![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
যখন বয়স অল্প ছিল, টিভি নাটক লেখার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু কিভাবে লিখতে হয় জানতাম না। নানা জনের কাছে গেছি। বিটিভিতে চাকুরি করতেন আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক, তার কাছে বিটিভিতে প্রচার হয়ে যাওয়া নাটকের স্ক্রিপ্ট চাইলাম। তিনি বললেন, এভাবে স্ক্রিপ্ট দেয়ার নিয়ম নাই। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তাহলে নতুনরা কিভাবে টিভি নাটক লেখা শিখবে ? তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ভাব নিলেন।
টিভি নাটকের স্ক্রিপ্টের ফরম্যাট শেখার জন্য কত লোককে যে ধরেছি, তার ইয়ত্তা নাই। কেউ দেন নি। যেন এই ফরম্যাটটা একটা গোপন যাদুমন্ত্র।
অবশেষে ১৯৯৯ সালে থিয়েটার স্কুলে ভর্তি হলাম। আমাদের সহপাঠী ছিল এক বড় ভাই। তিনি বিটিভিতে তবলা বাজান। তার কাছে আমার আর্জি তুলে ধরলাম। তিনি প্রথমে রাজি হলেন না। কিন্তু দিনের পর দিন চাপাচাপিতে অবশেষে রাজি হলেন। কিন্তু শর্ত দিলেন, আমি ওটার কপি কাউকে দিতে পারব না। এমনকি আমার সবচেয়ে কাছের মানুষটিকেও বলতে পারব না, আমি বিটিভিতে প্রচারিত কোন নাটকের স্ক্রিপ্টের ফটোকপি পেয়েছি।
অবশেষে পেলাম সেই গোপন যাদুমন্ত্র। কিন্তু কিছুই বুঝলাম না। ফলে খোঁজ লাগালাম শাহবাগ আজিজ মার্কেটে। যদি চিত্রনাট্য লেখার উপর কোন বই পাই সেই আশায়। পেলাম একটা বই - চিত্রনাট্য রচনা ও চিত্রনাট্য বিশ্লেষণ। ধীমান দাশগুপ্তের লেখা। কিন্তু ধোঁয়াশা তখনও কাটে নি।
২০০০ সালে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে চিত্রনাট্য রচনা কর্মশালা করি। কর্মশালায় দিকপাল অনেকে প্রশিক্ষক ছিলেন। তার মধ্যে মাসুম রেজা সবচেয়ে ভালো ক্লাশ নেন। সেই প্রথম গোপন যাদুমন্ত্র পাই একটা। কিন্তু সেটাও অসম্পূর্ণ।
সেই অসম্পূর্ণ জ্ঞান নিয়েই টিভি নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখি। বিশাল সেই স্ক্রিপ্ট। নিয়ে যাই আবদুল্লাহ আল মামুনের সহকারী আমার এক বন্ধুর কাছে। সেই বন্ধু আমার স্ক্রিপ্ট দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে। আমি ঘাবড়ে যাই। তখন আমার বন্ধু একটা গোপন যাদুমন্ত্র দেবে বলে জানায়। সেটা আবদুল্লাহ আল মামুনের একটা স্ক্রিপ্টের কপি। কিন্তু গোপন যাদুমন্ত্র পেতে হলে গোপনীয়তার শর্ত মানতেই হবে। আমি গোপনীয়তার সব শর্ত মেনে নেই। পাই সেই স্ক্রিপ্ট। অনেকটা বুঝতে পারি কিভাবে লিখতে হবে।
কিন্তু কাকতালীয়ভাবে তার কয়েক দিন পর আজিজ মার্কেটে পেয়ে যাই একটা দুর্দান্ত বই - আন্দু ও অভিষেক আবদুল্লাহ আল মামুনের অপ্রচারিত টেলি নাটক। এই বইটা সম্পূর্ণ একটা টিভি নাটকের স্ক্রিপ্ট। বইটা হাতে পেয়ে অনেক উপকার হল।
২০০৬ সালে ভর্তি হলাম ঢাকা ফিল্ম ইনস্টিটিউটে। ওখানে ৩টি কোর্স করানো হয় - চলচ্চিত্র পরিচালনা, চলচ্চিত্র সম্পাদনা ও চিত্রনাট্য রচনা। আমি পর পর তিনটি কোর্সই করলাম। এবার চিত্রনাট্য লেখার উপর মোটামুটি একটা ধারণা হল। কিন্তু তারপরও কেমন যেন খচখচ করে মনটা।
২০০৭ সালে মুম রহমানের কাছে চিত্রনাট্য রচনার উপর একটা কোর্স করলাম। । একদিনের কোর্স সেটা। সেই কোর্স করে মাথাটা হঠাৎ করেই যেন খুলে গেল। তার মিনি সাইজের কোর্স আমার খুব উপকারে লাগল। মুম রহমান একজন নাট্যকার ও সামুর ব্লগারও।
এর মধ্যে আরেকটা বই পেলাম - চিত্রনাট্যকলা। স্ট্যাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষক অনুপম হায়াৎ সম্পাদিত বইটি বেশ ভালো।
এভাবে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমি এখন মোটামুটি জানি কিভাবে চিত্রনাট্য লিখতে হয়। পূর্ণাঙ্গ জানা হয়তো এই জীবনে হবে না - আরো ৮/১০ বার জন্ম নিতে হবে।
যাই হোক, নতুন স্বাপ্নিক সেই সব ভবিষ্যৎ চিত্রনাট্যকারদের জন্য আজ দিলাম একটা গোপন যাদুমন্ত্র । আমার পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সঙখেলার চিত্রনাট্য তুলে দিলাম তাদের হাতে। এই চিত্রনাট্য আমার মতো নাদানের লেখা। আমি খুব সামান্য জানি। তাই আমার এই চিত্রনাট্যকেই চূড়ান্ত ভেবে নেবেন না। আরেকটা কথা, নানা জনে নানা ভঙ্গিতে চিত্রনাট্য লেখে। সবারটাই সঠিক - যদি সেই চিত্রনাট্যকে ধরে ক্যামেরা চালানো যায়। আর বাস্তবে চিত্রনাট্যকে শতভাগ অনুসরণ করাও যায় না, ইম্প্রোভাইজেশন করতে হয়।
এবার দেখুন সেই গোপন যাদুমন্ত্র -----
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : সঙখেলা
কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : শাহজাহান শামীম
যোগাযোগ : ০১৯১২৫৭৭১৮৭
গল্প সংক্ষেপ :
একজন সঙ। সে সঙ সাজার জন্য কোন কাজ করে না। নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে মজা করে আর স্বপ্ন দেখে একদিন সে সিনেমার কৌতুক অভিনেতা হবে।
সঙখেলা দেখানোর জন্য বিভিন্ন মেলায় যায় সে। সেই রকম এক মেলায় যেতে যেতে যাত্রাপালার নর্তকীর সাথে পরিচয় হয় তার। তারপর সেই নর্তকী তার হাত ধরে পালায়। পালিয়ে তারা ঘর বাঁধে। কিন্তু অভাব তাদের পিছু ছাড়ে না।
