নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সূর্যস্নানে চল

শেখ আমিনুল ইসলাম

নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো... © শেখ আমিনুল ইসলাম কর্তৃক সর্ব স্বত্ত্ব সংরক্ষিত। লেখকের পূর্বানুমতি ব্যতীত এই ব্লগের কোন লেখা অন্য কথাও প্রকাশ করা যাবে না। [email protected]

শেখ আমিনুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্নেল তাহেরের শেষ চিঠি

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩



শ্রদ্ধেয় আব্বা, আম্মা, প্রিয় লুৎফা, ভাইজান ও আমার ভাইবোনেরা। গতকাল বিকালে ট্রাইব্যুনালের রায় দেয়া হল। আমার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। ভাইজান (তাহেরের বড় ভাই আবু ইউসুফ খান) ও মেজর জলিলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। আনোয়ার, ইনু, রব ও মেজর জিয়াউদ্দিনের দশ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা (প্রকৃতপক্ষে জিয়ার বারো বৎসরের কারাদণ্ড হয়েছিল)। সালেহা, রবিউলের ৫ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা (সালেহা যশোরের প্রাক্তন জাসদ নেত্রী, রবিউল সালেহার স্বামী, তৎকালীন যশোর জেলার জাসদ নেতা)। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ড. আখলাক, সাংবাদিক মাহমুদ ও মান্নাসহ ১৩ জনকে এ মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে (সাংবাদিক মাহমুদ হচ্ছেন কে বি এম মাহমুদ একসময়ের সাপ্তাহিক 'ওয়েভ' পত্রিকার সম্পাদক আর মান্না হচ্ছেন মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি)। সর্বশেষে ট্রাইব্যুনাল আমার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে বেত্রাহত কুকুরের মত তাড়াহুড়া করে বিচার কক্ষ পরিত্যাগ করলো।



হঠাৎ সাংবাদিক মাহমুদ কান্নায় ভেঙে পড়লো। আমি তাঁকে সান্ত্বনা দিতে চাইলে তিনি বললেন, 'আমার কান্না এ জন্য যে একজন বাঙালি কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করতে পারলো!' বোন সালেহা হঠাৎ টয়লেট রুমে গিয়ে কাঁদতে শুরু করল। সালেহাকে ডেকে এনে যখন বললাম, 'তোমার কাছ থেকে দুর্বলতা কখনোই আশা করিনি।' সালেহা বললো, 'আমি কাঁদি নাই, আমি হাসছি।' হাসি-কান্নায় এই বোনটি আমার অপূর্ব। জেলখানায় এই বিচার কক্ষে এসে প্রথম তার সঙ্গে আমার দেখা। এই বোনটিকে আমার ভীষণ ভাল লাগে।



সমস্ত সাথীদের শুধু একটাই বক্তব্য, 'কেন আমাদেরকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো না।' মেজর জিয়াউদ্দিন বসে আমার উদ্দেশ্যে একটি কবিতা লিখলো। জেলখানার এই ক্ষুদ্র কক্ষে হঠাৎ আওয়াজ উঠল, 'তাহের ভাই-লাল সালাম।' সমস্ত জেলখানা প্রকম্পিত হয়ে উঠলো। জেলখানার উঁচু দেওয়াল এই ধ্বনীকে কি আটকে রাখতে পারবে? এর প্রতিধ্বনি কি পৌঁছাবে না আমার দেশের মানুষের মনের কোঠায়?



রায় শুনে আমাদের আইনজীবীরা হতবাক হয়ে গেলেন। তারা এসে আমাকে জানালেন, যদিও এই ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না তবুও তারা সুপ্রিম কোর্টে রিট করবেন। কারণ বেআইনিভাবে এই আদালত তার কাজ চালিয়েছে ও রায় দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করবেন বলে বললেন। আমি তাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম, প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করা চলবে না। এই প্রেসিডেন্টকে আমি প্রেসিডেন্টের আসনে বসিয়েছি, এই বিশ্বাসঘাতকদের কাছে আমি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারি না।



