![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Only Positive Extremism : Neo-Ideology Essential Negativism: Talk in the Right Language to Right People, be honest its your debt to the Nation.!
মানুষ মরলে পাপ ধূয়ে যায় না। খারাপ ফেরেস্তা হয়ে যায় না বরং শয়তান মরলে অযথা তাকে ফেরাস্তা বললে জীবিত শয়তানরা আরও শয়তানীতে উৎসাহীত হয় এবং যারা খারাপকে প্রশংসা করে তারাও তাদের সাথে শরিক হয়।
বিএনপি মহাসচিব বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন আর নেই। ১৬ মার্চ বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩ টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
এডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন পান্নু। জন্ম ১৯৩৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি। মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে। পিতা খোন্দকার আবদুল হামিদ। খোন্দকার দেলোয়ার ঘিওরের জোকা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মানিকগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাইস্কুল ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৯ সালে দেবেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫২ সালে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ১৩৯ নং কক্ষে আবাসিক ছাত্র থাকাকালে তিনি সক্রিয়ভাবে ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। ছাত্রজীবন শেষে সিলেট সরকারি মুরারী চাঁদ কলেজে (এমসি) অর্থনীতি বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা শেষে মানিকগঞ্জে খোন্দকার নূরুল হোসেন ল’ একাডেমী প্রতিষ্ঠা করে তার অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন। শেষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তিনি দীর্ঘসময় আইন ব্যবসাও করেছেন। মানিকগঞ্জ জেলা বারের সভাপতি নির্বাচিত হন পাঁচ বার। খোন্দকার দেলোয়ার ১৯৫৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এ যোগদানের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন। ১৯৬৪-৬৫ সালে কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি (কপ) মনোনীত প্রার্থী ফাতেমা জিন্নাহর মানিকগঞ্জ মহকুমার নির্বাচনী এজেন্ট ও বৃহত্তর ঢাকা জেলা ন্যাপের সহ-সভাপতি খোন্দকার দেলোয়ার ন্যাপের প্রার্থী হিসেবেই ১৯৭০ সালে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন । ১৯৭৮ সালে জিয়াউরহমানের জাগদলে যোগদানের মাধ্যমে জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন। সে বছরেই মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মধ্যখানে কয়েক বছর ছাড়া আমৃত্যু তিনি জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
দেশের বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক পাঁচবার জাতীয় সংসদের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। সেই সঙ্গে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদে তিনি সরকারদলীয় ও সপ্তম সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সভাপতিও ছিলেন দীর্ঘদিন। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তিনি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৭ দলের লিয়াজোঁ কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।
২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী ৩রা সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের আগমুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ নেতাকে দলের মহাসচিবের দায়িত্ব দেন। বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলের মতামত অনুযায়ী তাকে ২০০৯ সালের ১৩ই ডিসেম্বর মহাসচিব পদে বহাল রাখা হয়। আমৃত্যু তিনি বিএনপির মহাসচিব ছিলেন।