অন্য দিকে সেই নর্তকীর পেছনে লাগে এক ট্রাক ড্রাইভার তাকে খুঁজে বের করে ফেলে। তারপর ফুসলায় তার সাথে যাওয়ার জন্য। সঙ তার অভাব দূর করার জন্য কখনও চকলেট, কখনও পান মসলা ও কখনও মিষ্টি পান বিক্রি করে।
এই কাজে সে চলে যায় বিভিন্ন মেলায়। বউটা একা পড়ে থাকে না খেয়ে।
বাধ্য হয়ে বউটা বড় রাস্তার একটা দোকান থেকে বাকি নেয়। দোকানী মহাজন তাকে বাকি দিয়ে যেতে থাকে আর বলে একবারে শোধ করে দিস।
একদিন সঙ সিনেমায় কৌতুক অভিনেতা হিসেবে সুযোগ পেয়ে যায়। কিন্তু তত দিনে তার স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যায়।
চরিত্র সূচি :
ক্রমিক - চরিত্রের নাম - বয়স - পরিচয় - চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য - অভিনয় শিল্পী
০১) আয়নাল (২৫) সং - মজার মানুষ - মোশারফ খোকন
০২) আলেয়া (২০) পালার নর্তকী - ঢঙ্গী - রুমা সরকার
০৩) সোলেমান (৩০) ট্রাক ড্রাইভার - লম্পট - শফিক রেহমান
০৪) উজির আলী (৫০) দোকানদার মহাজন - বিয়ে পাগলা - ফজলুল হক পলাশ
০৫) অধিকারী (৫০) যাত্রাপালার মালিক - মাতাল - এস.এম ইকবাল রুমি
০৬) ক্যাশিয়ার (৪০) পালার ক্যাশিয়ার - লোভী ও চতুর - শোয়েব মনির
০৭) ভাবী (৩০) প্রতিবেশী ভাবী - সদয় - সোমা সরকার
টাইটেল : ঘটনার ফাঁকে ফাঁকে চলমান চিত্রের উপরই টাইটেল চলবে।
দৃশ্য : ০১
প্যারালাল দৃশ্য।
স্থান : একটি রাস্তা, ঘর ও ঘরের সামনে।
সময় : রাত।
চরিত্র : সং আয়নাল, তার স্ত্রী আলেয়া ও ট্রাক ড্রাইভার সোলেমান।
ঘটনা : সং আয়নালের স্ত্রী আলেয়াকে তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য ফুসলায় ট্রাক ড্রাইভার সোলেমান। কিন্তু তাদের কথোপকথনের মাঝখানে এসে পড়ে সং আয়নাল। পালায় সোলেমান।
(বাড়ি ফিরছে সং আয়নাল। গান গাইতে গাইতে এবং নাচতে নাচতে। কখনও হাঁটে, কখনও লাফায়, কখনও নাচে।)
আয়নাল : (গান)
জোনাক রাতে একলা হেঁটে
আয়নাল রাজ যায় বাড়ির পথে
পানের রসে ভাবের দেশে
স্বপ্ন তাহার ভাসে।
সোনাবন্ধু পান খাইব
আমার সাথে ঢং করব
ভাঙ্গা ঘরে উদলা খেতায়
খেলব রসের খেলা।
মুখের হাসি যেন তাহার পুর্ণিমাসির চান
ইশারায় সে কথা বলে গাইয়া প্রেমের গান
ডাগর ডাগর চোখ যে তাহার গায়ের রংটি কালো
ভাঙ্গা ঘরে সে যে আমার পুর্ণিমারই আলো
বন্ধু আমার হাত ধরব
আরো আরো রং করব
চান্দের আলোয় দেখুম তারে চোকিতে বসাইয়া।
কাট
(তার বাড়িতে তার স্ত্রীকে ফুসলাচ্ছে ট্রাক ড্রাইভার সোলেমান। )
সোলেমান : তুই আমার লগে যাবি না ?
জবাব দেয় না আলেয়া।
সোলেমান : তুই একটা পাগল। এই ভাত মরার কাছে কী পাইছস ? আমি সোলেমান ড্রাইভার, বহুত জায়গায় গেছি, বহুত মানুষ দেখছি, তর মতো ঠ্যাডা দেহি নাই।
কাট।
সং আয়নাল বাড়ির কাছাকাছি এসে পড়ে। গান ও নাচ চলছে।
কাট।
আলেয়াকে বোঝাচ্ছে ট্রাক ড্রাইভার সোলেমান।
সোলেমান : তুই না ভ্যারাইটি শো এর প্রিন্সেস আছিলি ? এত মাইনসেরে নাচায়া শেষ পর্যন্ত নিজেই ফাইস্যা গেলি ? তুই খালি একবার হ ক, ওই ছেড়ার নাকসানা ফাটায়া তরে নিয়া যাই।
(শোনা যায় সং আয়নালের গান। আলেয়া ভয় পেয়ে যায়। তার ভয় পাওয়া দেখে ভয় পেয়ে যায় ট্রাক ড্রাইভার সোলেমানও । কোথায় লুকাবে তাই খুঁজতে থাকে। হঠাৎ করে ট্রাক ড্রাইভার টেবিলের নিচে গিয়ে লুকায়। কাথা দিয়ে টেবিল ঢেকে দেয় আলেয়া।)
কাট।
বাড়ির সামনে । রাত।
(সং আয়নাল বাড়ির সামনে এসে মজা করে তার স্ত্রী আলেয়াকে ডাকে। )
আয়নাল : মহারানী কই, মহারাজ আইস্যা গেছে। (ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায় না) আমার দিল কি রানী কুথায় ? (হঠাৎ গান ধরে) ভালোবাসা আমায় ফকিরও করিল, তোমারে করিল রানী। (দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখে, ঘর মড়মড় করে ওঠে, তার হাতে বেড়ার একটা অংশ এসে পড়ে ) ওরে আমার ভালোবাসা, খুইল্যা খুইল্যা পড়ে।
(দরজা খুলে দেয় তার স্ত্রী আলেয়া।)
আয়নাল : তুমি অহনও ঘুমাও নাই ? আমি তো মনে করছি, এতক্ষণে ঘুমে কাদা কাদা।
(হঠাৎ করে তার স্ত্রীকে ধরে নাচতে চেষ্টা করে, গান ধরে)
ওরে, আমার ঘুম আসে না একলা ঘরে তে
মন যে আমার কেমন কেমন করে রে
আমার ঘুম যে আসে না একলা ঘরে তে
(তার স্ত্রী তার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়)
আলেয়া : রাজামশাই, এইবার হাতমুখ ধুয়া আসেন। খানা খাবেন কি না ।
আয়নাল : রাজ-নর্তকীর নাচ দেখতে দেখতে খানা খাইব।
(চৌকির নিচে শুয়ে ড্রাইভার সোলেমানের গা জ্বলে যায়। )
আলেয়া : রাজা মশাই, কোন নাচ দেখবেন, খেমটা ? (একটা বিশেষ ইঙ্গিত করে গান ধরে)
ইনহি লগনে, ইনহি লগনে, ইনহি লগনে লে দো-পাট্টা মেরা..
আয়নাল : শোন, তোরে একটা সুখবর দেই। আমি সিনেমায় পাট পাইছি।
আলেয়া : এই রহম তো কত বারই পাইলা। কোন বারই তো শেষ পর্যন্ত হইল না।
আয়নাল : এইবার হইব। পরিচালক সাবে নিজে কথা দিছে। এইবার আমি দিলদার হয়া যামু, টেলিসামাদ হয়া যামু, সুরুজ বাঙ্গালি হয়া যামু।
(ড্রাইভার সোলেমানের গা জ্বলে যায়। তার হাত লেগে একটা হাড়ি পড়তে যায়, ধরে ফেলে সে। হঠাৎ সচকিত হয় সং আয়নাল। )
আয়নাল : ঘরের ভিত্রে কিসের যুদ্ধ চলছে, মহারানী ?
