নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল ছেলে আমি,আমাই ভাল থাকতে দাও।

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান

একটা নির্দিষ্ট ভালবাসা ছিল,তা হারিয়ে ফেলেছি।এখন আর কোন কিছুর প্রতি ভালবাসা মনে জাগে না।

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শবে বরাতের ফযীলত সংক্রান্ত কিছু হাদীস

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৫

(১)হযরত মুআয ইবনে জাবাল ( রাদিয়াল্লাহু
তাআলা আনহু ) বলেন, রাসূলে করীম
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )
এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ
শাবানের রাতে ( শাবানের চৌদ্দ তারিখ
দিবাগত রাতে ) সৃষ্টির দিকে ( রহমতের )
দৃষ্টি দেন এবংগ মুশরিক ও বিদ্বেষ
পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।

(২)হযরত আয়েশা সিদ্দীক ( রাদিয়াল্লাহু
তাআলা আনহা ) বর্ণনা করেন, মহানবী
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )
আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে আয়েশা!
তুমি কি জান? আজ রাত ( নিসাফে শাবান )
কী? হযরত আয়েশা ( রাদিয়াল্লাহু তাআলা
আনহা ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো
জানি না, দয়া করে বলুন। মহানবী
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )
বললেন, আজ রাতে আগামী বছরে যে সমস্ত
বনী আদম জমীনের বুকে জন্মগ্রহণ করবে এবং
যারা মৃত্যুবরণ করবে, তাদের তালিকা
লিপিবদ্ধ করা হয়। বিশেষ করে বান্দাদের
আমলনামা মহান আল্লাহর নিকট প্রকাশ করা
হয়।
#
হযরত আয়েশা ( রাদিয়াল্লাহু তাআলা
আনহা ) থেকে বর্ণিত অপর একটি হাদীসে
মহানবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ) বলেন, আমি এক রাতে মহানবী
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ঔয়া সাল্লাম )-কে
বিছানায় পেলাম না। তাই আমি অত্যন্ত
পেরেশান হয়ে খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করলাম।
খুঁজতে খুঁজতে দেখি, তিনি জান্নাতুল বাকীর
মধ্যে মহান আল্লাহর প্রার্থনায় মগ্ন। তখন
তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে
আয়েশা! আমার নিকট হযরত জিবরাইল
( আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) উপস্থিত
হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আজ রাত হল
নিসফে শাবান ( অর্থাৎ, লাইলাতুল
বারাআত )। এ রাতে আল্লাহ তাআলা অধিক
পরিমাণে জাহান্নামবাসী লোকদেরকে
জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এমনকি কালব
বংশের বকরীগুলোর লোম সমপরিমাণ
গুনাহগার বান্দা হলেও। ( মিশকাত শরীফ-১১৫
পৃ )

(৩)হযরত আলী ( রাদীয়াল্লাহু তাআলা আনহু )
থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেন,পনেরো
শাবানের (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন
আসে, তখন তোমরা রাতটি ইবাদত বন্দেগীতে
কাটাও এবং দিনে রোযা রাখ। কেননা এ
রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা প্রথম
আসমানে আসেন এবং বলেন, কোন ক্ষমা
প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা
করবো। আছে কি কোন রিযিকপ্রার্থী? আমি
তাকে রিযিক দিব। এভাবে সুবহে সাদিক
পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রয়োজনের
কথা বলে তাদেরকে ডাকতে থাকেন।
( সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস-১৩৮৪,
বাইহাকী-শুআবুল ঈমান, হাদীস-৩৮২৩ )

বিঃ দ্রঃ হাদিস স্কলারদের মতে, (দায়ীফ
হাদীস) দুর্বল হাদীসসমূহ নেক আমলের
ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য এবং আক্বীদা তথা
ঈমান ও বিশ্বাসের ক্ষেত্রে বর্জনীয়

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

আহমেদ রশীদ বলেছেন: প্রত্যেক রাত-ই- আল্লাহর কাছে সমান। সারা বছর যদি আল্লাহ সোবহানা তাআলাকে পাওয়ার জন্য রাতের মধ্যভাগ জাগ্রত হই তাহলে সমস্যা কিসের? আাজ পর্যন্ত কোন আলেম উলামা শবে বরাতের কোন সঠিক হাদিস দিতে পারে নাই। আর যারা শবে বরাতের হাদিস বা উক্তি পেশ করেছে তা কিতাবুল মফিজের অন্তর্ভুক্ত। তবে হ্যাঁ শবে মিরাজের কথা আল্লাহ কোরআনে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। এটা অস্বিকার করার কিছুই নেই। কিন্তু আজ এই শবে বরাতের ওছিলা করে যুব সমাজ খারাপের দিকে পা বাড়াচ্ছে। সারা রাত জেগে থেকে মাজারে মাজারে হুক্কা টানছে। আর আতশ বাজির কথা নাই বল্লাম। অথচ অনেকেই এই সব অনৈসলামিক কর্ম করে ফজরের নামাজ না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে। অথচ ফরজ নামাজ কতই না মর্তবা। নফলের পিছে ছুটতে যেয়ে ফরজকে ধ্বংস করছে। হাই আফসোস এই সব ফালতু হাদিসের মাধ্যমে মানুষ আজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। অথচ মধ্যপ্রাচ্যে এই সবের কোন বালাই নেই। শবে বরাত সম্বন্ধে তারা কোন কিছু জানেই না! আল্লাহ মাফ করুন! আমীন!!

০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান বলেছেন: আপনি কোন উলামার কথা বলছেন জানি না, তবে যে উলামা গুলো শবে-বরাত এর কোন হাদিস দিতে পারেনি তারা অজ্ঞ।

অনেক হাদিস দ্বারা প্রমাণ আছে হয়ত আপনি জানেন না। আপনাকে জানার তৌফিক দান করুক, আমীন


মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ ভুল করে, মানুষ ভাল কাজ করে। আপনি যদি ভাল কাজের নাম দিয়ে খারাপ কাজ করে, এতে কার দোষ???? আমার,আপনার মা-বাবার???/
ঠিক তেমনি এটা শবে-বরাত এর দোষ না, যারা করছে তাদের দোষ।



আর মাজার জিয়ারত করা যায়, আপনার মাঝে জ্ঞানের অভাব আছে, সঠিক কিছু জানেন, সঠিক কিছু নিয়ে আলোচনা করেন।


আল্লাহ আমাদের সবায়কে হেদায়েত দান করুক, আমীন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.