নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষায় মুক্তি, মুক্তিতে ভাষা

নাজমুল হক জুয়েল

মনে ও মননে রবীন্দ্রনাথ ও লালনকে ধারন করেছি তাই মানুষেই পরম ভক্তি।

নাজমুল হক জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাসা দর্শন

০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

পাঠ্যবইয়ে মহাকাশযানের ছবি, চাঁদে মানুষের পদচারণার ছবি কিশোরমনকে দোলা দেয়। অনেকেই ভাবে বড় হয়ে চাঁদে যাবো। চাঁদের বুড়ির সাথে দেখা হবে। দেখা যাবে কিভাবে চরকা কাটে। অনেকটা চাঁদের বুড়ির রূপকথাকে বাস্তবে দেখতে চায় সে। সত্যি কথা বলতে চাঁদে বুড়ি থাক বা না থাক মানুষ যে মহাকাশযানে করে চাঁদে অভিযান চালিয়েছে এটা সত্য। এই সত্যটাকে সামনে থেকে উপলব্ধি করার সুযোগ আমার হয়েছে নাসা দর্শনে।

২৯ মার্চ ২০১৪। ঢাকা এয়ারেপার্ট থেকে যাত্রা শুরু। আকাশের বুকে পাখির মত ডানা মেলে দিতে না পারলেও মেঘের দেশে ভ্রমণের সুযোগটা হাতছাড়া করিনি। বিমান উড্ডয়নের পর থেকে আমার আকর্ষণ থাকে কখন মেঘের উপরে উঠবে বিমান। মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হতে বিমানটি পৌছে যায় মেঘের দেশে। কখনো কাশবন কখনো ধোয়ার কুণ্ডলী মনে হয় মেঘগুলোকে। কখনো মনে হয় স্বচ্ছ কাঁচের আবরণে ঢাকা পৃথিবীর ছবি দেখছি। তবুও আমার স্বপ্ন সিঁড়ির প্রথম ধাপে আমি অবস্থান করছি।

৩০ মার্চ ২০১৪।পৌঁছে গেলাম টেক্সাস। এখানেই জনসন স্পেস সেন্টারে ঢুকবো কাল ভোরে। রাতে নিয়ন আলোয় লেখা স্পেস সেন্টারের ফলকে সামনে ছবি তুলি। রাতের খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়া হলেও আমার উদ্দেশ্য নাসার কেন্দ্রটি দেখা। রাতের আমেরিকা। অনেকটা সুনসান। লোকজনের চলাচল কম। যারাও বাইরে গাড়িতেই তাদের চলাচল। তাপমাত্রা অনেকটা বাংলাদেশের মত হওয়ায় শীতের কাপড়ের প্রয়োজন বোধ করি নি।

৩১ মার্চ ২০১৪। আজ থেকে ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু। ভোরে নাস্তা সেরে ছুটলাম নাসার উদ্দেশ্যে। রকেট গার্ডেনের পাশ দিয়ে যেতে হয় প্রশিক্ষণ কক্ষে। বিভিন্ন অভিযানে ব্যবহৃত রকেটগুলোর দেখা মিলল তখন। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ। মাঝে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি। দেখলাম শিশুদের জন্য নাসার আয়োজন আকর্ষণ। খাওয়ার হলের নাম জিরোগ্রাবিটি। পছন্দ হলো বেশ। যদিও আহার করতে অনেক বেগ পেতে হয় পছন্দ করতে। এভাবে ৫ দিন। শেষ দিন আয়োজন হলো ট্রাম ট্যুর। বিভিন্ন স্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন গাইড। তাদের রকেট জাদুঘর। তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আরো আরো অনেক কিছু।

অবাক হলাম যে জায়গাটিতে ঢুকে তা হলো মিশন কন্ট্রোল রুম। চন্দ্রাভিযানের নিয়ন্ত্রণ কক্ষটি ঠিক যেভাবে সেদিন ছিল এখনও তেমনি আছে। উপস্থাপক বর্ণনা করছেন মিশন কন্ট্রোলের বিভিন্ন দিকগুলো। আমরা বসে বসে শুনছি‌। শেষ বাক্যটি বলার পর আমরা একেবারে অবাক। চাঁদে অভিযানের সময় বিজ্ঞানীদের বা সংশ্লিষ্ট সবার বসবার যে ব্যবস্থা সেখানে ছিল সেটাও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছ। আর আমরা যে আসনগুলোতে বসে আছি সেগুলোই সেই আসন। এর পর চাঁদের ভূপৃষ্ঠের মডেল দেখলাম। রকেটের মধ্যে মানুষ কিভাবে ঘুমায় তার নমুনা দেখলাম। বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত রকেটের অংশবিশেষ দেখলাম।