আলেয়া : ওইটাই তো আপনের রাজত্ব রাজা মশাই। ইন্দুরের রাজত্ব।
আয়নাল : মাইরা ফালাও।
(আয়নাল তার স্ত্রীকে সরিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। পোশাক বদলায়।)
আয়নাল : খাড়াও, হাত মুখ ধুইয়া আসি। তারপর শুরু হইব প্রজা-শাসন। ইন্দুরের
রাজত্ব রাখুম না।
(সং আয়নাল পোশাক ছেড়ে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। সে বেরিয়ে যাওয়া মাত্র চৌকির নিচে উঁকি দেয় আলেয়া । দেখে চৌকির নিচে কেউ নাই। পাশের দরজার দিকে তাকায়। দেখে, দরজাটা খোলা। সামান্য হাসে আলেয়া। )
কাট।
দৃশ্য - ০২
স্থান : আয়নালের বাড়ির পিছনের একটি খাল।
সময় : রাত।
চরিত্র : সোলেমান ড্রাইভার
ঘটনা : খাল সাঁতরে এসে পাড়ে ওঠে ড্রাইভার সোলেমান । পাড়ে বসে হাপায়। দেখে খালের ওপারে সং আয়নালের ঘর। আয়নালকে একটা খারাপ গালি দেয় । তারপর উঠে চলে যায়।
(খাল সাঁতরে এসে পাড়ে ওঠে ড্রাইভার সোলেমান । পাড়ে বসে হাপায়। দেখে খালের ওপারে সং আয়নালের ঘর। আয়নালকে একটা খারাপ গালি দেয় । )
সোলেমান : শুয়োরের বাচ্চা।
(তারপর উঠে চলে যায়। )
কাট।
দৃশ্য - ০৩
স্থান : আয়নালের ঘর, উঠোন, রাস্তা ও আইল।
সময় : সকাল
চরিত্র : আলেয়া।
ঘটনা : আলেয়া সাজগোজ করে দোকানে বাকি আনতে রওয়ানা হয়।
সিরিজ অব শটস :
০১) বিভিন্ন পাত্র খুলে দেখছে আলেয়া। পাত্র শূন্য।
০২) পাত্রগুলো রেখে আলেয়া চিন্তিত মুখে বসে পড়ে। হঠাৎ করে তার মুখ হাসিতে উজ্জ্বল হয়ে পড়ে।
০৩) আয়নার সামনে আলেয়া সাজগোজ করে।
০৪) দরজা লাগিয়ে ঘর থেকে বের হয় আলেয়া।
০৫) একটা গ্রাম্য মাটির রাস্তা ধরে এগিয়ে যায় আলেয়া।
০৬) দূর থেকে আলেয়া দোকানটা দেখতে পায়।
০৭) আলেয়া মুচকি হাসে।
কাট।
দৃশ্য : ০৪
স্থান : একটি মুদি দোকানের সামনে ।
সময় : সকাল।
চরিত্র : দোকানদার উজির আলী ও আলেয়া।
ঘটনা : দোকান থেকে বাকি নেয় আলেয়া।
(দোকানী পেট বের করে বসে বসে পাখার বাতাস খাচ্ছে। তার পরণে সেন্ডো গেঞ্জি ও লুঙ্গি । । সে হঠাৎ খেয়াল করে আলেয়া আসছে। তার দৃষ্টিতে লোলুপতা চলে আসে।
শাড়ি পরে আলেয়া হেঁটে আসছে। ফিতা দিয়ে দুটি বেনুনি করা। শাড়িটা কোমরে গুঁজে নিয়েছে।
দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় আলেয়া। একটা তাচ্ছিল্য ভঙ্গি করে। দোকানদার উজির আলী তার পাশের জায়গাটা কাঁধের গামছা দিয়া ঝেড়ে দেয়। )
উজির আলী : কেউ নাই, একটু ব।
আলেয়া : বইতে আসি নাই। ঘরের অবস্থা খারাপ।
উজির আলী : কী কী লাগব, ক। সব দিয়া দেই।
আলেয়া : ট্যাকা কিন্তুক নাই।
দোকানী : চিন্তা করিস না। খাতার মইদ্যে সব লেইখ্যা রাখতাছি। একবারে দিস।
আলেয়া : তাইলে আর কি ? চাইল, ডাইল, আলু, ডিম সবই লন।
উজির : (একটা কোমল পানীয়র বোতল এগিয়ে দেয়) এই ঠাণ্ডাটা খা।
(আলেয়া বোতলটা নেয়। অল্প অল্প করে খায়। আর মুচকি মুচকি হাসে। মাল মাপতে মাপতে উজির আলীও হাসে। )
আলেয়া : ঢং কইর না। ঠিক মতো মাপ। কম দিও না কইলাম।
(জিভ কাটার কৃত্রিম ভঙ্গি করে দোকানী। মালপত্র মেপে আলেয়াকে দেয়। আলেয়া মালপত্র নিয়ে হেঁটে চলে যায় । পেছন থেকে তাকিয়ে থাকে দোকানী উজির আলী। )
ডিজলভ।
দৃশ্য - ০৫
স্থান : আয়নালের বাড়ি।
সময় : বিকেল।
চরিত্র : আয়নাল ও আলেয়া
ঘটনা : আয়নালকে আলেয়া বকা দেয়।
আয়নাল ঘুম থেকে ওঠে। আড়মোড়া ভাঙ্গে।
আয়নাল : ও আমার মেম সাব, আমারে চকি চা দিয়া যাও।
আলেয়া : (গজ গজ করতে করতে ঘরে ঢোকে) এত জ্বর শরীরে তবু তামসা কমে না।
আয়নাল : দুঃখের মইদ্যে হাসতে পারলেই তো সেইটা আসল হাসা।
আলেয়া : হ, ঘরে নাই দানাপানি, কাম নাই, কী হবে ভাবতে ভাবতে অস্থির । কইলাম, এই সব ছাড়। রিক্সা চালাও, কামলা খাট, নাইলে গাড়ির কামে যাও। তাইলেই তো অভাব দূর হয়। না, উনি সং সাইজ্যা ঢং করব। উনি দিলদার হইব, সিনেমারাজ হইব।
আয়নাল : শুনেন, আমি হইলাম আয়নাল রাজ। বাংলা সিনেমায় একজন আছে নায়ক রাজ, আর আমি হইমু আয়নাল রাজ। এই দেখেন আমার হাতে ১০ আংটি, একটা বেচলে দুনিয়া কিনতে পারি, কিন্তু বেচুম না।
আয়েলা : উহ, দেমাগ কত ! এই লোহা-লক্কড় পইরা যদি রাজা হওন যাইত, তয় দুনিয়ার সবাই রাজা হইত। আমি যে দিন চইল্যা সে দিন তোমার তামসা কমব ।
আয়নাল : যাবি ? কেমনে যাবি তুই ?