সবাই আমার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শুনতে চাইলো। এর মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সরিয়ে নেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলো। বললাম, আমি যখন একা থাকি তখন ভয়, লোভ-লালসা আমাকে চারদিক থেকে এসে আক্রমণ করে। আমি যখন আপনাদের মাঝে থাকি তখন সমস্ত ভয়, লোভ-লালসা দূরে চলে যায়। আমি সাহসী হই, বিপ্লবের সাথী রূপে নিজেকে দেখতে পাই। সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করার এক অপরাজেয় শক্তি আমার মধ্যে কাজ করে। তাই আমাদের একাকিত্বকে বিসর্জন দিয়ে আমরা সবার মাঝে প্রকাশিত হতে চাই। সে জন্যই আমাদের সংগ্রাম।



সবাই একে একে বিদায় নিয়ে যাচ্ছে। অশ্রুসজল চোখ। বেশ কিছুদিন সবাই একত্রে কাটিয়েছি। আবার কবে দেখা হবে। সালেহা আমার সঙ্গে যাবে। ভাইজান ও আনোয়ারকে চিত্তচাঞ্চল্য স্পর্শ করতে পারেনি। কিন্তু তাদেরকে তো আমি জানি। আমাকে সাহস জোগাবার জন্য তাদের অভিনয়। বেলালের চোখ ছলছল করছে। কান্নায় ভেঙে পড়তে চায়। জলিল, রব, জিয়া আমাকে দৃঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করলো। এই আলিঙ্গন অবিচ্ছেদ্য। এমনিভাবে দৃঢ় আলিঙ্গনে আমরা গোটা জাতির সঙ্গে আবদ্ধ। কেউ তা ভাঙতে পারবে না।



সবাই চলে গেলো। আমি আর সালেহা বের হয়ে এলাম। সালেহা চলে যাচ্ছে সেলের দিকে। বিভিন্ন সেলে আবদ্ধ কয়েদি ও রাজবন্দীরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে বন্ধ সেলের দরজা-জানালা দিয়ে। মতিন সাহেব, টিপু বিশ্বাস ও অন্যান্যরা দেখালো আমাকে বিজয় চিহ্ন। এই বিচার বিপ্লবীদেরকে তাদের অগোচরে ঐক্যবদ্ধ করলো।



ফাঁসির আসামিদের নির্ধারিত জায়গা ৮ নম্বর সেলে আমাকে নিয়ে আসা হলো। পাশের তিনটি সেলে আরো তিনজন ফাঁসির আসামি। ছোট্ট সেলটি ভালোই, বেশ পরিষ্কার। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যখন জীবনের দিকে তাকাই তাতে লজ্জার তো কিছুই নেই। আমার জীবনের নানা ঘটনা আমাকে আমার জাতির ও জনগণের সাথে দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। এর চাইতে বড় সুখ, বড় আনন্দ আর কী হতে পারে?



নীতু, যীশু ও মিশুর কথা_সবার কথা মনে পড়ে। তাদের জন্য অর্থ-সম্পদ কিছুই আমি রেখে যাইনি। কিন্তু আমার গোটা জাতি রয়েছে তাদের জন্য। আমরা দেখেছি শত-সহস্র উলঙ্গ মায়া-মমতা-ভালোবাসা-বঞ্চিত শিশু। তাদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় আমরা গড়তে চেয়েছি।

বাঙালি জাতির উদ্ভাসিত নতুন সূর্য ওঠার আর কত দেরি! না, আর দেরি নেই, সূর্য উঠল বলে।



এ দেশ সৃষ্টির জন্য আমি রক্ত দিয়েছি। আর সেই সূর্যের জন্য আমি প্রাণ দেব, যা আমার জনগণকে আলোকিত করবে, উজ্জীবিত করবে_এর চাইতে বড় পুরস্কার আমার জন্য আর কী হতে পারে? আমাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। আমি আমার সমগ্র জাতির মধ্যে প্রকাশিত। আমাকে হত্যা করতে হলে সমগ্র জাতিকে হত্যা করতে হবে। কোন শক্তি তা করতে পারে? কেউ পারবে না।



আজকের পত্রিকা এলো। আমার মৃত্যুদণ্ড ও অন্যান্যদের মেয়াদি কারাদণ্ডের খবর ছাপা হয়েছে প্রথম পাতায়। মামলার যা বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। রাজসাক্ষীদের জবানবন্দিতে প্রকাশ পেয়েছে, আমার নেতৃত্বেই ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লব ঘটে। আমার নির্দেশেই জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়, আমার প্রস্তাবেই বর্তমান সরকার গঠিত হয়। সমগ্র মামলায় কাদেরিয়া বাহিনীর কোন উল্লেখই ছিল না। অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান, জুলমত আলী ও অন্যান্য যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা যেন এই মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদ করেন ও সমগ্র মামলাটির সত্য বিবরণ প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক ও চক্রান্তকারী জিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে জনগণের সামনে হেয় করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।