এবার ফেরার পালা।

আবার আসার ইচ্ছা নিয়ে দেশে ফেরার পালা



যারা আমার মত স্বপ্ন দেখেন তারা যোগাযোগ করুন ০১৯৭৮২১৯৫২৪ এই নম্বরে। হিমালয়ান স্পেস সেন্টারে।মহাকাশযানের ছবি, চাঁদে মানুষের পদচারণার ছবি কিশোরমনকে দোলা দেয়। অনেকেই ভাবে বড় হয়ে চাঁদে যাবো। চাঁদের বুড়ির সাথে দেখা হবে। দেখা যাবে কিভাবে চরকা কাটে। অনেকটা চাঁদের বুড়ির রূপকথাকে বাস্তবে দেখতে চায় সে। সত্যি কথা বলতে চাঁদে বুড়ি থাক বা না থাক মানুষ যে মহাকাশযানে করে চাঁদে অভিযান চালিয়েছে এটা সত্য। এই সত্যটাকে সামনে থেকে উপলব্ধি করার সুযোগ আমার হয়েছে নাসা দর্শনে।

২৯ মার্চ ২০১৪। ঢাকা এয়ারেপার্ট থেকে যাত্রা শুরু। আকাশের বুকে পাখির মত ডানা মেলে দিতে না পারলেও মেঘের দেশে ভ্রমণের সুযোগটা হাতছাড়া করিনি। বিমান উড্ডয়নের পর থেকে আমার আকর্ষণ থাকে কখন মেঘের উপরে উঠবে বিমান। মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হতে বিমানটি পৌছে যায় মেঘের দেশে। কখনো কাশবন কখনো ধোয়ার কুণ্ডলী মনে হয় মেঘগুলোকে। কখনো মনে হয় স্বচ্ছ কাঁচের আবরণে ঢাকা পৃথিবীর ছবি দেখছি। তবুও আমার স্বপ্ন সিঁড়ির প্রথম ধাপে আমি অবস্থান করছি।

৩০ মার্চ ২০১৪।পৌঁছে গেলাম টেক্সাস। এখানেই জনসন স্পেস সেন্টারে ঢুকবো কাল ভোরে। রাতে নিয়ন আলোয় লেখা স্পেস সেন্টারের ফলকে সামনে ছবি তুলি। রাতের খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়া হলেও আমার উদ্দেশ্য নাসার কেন্দ্রটি দেখা। রাতের আমেরিকা। অনেকটা সুনসান। লোকজনের চলাচল কম। যারাও বাইরে গাড়িতেই তাদের চলাচল। তাপমাত্রা অনেকটা বাংলাদেশের মত হওয়ায় শীতের কাপড়ের প্রয়োজন বোধ করি নি।

৩১ মার্চ ২০১৪। আজ থেকে ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু। ভোরে নাস্তা সেরে ছুটলাম নাসার উদ্দেশ্যে। রকেট গার্ডেনের পাশ দিয়ে যেতে হয় প্রশিক্ষণ কক্ষে। বিভিন্ন অভিযানে ব্যবহৃত রকেটগুলোর দেখা মিলল তখন। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ। মাঝে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি। দেখলাম শিশুদের জন্য নাসার আয়োজন আকর্ষণ। খাওয়ার হলের নাম জিরোগ্রাবিটি। পছন্দ হলো বেশ। যদিও আহার করতে অনেক বেগ পেতে হয় পছন্দ করতে। এভাবে ৫ দিন। শেষ দিন আয়োজন হলো ট্রাম ট্যুর। বিভিন্ন স্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন গাইড। তাদের রকেট জাদুঘর। তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আরো আরো অনেক কিছু।

অবাক হলাম যে জায়গাটিতে ঢুকে তা হলো মিশন কন্ট্রোল রুম। চন্দ্রাভিযানের নিয়ন্ত্রণ কক্ষটি ঠিক যেভাবে সেদিন ছিল এখনও তেমনি আছে। উপস্থাপক বর্ণনা করছেন মিশন কন্ট্রোলের বিভিন্ন দিকগুলো। আমরা বসে বসে শুনছি‌। শেষ বাক্যটি বলার পর আমরা একেবারে অবাক। চাঁদে অভিযানের সময় বিজ্ঞানীদের বা সংশ্লিষ্ট সবার বসবার যে ব্যবস্থা সেখানে ছিল সেটাও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছ। আর আমরা যে আসনগুলোতে বসে আছি সেগুলোই সেই আসন। এর পর চাঁদের ভূপৃষ্ঠের মডেল দেখলাম। রকেটের মধ্যে মানুষ কিভাবে ঘুমায় তার নমুনা দেখলাম। বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত রকেটের অংশবিশেষ দেখলাম।

এবার ফেরার পালা।

আবার আসার ইচ্ছা নিয়ে দেশে ফেরার পালা



যারা আমার মত স্বপ্ন দেখেন তারা যোগাযোগ করুন ০১৯৭৮২১৯৫২৪ এই নম্বরে। হিমালয়ান স্পেস সেন্টারে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২৬

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
কি কি যোগ্যতা লাগবে???

২| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪২

এহসান সাবির বলেছেন: নম্বর রাখলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.