বিপদের আছে কারণ ওখানে রক্ষকই ভক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।






মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ মুসলিমদের হেফাজত করুন

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন - আল্লাহ যেন মুসলিমদের হেফাজত করেন। মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভারতের মুসলিমরা সংখ্যালঘু হিসেবে নিজেদের মাঝে ঐক্য স্হাপন করে, নিজেদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেয়নি। তারা বিজেপি'র আমলে রাস্তায় নেমে নিজেদের বিপদ নিজেরা ডেকে এনেছে।

আল্লাহ নিশ্চয় নিজের লোকদের রক্ষা করতে পারে না, সেটা ভারতে প্রমাণিত হচ্ছে। কিংবা ভারতে, আল্লাহ বিজেপি'র পক্ষে?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভারতের প্রতিটি সরকারই মুসলিমদের শিক্ষিত করার দিকে মনযোগ দেয়নি। তারা মুসলিমদের সর্বপ্রকার দিকদিয়েই দমিয়ে রাখার সব ব্যবস্থা করেছে। মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।





আর একটি কথা - আপনার শরীর স্বাস্থ্য কেমন আছে?

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ ইন্ডিয়ার মুসলিমদের হেফাজত করুন...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তাদের শিক্ষার দিকে আরো বেশি যত্নবান হতে হবে।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে রাজিনিতি করার কুফল।মানুষের মৌলিক সমস্যা নিয়ে রাজনীতি হোক।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বর্জন করে মানুষের মৌলিক সমস্যা নিয়ে রাজনীতি হোক। মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: মানবতা আজ বিপন্ন।
সেই ১৯৪৭ থেকে শুরু।
একজন মানুষ হিসেবেই এটার প্রতিবাদ করতে হবে। সে যে ধর্মেরই হোক না কেন।
সবার আগে আমরা মানুষ তার পর ধর্ম।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সবার আগে মানুষ এটা সবাইকে ভাবতে হবে তবেই মানবতা রক্ষা পাবে।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভারতে শিল্পতির সংখ্যা হু হু করে বাড়লে গরীব মানুষের তেমন পরিবর্তণ হয়নি। ভারতে সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা প্রকৃট। অত্যন্ত বাংলাদেশের মানুষদের চাইতে ভারতের মানুষদের জীবনমান অনেক নিচে।

০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভারতে যেমন ধনী লোকের অভাব নেই তেমনি গরীবেরও অভাব নেই।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: চিনের মত ভারতেও যদি গজব দিত আল্লাহু তাহলে বুঝতো ।

০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: নিজেদেরকে সংগঠিত করতে হবে।

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

একাল-সেকাল বলেছেন:
এই ছবিটা শাপলা চত্বরের হেফাজত কে মনে করিয়ে দেয়, পাশাপাশি ২০০৭ এর লগি বৈঠা কেও !!

০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: গুজরাটের অবস্থা।

১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায় আরাব!
হায় বিশ্ব মুসিলম নেতৃত্ব!

আল্লাহর দেয়া অসীম ধনরাজির নিয়ামত নিয়ে শুধূ ফুর্তিতে মজে রইলে!
বিশ্ব মুসলিম উন্নয়নে, শিক্ষা সংষ্কৃতির উন্নয়নে বৃত্তি দিলে না। ব্যায় করলে না!
পা চেটে চললে - ইহুদী নাসারা পরাশক্তির!
কাল কেয়ামতে সকল বাদশাহকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবেই হবে।

মুক্তির পথ সুগম হোক।

০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের ধনীরা শিক্ষাদীক্ষায় কোন ব্যয় করেনা।

১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ও প্রাসঙ্গিক লেখা।

স্বাধীনতা পরবর্তী এত বছরে দিল্লির সিংহাসনে যারা বসেছেন তারা সংখ্যালঘুদের শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছেন। বিজেপির অবশ্য সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট নিলেই কার্যসিদ্ধ। সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে এজন্যই তারা মুসলিম মুক্ত ভারত গড়তে বদ্ধপরিকর। যার বাস্তবায়ন আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি গুজরাট মূলত আমেদাবাদ ,মিরাট,ফিরোজাবাদ, আলিগড়, লক্ষ্ণৌ প্রভৃতি স্থানে। এবং সর্বশেষ সংযোজন দিল্লিতে। আশাকরি মোদীজি এবার গোটা ভারতের অন্যান্য স্থানেও এই বিশেষ কর্মযজ্ঞ চালু করবেন। মনে রাখবেন গুজরাটে‌ এই যজ্ঞ সাফল্যের সাথে পরিচালনা করার পুরস্কার স্বরূপ মোদীজিকে ভারতের সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণ দিল্লির মসনদে বসার ছাড়পত্র দিয়েছেন ।আর কোর্টের কথা! গুজরাট হাইকোর্ট কিন্তু মোদিজীকে দাঙ্গার ব্যাপারে একেবারে ক্লিনচিট দিয়েছিল।এখন তার গুণ নিয়ে যেমন মজে আছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুন মিশ্র মহাশয়। অমর্ত্য সেনের মতো লোকেরা যতই মোদীজির ক্ষমতায়নে অশনিসংকেত দেখুন না কেন জনগনের চাওয়া পাওয়াকে যদি উনি প্রাধান্য না দেন তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে হিন্দুত্বের কথা বলবেন কোন মুখে।


০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুপ্রিমকোর্ট এখন আরএসএস-বিজেপির পকেটে তার প্রমান বাবরি মসজিদের রায়।

১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জাগ্রত হোক মানবতা সবার মাঝে।

০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বিশ্বমানবতা আর হুমকির মুখে।