আলেয়া : এই যে তোমার হীরার আংটি, এইটা বিছানার উপর রাইখ্যা পর পুরুষের হাত ধইরা চইল্যা যামু।
(আয়নাল হো হো করে হেসে ওঠে)
ডিজলভ।
দৃশ্য - ০৬
স্থান : আয়নালের বাড়ি। উঠোন।
সময় : সকাল
চরিত্র : আয়নাল, আলেয়া ও শিশুদের দল।
ঘটনা : আয়নাল তার বাড়ির বাচ্চাদের সঙ্গে মজা করে।
(আয়নাল সকাল বেলা ঘর থেকে বের হয়ে ডুগডুগি বাজায় এবং নানা জনের নাম ধরে ডাকতে থাকে।)
আয়নাল : ওরে, ওরে, ওরে, ওরে, বিচ্ছু বাহিনী কই গেলি রে ? ওরে গেন্দা, ফুকি দিছে, ওরে মেন্দা, চুকি দিছে, ওরে ধেন্দা, উকি দিছে, ওরে হাইঞ্জা, ফুচকি দিছে। ওরে কুটুস, ওরে পুটুস, ওরে লুটুস, ওরে হুটুস ( ছড়া কাটে আয়নাল) ওরে কুটুস, কী চাস, লজেঞ্জুস ? নাকি চাস ম্যাংঙ্গো জুস ? ওরে পুটুস, কী চাস, আইসক্রীম ? নাকি চাস গিরিম, গিরিম ? ওরে লুটুস, কী চাস, চুইংগাম ? নাকি চাস ধাম ধাম ? (পোটলা দেখায়) আমার কাছে পোটলা আছে, পোটলার মইদ্যে সব আছে। ( আলেয়া এসে
দরজায় দাঁড়ায়। তার দিকে তাকিয়ে) আম্বিয়ার নানী, ভেটকি দিছে। (গান ধরে) বউ আমার ফুলকুমারী, আমি তার ইশকে মরি।
( রাগ করে দরজা থেকে সরে যায় আলেয়া। বাচ্চাদের সঙ্গে মজা করতে থাকে
আয়নাল। )
আয়নাল : ওরে গেন্দা, ওরে মেন্দা, ওরে ধেন্দা, ওরে হাইঞ্জা, ওরে কুটুস, ওরে পুটুস, ওরে লুটুস, ওরে হুটুস।
(বাচ্চারা আয়নালের চারপাশ ঘিরে নাচতে থাকে।)
কাট।
দৃশ্য - ০৭
স্থান : আয়নালের বাড়ি। ঘরের ভেতর।
সময় : সকাল
চরিত্র : আয়নাল ও আলেয়া
ঘটনা : আয়নাল বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়।
(আলেয়া রান্নার সরঞ্জাম গোছায় এবং গজগজ করতে থাকে। পিছন থেকে আয়নালের গান ভেসে আসতে থাকে।)
আলেয়া : লোকটা এত তামসা করতে পারে। মাত্র জ্বরটা সারছে। শরীরটারে একটুও আরাম দেয় না।
(আয়নাল ঘরে আসে। তার পানের সরঞ্জাম সাজায়। )
আলেয়া : তুমি কি বাইর হইতাছ নাকি ?
আয়নাল : কুশিগঞ্জে বিরাট মেলা। ব্যাপক আয়োজন। আমি না গেলে .....
আলেয়া : আপনে না গেলে মেলাটা জমতাছে না। আপনে হইলেন প্রধান আকর্ষণ - আয়নাল রাজ।
(হে হে করে অপরাধীর মতো হাসে আয়নাল। )
আলেয়া : তোমারে তো বাইন্ধা রাখা যাইব না। তুমি তো যাইবাই। তয় শইলডার দিকে খেয়াল রাইখ। আবার জ্বর বান্ধাইও না।
আয়নাল : আমারে কেউ বান্ধে পারব না, জ্বরও না, ঘরও না।
(আলেয়া অবাক হয়ে আয়নালের দিকে তাকিয়ে থাকে। আয়নাল তার পানের সরঞ্জাম নিয়ে বেরিয়ে যায়। আলেয়া এসে বাইরে দাঁড়ায়। চলে যায় আয়নাল। পেছন থেকে তাকিয়ে থাকে আলেয়া। )
কাট।
দৃশ্য - ০৮
স্থান : একটি মুদি দোকানের সামনে
সময় : সকাল
চরিত্র : আয়নাল ও দোকানদার উজির আলী
ঘটনা : উজির আলীর সঙ্গে মজা করে আয়নাল
(দূর থেকে দেখতে পায় আয়নাল। দোকানদার উজির আলী তার ক্যাশবাক্স ঝাড়পোছ করছে। সে মজা করে)
আয়নাল : বংচং লও, চাচা।
উজির : তুই বেনসন খাইলে ভদ্রলোকে খাইব কি ?
আয়নাল : হাতীয়ে যদি কুত্তার খাওন খায়, আমি ক্যান বংচং খামু না ?
উজির : মাল ছাড়, বংচং খা, বেনসন খা। বাকি আর দিমু না।
আয়নাল : বাকি চায় কোন শালা ? এই লও নগদ একটা পান খাও। তেলেসমাতি পান। বুড়া খাইলে জুয়ান হইব, পেটলা খাইলে পাতলা।
উজির : আমি কি পেটলা রে, শালা ?
আয়নাল : চাচা, রাগ কর ক্যান ? তোমার তো পেটভর্তি দয়া।
( দোকানদার উজির আলীর পেটে হাত দেয়ার চেষ্টা করে আয়নাল। তারপর হঠাৎ করে এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে পালায়। হতবাক হয়ে যায় দোকানদার উজির আলী।)
উজির আলী : হেই কেরামত, শালার পুতরে বান। বাইন্ধা ট্যাহা ল। পেটভর্তি দয়া, দয়া ছুডাই।
(আয়নাল ছুটে পালায়। )
কাট।
দৃশ্য - ০৯
সিরিজ অব শটস।
০১) দিন। একটি জনসমুদ্রের মাঝখান দিয়ে নাচতে নাচতে চলেছে সং আয়নাল।
০২) বিকেল । ঘরের দরজা খোলা। একটা মোড়ায় বসে ভাত খাচ্ছে আলেয়া। ভাত খেতে গিয়ে তার বমি ভাব পায় । থালা রেখে দেয়। বাইরে এসে বমি করার চেষ্টা করে। তার বমি হয় না। তার মাথা ঘুরাতে থাকে। সে গ্লাসে করে আনা পানি কিছুটা খায়। জগ থেকে ঢেলে মাথায় পানি দেয়।
০৩) দিন। একটি ট্রলারের ভীড়ের মধ্যে নাচছে আয়নাল
০৪) বিকেল। চুলার সামনে বসে পোড়া মাটি খাচ্ছে আলেয়া।
০৫) সকাল। একটি লঞ্চের সামনের দিকে লোকজনের সামনে বক্তৃতা দিচ্ছে আয়নাল।
০৬) রাত। ওয়াক ওয়াক করে বমি করছে আলেয়া।
০৭) দিন। সবুজ মাঠের মধ্যে নাচছে জয়নাল । তার চারপাশে গোল হয়ে ঘিরে নাচছে শিশুরা।
০৮) সন্ধ্যা। নদীর ধারে একটি খোলা রাস্তার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে আলেয়া। সে কাঁদছে।
ডিজলভ।
দৃশ্য - ১০
স্থান : আয়নালের বাড়ি ।
সময় : বিকেল
চরিত্র : আলেয়া ও দোকানদার উজির আলী।
ঘটনা : আলেয়াকে দোকানের মাল এনে দিয়ে যায় উজির আলী ।
(ভয়ে ভয়ে আয়নালের বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় দোকানী উজির আলী। আশেপাশে তাকায়। তার হাতে একটা পোটলা। সে আশেপাশে তাকিয়ে সামান্য গলা খাকারি দেয়। দোকানী উজির আলী ঘরের দিকে এগোয়। )
উজির আলী : ঘরের আছ নাকি ? ও আলেয়া।
(ও দিক ও দিক তাকায় উজির আলী)
উজির আলী : পোটলা আনছিলাম। আলেয়া কি ঘুমাও নাকি ?
(দরজা খুলে বের হয় আলেয়া। )
উজির আলী : ঘুমাইছিলা ? বেশ। মাইয়া মানুষ না ঘুমালে সুন্দর লাগে না।
আলেয়া : আপনে আবার কষ্ট কইরা আইলেন ক্যান ? খবর দিলেই তো হইত।
উজির আলী : খবর দেওন যাইত। তোমার জামাই নাকি নিরুদ্দেশ। তাই দেখতে আইলাম। তোমার জন্য বড় মায়া লাগে গো।
(পোটলাটা এগিয়ে দেয়। নেয় আলেয়া।)
আলেয়া : আসেন, ভিতরে আইস্যা বসেন।
উজির আলী : না, না, ভিতরে যাওয়া কি ঠিক হবে ? এমনেই আমার বউটা মইরা গেল, নানান জনে নানা কথা কয়। একা মানুষ। তুমিও একা হয়া গেলা। বাকিও অনেক পইড়া গেল। কেমনে শুধবা ? ভেবে দেখ। আমি সব বাকি লিখ্যা রাখছি। এক বারে শোধ করে দিও।
(হে হে করে বিশ্রী ভঙ্গিতে হাসে উজির আলী। মেজাজ খারাপ হয়ে যায় আলেয়ার।)
আলেয়া : (স্বগত) হারামজাদা (প্রকাশ্যে) আপনেরে একটু শরবত বানায়া দেই ?
