![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
অনেক দিন থেকে মাথায় ঘুরছে আইডিয়াটা। আমার লেখা সিনোপসিসগুলো এক এক করে ব্লগে পোস্ট করব। কিন্তু নানা দ্বিধা দ্বন্দ্বের কারণে শেষ পর্যন্ত পোস্ট করা হয় নি। প্রায় ৭০টা গল্পের সিনোপসিস থেকে কোনটা দিয়ে শুরু করব, সেটা ভেবে পাচ্ছিলাম না।
নিচের এই গল্পটি বা সিনোপসিসটি ব্যবহার করে একটা এক ঘণ্টার নাটক বানানোর পরিকল্পনা বা কথাবার্তা চলছে।
আমি জানি, ব্লগারদের অনেকে খুবই বুদ্ধিমান। তারা একটা সিনোপসিস পড়েই বলে দিতে পারবেন এই গল্পটি নাটক হিসেবে ভালো হবে কি না। সেই ভরসায় অবশেষে আমার লেখা এই সিনোপসিসটি আপনাদের রেটিং পাওয়ার জন্য পোস্ট করলাম। ১০ এর মধ্যে কত পাবে এই সিনোপসিস ?
নাটক -০৬ : কৃষ্ণ গহ্বর
রচনা : শাহজাহান শামীম
বৈশিষ্ট্য :
লোকেশন : শহর
গল্প : মানবিক ত্যাগের গল্প
প্রকৃতি : ট্রাজেডি
মূল চরিত্রসংখ্যা : ৪ জন
ব্যাপ্তি : ৪৪ মিনিট
প্রেমিজ বা মোরাল লেশন : মানুষের জন্য আত্মত্যাগের মাধ্যমেই মানুষ অমর হয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
গল্প সংক্ষেপ :
একজন মৃত্যুশয্যায় শায়িত শাশুড়ি কোন এক দুর্যোগপূর্ণ রাতে তার পুত্রবধূর কাছে বলছে তার জীবনে লুকায়িত এক পাপের কাহিনী -
ফ্ল্যাশ ব্যাক :
বর্তমান মৃত্যুশয্যায় শায়িত শাশুড়ি তখন তরুণী। তার দুটি ছেলে সন্তান। স্বামী ব্যাংকার। শহরে একটুকরো জমিতে একটি ছিমছাম পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া বাড়ি তার স্বামীর। স্বামী ও দু সন্তান নিয়ে স্বচ্ছল সুখী সংসার তার।
তার শ্বশুর বেঁচে নেই। শাশুড়ি আছে। সেই শাশুড়ি একদিন হঠাৎ স্ট্রোক করে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ধরা পড়ে তার কিডনির জটিলতা, রক্তশুন্যতা ইত্যাদি। আর ডায়াবেটিক তো আগে থেকেই ছিল।
হাসপাতালে রেখে তার শাশুড়ির ব্যয়বহুল চিকিৎসা চলতে থাকে। মাসের পর মাস তাকে বাসা আর হাসপাতালে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। তার স্বামীর জমানো সব টাকা শেষ হয়ে যায় চিকিৎসায়। বাধ্য হয়ে ঋণ করতে হয়। তবু চিকিৎসা খরচ সামলাতে পারে না তার স্বামী। অবশেষে বাধ্য হয়ে বাড়িটা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।
স্বামীর এমন সিদ্ধান্তে বিপন্ন বোধ করে স্ত্রী। দুটি ছেলে সন্তান ও তার ভবিষ্যতের কথা ভেবে অস্থির হয়ে যায় সে। অবশেষে এমনি এক দুর্যোগপূর্ণ রাতে চরম একটি সিদ্ধান্ত নেয়। স্বামী, দুটি ছেলে সন্তান ও তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এমনি মৃত্যুশয্যায় শায়িত তার শাশুড়িকে অতিরিক্ত ইনসুলিন প্রয়োগ করে মেরে ফেলে সে।
ফ্ল্যাশ ব্যাক শেষ।
শাশুড়ি তার পুত্রবধূর কাছে তার পাপের কাহিনী বলা শেষ করে। সে আরও জানায়, সম্ভবত তার পাপের কারণেই তার দুটি ছেলের মধ্যে বড় ছেলেটি পানিতে ডুবে মারা গেছে। তার স্বামীও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। অনেক কষ্টে তার ছোট ছেলেটিকে সে শিক্ষিত করে তুলেছে।
এখন সে মৃত্যুশয্যায়। তার একই রকম রোগ হয়েছে। তার ছেলেও তার স্বামীর মতো টাকা খরচ করতে করতে ফতুর হয়ে যাচ্ছে।
পরদিন সকাল। মৃত্যুশয্যায় শায়িত মহিলাটি মারা গেছে। কিভাবে মারা গেছে তা স্পষ্ট নয়।
এবার দয়া করে বলুন, এই গল্পটি নাটক বানালে কেমন হবে ?
১৪ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কথা চলছে। দেখা যাক। আমি আশাবাদী।
২| ১৪ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৫৪
আবু মোশাররফ রাসেল বলেছেন: ভালো হবে তো। করুন।
১৪ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৫৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার সমর্থন পেয়ে ভালো লাগল।
৩| ১৪ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৫৬
সাধারণমানুষ বলেছেন: সুন্দর গল্প.....ভালো নাটক হবে .......।
১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:১৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভরসা পেলাম।
৪| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:০১
দূর্যোধনের হাত বলেছেন: ভালই হইচে ..... কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করলাম .....( আমি যদি দর্শক হই , তাইলে কি ভাবে চিন্তা করতে পারি ... )
...বর্তমান পুত্রবধুর কোনো সন্তান আছে কিনা তা আপনি স্পষ্ট করেন নাই , তার মানে হইতে পারে বর্তমান শাশুড়ি স্বাভাবিকভাবেই মারা যাইতে পারেন , পুত্রবধুর তো আর তার শাশুড়ির মত সন্তানের চিন্তা আসার কথা না , তাই না ???
আর বর্তমান পুর্তবধু তো তার শাশুড়ির মত নাও হইতে পারে , সে তো মানবিকতার জন্য শাশুড়িকে বাচানোর শেষ চেষ্টা চালিয়ে যেতেও পারে .....যা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার শাশুড়ি করতে বাধ্য হয়েছিলেন( ইনসুলিন দিয়ে মেরে ফেলা )।
কমপ্লেক্স হয়ে গেল ফিনিশিং ....... দর্শকদের একটা হিন্ট দিবেন ফিনিশিং এ , এই আশা করি ।
১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:২১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আর বর্তমান পুর্তবধু তো তার শাশুড়ির মত নাও হইতে পারে , সে তো মানবিকতার জন্য শাশুড়িকে বাচানোর শেষ চেষ্টা চালিয়ে যেতেও পারে
............................................................................
