![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসাদুজ্জামান লিটন, সাংবাদিকতা ভালোবাসি আর ভালোবাসা থেকে একটু শিখছি ও করার জন্য চেষ্টা করছি।
সততার পথে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখেছিল মায়া। সমাজের অন্ধকার গলিপথ থেকে বেরিয়ে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফেরার এক অদম্য ইচ্ছা তার মনে দানা বাঁধছিল। কিন্তু এই পরিবর্তনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় উওরা হাউস বিল্ডিং সিটি অরর্চাড রিক্রেশন ক্লাবের অর্থলোভী ম্যানেজার সারোয়ার ও তার দোসর পলাশ ও মানিক ।
মায়ার জীবন কোনোদিনই সহজ ছিল না। বেঁচে থাকার তাগিদে তাকে নামতে হয়েছিল এমন এক পেশায়, যেখানে আত্মমর্যাদা প্রতিনিয়ত ক্ষত-বিক্ষত হয়। তবে ভেতরে ভেতরে সে কখনোই হারিয়ে যেতে চায়নি। নিজেকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছিল, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়ে সমাজের মূল স্রোতে মিশে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু ঠিক তখনই শকুনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে ম্যানেজার সারোয়ার।
সারোয়ার মায়াকে কেবল একজন পতিতা হিসেবে দেখেছে, নারী হিসেবে দেখেনি। সে জানতো, মায়ার চলে যাওয়া মানে তার আয় কমে যাওয়া। তাই পতিতা বৃত্তি চালিয়ে যাওয়ার সব রকম চেষ্টা করলো এবং সফল হলো ম্যানেজার সারোয়ারের প্লান। হুমকি, ভয়ভীতি, আর প্রলোভনের ফাঁদ পেতে জান্নাতের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিল সে।
তারপর এলো সেই দিন, যেদিন সারোয়ার মায়াকে জোরপূর্বক রফিক নামের এক ব্যক্তির কাছে ঠেলে দেয়। মায়া চেয়েছিল মুক্তি, পেয়েছিল আরেক বন্দিশালা। রফিকের মতো লোকেরা নারীদের শরীরকে শুধু পণ্য হিসেবে দেখে, অনুভূতি বা স্বপ্ন তাদের কাছে মূল্যহীন।
এই ঘটনা আমাদের সমাজের এক করুণ বাস্তবতা উন্মোচন করে। অর্থের লোভে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি নারীদের জীবনে স্বাধীনতা ফিরতে দেয় না। জান্নাতের মতো অনেক মেয়েই এই চক্রের শিকার হয়, যারা মুক্তি চাইলেও পায় না। তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়, মানসিক ও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।
এই অন্ধকার গলির শেষ কোথায়? সমাজ কি মায়ার মতো মেয়েদের জন্য কোনো আলোর দিশা দেখাতে পারবে? নাকি সারোয়ারদের মতো লোভী মানুষদের হাতেই চিরতরে বন্দি থাকবে তাদের জীবন? এই প্রশ্নের উত্তর আমাদেরই খুঁজতে হবে।
©somewhere in net ltd.