উজির আলী : এখন না। ওই শরবতও পাওনা রইল। একবারে শোধ করে দিও। মানে বোঝই তো, মাইয়া মানুষ লতার মতো, পুরুষ না হলে চলে ?
(তেলতেলে হাসি নিয়ে চলে যায় উজির আলী। হতাশ হয়ে ধপ করে দাওয়ায় বসে পড়ে আলেয়া। মন খারাপ করে উদাস ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকে।)
ফ্লাশ ব্যাক।
দৃশ্য - ১১
স্থান : একটি যাত্রা পালার আসরের বাইরে।
সময় : সকাল
চরিত্র : আয়নাল ও আলেয়া।
ঘটনা : পান বিক্রির ছল করে আলেয়ার সঙ্গে দেখা করতে যায় আয়নাল। আলেয়া আয়নালের মনোভাব বুঝে ফেলে। সে আয়নালের সঙ্গে মজা করে।
(মিষ্টি পান বিক্রি করছে সং আয়নাল। )
আয়নাল : তেলেসমাতি পান রে আমার, তেলেসমাতি পান
যে খাইব তার প্রাণ জুড়াইব, আয়নাল রাজের পান
বুড়ায় খাইলে জুয়ান হইব, বুড়ি খাইলে ছুড়ি
জুয়ান খাইলে আরও জুয়ান, এই পানের নাই জুড়ি।
(যাত্রার তাবুর ভেতর থেকে ঘুমভাঙ্গা চোখে উকি দেয় নর্তকী আলেয়া। তার পোশাক ছাড়া হয় নাই এখনও। আয়নাল দেখে। )
আয়নাল : (আরও জোরে) তেলেসমাতি পান রে আমার, তেলেসমাতি পান
যে খাইব তার প্রাণ জুড়াইব, আয়নাল রাজের পান
(তাবু থেকে বেরিয়ে আসে আলেয়া। ঘুম-জাগা রাতের মেক-আপ লেপটানো মুখ। অগোছাল সাজ পোশাক। আয়নাল একটা পান এগিয়ে দেয়। )
আয়নাল : সখী, একটা মিষ্টি পান খা। সব দুঃখ ভুলে যাবি।
(আলেয়া একটা পান নেয়। মুখে দেয় । চিবুতে থাকে। )
আয়নাল : কী, মুখটা মিষ্টি হইছে না ? দিল কি মিষ্টি হয় নাই ?
(হঠাৎ করে সং আয়নালের বড় পকেটে পানের পিক ফেলে ছুটে পালায় আলেয়া। বোকা হয়ে যায় আয়নাল।)
আয়নাল : ওরে, কী দিয়া গেলি রে ? দিলটাই দিয়া গেলি নাকি রে ?
ফ্লাশ ব্যাক শেষ।
আলেয়া কাঁদছে। তার মুখে হাসি।
কাট।
দৃশ্য - ১২
স্থান : একটি ট্রাক স্ট্যান্ড।
সময় : বিকাল
চরিত্র : আলেয়া ও সোলেমান ড্রাইভার।
ঘটনা : সোলেমান ড্রাইভারের কাছে সাহায্য চাইতে আসে আলেয়া।
(একটা ট্রাকের নিচে কাজ করছে ড্রাইভার সোলেমান। ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আলেয়া। সোলেমান তার কাজ সেরে ট্রাকের নিচ থেকে বের হয়। )
সোলেমান : লোকটা কই গেছে কোন খবর নাই ?
আলেয়া : না।
সোলেমান : অহন কী করবি ? যদি না আসে ?
আলেয়া : নাও আইতে পারে। হের কোন ঠিক নাই।
সোলেমান : দোকানেও তো দুনিয়ার বাকি পড়ছে। হেয় যদি সালিশ ডাকে, তাইলে তো ওরেই বিয়া করন লাগব। ট্যাকা তো আর দিয়ে পারবি না।
আলেয়া : হ, আমি অহন খালি জনে জনে বিয়াই বহি।
(হো হো করে কেঁদে ওঠে আলেয়া। বিব্রত বোধ করে ড্রাইভার )
সোলেমান : কী করবি ? যাবি আমার লগে ?
আলেয়া : তুমি তো আমারে বিয়া করবা না।
সোলেমান : শোন, তর মতো মাগীরে যারা বিয়া করে, তারা খাওন দিতে পারে না, আর যারা খাওন দিতে পারে তারা বিয়া করে না। কোনটা চাস ? (আলেয়াকে ভালো করে দেখে ) ডিমওলা ইলিশের বাজার নাই।
(ট্রাকে উঠে স্টার্ট দেয় সোলেমান। ট্রাক টান দিয়ে চলে যায়। বিহবল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আলেয়া)
কাট।
দৃশ্য - ১৩
স্থান : একটি যাত্রা পালার আসর। অধিকারীর ঘর।
সময় : সকাল
চরিত্র : আলেয়া, অধিকারী ও তার ক্যাশিয়ার।
ঘটনা : আলেয়া অধিকারীর কাছ থেকে তার পাওনা টাকা নিয়ে যায়।
(যাত্রা পালার বাইরের দিকে একটা চেয়ারে বসে রোদ পোহাচ্ছে যাত্রার অধিকারী। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আলেয়া। )
অধিকারী : তাহলে তুই পাওনা টাকার জন্য এসেছিস ? খালি টাকার জন্য, আমাদের জন্য না।
(বোকার মতো হাসার চেষ্টা করে আলেয়া। অধিকারী ক্যাশিয়ারকে ডাকে।)
অধিকারী : নিবারণ বাবু, কোথায় গেলেন আপনি ? (ছুটে আসে ক্যাশিয়ার নিবারণ বাবু) এতক্ষণ লাগে ?
ক্যাশিয়ার : নিকাশটা করতে একটু সময় লেগে গেল আর কি। সিজনটাই ৪ মাস, শরৎ আর শীত। এর মধ্যে কাম করল অর্ধেক, টাকা তো অর্ধেক হয়াই গেছে কো । না কয়া পালাইল, টাকা আবার অর্ধেক হয়া গেল কো। বাকি থাকে কী , আর দিবই বা কী ? নিকাশ বলে, টাকা পায় ২ হাজার, জরিমানা দিলে তো তাও থাকে না কো। কী বলেন বাবু ?