আপনার এই আইডিয়াটা চমৎকার। মানুষ হিসেবে আমাদের মানবিক গুণগুলো দেখতে আমাদের ভালো লাগে।
আপনি গল্প খুব ভালো বোঝেন।
৫| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:০৪
কে. এম. মাহদী হাসান বলেছেন: ৮/১০। বাকিটা সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারলে পাবেন। ঘটনা বলার পরদিনই মারা না গিয়ে সেই যদি (স্বামীর এমন সিদ্ধান্তে বিপন্ন বোধ করে স্ত্রী। দুটি ছেলে সন্তান ও তার ভবিষ্যতের কথা ভেবে অস্থির হয়ে যায় সে।) বিষয়টা তার পুত্র বধুর মানষিক অবস্থার চিত্রটিতেও যদি খুব সংক্ষেপে তুলে ধরা হয় (শুধু কিছু ফ্লাস আর কি, ১০-১২ সেকেন্ড) তবে মনে হয় মন্দ হয় না। তার পর এক সকালে তার (অপ)মৃত্যু। নাটকটি বেশ ভাল হবে আশা করি।।
১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:২২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পুত্রবধূর মানসিক অবস্থা তুলে না ধরলে তো গল্পটা ম্যাড়মেড়ে লাগবে। বাড়ি বিক্রির সময় এগিয়ে আসা এবং তার টেনশন বাড়তে থাকা - এই রকম হলে ভালো লাগবে বলে মনে করি।
আপনি কী বলেন ?
৬| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:০৯
মিটুলঅনুসন্ধানি বলেছেন: এটাকে হেনরী ইবসেন এর নোরা নাটকের আদলে সাজাতে পারেন। কাহিনীটা কাছাকাছি। তবে এটাকে নোরার মতো টাইডি মনে হলো না। চালিয়ে যান।
১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: নোরা কেন পৃথিবীর কোন গল্পকে নকল করাটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। সুতরাং সেটার আদলে সাজানোর প্রশ্নই ওঠে না। মৌলিক গল্প নিয়ে কাজ করার একটা আলাদা আনন্দ আছে।
৭| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:১০
সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটা বেশ ভাল। নাটকে উপস্থাপনটাও যেহেতু ফ্যাক্টর সেদিকে খেয়াল করলেই ভাল হবে।।
১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: উপস্থাপনটা কেমন হতে পারে ?
৮| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:১১
কে. এম. মাহদী হাসান বলেছেন: @ দূর্যোধনের হাত: "কিভাবে মারা গেল তা স্পষ্ট নয়।" এর মানে হল তিনি তার পুত্র বধুর হাতেই মারা গেছেন এটা স্পষ্ট।
এটাই প্রাকৃতিক। একে 'ন্যাচারাল পানিসমেন্ট' বলতে পারেন। এটা একটা বাস্তবতা যে মানুষ যে অপরাধ করে তার একটা ফল এ দুনিয়াতেও পায়। যে যার সাথে যে ধরনের আচরণ করে সে কারো না কারো দ্বারা সে আচরণের সম্মুক্ষিন হবেই।।
১৫ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:১৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কাল রাতে ইলেকট্রিসিটি চলে যাওয়ায় আর উত্তর দেয়া হয় নি। যাই হোক, আপনার ধারণা ঠিক নয়।
আমার প্রেমিজে বলে দিয়েছি, মানুষের জন্য আত্মত্যাগের মাধ্যমেই মানুষ অমর হয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
সুতরাং এইটা একটা আত্মত্যাগের গল্প - প্রতিশোধের নয়।
৯| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:১৫
প্লাস_মাইনাস বলেছেন: বাহ...
১৫ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:১৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এত ছোট মন্তব্য কিন্তু ভালো লেগেছে।
১০| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:২১
হা...হা...হা... বলেছেন: বাংলা ছবির গল্পের মতো মনে হল। মাইন্ড কইরেন না। আমি ফান করছি না। সমালোচনা করছি। কারণ ঠিক এমন না হলেও অনেকটা এমন অনেক সিনেমা বা নাটক দেখেছি। আমি চাই এমন নাটক বানাবেন যা দেখে কেউ বলতে পারবেনা যে এমন নাটক আরো দেখেছি।
ধন্যবাদ।
১৫ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:১৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার মতো সমালোচককে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি। মুখের উপর সত্য কথা বলতে পারাটা একটা দারুণ দুঃসাহসের কাজ, সেটা সবার থাকে না।
যাই হোক, আপনি বলছেন, বাংলা ছবির গল্পের মতো। আমারও তাই মনে হয়। একটু বেশি নাটুকেপনা মনে হয়। আমি চেষ্টা করব এই নাটুকেপনা কমিয়ে ফেলার।
আর কোন সিনেমার গল্পের সাথে মিলে গেছে সেটা যদি বলতেন, তবে সিনেমাটা দেখে সেই অংশগুলো বাদ দিয়ে দিতাম। আর যদি পুরোটাই মিলে যায়, তাহলে পুরো গল্পই বাদ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে নকল করার তীব্র বিরোধী।
১১| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:২৭
সৌম্য বলেছেন: হুম। কেমন জানি লাগলো। একটু বেশী নাটুকে। নাটক যেহেতু খুব কম দেখা হয়। ছোট গল্প হিসাবে বললাম।
১৫ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:১৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমারও সেটা মনে হয়েছে। এই নাটুকেপনা কমাতে হবে।
১২| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:৩২
দূর্যোধনের হাত বলেছেন: হা...হা...হা... বলেছেন: বাংলা ছবির গল্পের মতো মনে হল। মাইন্ড কইরেন না। আমি ফান করছি না। সমালোচনা করছি।........