সুত্রঃ কালের কন্ঠ

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +২৪/-৩

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২

দুর্জনউবাচ বলেছেন: সত্যের জয় একদিন হবেই।

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫০

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: সহমত
সত্যের জয় একদিন হবেই

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২

লুৎফুরমুকুল বলেছেন: কাল গভীর রাতে এই চিঠি পড়ে আমাকে কান্নাজড়িত কণ্টে ফোণ করে আমাদের কালজয়ী সাঙবাদিক মোহাম্মদ আবদুল বাসেত এর পুত্র আফজল।সত্যিই চিঠিটায় আবেগ আছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: এই চিঠিটি পড়ে আমিও আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি। দুর্লভ চিঠিটি নিজের কাছে সযতনে রাখার জন্য এই পোস্টটি করা।

"আমি আমার সমগ্র জাতির মধ্যে প্রকাশিত। আমাকে হত্যা করতে হলে সমগ্র জাতিকে হত্যা করতে হবে। কোন শক্তি তা করতে পারে? কেউ পারবে না।"

এই চিঠিটি পড়লে রক্তে আগুন জ্বলে ওঠে......

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

bangal manus বলেছেন: লাল সালাম কর্নেল তাহের

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫১

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: লাল সালাম কমরেড

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শামীম শরীফ সুষম বলেছেন: স্যালুট !

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: লাল সালাম কর্নেল তাহের

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বিনিদ্র ~ রজনী বলেছেন: আমি আবার যেকোন অনিয়মের বিরুদ্ধে। তাহের সেনা আইন ভেঙ্গে বিপ্লব করেছিলেন, তাই তার ব্যাপারে আমার খারাপ লাগেনা। আবার জেনারেল জিয়া মুজিব হত্যার বিচার করেননি, তাই তাকেও একই ফল পেতে হয়েছে। জিয়া এই কাজটা করলে তার এ অবস্থা কখনোই হতো না।

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩১

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:২১

শৈল্পিক ভাবনা বলেছেন: আবেগ চরম আবেগ জড়িত লেখা।

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৮

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:২৬

মোঃ_হাসান_আরিফ বলেছেন: সংরক্ষনে রাখার মতো

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৮

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৫২

ন হন্যাতে বলেছেন: সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি
যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা
মৌন মলিন মুখে জাগালো ভাষা
আজ রক্তকমলে গাঁথা
আজ রক্তকমলে গাঁথা মাল্যখানি,
বিজয়লক্ষী দেবে তাঁদেরি গলে
মুক্তির মন্দির সোপান তলে...

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:০৪

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: বিজয়লক্ষী দেবে তাঁদেরি গলে
মুক্তির মন্দির সোপান তলে...

ধন্যবাদ

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৫৪

সবাক বলেছেন: স্যালুট কমরেড!

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:০৪

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: লাল সালাম কমরেড

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৫৯

ইমন কুমার দে বলেছেন: দুই রাজাকারের বাচ্চা এই পোস্ট এ মাইনাস দিয়েছে।
+ দিলাম এবং প্রিয়তে নিলাম।

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৪

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ও লাল সালাম

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৩

তারছেড়া বলেছেন: লাল সালাম , জাতি তোমাকে ভুল্ বেনা

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৪৯

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: লাল সালাম কমরেড

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৭

স্তব্ধতা' বলেছেন: আমরা শুধু তোমায় স্যালুটই জানাতে পারি, আর কিছুইনা।তবু তুমি ভাগ্যবান, তোমায় শুনতে হচ্ছেনা বিভৎস ধর্ষকদের চিৎকার, দেখতে হচ্ছেনা ধর্ষনে কাতর তোমার মাতৃভূমিকে।স্যালুট কমরেড।++++

২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:১৯

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কমরেড

১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:০৪

নিঃসঙ্গ নিশাচর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই অমূল্য চিঠিটি শেয়ার করার জন্য।

২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:২৯

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কমরেড

১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আলী প্রাণ বলেছেন: শেয়ারে শুভেচ্ছা।