বিগত চারদলীয় জোট সরকার আমলে চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বাসার চাল-ডাল থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের বাজার যেত জাতীয় সংসদ ভবনের ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়া থেকে। এমনকি বাসায় অতিথি আপ্যায়নের জন্য নগদ টাকাও নিয়েছেন সেখান থেকে। জোট সরকারের প্রথম সাড়ে চার বছর প্রায় প্রতি মাসে চিফ হুইপের কার্যালয় থেকে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীর সই করা বাজারের বিশাল দুটি ফর্দ আসত ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপকের হাতে। একই দিনে দুটি বাসার জন্য দুটি বাজারের তালিকাও পাঠাতেন চিফ হুইপ। আলাদা ব্যবস্থায় পৃথক দুই বাসায় এসব বাজার যেত, যার একটি তাঁর নিজের বাসা; আরেকটি ফর্দের বাজার যে বাসায় যেত, সেই ঠিকানাটি প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি, যদিও এ সম্পর্কে তথ্য জানা ছিল।
২০০৫ সালের ১৪ এপ্রিল পাঠানো দুটি ফর্দ নমুনা হিসেবে উল্লেখ করা হলো। একটিতে আড়াই মণ কাটারিভোগ চাল, ৩০ কেজি পোলাওয়ের চাল, ৩০ কেজি আটা, ৩৫ লিটার সয়াবিন তেল, তিন কেজি ঘি, ১৫ কেজি মসুর ডাল, সাড়ে সাত কেজি বুটের ডাল, সাড়ে সাত কেজি মুগের ডাল, ১৫ কেজি পেঁয়াজ, সাড়ে সাত কেজি রসুন, সাত কেজি আদা, ১৫ কেজি চিনি, পাঁচ কেজি সুজি, ১৪ কেজি চিঁড়া-মুড়ি, পাঁচ কেজি চানাচুর, ১৬ প্যাকেট নুডলস, ডানো বড় তিনটি, ট্যাং (শরবত) বড় দুটি, ওভালটিন দুটি, মালটোভা দুটি, আমের আচার তিনটি, তিনটি করে আপেল এবং কমলার জুস, সাত কৌটা দুধ (কনডেন্সড), টোস্ট বিস্কুট ছয় কেজি, ডাইজেস্টিভ বিস্কুট এক কার্টন, ডায়াবেটিক সুগার (বড়) একটি, চা-পাতি পাঁচ প্যাকেট, কেচাপ (টমেটো ও চিলি) ছয়টি, ডায়েট স্প্রাইট, পেপসি, কোক নয়টি, জিরা আধা কেজি, গরম মসলাসহ ৩৭ রকমের মাল পাঠানো হয়। অন্য বাসার ঠিকানায় একই দিনের আরেক ফর্দে ৩০ কেজি কাটারিভোগ চালসহ প্রায় একই ধরনের ২৭ রকমের পণ্যদ্রব্য পাঠানো হয়।
জাতীয় সংসদের ইতিহাসে কোনো দায়িত্বশীল নেতার বাসায় আপ্যায়নের জন্য সংসদ থেকে চাল-ডাল নেওয়ার কথা আমরা আগে কখনো শুনিনি।
সংসদের এক হিসাবে দেখা গেছে, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে চিফ হুইপ ও হুইপদের জন্য বছরে আপ্যায়ন ভাতা বরাদ্দ ছিল প্রায় ২৭ লাখ টাকা। এর অর্ধেকই খরচ করেছেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বাজার খরচ বাবদ। এর পরের অর্থবছরের (২০০৫-০৬) প্রথম আট মাস পর্যন্ত তিনি একাই আপ্যায়ন ভাতা নিয়েছেন আট লাখ টাকার বেশি।
এ সংক্রান্ত খবরটি প্রথম আলোয় প্রকাশের পরদিন খোন্দকার দেলোয়ার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আপ্যায়নের জন্য চাল-ডাল, টাকা নিয়ে তিনি কোনো অন্যায় করেননি। সংসদের ক্যাফেটেরিয়া থেকে নগদ টাকা নেওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেশি থাকায় আমি অনেক সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা নিই। পরে সেই টাকা দিয়ে বাইরে থেকে মালামাল কিনি।