কোন অংশটা বাংলা ছবির মত মনে হলো ....তার ব্যাখ্যা আশা করছি
আর লেখক কে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম .... যদি আপনি এইরকম কোনো হিন্ট দেন , যেখানে মনে হবে বর্তমান শাশুড়ির মারা যাওয়ার জন্য বর্তমান পুত্রবধু দায়ী , তাহলে কিন্তু স্টার প্লাস দেখে চিরন্তন বউ শাশুড়ির যুদ্ধের কথা মনে পরবে আমাদের অনেকের তার ফলস্বরূপ রিয়েল লাইফে পরস্পরকে দোষারোপ করার সম্ভাবনা কে উড়িয়ে দেওয়া যায় না
কে. এম. মাহদী হাসান বলেছেন: @ দূর্যোধনের হাত: "কিভাবে মারা গেল তা স্পষ্ট নয়।" এর মানে হল তিনি তার পুত্র বধুর হাতেই মারা গেছেন এটা স্পষ্ট।
নাহ .... লেখক এখনো আমাদের দোটানায় রেখেছেন দেখতে পাচ্ছি আমি ভাবতে পছন্দ করছি স্বাভাবিক মৃত্যু .... আপনি ভাবতে পছন্দ করছেন প্রকৃতির প্রতিশোধ
১৫ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:২০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: হাহাহা কে আমি উত্তর দিয়েছি।
আমার প্রেমিজটা পড়লে বুঝতে পারবেন সেটা চিরন্তন বউ শাশুড়ির যুদ্ধ নয়। বরং আত্মত্যাগের গল্প।
আমার প্রেমিজে আছে, মানুষের জন্য আত্মত্যাগের মাধ্যমেই মানুষ অমর হয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
১৩| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:৩৬
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: শাশুড়িকে অতিরিক্ত ইনসুলিন প্রয়োগ করে মেরে ফেলে সে।
..............এ ধরনের দৃশ্য অন্যকে উৎসাহিত করতে পারে....
যদিও আপনার গল্পের মূল কথা এখানেই তারপরও শামীম ভাই এই দৃশ্যের প্রতি আমার সমর্থন নাই।
স্বামী যখন মায়ের কথা ভেবে স্ত্রী-সন্তানের ভবিষৎ অন্ধকারে ঠেলে (আপনার কখা ফতুর হয়ে যায়) তখন এমন হত্যার যৌতিকতা কোথায়??
...........হত্যা ছাড়াও পাপ হতে পারে এই গল্পে।
যাক বাকীটা আপনার...........................
১৫ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: নাটক বা সিনেমা দেখে অপরাধে উৎসাহিত হওয়ার ব্যাপারটা এখন আর ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। কোটি কোটি মানুষ নাটক বা সিনেমা দেখে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ অপরাধী, সবাই না।
যে অপরাধী হয়, সে বাস্তব জীবন থেকেই হয়। আর অপরাধী হওয়ার জন্য বাস্তব জীবনেই এত এত কারণ আছে যে তার জন্য আর নাটক সিনেমার কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নাই।
আর এখনকার মানুষ এত আবেগপ্রবণ নয় যে, নাটক সিনেমাকে এত সিরিয়াসলি গ্রহণ করবে। তারপরও আপনার পয়েন্টটা মাথায় রাখলাম।
১৪| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১:০৮
অনর্থ বলেছেন: শামীম ভাই, এইখানে যারা কমেন্ট করসে তারা গল্পটা পড়ে যা বুঝছে, আর আপনি যেই ইন্টেনশন নিয়ে গল্পটা লিখসেন, সেটা কি এক?
আপনি যে মরাল লেসন দিসেন তাতে মনে হচ্ছে যে শাশুড়ি আসলে তার ছেলের টাকা, সংসারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাচাতে এবং তার আর্লি লাইফের একটা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে আত্নহত্যা করসে। এবং আত্মহত্যার আগে ছেলের বউকে এই ব্যাপারে হিন্টস দিয়ে গেসে।
এইটা কি আপনার আইডিয়া নাকি উপরে লোকে যা মনে করতেসে, সেইটা?
আমি এই নাটকটা বানাইলে আত্নহত্যা দেখাইতাম এবং সামহাউ দেখাইতাম যে বউটা কিছুদিন পরে এটা ফিগার আউট করতে পারসে। ধরেন, সে সবসময় ইনসুলিন দিয়ে দিত এবং ঔষধপত্র টেক কেয়ার করত। তাই কোন ওষুধ কতটা আছে, সেটা সে আইডিয়া রাখে। মারা যাওয়ার হঠাৎ বুঝল যে কোন ওষুধ খুব কমে গেছে, সামথিং লাইক দ্যাট।
আর যদি আপনার আত্মহত্যা না দেখান, এইটা গল্পটা খুব বিশ্বাসযোগ্য হবে না। আই মিন, কেন শাশুড়ি ছেলের বউকে এই গল্প শুনাইতে যাবে?
আপনি আসলে কি দেখাইতে চাচ্ছেন, সেটা একটু ক্লিয়ার করেন। তারপর আমি ভাল-মন্দের কমেন্ট দিব।
বাই দ্য ওয়ে, ব্লগে গল্প/আইডিয়া শেয়ার করা কি ভাল কাজ? আমি যদি এই গল্প চুরি করে আপনার আগেই বানায় ফেলি?
১৫ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:৫৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বস,
আপনার মন্তব্য শুনেই বুঝতে পারছি আপনি নাটকের কোন গুরু ভাই।
আপনি প্রেমিজটা খেয়াল করে মূল গল্পটা ধরতে পেরেছেন। আসলে শাশুড়িটি আত্মহত্যা করেছে এবং আপনি যেভাবে ব্যাপারটা বর্ণনা করেছেন, সেভাবেই সেটা প্রকাশ পাবে। আরেকটা ব্যাপার, শাশুড়ি এবং বউ একই রকম চরিত্র নয়, শাশুড়িটি যা করেছিল, বউটি তার ধারে কাছেও চিন্তা করেনি।
ইউ আর গ্রেট !
হ্যা, ব্লগে গল্প/আইডিয়া শেয়ার করা রিস্কি। এটা ভেবেই সিনোপসিসগুলো ব্লগে দেই না। একটা অন টেস্ট দিয়ে দেখলাম। আপনি চুরি করে বানালে আমার আপাতত কিছু করার নাই।
বাই দ্যা ওয়ে, আমার গল্প চুরি করে অনেকেই নাটক বানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়, গল্প এক হলেও আমার বানানো নাটক ও অন্যদের বানানো নাটকে কোন মিল না থাকাই স্বাভাবিক এবং সেটাই ভরসা।
বস, ইউ আর গ্রেট !