অধিকারী : রাখেন আপনার নিকাশ, একটু মাল দিন. মাথা ঝিমাচ্ছে।
(ক্যাশিয়ার চলে যায়।)
অধিকারী : শোন, সিজনটা মন্দা, তুই এসেছিস না দিয়েও পারি না, বহু দিন ছিলি আমাদের সাথে, মায়া লাগে, বড় মায়া। হাজারখানেক রাখ। সিজনটা উঠিয়ে দে, পুরো টাকাই পাবি।
(পকেট থেকে টাকা বের করে সামনে ছড়িয়ে দেয়। মাটিতে ছড়িয়ে যায় টাকা।)
আলেয়া : (টাকা কুড়িয়ে নিতে নিতে) দাদা, এইডা কেমন হিসাব হইল ? অর্ধেক ধরলেও তো ৫ হাজার হয়।
(বোতল আর গ্লাস হাতে আসে ক্যাশিয়ার। মাটি থেকে একটা নোট উঠিয়ে নিজের পকেটে ঢোকায়। )
ক্যাশিয়ার : বাবুর তো গা ভর্তি দয়া, তাই তুই টাকা পাইছিস কো।
(টাকা কুড়িয়ে দাঁড়ায় আলেয়া। কাঁদতে থাকে।)
ক্যাশিয়ার : এখন যা, বিরক্ত করিস না কো। বাবুর এখন ভাব এসেছে।
কাট।
দৃশ্য - ১৪
স্থান : একটি খোলা বড় বিল।
সময় : দিন বা রাত
চরিত্র : আলেয়া, আয়নাল ও অন্যান্য
ঘটনা : একটি দুঃস্বপ্ন দেখে আলেয়া।
স্বপ্ন দৃশ্য।
০১) দিন। একটি পদ্ম ফোটা বিল। তার মাঝখান দিয়ে খোলা নৌকায় ভেসে আসছে আলেয়া।
০২) সন্ধ্যা। পদ্মফুলের পরিবর্তে তার নৌকার চারপাশে দেখা যায় অনেকগুলো পুতুল। সে পুতুলগুলো তার কোচড়ে তুলতে থাকে।
০৩) একটি পুতুল তুলতে গিয়ে সে দেখে একটি মানুষের মাথা। সে আনমনে মাথায় হাত দেয়।
০৪) মাথাটি তার দিকে তাকায়। মাথাটি আয়নালের।
০৫) ভয় পেয়ে যায় আলেয়া। সে ছিটকে সরে যায় নৌকার ওপাশে।
০৬) আলেয়ার ভীত মুখ।
০৭) আয়নালের মাথাটি ধীরে ধীরে পানিতে তলিয়ে যায়।
০৮) নৌকার চারপাশে দেখা যায় অনেকগুলো মাথা। কালো কালো মাথা কিন্তু মুখ দেখা যায় না। মাথাগুলো নৌকার চারপাশে ঘুরতে থাকে।
০৯) মাথাগুলোর সাথে সাথে নৌকাও ঘুরতে থাকে। আলেয়ার কোচড় থেকে পুতুলগুলো পানিতে ছিটকে পড়ে যেতে থাকে। সে পুতুলগুলোকে ধরে রাখতে চায়। কিন্তু পারে না। নৌকা ঘুরতে থাকে। পুতুল পড়তে থাকে।
স্বপ্নদৃশ্য শেষ।
১০) ভয়ে চিৎকার করে ঘুম থেকে জেগে ওঠে আলেয়া। তার সারা শরীরে ঘাম দিয়েছে। সে নীরবে তাকিয়ে থাকে। তারপর তার উঁচু পেটের দিকে তাকায় ও হাত দেয়। আদর করে, ভাবে। তারপর এক সময় পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে। কাঁদছে।
দৃশ্য - ১৫
স্থান : আয়নালের বাড়ি
সময় : বিকাল
চরিত্র : আলেয়া ও প্রতিবেশী ভাবী ।
ঘটনা : আলেয়া প্রতিবেশী ভাবীর কাছ থেকে অলংকার বন্ধক রেখে টাকা নেয়।
(আলেয়াকে হাজারখানেক টাকা দেয় প্রতিবেশী ভাবী। আলেয়া টাকা নিয়ে গণে। এক জোড়া কানের দুল হাতে নিয়ে দেখে ভাবী । )
ভাবী : গয়নাটা বেচিস না। বিপদে আপদে কামে দিব। সময় মতো টাকাটা শোধ দিয়া ছাড়ায়া নিস।
আলেয়া : না, এইডা হাতছাড়া করমু না। বড় শখ কইরা বানাইছিলাম। জীবনে ভাবি নাই, এইটা বন্ধক রাখা লাগব।
ভাবী : তর সোয়ামীর কোন খবরই নাই ? (আলেয়া না সূচক মাথা নাড়ে) আজিব ব্যাপার, এই রহম বৌ ফালায়া কেউ নিরুদ্দেশ হয়া যায় ? তর শইলের অবস্থাও তো ভালা না।
(কেঁদে ফেলে আলেয়া। সান্ত্বনা দেয় ভাবী)
ভাবী : কান্দিস না, মনডারে শক্ত কর। । দেখবি, একদিন সব ঠিক হয়া যাইব। বিপদ চিরদিন থাকে না। (গয়নাটা ফেরত দেয়) শোন, এইডা রাখ, লাগব না।
(আলেয়া অবাক হয়ে তাকায়)
ভাবী : কান্দাকাটি বাদ দিয়া আমার মাথাটা দেইখ্যা দে তো।
(ভাবী আলেয়ার সামনে গিয়ে বসে। আলেয়া চুলে বিলি কাটে। )
কাট।
দৃশ্য - ১৬
স্থান : নদীর ধারের রাস্তা
সময় : সন্ধ্যা
চরিত্র : আলেয়া।
ঘটনা : আলেয়া আয়নালের জন্য অপো করে।
(নদীর ধারে একটি খোলা রাস্তার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে আলেয়া। সে কাঁদছে। বোঝা যায়, সে আয়নালের জন্য পথ চেয়ে আছে।)
কাট।
দৃশ্য - ১৭
স্থান : আয়নালের ঘর।
সময় : রাত।
চরিত্র : আলেয়া।
ঘটনা : আলেয়া আয়নালের সংসার ছেড়ে চলে যায়।
(আলেয়া নিঃশব্দে কাপড় গোছায়। ঘর থেকে বের হয়। বের হওয়ার সময়ে দরজার কাছে একটা শুকনো বকুল ফুলের মালা দেখতে পায় । নেয় সেটা। বাইরে আসে। চাঁদের দিকে তাকায়। বটগাছের ফাঁকে একটা মরা চাঁদ। )
ফ্লাশ ব্যাক।
দৃশ্য - ১৮
স্থান : একটি রেল লাইন ।
সময় : গভীর রাত।
চরিত্র : আয়নাল ও আলেয়া
ঘটনা : যাত্রার আসর ছেড়ে ভালোবেসে আয়নালের হাত ধরে পালায় আলেয়া।
(একটি রেল লাইন দিয়ে দৌড়ে আসছে আয়নাল ও আলেয়া। হাসছে। আবার পরস্পরকে সাবধান করছে। হাফাতে এক জায়গায় এসে দাঁড়ায়। আবার দৌড়ায়। )
আলেয়া : আর দৌড়ানো লাগব না। পালায় আসার সময় কেউ আমারে দেখে নাই।
(হাসে আয়নাল। )
আয়নাল : ডেরেসটা বদলায়া আসবি না ? এই ডেরেস দেখলে সবাই বুইজ্যা ফালাইব তুই একটা যাত্রার প্রিন্সেস।
আলেয়া : প্রিন্সেস মানে জান ? প্রিন্সেস মানে হইল রাজ কন্যা।
আয়নাল : ওরে আমার রাজ কন্যা রে ...