২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪০

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কমরেড

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:০৪

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ধন্যবাদ কমরেড

৩০ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:০৭

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কমরেড

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৪৯

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:

এটা আগে পড়িনি
আজ পড়লাম দ্যাটস নাইস

৩০ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল ভাই

১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:১৬

বাবুল হোসেইন বলেছেন: অসাধারণ চিঠি।
+++

৩১ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৬:৩৮

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৭:০১

বোবা ছেলে বলেছেন:


-

ফাঁসির আসামীর চিঠি বাইরে আসলো কেমনে......?? সবাই বলে ঐ চিঠি তাহেরের লিখ চিঠি না|


আর্মি অফিসার খুন করা ডিএডি তৌহিদ যদি চিথি লেখে সেইটা পইরা গদ গদ হওয়ার কারন কী.......??


সেই রাতে জাসদের তাহের কত জন আর্মি অফিসার খুন করছিল হিসাব জানেন......??

৩১ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৭:১৪

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৭:০৩

বোবা ছেলে বলেছেন:
-

সুত্রঃ কালের কন্ঠ ............???????????? !!!!!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৭:১৫

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২৩

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: আমি নাই এই ফাকে তিনটা পোস্ট দিয়ে দিলেন? :(

৩১ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:১১

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: এইটা তো কপি পেস্ট পোস্ট B-) B-) B-)
ভ্রমণ কেমন হল শূণ্যদা

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৪৭

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

৩১ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫০

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
শুভেচ্ছা

২২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩৮

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: একটু নজর দিবেন কি?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০২

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই
শুভেচ্ছা

২৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৫

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: ঈদ মোবারক আমিনুল ভাই। ঈদ হোক আনন্দময়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০০

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ঈদ মোবারক শূণ্যদা।
প্রার্থনা করি সুন্দর কাটুক দিনগুলি।

২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৮

যীশূ বলেছেন: Salute to him.

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৩

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩০

যীশূ বলেছেন: Salute to him.

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩২

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৩

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: প্রোফাইল কমেন্ট ৬১ নম্বর দেখুন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৪

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: সম্ভবত ৬ নম্বরেও আছে :)

২৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩৯

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: চেষ্টা করলে হয়তো পারবো।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: শুভ কামনা রইল ভাই

২৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫

মিটুলঅনুসন্ধানি বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম পরে পড়ে দেখবো।।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৬

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪১

হাম্বা বলেছেন: নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪২

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: B-) B-) B-)

৩০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৫

মিটুলঅনুসন্ধানি বলেছেন: বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক..........

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৪

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৩১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:১১

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: শেয়ারের জন্য কৃতজ্ঞতা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩৬

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
শুভেচ্ছা

৩২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৪

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: আর কত আলসেমি করবেন?এবার কিছু লেখেন X((

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৫৫

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: শিঘ্রই কিছু একটা লিখব ভাবছি B-) B-)

৩৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৮

সুবিদ্ বলেছেন: আগে পড়া ছিলনা...

ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৭

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা :)

৩৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫

নস্টালজিক বলেছেন: আগেই পড়া ছিলো।
শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৫৯

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা :)

৩৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৫

ইশতিয়াক অাহমেদ বলেছেন: তার জীবনীগ্রন্থে আগে পড়েছি...

তারপরও শেয়ারের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ...

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫২

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

৩৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় আমিনুল, আমার আব্বা, আব্বার তিন ভাই এবং পরের প্রজন্মের মানে আমার চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো খালাতো ভাইদের অন্তত ২০ জন সদস্যই উচ্চ পদস্থ্য সেনা কর্মকর্তা। তাছারা আমাদের বিশাল পরিবার থেকে ৩৪ জনই ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলাম এবং এখনও অনেক আছে। আমার বাবাও পাকিস্তান বিমান বাহিনীর উচ্চ পদস্থ্য কর্মকর্তা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ফ্লাইট লেঃ মতিউর,র সাথে আমার বাবাও ফাইটার বিমান ছিনতাই করে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেবার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন-যা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। আমার আব্বা পরিকল্পনা সফল হবার পুর্বেই পাকিস্তানী গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পরে নির্মম শারিরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৯৭৩ সনের সর্ব শেষ ব্যাচে পাকিস্তানী বন্দীশালা থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেন।