১৫| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১:১২
টেকি মামুন বলেছেন: আমার কাছে ভালো লেগেছে।দর্শক প্রিয়তা পাবে ।++
১৫ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:৫৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমিও তো সেটা চাই।
১৬| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১:১৪
অনর্থ বলেছেন: @সেবু মোস্তাফিজ, আধুনিক যুগে নাটক-সিনেমায় কোন দৃশ্য মরালি ঠিক আছে, কোন দৃশ্যের সমাজজীবনে কি প্রভাব পড়বে, এইসব জিনিস আর বিবেচনা করা হয় না।
পৃথিবীর সেরা দুই ডিরেক্টর স্করসিস, ট্যারান্টিনোর সব ছবি গ্যাংস্টার আর ক্রিমিনালদের নিয়ে। খুন-জখম-ভায়োলেন্স কথায় কথায়। কিন্তু তাদেরকে ডিরেক্টরদের গুরু ধরা হয়। ট্যারান্টিনো তো লিজেন্ড হয়ে গেছে এই কয়দিনেই।
১৫ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:২০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আধুনিক যুগে নাটক সিনেমায় কোন দৃশ্য মোরালি বিবেচনা করা হয় না, কেননা, ধরে নেয়া হয়, দর্শক অনেক অনেক উচুমানের মানুষ। সে এখান থেকে বিনোদন নিতে এসেছে, মোরালিটি নয়।
আমেরিকার মতো উচ্চ শিক্ষিত ও তথ্যভিত্তিক সমাজে নাটক সিনেমা থেকে কেউ মরালিটি শেখে না। কিন্তু আমাদের দেশে মানুষ কেবল সিনেমা নাটক থেকেই শিখতে চায়। এটা একটা সমস্যা। সিনেমা নাটক একটা বিনোদন মাধ্যম। আগে বিনোদন, পরে শিক্ষা। আগে শিক্ষা দিতে গেলে বিনোদন থাকবে না।
তবে আমাদের দেশের স্বল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত দর্শকদের জন্য খানিকটা মরারিটি রাখা যেতে পারে। আমি যখন দর্শক হিসেবে সিনেমা বা নাটক দেখি তখন বিনোদনই চাই, শিক্ষার ধারও ধারি না। ওটাই হওয়া উচিত। সে রকম হতে হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে অনেকে কিন্তু মরালিটি বাদ দিয়ে কেবল বিনোদন নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
আর নাটক ও সিনেমা দেখে কে কতটুকু প্রভাবিত হবে, সেটা কিন্তু দর্শক থেকে দর্শকে ভিন্নতর হয়।
আগের মন্তব্যটি মুছে গিয়েছিল কোন কারণে।
১৭| ১৫ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:২০
কে. এম. মাহদী হাসান বলেছেন: আমি প্রতিশোধ বলিনি। তার শাশুড়ি যেমন বাস্তবতার শিকার তিনিও প্রাকৃতিক চাপে বাস্তবতার শিকার হওয়াটাই তার শাশুড়ির পরিনতি। তবে বাস্তবতা অনেক সময় প্রতিশোধ না নিয়ে তার বিপরীত করে দোষীকে মানষিকভাবেও শাস্তি দেয়। এই আর কি....
১৫ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:২১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনি হয়তো প্রেমিজটা খেয়াল করেন নি। যাই হোক, আপনার ব্যাখ্যাটা একেবারে ফেলনা নয়।
১৮| ১৫ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:২৫
অনর্থ বলেছেন: শামীম ভাই, শামীম ভাই, শামীম ভাই....আস্তে বস আস্তে আমি কিন্তু শেষে অতি প্রশংসায় খুশিতে নেংটু হয়ে নাচা শুরু করব। সামলাইতে পারবেন না।
আপনার থিওরেটিক্যাল নলেজের সামনে আমি তো কিসুই না। আপনার চলচ্চিত্র বিষয়ক সব ব্লগ আমি রেগুলার পড়ি। রিপ্লাইও দিসি অনেকগুলিতেই (অন্য নিকে)। আপনার জ্ঞান বেশ ভাল। ঢাকায় থাকেন না বলে হয়ত একটু পিছায় আছেন। তা নাহলে এতদিনে হয়ত ফুল লেংথ ফিল্মই শুরু করে দিতে পারতেন।
এনিওয়ে, আপনার আইডিয়া এইবার ভালমত জানলাম। চিন্তাভাবনা করে কালকে-পরশু মতামত জানাব (আর কিছু না হোক, বুঝতেই পারতেসেন যে আমার চিন্তাভাবনা একটু ডিপই হবে এবং সময় নিয়ে ভাবতে হবে )
ক্যানাডায় বসে আমার পক্ষে নাটক-ফিল্ম বানানো আগামি অন্তত ৫-৭ বছরে সম্ভব হবে না। ৫-৭ বছর পরেও সম্ভব কিনা, আমি শিওর না। তাই আপনার আইডিয়া চুরি আমি অন্তত করতে পারব না। তবে ব্লগ তো অনেকেই পড়ে, তারা কেউ করতেই পারে।
মোরালিটির ব্যাপারে আপনার বক্তব্যের সাথে খানিকটা একমত। ট্যারেন্টিনো টাইপ মুভি আমাদের দেশে বানানো রিস্কি। কিন্তু আপনার এই গল্পটাকেও যদি মোরালিটির সংজ্ঞা ফেলা হয়, তাহলে আবার বেশি মুশকিল। এখন আমাদের দেশে যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার চেয়ে আরো বেশ অনেকটাই ওপেন হওয়া উচিত।
১৫ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ০১) প্রথম কথা, নেংটু হয়ে নাচলে আমার আপত্তি নাই। আমি বরং হ্যান্ডিক্যামটা অন করব।
০২) আপনার কথা সত্য। ঢাকায় থাকলে আরও ভালো হত আমার ক্যারিয়ার। এই জন্য ঢাকায় রেগুলার যোগাযোগ রাখি।
০৩) আপনার মূল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
০৪) কানাডায় বসে নাটক না বানান, দেশে এসে তো পারবেন। আমি গত ১০ বছরে যখন যে আইডিয়া মাথায় এসেছে, তাই লিখে রেখেছি। এই করতে করতে এখন ৭০টি নাটকের সিনোপসিস জমা হয়েছে। তার মধ্যে অনেকগুলো খুবই ফালতু। সেগুলো অনেকে পছন্দ করেছে এবং চুরি করে নাটকও বানিয়েছে। এমনকি অনেকে আমাকে দিয়ে স্ক্রিপ্ট লিখিয়ে নাটক বানিয়েছে নিজের নামে। আমি কেবল মনে মনে হেসেছি আর বলেছি, চোর চিরকাল চোরই থেকে যায়।
আর আমার মতে, যেই গল্পগুলো খুবই ভালো, সেগুলো পড়ে আছে। পরে কোন দিন আমি যদি নিজেই প্রোডিউসার হই, তখন বানাবো এগুলো। যাগগে, এই সব কথা আর বলে লাভ কী ?