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ওই খবরের লিখিত প্রতিবাদ করেছিলেন। সেটা আমরা ছেপেও ছিলাম। এরপর তিনি প্রথম আলোর সম্পাদক, প্রকাশক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খানকে আসামি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলা করেন। এম হাফিজউদ্দিন খান চিফ হুইপের বাজার নিয়ে একটি উপসম্পাদকীয় লিখেছিলেন বলে তাঁকে আসামি করা হয়। সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়। আদালত থেকে আমাদের জামিন নিতে হয়। বেশ কয়েকবার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে। অবশ্য এ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ হাজির ও দুই পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল-জবাবের পর ওই বছরের ৫ নভেম্বর খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে মাননীয় আদালত রায় দিয়ে মামলাটি সরাসরি বাতিল করে দেন। অর্থাৎ আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে প্রথম আলোর প্রতিবেদন সঠিক ছিল।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের “গুণধর” পুত্রদের “কীর্তি”ও কম নয়। জোট সরকারের প্রায় পুরোটা সময় তাঁর দুই পুত্র পবন ও ডাবলু ছিলেন বহুল আলোচিত। গত ৩১ মার্চ ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একটি অস্ত্র মামলার রায়ে ছোট ছেলে পবন ও তাঁর চার সহযোগীর ১৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। এ রায় শুনে ওই দিন আদালতে পবন উত্তেজিত হয়ে বিচারককে উদ্দেশ করে গালিগালাজ করেন।
খোন্দকার দেলোয়ারের প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠা দুই ছেলে পবন ও ডাবলু বেশ আলোচিত ছিলেন রাজধানীর হাতিরপুলে মোতালিব প্লাজায় দখল, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে। এসব কারণে পবন-ডাবলুর বিরুদ্ধে তখন দ্রুত বিচার আইনে চারটি মামলাও হয়।
এ ছাড়া পবন বাহিনীর সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা ও মিটফোর্ড এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ছিল অতিষ্ঠ। তাঁরা ওই এলাকায় নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে চাঁদাবাজি, মাদকব্যবসাসহ অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন। চিফ হুইপের ছেলে হওয়ায় তখন পুলিশও তাঁদের সমীহ করে চলত। ওই এলাকায় গোলাগুলি করার দায়ে ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পবন গ্রেপ্তার হন। তিনি সর্বশেষ গ্রেপ্তার হন ২০০৬ সালের ৭ জুন একটি চোরাই গাড়িসহ। আগের বছর মতিঝিলে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে গাড়িটি ছিনতাই করে নম্বরপ্লেট বদল করে পবন চালাচ্ছিলেন।
শুধু ঢাকায়ই নয়, খোন্দকার দেলোয়ারের পরিবার নিজ জেলা মানিকগঞ্জেও সন্ত্রাস ও দখলের মাধ্যমে নানা “কীর্তি”র স্বাক্ষর রেখেছে। খোন্দকার দেলোয়ার, তাঁর স্ত্রী বেগম সাহেরা হোসেন ও ছোট ছেলে পবন উপস্থিত থেকে ২০০২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শিবালয় থানার মহাদেবপুর বাজারে ব্যক্তিমালিকানাধীন ও সরকারি খাসজমিতে নির্মিত বিভিন্ন মানুষের ৩১টি চালু দোকান উচ্ছেদ করেন এবং ৩০ শতাংশ জমি দখল করে নেন। ওই জেলার ঘিওর-শিবালয় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল পবনের বাহিনীর চাঁদাবাজি। তাদের চাঁদাবাজির ব্যাপকতা সম্পর্কে শিবালয়ের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, “সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে নিয়মিত চাঁদা চাওয়া হচ্ছে; সেখানে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী পর্যায়ে, বুঝতে কষ্ট হয় না। …অদৃশ্য শক্তি সবার মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে। আমরা কী করব?” (প্রথম আলো, ২ মার্চ ২০০২) পবনের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার গোলাম মহিয়ার খান সিপার ২০০৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন।