(আয়নাল তার হাত বের করে ১০ আঙ্গুলে ১০টি আংটি দেখায়। বড় বড় চকচকে আংটি। )
আয়নাল : রাজ কন্যার জইন্য ১০ দিক খুইজ্যা আনছি ১০ খান আংটি। নেন পছন্দ কইরা নেন।
(হাত এগিয়ে দেয় দেয় আয়নাল। পছন্দ করে আলেয়া। সেই আংটিটি খুলে আলেয়ার হাতে পরিয়ে দেয় আয়নাল। তারা পরস্পরের দিকে তাকায়। তারপর আংটি পরে নাচে আলেয়া ও আয়নাল। তারা গান গায়।
গান : বউ হাসে ছলছল
বউ নাচে ছলছল
তারা এসে একটা কালভার্টের উপর দাঁড়ায়। তাদের পেছনে দেখা যায়, পূর্ণ চন্দ্র। তারা দুজন চাঁদের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পর তারা নাচতে শুরু করে। )
ডিজলভ। ফ্লাশ ব্যাক শেষ।
তেমনি চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে আলেয়া। তার চোখে অশ্রুর বন্যা।
তারপর ও সামনের অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।
কাট।
দৃশ্য - ১৯
স্থান : আয়নালের বাড়ি।
সময় : রাত।
চরিত্র : আয়নাল
ঘটনা : আয়নাল বাড়ি ফিরে দেখে তার স্ত্রী আলেয়া বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।
(আয়নাল গান গাইতে গাইতে ও নাচতে নাচতে বাড়ি ফেরে। উঠোনে এসে হাক দেয়। )
আয়নাল : আলেয়া, আলেয়া, কোথায় তুমি ? আমি আজ মহারাজ। কাইল সকালেই এফডিসি যাইতেছি। বাংলা সিনেমা জগতের পরবর্তী আকর্ষণ আয়নাল রাজ। নায়করাজের পরে পর্দা কাঁপাইতে আসিতেছে আয়নাল রাজ। বাংলা বিহার উড়িষ্যার আকাশে আইজ আনন্দের আলোকচ্ছটা। পূর্বাকাশে আজ সুবহে সাদিকের রঙিন আলো। এই শুভণে কে সেই হাবা যে আনন্দে নাচে না ? কে আজ ঘরে ঘুমায় ? উঠো, বাইরে এসো আলেয়া, তোমার জন্য আজ সিনেমা রাজ দাড়াইয়া।
(সামান্য অপো করে)
আলেয়া, তোমার এত দুঃসাহস। আয়নাল রাজের আহবানে সাড়া দিয়ে
ভালোবাসার দরজা খুলছ না ?
(সে গিয়ে দরজা ধাক্কা দেয়। ধীরে ধীরে দরজা খুলে যায়। ভেতরে ঢোকে
আয়নাল। শূন্য ঘর। চারদিক দেখে আয়নাল। খাটের উপর রাখা সেই বড় আংটি।)
ব্যাক গ্রাউন্ডে ইকো হতে থাকে আগের সংলাপগুলো ।
আয়নাল : যাবি ? কেমনে যাবি তুই ?
আলেয়া : এই যে তোমার হীরার আংটি, এইটা বিছানার উপর রাইখ্যা পর পুরুষের
হাত ধইরা চইল্যা যামু।
(আয়নাল হো হো করে হেসে ওঠে)
(দেখা যায় আয়নালের চোখে জল। সে ধীরে ধীরে মেঝেতে বসে পড়ে। তার ব্যাগ থেকে একটি নতুন শাড়ি বের করে। শাড়িটা মেঝের উপর ছড়িয়ে দেয়। তারপর আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘর থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে যায় আয়নাল। )
কাট।
দৃশ্য - ২০
স্থান : সেই রেল লাইনের ব্রিজ।
সময় : রাত।
চরিত্র : আয়নাল
ঘটনা : আয়নাল মন খারাপ করে ব্রিজের উপর বসে থাকে।
(আকাশে পূর্ণচন্দ্র। এক্সট্রিম লং শটে দেখা চাঁদের ছায়া পড়েছে নদীতে। জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চারদিক। ব্রিজের উপর বিষণœ ভঙ্গিতে বসে আছে আয়নাল। ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা বিরহী গান বেজে ওঠে। )
গান : আমি সুখের তরী দিছি পাড়ি
ঘূর্ণি বাদল ঝড়ে
পাড়ের কাছে আনলে তরী
পাড় ভাইঙ্গা পড়ে।
আমি কবে যামু সুখের পাড়ে
এই তরী বাহিয়া
জনম ভইরা বাইছি তরী
সাগর-ভাসা হইয়া।
টাইটেল । সমাপ্ত।
এবার কিছু টিপস :
০১) দৃশ্য বিভাজন হয় স্থান অনুযায়ী। তাই প্রথমেই ভেবে নেবেন কতগুলো জায়গায় ঘটনাটা ঘটাবেন।
০২) এক ঘণ্টার নাটকের জন্য ২৪ টার বেশি দৃশ্য দরকার নাই।
০৩) যদি চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখেন তবে তাতে দেখার জিনিস বেশি রাখবেন, শোনার জিনিস কম রাখবেন। মানে সংলাপ কম লিখবেন - অভিনেতাদের নীরব কাজকর্ম বেশি দেবেন। কেননা সিনেমা একটা দেখার মাধ্যম - আগে দেখা, পরে শোনা।
০৪) টিভি নাটকে অপেক্ষাকৃত বেশি সংলাপ থাকে এবং ক্যামেরা দূরত্ব কম থাকে। সেভাবেই স্ক্রিপ্ট লিখবেন।
০৫) প্রতিটি দৃশ্যেই সংলাপ রাখবেন না। কিছু কিছু দৃশ্য মিউট বা সংলাপহীন রাখবেন। তাতে করে বৈচিত্র্য তৈরি হবে।
০৬) লেখার আগে মনের চোখে দৃশ্যটা খুটিয়ে দেখে নেবেন। তারপর সংক্ষেপে লিখবেন। যত সংক্ষেপে লিখবেন ততই ভালো। কারণ দীর্ঘ লেখা পড়ার ধৈর্য্য কারও নাই।
০৭) চিত্রনাট্যের প্রথম পাতায় পুরো গল্পটি লিখে দেবেন। এটার নাম সিনোপসিস।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৮
লাল দরজা বলেছেন: ইন্ট্রোটা পড়লাম, আপনে যেভাবে উঠে পরে লাগছেন দেখে ভাল লাগল খুব। আবারো শুভ কামনা।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বাংলাদেশে উঠে পড়ে লেগেও কাজ হয় না। অনেক কষ্ট করে সামান্য ফল পাওয়া যায়। সৃজনশীল কাজের জন্য এই দেশের পরিবেশ উপযোগী নয়। এই বৈরি পরিবেশে উঠেপড়ে লাগা ছাড়া কোন উপায় নাই।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৯
কাব্য বলেছেন: শামীম ভাই এগিয়ে চলেন,আমরা আছি আপনার সাথে
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনেরা তো আছেনই অনেক আগের থিকা।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪২
তানজীল ইসলাম বলেছেন: ভালা পাইলাম, পিলাচ...++++++++++++++
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৬
কাজী দিদার বলেছেন: আপনার আশা সফল হউক
এই কামনা করি ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫৫
চতুষ্কোণ বলেছেন: পুরোটা পড়লাম। এর আগে হুমায়ুনের আগুনের পরশমনি ছবির চিত্রনাট্য পড়েছিলাম (যদিও অসম্পূর্ণ)। আপনারটাও ভালো লাগলো। হয়তো কারো কাজে লাগবে। ভালো থাকুন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কারো কাজে লাগলে নিজেকে কৃতার্থ মনে করব। অনেকেই আমাকে একটা চিত্রনাট্যের ফরম্যাট দেয়ার জন্য বলেছিল।
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫৬
জাহের ওয়াসিম বলেছেন: অসাধারণ একটা স্ক্রিপ্ট। খুব ভালো লাগলো। কাহিনী ও সংলাপে বৈচিত্র আছে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এত বড় লেখা কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এত বড় পোস্ট সাধারণত কেউ পড়ে না। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১০
শাফ্ক্বাত বলেছেন: আপনার অটোগ্রাফ তো এখন থেকেই নিয়ে রাখতে হবে!! ফাট্টাফাটি!!