০৫) আমি ব্যক্তিগত ইসপের গল্প বলার পক্ষপাতী নই। নাটক বা সিনেমার ইসপের গল্প নয়, বিনোদন মাধ্যম। সারা দুনিয়াটা ক্লাশরুম বানানো কোন কাজের কথা না।
তবে বিনোদনকে পুরোপুরো বজায় রেখে সামান্য মোরালিটি আমাদের দেশের দর্শক খুব পছন্দ করে বলে আমার ধারণা। সে হিসেবে ভালো বাজার পেতে হলে এই দিকটা মাথায় রাখা উচিত।
আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
১৯| ১৫ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:৪০
মাহমুদুল করিম লিংকন বলেছেন: চরম হবে...।
১৫ ই মে, ২০১০ রাত ৯:৫৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: তাই নাকি ? ধন্যবাদ।
২০| ১৫ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:০৮
হা...হা...হা... বলেছেন: শামীম ভাই, মাথায় অনেক কিছু আসে কিন্তু লিখতে গেলেই যত সমস্যা। আমার মাথায় অনেকদিন একটি নাটকের গল্প ঘুরছে। যদি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নাটক লিখতে চান তাহলে আমি একটি আইডিয়া দিতে পারি।
আইডিয়াটি কিন্তু কপিরাইট করা হবে....
১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১০:০০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আইডিয়া দেন। দেখি কিছু করা যায় কি না।
কপি রাইট করতে যান, তারপর টের পাবেন কত ধানে কত চাল।
২১| ১৬ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:১৭
অনর্থ বলেছেন: মন্তব্য লেখা শুরু করলাম। যদি বেশি বড় হয়ে যায়, হাসা-হাসি/রাগা-রাগি করা যাবে না।
আপনি বেসিক্যালি গল্পটার উপর কমেন্ট শুনতে চাইসেন, মেকিংয়ের উপর পরামর্শ না। জীবন-যুদ্ধের গ্যাড়াকলে পড়ে আমি ফিল্ম-মেকার হইতে পারি নাই, কিন্তু আমার সারাজীবনের ঝোক ওইদিকেই। যখনই কোন গল্প পড়ি বা মুভি/নাটক দেখি, আমি দেখতেই চিন্তা করতে থাকি যে এইটাকে আমি কিভাবে বানাইতাম, আমি কাকে নিতাম, কোথায় ক্যামেরা ধরতাম ইত্যাদি। তো আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি না, সেই যোগ্যতা আমার নাই। জাস্ট মন্তব্য লেখার সুবিধার্থে আমি ধরে নিচ্ছি যে আমি অনর্থ আমার প্রথম নাটকটা বানাতে যাচ্ছি এবং আমি শামীম নামক একজনের কাছ থেকে একটা গল্পের কাঠামো পাইসি। এখন এই কাঠামোটাকে নিয়ে আমি চিন্তাভাবনা শুরু করলাম।
প্রথম কথা, এর প্রেমিজ বা মোরাল লেশনের সাথে এর কাহিনী মিলাইতে পারলাম না। আত্মত্যাগ আর আত্মহত্যা এক জিনিস না। বাবাকে কেউ গুলি করতে যাচ্ছে, মেয়ে বাবাকে বাচানোর জন্য সামনে দাড়ায় গুলি খেয়ে মারা গেল, এইটা এক জিনিস। আর কালো-কুৎসিত হওয়ার কারনে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না বলে বাবা খুবই চিন্তিত, ব্লাডপ্রেসার-হার্টের অসুখ-ডায়বেটিস সব ধরতেসে, বাবাকে বাচানোর জন্য গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়া, এইটা আরেক জিনিস। প্রেমিজকে সিরিয়াসলি নিলে বলতে হয় যে গল্পটায় আত্মহত্যাকে খুব মহিমান্বতি করা হচ্ছে। কোন রকম মরালিটিকে বিবেচনা না করেও এই জিনিসটার সাথে একমত হইতে পারলাম না। কিন্তু এন্ড অফ দ্য ডে, দর্শকের কাছে প্রেমিজ যাবে না, যাবে শুধু গল্পটাই। তাই প্রেমিজের সাথে না মিললে কোনই সমস্যা নাই। তবে লেখককে সাবধান করে দি্তে হবে যেন স্ক্রিপ্ট লেখার সময় প্রেমিজটা মাথা থেকে একদম সরায় ফেলেন যাতে চিত্রনাট্য বা সংলাপে এর প্রভাব না পড়ে!
দ্বিতীয় সমস্যা, ফ্লাশব্যাকের বউ এবং বর্তমানের শাশুড়ির (ধরি তার নাম রাজিয়া) চরিত্রে কাকে নেয়া যায়? একই মেয়ে নিব যে প্রায় ৩৫ বছর ব্যবধানের দুইটা রোল করতে পারবে? ইয়াং রাজিয়ার বয়স হবে ২০-২২ এর মত আর বুড়ি রাজিয়ার ৫৫-৫৭ বছর। সো, ম্যাক্সিমাম ৩০-৩২ বছরের একটা মেয়েকে নিতে হবে যাকে মেকাপ দিয়ে ৫৫-৫৭ বানানো যাবে। ডিফিকাল্ট। নাটকের যে বাজেট আর যে মেকাপের অবস্থা! কিন্তু দুইজনকে দিয়ে একই ক্যারেকটার প্লে করাতে গেলে যথেষ্ট হোমওয়ার্ক এবং রিহার্সাল দরকার। বুড়ি রাজিয়ায় যদি আনোয়ারাকে নেই, ইয়াং রাজিয়ায় কি মুক্তিকে নেয়া যাবে, নাকি বেশি ন্যাকামি হয়ে যাবে এই কাস্টিংটা? এদের চেহারায়ও কোন মিল নাই। আচ্ছা, এই দুইজোড়া বউ-শাশুড়ির চরিত্রে টোটাল দুই জনকে নিলে ক্যামন হয়? একই সিনিয়ার আর্টিস্ট দুই শাশুড়ির রোল করবে আর একই জুনিয়র দুই বউয়ের? যদি ক্যারেকটারাইজেশন খুব স্ট্রং করা যায়, ইট মাইট ওয়ার্ক! দর্শক কনফিউজড হয়ে যাবে না তো? ফ্ল্যাশব্যাক সিনে যদি অন্য ফিল্ম ইউজ করি লাইক সাদা-কালো বা গ্রে, তাহলে কনফিউশন ব্যাপারটা এভোয়েড করা যায়। বাট স্টিল দ্য কোশ্চেন ইজ, ন্যাকামি হয়ে যাবে না তো?