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে খোন্দকার দেলোয়ার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নানা সন্ত্রাসী ও অন্য কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবহিত করা হয়েছিল। তখন খালেদা জিয়া চিফ হুইপকে বাদ রেখে সন্ত্রাসীপুত্রদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন বলে জানা গেছে।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পরপর আদালত চত্বর থেকে দলের মহাসচিব পদ থেকে আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে বহিষ্কার এবং খোন্দকার দেলোয়ারকে নতুন মহাসচিব নিযুক্তির ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে খোন্দকার দেলোয়ার বলেছেন, “বায়ুমণ্ডলে যেমন শূন্যতা থাকে না, তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও শূন্যতা থাকে না। বিএনপিতেও নেই। এখানে কেউ মারা গেলে বা বহিষ্কৃত হলেও শূন্যতা হবে না।
মৃত্যুর আগ মুহুর্তেও তিনি মিথ্যার রজনীতি ও মিথ্যা বলে গেছেন। গত ৪ঠা মার্চ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগ মুহূর্তে সাংবাদিকদের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন জ্ঞানত কারে প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব পোষণ করিনি: অথচ সারা জীবন করেছেন বিদ্বেষের রাজনীতি, দলের ও স্বার্থের জন্য দিন কে রাত আর রাত দিন বলেছে অনবরত।
মানুষ মরলে পাপ ধূয়ে যায় না। খারাপ ফেরেস্তা হয়ে যায় না বরং শয়তান মরলে অযথা তাকে ফেরাস্তা বললে জীবিত শয়তান আরও শয়তানীতে উৎসাহীত হয়। কারও আঙ্গুলে বা হাতে যদি ক্যান্সার হয়, তাহলে হাত কেটে রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু পাকস্থলী বা ফুসফুসে বা হার্টে যদি ক্যান্সার হয়, সেটা মেনে নিয়ে নির্মম কষ্টের মধ্য দিয়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করাটা নিয়তি হয়ে দাঁড়ায়। রাজনীতিবিদরা দেশের জন্য পাকস্থলী ফুসফুস বা হার্টের মত আর উপরে আলোচিত বায়োডাটাটি হচ্ছে আমাদের রাজনীতিবিদদের চরিত্রের তুলনামূলক সোজ সরল ও ছোটখাটো দুর্বৃত্তের। উনাকে আসলে বলা যাবে পেটের দায়ে চোর, জীবন ধারনের জন্য চোর।বাকি কয়েকশ যারা আছে এরা ক্ষমতায় গিয়ে নিজে দুর্নীতি করা বা সন্তানদের দুর্নীতিতে সায় দেওয়া এবং কোনো না কোনোভাবে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসা−ভয়াবহ ক্যান্সারের মতো বাংলাদেশের রাজনীতির এই অসুখ চলছে দশকের পর দশক ধরে। তাই এদের মৃত্যুতে চলুন আমরা এদের সব পাপ ভুলে গিয়ে ফেরেস্তা বানিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মিসগাইড না করি এবং নিজেরাও এদের সাথে শরিক না হই। বরং এদের পুর্নাঙ্গ বায়োগ্রাফী নেটের পাতায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিহাস হিসেবে রেখে যাই। হিটলার, ইয়াহিয়া গাদ্দাফি, মোবারক আর দেলোয়ারদের (আমাদের বর্তমান রাজনীতিবিদদের) মৃত্যু মানবজাতির কোন ক্ষতির কারণ নয় বরং কাম্য।
মন্তব্যঃ এই ছোট চোর মরলেই যদি প্রজন্ম আলহামদুলিল্লা বলে তাহলে হাজার কোটি টাকার চোরেরা মরলে তাদের ঐ মৃতদেহ বাংলাদেশের কোন মাটিতে দাফোন করতে দেয়া হবে না দাবি উঠবে আমি নিশ্চিত, এবং তা করা উচিতও হবে। আর কবর দিয়ে দিলে তা চিহ্নিত করে রাখা হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেইসব শয়তানের কবরে মুতবে।
২| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:০৭
হাম্বা বলেছেন: .
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২৮
এ হেলাল খান বলেছেন: এ চিত্র আমাদের প্রায় সকল রাজনীতিবিদদের।
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৫১
মাশফিক হক বলেছেন: সবাই একই রকম অবস্থা!