আপনি চিত্রনাট্যের জন্যে ক্যাম্পাসে খোঁজ করলেন না কেন?? আমি একসময় রোকেয়া হল থেকে নাটক করেছি, সিনিয়রদের হাতে এইরকম ইয়াব্বড় স্ক্রীপ্ট দেখতাম! যার ছোটখাট একটা দুইটা দৃশ্য আমার মুখস্ত করা লাগতো। মনে পড়ে গেল অনেক কিছু
নাটক লেখা অনেক ধৈর্যের ব্যাপার রে ভাই। সাধুবাদ আপনাকে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: হা, হা, হা, আমি অতো বিখ্যাত কেউ নই।
নাটক লেখার লেখার চেয়ে পরিচালনা আরও কঠিন।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১৩
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন:
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৩৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯
হাম্বা বলেছেন: লোখাটা খুব ভালো লাগল
আর একটা কথাView this link
ভাইগো এই জাতীয় কাহিনী নিয়ে কি নাটক বানানো সম্ভব
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অবশ্যই সম্ভব। খুবই প্রাসঙ্গিক ও ভালো গল্প। কিন্তু শেষের দিকে একটু বেশি নাটকীয়তা আছে।
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫
সপ্নীল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য, আমিও মনে মনে একটা স্ক্রিপ্ট খুজছিলাম। ++ সহ প্রিয়তে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার মতো মানুষদের জন্য এটা ব্লগে দিলাম। আমার তো এটা আর কোন কাজে লাগবে না।
১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৬
মহিউদ্দিন আহামেদ সৈকত বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম, বলা তো যায় না কখন আবার এই মন নাট্যকার হতে চাইবে, তখন আর যা-ই হোক এটা থাকলে আপনার মত এত কষ্ট করা লাগবে না।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:০২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩৬
রঙধনূ বলেছেন: আসলে ভাইয়া চেষ্টা এমন জিনিষ, চেষ্টা করলে মানুষ সাকসেস হবেই।
প্রিয়তে রাখলাম।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কঠিন সত্য কথা।
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: প্রচেষ্টার প্রতি সম্মান।
১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:২২
সাইফ হাসনাত বলেছেন: চোখ-কান সব বন্ধ করে পড়ে ফেললাম। এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রিয়ায়িত...
অনেক কৃতজ্ঞতা...
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:১২
আরিয়ানা বলেছেন: ওয়াও !! খুবই ইন্টারেস্টিং। আপনি চমৎকার লেখেন!!
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এত প্রশংসা আশা করিনি, ধন্যবাদ।
১৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০০
সামিউর বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম। তবে আমি ভাইয়া চিত্রনাট্যের কিছুই বঝিনা, তবে কারও লাগ্লে আপনারটা সাপ্লাই দিবো।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:০৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ঠিক আছে। মানুষের কাজে লাগলেই হবে।
১৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২০
তাশফিকাল বলেছেন: ভাই মুগ্ধ হইলাম... এইটা আসবে কবে?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যখন আসবে, তখন জানাব।
১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:০৫
নুরুন নেসা বেগম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৮ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২০| ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:৩৫
সুমন সালেহী বলেছেন: শামীম ভাই অনেক ধন্যবাদ এটা শেয়ার করার জন্য... টিপস আর ভূমিকা টা পড়ে রাখলাম। আমারও চিত্রনাট্য লেখাটা শেখার খুব ইচ্ছা । আমি হাসির গল্প লিখতে খুব পছন্দ করি।দুটো হাসির নাটকের চিত্রনাট্য লিখছি। কিন্তু এ বিষয়ে বলতে গেলে কিছুই জানি না।
আপনার মোবাইল নাম্বারটা দেয়ার জন্যও ধন্যবাদ... আমি যোগাযোগ করলে আপনি কী বিরক্ত হবেন?
যদি না হন তাহলে আমার নাম্বারটাও রাখুন... ০১৮১৮৪৪৩৩০৪
২১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৪৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কিভাবে আপনার প্রথম চলচ্চিত্রটি বানাবেন ? - নামে একটা বই আমি লিখছি। ব্লগে প্রকাশ করছি সেই বইয়ের চুম্বক অংশ। আপাতত ৭টি পর্ব পোস্ট করেছি। ওই ৭টি পর্ব পড়লে চিত্রনাট্য সম্পর্কে আরও ধারণা পাবেন।
বইটিতে চিত্রনাট্য থেকে সম্পাদনা পর্যন্ত এমনকি মার্কেটিং পর্যন্ত সব কিছুই থাকবে। আর বইটির সঙ্গে একটা ডিভিডিতে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি ও এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ পদ্ধতি সংক্রান্ত একটা তথ্যচিত্র দেয়া থাকবে।
আপনি যোগাযোগ করলে আমি মোটেও বিরক্ত হব না। অনেকেই যোগাযোগ করেন। আমি যথাসাধ্য সবাইকেই সাহায্য করে থাকি। আর আপনার নাম্বারটা সেভ করে রাখলাম।
আপনার জন্য শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৪
গরম কফি বলেছেন: প্রিয়তে
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যদি আপনার কাজে লাগে, তবেই আমার পোস্টটি সার্থক।
২২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:৩১
সাইফুল ফারদিন বলেছেন: বড় উপকার করলেন যে ভাই। ধন্যবাদ দিয়ে কি আপনায় খাট করা যা্য?
১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৩৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কী উপকার করলাম সেটাই তো জানলাম না। জানাবেন আশা করি।
২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২৮
সাইফুল ফারদিন বলেছেন: অনেক দিন থেকে একটা চিত্রনাট্য খুজছিলাম, তা এখন পেয়ে গেছি। এর চেয়ে বড় উপকার আর কি হতে পারে?
২১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৪৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ঠিক আছে।
২৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৭
দুর্বলতার অমিত বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম আর একটা প্লাস দিলাম
২১ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি কি নাটক বা সিনেমার সাথে জড়িত ?
২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৭
ঘুমরাজ বলেছেন: সপ্নীল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য, আমিও মনে মনে একটা স্ক্রিপ্ট খুজছিলাম। ++ সহ প্রিয়তে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: স্ক্রিপ্ট খুঁজছিলেন কেন ? কী করবেন ?
২৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১০
দুর্বলতার অমিত বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কি নাটক বা সিনেমার সাথে জড়িত ?
---------------------------------------------------------------
নারে ভাই, আমি একদম খাঁটি ম্যাংগো জনতা।
২৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কোন একটা চ্যানেলে প্রচার করতে পারলে ভাল হত।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আচ্ছা।
২৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৩
আরজু পনি বলেছেন:
ফিল্ম মেকিঙ নিয়ে কাজ আমার প্রধান লক্ষ্য না। তাই সিনেমা নিয়ে অনেক পোস্ট পড়ার পরও তা মাথায় ধরে রাখতে পারি নি বলে দুঃখিত।
এই মন্তব্যটা মুলত করলাম পোস্টটাকে নিয়মিত দেখার জন্যে
২৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
shfikul বলেছেন: আপনার মনটা অনেক বড়।আকাশের মতো উদার আপনি শামিম ভাই।আপনি অনেক বড় হতে পারবেন।আমি আশাবাদি।শুভ কামনা আপনার জন্য।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার শুভ কামনা পেয়ে ধন্য হলাম।
৩০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
শুভ্র বিকেল বলেছেন: ভাই অনেক ভাল লাগলো আপনাকে পেয়ে। স্ক্রী্প্ট লেখার বড় ধরনের শখ বা ইচ্ছা থেকেই নেটে ঘাটতে ঘাটতে আপনাকে পেয়ে গেলাম যা আমাকে অনেক কাজে দিবে। আপনার এডভাইস ও মন্তব্যগুলোও দেখে নিয়েছি। আসা আপনার অন্যান্য লেখাগুলি দেখে নেব। সুন্দর সুন্দর পোস্ট ও উদার মনোভাবের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর হ্যা আপনার মোবাইলে মাঝে মধ্যে একটু আধটু বিরক্ত করতে পারি কিছু মনে নিবেন না প্লিজ।
৩১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৭
বঙ্গতনয় বলেছেন: ভাল লেগেছে, ধন্যবাদ। আশা করি কাজে লাগবে
৩২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৩
রাকিব হোসেন (রকি) বলেছেন: শামমি ভাই আপনার এই একটা স্ক্রিপ্টই আমার চিন্তা ধারার পদ্ধতি পরিবর্তন করে দিয়েছে about script writing. I can just say Thanks a lot.
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩১
রাজিব খান০০৭ বলেছেন: +