তৃতীয় সমস্যা, দুইটা গল্প কি প্যারালাল চলবে নাকি ওয়ান আফটার অর বিটুইন অ্যানাদার? প্যারালাল চালাইতে হইলে অন্য কালার দিতেই হবে।
চতুর্থ সমস্যা, লেখক শামীমেরও এইটা প্রথম নাটক। পরিচালক হিসাবে আমারও। এই গল্পে কোন রিলিফ মোমেন্ট নাই। দুইটা কাহিনী ৪৪ মিনিটে শেষ করতে হলে, একটা সুখী সংসার বা স্বামী-স্ত্রীর দৈনন্দিন সমস্যাবিহীন আলাপচারিতা এইসব দেখানোর জন্য তেমন ফুটেজ ব্যয় করা যাবে না। মোটামুটি প্রথম দৃশ্য থেকেই শেষ পর্যন্ত অসুখ-বিসুখ দেখাইতে হবে, তাও আবার দুইটা। দর্শক বোর হবে না তো? লেখক কি যথেষ্ট স্ট্রং একটা স্ক্রিপ্ট দাড় করাতে পারবে যাতে আফটার টেন-ফিফটিন মিনিটস, দর্শকের কাছে পেইন না হয়ে যায়? কাহিনীর প্রথম বাঁকটা (প্রথম খুন) আসতেও অন্তত ২২-২৫ মিনিট লাগবে, তার আগে তেমন স্টোরি নাই। এই ২২-২৫ মিনিট ধরে রাখা যাবে পাবলিককে? সুখের কথা হইল, এর সেকেন্ড হাফটা (খুনের পরে) খুব ইন্টারেস্টিং হবে। কিন্তু ফার্স্ট হাফে কি করা যায়? খুব অভিজ্ঞ একজন এডিটর দরকার যে এটাকে মনোটনাস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।
আচ্ছা গল্পটা কি একটু নাটুকে হয়ে গেছে? নাহ, আমার একেবারেই মনে হচ্ছে না। আর হলেও সেটা কোন সমস্যাই না। পৃথিবীর বেশিরভাগ মহৎ চলচ্চিত্রই নাটুকে। নাটকীয়তা না থাকলে শুধু খাইলাম-বাথরুমে গেলাম-ঘুমাইলাম দিয়া তো আর নাটক বানানো যায় না। আ বিউটিফুল মাইন্ড কি যথেষ্ট নাটুকে না? তাও তো ওইটা একটা গ্রেট মুভি। সো, এইটা নিয়া টেনশন বাদ।
তো কি সিদ্ধান্তে পৌছাইলাম, শামীম মিয়ার কাছে থেকে স্টোরিটা কিনুম নাকি কিনুম না? এইটা একটা খুব সুন্দর কাঠামো। কিন্তু বাজেট, সীমাবদ্ধতা, লেখক-পরিচালকের পূর্ব অভিজ্ঞতার অভাবকে মাথায় রেখে বলা যায় যে এর এক্সিকিউশন খুব ডিফিকাল্ট হবে।
এনিওয়ে, লেটস গিভ আ ট্রাই। লেটস টেল মিঃ শামীম টু ফিনিশ দ্য স্ক্রিপ্ট। খুব মনোটনাস না হয়ে গেলে আগানো যেতে পারে!!!।
মন্তব্য শেষ। এই সাইজের কমেন্ট শুধু রাগ ইমনই লিখতে পারত এতদিন। শামীম ভাই, আই উইশ ইউ অল দ্য বেস্ট।
১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:৪৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই, আমার মতো একজন সামান্য মানুষকে এত গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করার জন্য।
জীবনের এই হল বৈপিরত্য। মানুষ তার স্বপ্নের বিপরীত জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়। আপনার স্বপ্ন ছিল ফিল্ম মেকার হওয়ার। আপনাকে আমি ফিল্ম মেকার হিসেবেই সম্মান করেই আমার মন্তব্য করছি। যুদ্ধক্ষেত্র যদি বদলে যায় তার জন্য যোদ্ধা দায়ী নয়, দায়ী যুদ্ধের গতি প্রকৃতি।
যাক, নাটকের মূল কথায় আসা যাক।
আজকের বুড়ো শাশুড়ি কেন তার শাশুড়িকে হত্যা করেছিল ? তার স্বামীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়িটা বিক্রি করা প্রতিরোধ করতে। তার সন্তানদের যেন পথে গিয়ে দাঁড়াতে না হয়, তার জন্য বাধ্য হয়ে সে তার শাশুড়িকে খুন করেছিল। কিন্তু জীবনের শেষে এসে আজ আবারও সে একই সমস্যায় পড়েছে । তার ছেলে তার চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতে ফতুর হয়ে শেষ পর্যন্ত বাড়ি বিক্রি করার কথা ভাবছে এবং দালাল লাগিয়ে দিয়েছে বাড়িটা বিক্রির জন্য।
সুতরাং তার কাছে মনে হল, যেই বাড়ি বাঁচানোর জন্য এবং তাঁর সন্তানের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির কথা ভেবে সে তার শাশুড়িকে খুন করেছিল, সেই বাড়িই যদি বিক্রি হয়ে যায়, তবে তার সেই পাপ করাই তো বৃথা হল। তার চরিত্রটি বোঝেন। সে একটা বাড়ির জন্য খুন করেছে এবং তার সন্তানের জন্য তার ভালোবাসার প্রাবল্য বোঝেন, সে তার সন্তানের কথা ভেবেই খুনটা করেছে। অবশেষে সে তার সন্তানের জন্যই নিজেকেও খুন করে।
আত্মহত্যাকে মহিমান্বিত করা ছাড়া আর কোন পথ আছে এখানে ? এইটা না করলে এই গল্পের মজাটা থাকবে কি ?