আমার অন্য এক চাচা তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর ছিলেন। তিনি, মেজর মঞ্জুর, মেজর তাহের(তোমার পোস্টের শিরোনামের কর্নেল তাহের)একত্রে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তি যুদ্ধে অংশ নেয়। স্বাধীন দেশে কর্নেল তাহের চাচার সূত্রে আমাদের পারিবারিক আপনাজন হয়ে যান। আমার চাচা পাকিস্তান থেকে যুদ্ধাহত হয়ে দেশে ফিরেছিলেন-সেই জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর কম্বাইন্ড মিলিটারী হাসপাতালে চিকিতসাধীন থাকায় সম্মুখ সমরে অংশ নানিতে পারলেও মুক্তিযুদ্ধে ভারতে বসেই দাপ্তরিক কাজে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন। ব্যাক্তিগত ভাবে কর্নেল তাহেরের সাথে আমি অনেকবার কথাবলেছি। পারিবারিক কারনে আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন......আমি ক্যাডেট স্টুডেন্ট থাকায় আমাকে নানান উপদেশ দিতেন। আমরা সবাই জানি-মুক্তি যুদ্ধে উনি একটা পা হারিয়েছিলেন। আমার জীবনে একজন তেজী, সাহসী, দেশপ্রেমিক, আদর্শ মানুষের প্রতীক ছিলেন "কর্নেল তাহের"! উনার ফাঁসী হবারপর উনাকে নিয়ে আমি একটি কবিতা লিখেছিলাম। কর্নেল তাহের সম্পর্কে তোমার এই পোস্টের প্রেক্ষিতেই আমার পরিবারের এতকথা বলা এবং আমার লেখা কাঁচা হাতের সেই কবিতাটা তোমার পোস্টের সাথে একাত্মতা জানিয়ে সংযুক্ত করার ক্ষুদ্র প্রয়াশ।


কর্নেল তাহের

আমরা বুঝেছি
রক্ত সুর্য্যের দীপ্ত স্বপনে তুমি উন্মাদ হয়েছিলে
তাইতো নৈবেদ্য সাজিয়েছিলে হূদপিন্ড দিয়ে।
মাতৃ মুক্তি পণে আপোষহীন সংগ্রামে,
নিঃশেষে দিলে জাগতিক প্রান!

মহত এক আদর্শের আবাহনে রেখে গেলে
অবশেষে জীবনের স্পন্দন।
আজ লজ্জিত, দূঃখিত আমরা-
মহা শ্বশানে বসে শোক করিনি
গ্রহন করিনি তোমার আদর্শে দেশ গড়ার শপথ।

আমরা আজ আত্মীয় হয়েছি
কালোবাজারী, মুনাফাখোর আর
বেঈমান মজুতদারদের।
তোমার সংগ্রামী জীবন
আমাদের মগ্ন চৈতন্যে কি
সাড়া জাগাতে পারেনা?

আমি জানি পারে।
তার জন্য চাই আর একটি
সংগ্রামী ৭১।
চাই একজন কর্নেল তাহের।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন:
আমি জানি পারে।
তার জন্য চাই আর একটি
সংগ্রামী ৭১।
চাই একজন কর্নেল তাহের।

কবিতাটি অসাধারণ ভাইয়া। রক্তে দোলা দেয়। অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য পড়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছি ভাইয়া। আপনার অনুভূতিকে সশ্রদ্ধ সালাম জানাই। আপনার বাবা এবং কাকার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

আপনার এই মন্তব্যটি আমার পোস্টটিকে মহামান্বিত করে তুললো ভাইয়া। খুব সম্মানিত বোধ করছি নিজেকে নিয়ে।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাইয়া। নতুন বছরে আপনার প্রতিটি দিন হোক আনন্দের ও সাফল্যের। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

৩৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১৯

শিকারী বলেছেন:
-
যেই কাজ করে কর্নেল তাহের বীর পুরুষ, সেই একই কাজ করে সিরাজ শিকদার কুপুরুষ......??????!!!!!!!!!!

বিচিত্র এই আম্লীগ ও তার দালাল সমর্থক বৃন্দ|

০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

৩৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৫১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অসাধারন একটা চিঠি।
শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ আমিনুল।

কর্ণেল তাহের কে নিয়ে ভাইয়ার(জুলভার্ণ) এর লেখা কবিতাটা অনেক ভালো লাগলো।
শুভকামনা রইলো ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩১

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপা।
অনেক ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.