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৫৫
রেজওয়ান করিম বলেছেন: Click This Link
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:২৫
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন:
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:২৬
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: ব্যাপক পোস্ট। লন একটা প্লাস লন। দেলোয়ার সাহেবের চেহারা দেখলে তারে মদারু ছাড়া আর কিছু মনে হতো না।
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:০৮
চিরসবুজ মানব বলেছেন: @মদন সাহেব, কেউ কারো কাছ থেকে কম যায় না। এক দেলুর কথা বলে কি লাভ।
রাজনীতির অংগনে সবাই দেলু। কেউ ছোট আর কেঊ বড়।কারো কথা প্রকাশ পায় আর কারো পায় না। পার্থক্য শুধু এটুকুই।
কারো সন্তান পবন, আর কারো সন্তান তারেক আর কারো বা জয়।
শুধু গু'য়ের এ পিঠ আর ও'পিঠ ।
আর সাংবাদিকদের কথা কি বলব। তারাতো তথ্যসন্ত্রাসী। তথ্য প্রকাশের হুমকি দিয়ে তারা পুলিশকেও ঠেক দেয়। আর টাকা না দিয়ে আসল খবর ছাপাতে ও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হয়।
"সাবাস বাংলাদেশ ১৬ কোটি বাংগালীর অবাক জননী,
জন্ম দিয়েছো তুমি মানুষ করোনি !!!! "
৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:০৫
মহাপুরুষ অয়ন বলেছেন: @ চিরসবুজ মানব _ভাইরে তারেক,জয় আর যাই করুক লোকের মাইয়া কিডনাপ করে ১ সপ্তাহ ধরে বন্ধুদের সাথে রেপ করছে বলে শুনি নাই
১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৩৩
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: রাজনৈতিক অংগনে খারাপ মানুষ রয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছুর এন্ডলেস অপকর্ম কভারেজ পেয়ে অন্যরা আড়ালে চলে যায়। অবশ্যই রাজনৈতিক সব নেতারা এমন নয়।
১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৩৯
নষ্ট কবি বলেছেন: দেশটা উচ্ছন্নে গেল////
১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৫০
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন:
ভাই একটা গল্প বলি শুনেন:-
এক ডাকাত মারা যাওয়ার আগে তার উত্তরসূরী পুত্রকে বলল:
- আমিত সারা জীবন ডাকাতি করছি, মানুষ খুব মন্দ বলছে।
- তুই আমার পুত্র: বাবা তুই এমন কাজ করিছ যে, আমাকে মানুষ ভাল বলে।
- পুত্রও বলে আচ্ছা বাবা অবশ্যই তোমাকে ভাল বলবে এমন কাজই আমি কবর।
পরে ডাকাতের পুত্রও উত্তরাধীকারে ডাকাত।
সে এখন পুরা গ্রামজোরে ডাকাতি করে আর শেষে আগুন দিয়া সববাড়িঘর পুড়ে রেখে যায়।
অবশ্য মানুষ তখন বলেছিল "এর বাবাটাই ভাল ছিল, শুধু ডাকাতি করত।"
পুত্র শুধু ডাকাতিতেই শেষ না আগুন দিয়া সব পুড়েও রেখে যায়।"
১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৫৭
আমি মদন বলেছেন: এক পিতা ও কিছু ভালো মানুষ খন্দকার দেলোয়ারের মৃত দেহে থুথু দিতে চায় ...
কারন এ জীবিত থাকা কালে এর সহযোগিতায় এর ছেলে লোকের মাইয়া কিডনাপ করে ১ সপ্তাহ ধরে বন্ধুদের সাথে রেপ করছে।
শয়তানকে শয়তান বলতে শিখুন। মরে গেলেও তানা হলে জীবিত শয়তানেরা তাদের শয়তানীতে আরও উৎসাহীত হবে। সারা জীবনতো এদের প্রশ্রয় দেয়াই শিখেছেন।
দেশে প্রতিদিন অনেক ফেরেস্তাও মারা যায় অথচ তাদের মৃত্যু খবরও আমরা রাখি না। অথচ সারা জীবন ইবলিশের দায়িত্ব পালন করেও আমাদের নেতারা মরলে আমরা তাদের মহামানব বানিয়ে ভন্ডামীতে মত্ত হই।
এতে কি হয় ? জীবিত ইবলিশরা উৎসাহীত হয় এবং তরুনেরা এদের আদর্শে এগিয়ে চলতে অনুপ্রানিত হয়।
এরজন্য আমরাই দায়ি কারন যেখানে এদের মৃতদেহে আমাদের মুতা উচিত ছিল সেখানে মহামানব মহামানব জিকির তুলি।
আমরা সাইফুর রহমান ও মান্নান ভূইঞার কবরে মুতেছি দেলোয়ারে কবরেও মুতবো এবং একদিন কবর থেকে এদের অপবিত্র হাড্ডিগুড্ডি তুলে বঙ্গপোসাগরের বাইরে ফেলে আসবো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫১
মহাপুরুষ অয়ন বলেছেন: আমি উনার লুল সুপুত্রের কাহিনী পড়ছিলাম একবার।
এইবার তো সে মাঠে নামবে,,,,,বাপের রেকর্ড তার আগেই ভাঙ্গা আছে এখন যে কি করে আল্লাই জানে!!!