আরেকটা কথা, প্রেমিজটা দর্শকের কাছে যাবে না, এই কথাটা ঠিক না। প্রেমিজ গোপন থাকে, কিন্তু দর্শকের মনে প্রেমিজ তৈরি হয়। ভালো নাট্যকার কখনও প্রেমিজ ছাড়া নাটক লেখে না। যদি লেখে সেটা ভালো নাটক হয় না। নাটক যেখানে, প্রেমিজ সেখানে থাকতেই হবে। তবে সেই প্রেমিজ যত গোপন রাখা যায়, ততই ভালো।
দ্বিতীয় সমস্যা কাস্টিংএর সমস্যা। সেটা নিয়ে ভাবছি। আশা করি যথা সময়ে সমাধান করা যাবে। নাটক তো আর কারও একার কাজ না।
তৃতীয় সমস্যা, এই দুইটা গল্প প্যারালাল হবে না। আবার ওয়ান আফটারও হবে না। বাস্তবে আমরা যখন কোন মৃত মানুষ সম্পর্কে কারো সাথে গল্প করি, পুরো জীবনের ঘটনা বলি না, ভেঙ্গে ভেঙ্গে বলি। এই নাটকের এভাবে টুকরো টুকরো করে পুরোনো গল্পটা আসবে। অনেকটা একটা মালার মধ্যে লাল ও সাদা পুতি পর পর সাজানোর মতো। একবার বর্তমানে থাকব, আবার অতীতে চলে যাব। মনে হবে বর্তমান বুড়ি শাশুড়ি তার শাশুড়ির প্রতি খুব অনুরক্ত, যখন দর্শক পুরো নিশ্চিত যে সে তার শাশুড়ির ভক্ত ছিল, তখনই সে স্বীকার করবে যে, সে তার শাশুড়িকে খুন করেছিল। ফলে দর্শকের মনে প্রচণ্ড ধাক্কা খাবে।
চতুর্থ সমস্যা, খুনের আগে কী ঘটনা থাকবে। খুনের আগে অনেক ঘটনা আছে। যেমন বর্তমান মা ও ছেলের সম্পর্ক। ছেলে হিসেবে তার বুড়ো মায়ের প্রতি তার অপরিসীম টান। মা ও ছেলের মধুর সম্পর্ক। নইলে সে কেন বাড়ি বিক্রি করতে গেল ? বাড়ি বিক্রির জন্য একজন দালাল লাগানো হয়েছে। সেই দালালের আনাগোনা এবং ক্রেতার উপস্থিতি। বাড়ি বিক্রি করার কথা শুনে বর্তমান বউয়ের প্রতিক্রিয়া।
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ এবং চিকিৎসা ব্যয় সম্পর্কে ধারণা দেয়া। এই রকম অনেক অনেক ঘটনা থাকবে। সেই সাথে থাকবে শাশুড়ি ও বউয়ের সম্পর্ক বদলে যাওয়া। বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্তের আগে বউয়ের শাশুড়ির প্রতি আন্তরিকতা এবং এই সিদ্ধান্ত জানার পর তার শাশুড়ির প্রতি ব্যবহার এক হবে না। এইভাবে প্রচুর ঘটনা যোগ করা যাবে।
শেষ কথা বলি, একটা নাটকের চিত্রনাট্য লেখতে হয় ২০০% ভালো মানের। কেননা, প্রোডাকশনের সময় এটার মান কমতে থাকবে। অভিনেতা মান কমাবে, ক্যামেরা ম্যান মান কমাবে, পরিচালক মান কমাবে, সম্পাদক মান কমাবে। শেষ পর্যন্ত চিত্রনাট্যের মান ৫০% কমে যাবে । তাই মান ২০০% রাখলে ১০০% পাওয়া যাবে।
আর একটা কথা, নাটক তো নাটুকে হবেই । কিন্তু সেই নাটুকেপনা বিপরীতমুখী ঘটনা ও বৈচিত্র্যময় চরিত্র দিয়ে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলাই নাট্যকারের আসল কাজ। পরিচালকেরও সেই কাজ করতে হয় ।
এত সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর যদি সম্ভব হয়, ফিল্ম মেকার হন, স্বপ্ন ও বাস্তবতা মিলে যাক। আমাদের জীবন মাত্র একটাই, এই জীবনেই সব স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।
২২| ১৬ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩
শামীম শরীফ সুষম বলেছেন: Click This Link
দারূন আইডিয়া
১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:৪৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৩| ১৬ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬
সবাক বলেছেন:
শামীম ভাই,
দর্শকপ্রিয়তা পাবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু গল্পটি একেবারেই কেমন! কেমন!! হয়ে গেলো। অর্থাৎ সময়ের সাথে ঠিক যাচ্ছে না মনে হয়।
তবে আপনার এ গল্পটি পড়ে আমার একটি গল্পের আইডয়া মাথায় এলো।
===
লোকেশন : শহর
গল্প : সত্য স্বীকার ও অনুশোচনার গল্প
মূল চরিত্রসংখ্যা : ৪ জন
মোরাল লেশন : বিশেষ বিশেষ ঘনিষ্ঠ মূহুর্তে পীড়াদায়ক অপরাধবোধ থেকে মুক্তি নেয়া যায় এবঙ এর ফল শুভ।
গভীর রাত, অন্ধকার এবঙ তুমুল ঝড়। ঘরে শাশুরী বউ একা। ঠিক এই মূহুর্তে দু'জনকে দু'জনার খুব আপন মনে হচ্ছে। দেয়াল ঘেঁষা খাটের উপর দেয়ালের সাথে আধশোয়া অবস্থায় থাকা বৌয়ের কোলে গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকা শাশুড়ী তার যৌবনের স্মৃতিচারণ করবে। সে সময় তিনি তার শাশুড়ির সাথে গোপনে বা প্রকাশ্যে কি কি জঘণ্য আচরণ করেছিলেন, সব স্বীকার করবেন। এবং চরম অনুশোচনা প্রকাশ করবেন। একইসাথে শাশুড়ীর কিছু কুসঙস্কার কেন্দ্রিক দোষ এবঙ ভালো কিছু গুনের কথাও উল্লেখ করবেন। শাশুড়ীর বলা শেষ হলে এবার বৌ এখন পর্যন্ত কোলে শুয়ে থাকা শাশুড়ীর সাথে বৌ শাশুড়ী রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য কি কি কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে এবঙ অগোচরে তার শাশুড়ীকে নিয়ে তার ধারণা কেমন তা বলে দিবে। তাদের বলাবলি শেষ হলে দু'জন যেভাবে থাকে সেভাবেই ঘুমিয়ে পড়বে। সকালে বিছানার পাশে চাদর হাতে দাড়িয়ে থেকে শাশুড়ীর ঘুম ভাঙালে স্বাভাবিক থেকে না থেকে মুখটা সন্দেহজনক করলেই বৌ হেসে দেবে, এবার শাশুড়ীও হেসে দেবে। ব্যস নাটক শেষ।
তাদের কথা চলাচলিতে ঘরের বাইরে থাকা ঘরের পিতা ও ছেলের প্রসংগও আসবে।
কিছু বিষয় :
এ গল্পকে নাটকে রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে ঝড়ের রাতকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে, যাতে করে খুব ভয়ে থাকলে মানুষ যেমন মরিয়া হয়ে আশ্রয় খোঁজে, বৌ এবঙ শাশুড়ী একে অপরকে ঠিক সেভাবেই খুঁজবে। বিদ্যুত চমকানি, জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য এসবের দিকে একটু জোর দিতে হবে। এবঙ অবশ্য শব্দ। আর বৌ শাশুড়ীকে খুব জড়োসড়ো অবস্থায় দেখাতে হবে। সুতী শাড়ী পড়া বৌয়ের গায়ে মনিপুরী নকশী চাদর আর শাশুশীড় গায়ে কম্বল। ঘরে সীমিত আলো থাকবে, সেটা হারিকেন জাতীয় অথবা চার্জ লাইট্ও হতে পারে।
১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:০৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার গল্পটা কি খুব সাদামাটা হয়ে গেল না ? এত সাদামাটা গল্প কি দর্শক দেখবে ? নাকি বাটন টিপে অন্য চ্যানেলে চলে যাবে ?