১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার এক ভারতীয় কলিগের সাথে কথা বললাম যিনি নিম্ন বর্নের হিন্দু। তিনি বললেন যে আজ মোদী মুসলিমদের উপড় আঘাত হানছে, ভারতবাসী যদি এর তীব্র প্রতিবাদ না করে তাহলে পরবর্তী আঘাত আসবে নিম্ন বর্নের হিন্দুদের উপড়। উচ্চ ও নিম্ন বর্নের হিন্দুদের মাঝে দ্বন্দ দিন দিন জোড়ালো হবে। ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া রাজনীতি কোন দেশের জন্যই সুফল বয়ে আবে না। সাম্প্রদায়িকতার আগুনে পুড়তে হয় সবাইকই।

০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মোদী ভারতকে পুরোপুরি দুভাগ করে ফেলেছে। হিন্দু এবং অন্যান্য সংখালঘু বনান দূর্বল মুসলিম।

১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: শেষমেষ রাগ আসে ধর্মের উপর। মনে হয় দুনিয়াতে ধর্ম না থাকলেই বুঝি ভালো হতো। তাহলে এত সংঘাত হতো না।

০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ধর্মে কিন্তু মারামারী কাটাকাটির কথা কোথাও নেই। যোজন বিয়োজন করেছে সুযোগ সন্ধানীরা।

১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী ,




ভারত মূলত একটি হিন্দু প্রধান রাষ্ট্র। তারা চাইবেই ছলে-বলে-কৌশলে সেখানে রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। ভারতবর্ষ শত শত বছর ধরে মুসলিম শাসক (মোঘল) আর ইংরেজদের দ্বারা শাসিত হয়েছিলো তখন হিন্দু রাজত্ব কায়েমের কোনও সুযোগই ছিলোনা। ভারতবর্ষ স্বাধীন হবার পরে হিন্দুত্ব মাথা চাড়া দিলেও তখন থেকে মোদীর আগ পর্যন্ত সব শাসকরাই উপরে উপরে ভালো সাজলেও তলে তলে সুক্ষ ভাবে ক্ষেত্র প্রস্তুত করছিলো ভারতকে হিন্দু রাজ্য বানানোর। কেউ চাইছিলো সরাসরি কেউ চাইছিলো ধীরে ধীরে। তাই বাবরী মসজিদ সহ গুজরাট ম্যাসাকারের নায়ক যখন হিন্দুত্বের ধ্বজ্বা উড়িয়ে দিতে পেরেছেন তখন তাকেই রাম রাজত্বের আসল কান্ডারী বানানোর সুযোগটি হাতছাড়া করেনি কেউ। তাই তো গুজরাটে রক্তের গঙ্গা বইয়ে দেয়ার পরেও তাকে ভারতীয় কোর্টও "ক্লীন" সার্টিফিকেটটি দিয়ে দিয়েছে। সে থেকেই বোঝা যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগণ তো বটেই ন্যায়ের ধ্বজ্বাধারী ভারতীয় আদালতগুলোও চেয়েছে যে ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হোক। সেই থেকেই এখনও জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলনই ঘটিয়ে চলেছেন মোদী। এবার আর ধীরে ধীরে নয়, ত্বড়িৎ কাজটি সারতে চাইছেন তারা। এই জোরে জোরে দৌঁড়ুনোতে কখন যে কোথায় হোচট খেয়ে পড়ে অমিত বলশালী মোদী গং তা হয়তো সময়ই বলে দেবে।

তবে ভারতীয় মুসলমানদের উচিৎ হবে ঠান্ডা মাথায় হিন্দুত্ববাদীদের দাবার প্যাঁচটি বুঝে চলার।

পদাতিক চৌধুরি কে ধন্যবাদ সত্যকে সত্য বলার জন্যে।

০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। যে দেশ গুজরাটের খুনিকে সিংহাসনে বসাতে পারে সে দেশে মুসলমানদের উচিৎ হবে ঠান্ডা মাথায় হিন্দুত্ববাদীদের দাবার প্যাঁচটি বুঝে চলার।

১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: মানবতা আজ পরাজিত। ভারতের মুসলিমদের উচিৎ হবে নিজের শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং কন দলের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার না হয়ে নিজের দক্ষ করা। সামনে হয়ত আরও ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে।

০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মুসলমানদেরকে শিক্ষার দিকে ব্যপকভাবে অগ্রসর হবে হবে।

১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২১

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধর্মনিরপেক্ষতা, যেটা গোটা ভারতকে একতাবদ্ধ করে রেখেছে সেটাই আজ বিপন্ন। রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য এবং পিছিয়ে পড়া একটা অংশ যখন মনে করবে (সত্যতাও আছে) যে রাষ্ট্রে তাদের অবস্হান বা অধিকার সমান নয়, তখন তারা রুখে দাড়াবেই (বিশেষ করে যুবসমাজ)। প্রথমদিকে বিচ্ছিন্নভাবে হলেও ক্রমশ: তারা একতাবদ্ধ হয়ে উচ্চকন্ঠে সোচ্চার হতে থাকবে। রাষ্ট্রিয়ভাবে তাদের দমনপীড়নের উদ্যোগ নেয়া হলে তারাও একপর্যায়ে চিহ্নিত করতে যে কারা তাদের প্রকৃত মিত্র এবং কারা তাদের ব্যবহার করে ফায়দা নিতে চায়। একপর্যায়ে অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে তারাও স্বশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হবে। ইতিহাসে এভাবেই দেখে আসছি, সফলতা বা ব্যর্থতার ব্যাপারটা পরে আসছে।

০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে রুখে দাড়াতেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.