তবে রাতের দৃশ্যটা যা বর্ণনা করেছেন, সেটা আমার সাজানো চিত্রকল্পের সঙ্গে মিলে গেছে। ওই রকম রাত না হলে কেউ কি খুনের কথা স্বীকার করে ? আমি দুর্যোগপূর্ণ রাত বলতে এই রকম রাতের কথাই বলেছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৪| ১৭ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:২২
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন: Click This Link
১৯ শে মে, ২০১০ বিকাল ৪:২৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমার নেট স্লো হওয়ার কারণে আপনার ডকুটা দেখতে পারলাম না।
২৫| ১৭ ই মে, ২০১০ রাত ৮:১৭
ইসতিয়াক আহমদ আদনান বলেছেন: নাটক হিসেবে কেমন হবে বলতে পারছিনা। শেষ দৃশ্যে শাশুড়িকে মেরে ফেলার প্রতি আমার সমর্থন নাই। দৃশ্যটা একটু অন্য ভাবে চিন্তা করলে মনে হয় আরো ভাল হবে। যাই হোক ১০ এর মধ্যে ৮ দিয়া দিলাম।
১৯ শে মে, ২০১০ বিকাল ৪:৫৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পাপটা না করলে অনুশোচনা হবে কেন ? অনুশোচনা না হলে সে আত্মহত্যা করবে কেন ?
২৬| ১৮ ই মে, ২০১০ রাত ২:৩২
মোহাম্মদ লোমান বলেছেন:
শামিম ভাই, জীবনের প্রথম নাটকে মৃত্যুর দৃশ্য তাও অসুস্থ শাশুড়ীকে অতিরিক্ত ইনসুলিন প্রয়োগে। মৃত্যুটা সরাসরি ইনসুলিন প্রয়োগে না করে অবেহেলা জনিত কষ্ট দেয়া এবং কষ্ট পেয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ার দৃশ্য তৈরী করলে কেমন হয়?
২৩ শে মে, ২০১০ বিকাল ৪:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার প্রস্তাবটি কিভাবে বাস্তবায়ন করব, সেটা বুঝতে পারছি না। খুন, অনুশোচনা, আত্মহত্যা না থাকলে এই গল্পে আর বিশেষ কিছুই তো থাকে না।
২৭| ১৮ ই মে, ২০১০ সকাল ৯:১৯
মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: কেক কুক ছাড়া দাওয়াত
২৩ শে মে, ২০১০ বিকাল ৪:২৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কয়েক দিন নেট ছিল না আমার । তাই দাওয়াত খেতে দেরি হয়ে গেল। তবুও বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা।
২৮| ২৩ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:২৫
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আইডিয়াটা দারুন। অপেক্ষায় থাকলাম।
অ.ট.-লেখাটা আপনার হয়তো কাজে লাগতে পারে শামীম ভাই।
Click This Link
২৩ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:১৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার লেখাটি ভীষণ তথ্যবহুল । অসাধারণ। লিংক দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
২৯| ২৩ শে মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭
স্নিগ বলেছেন: সবাই অনেক কিছু বলে গিয়েছে।অনর্থ ভাইয়ার কমেন্টের পর আর কিছু বলা অনর্থক।
আপনাকে সাজেস্ট করার মতো স্পর্ধা নেই।জানিও না এই আইডিয়াগুলো আর কেউ দিয়েছে কিনা,তাও বলছি :
প্রথম বৌকে সরাসরি খুনী না বানিয়ে আত্নহত্যায় প্ররোচনাকারী হিসেবে দেখাতে পারেন।
আর শ্বাশুড়ীর মৃত্যু পরবর্তীকালীন সময়ে তার মানসিক দহন দেখাতে পারে।
ফ্ল্যাশব্যাকের লোকেশন গ্রাম আর বর্তমানের লোকেশন শহর হলে কেমন হয়?(আমাদের আগের জেনারেশন কম-বেশি গ্রামে ছিল)
নাটকের মাঝে রিলিফ কম (অনর্থ ভাইয়া যেমন বলেছেন)।আপনার টার্গেট ভিউয়ার অনুযায়ী কমিক রিলিফ দিতে পারেন।
রেটিং ৭/১০
২৩ শে মে, ২০১০ বিকাল ৪:৩১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: প্রথম বৌকে সরাসরি খুনী না বানিয়ে আত্নহত্যায় প্ররোচনাকারী হিসেবে দেখাতে পারেন।
-----------------------------------------------------------------
* এটা একটা ভালো প্রস্তাব। ভেবে বের করতে হবে কিভাবে সম্ভব।
ফ্ল্যাশব্যাকের লোকেশন গ্রাম আর বর্তমানের লোকেশন শহর হলে কেমন হয়?(আমাদের আগের জেনারেশন কম-বেশি গ্রামে ছিল)
--------------------------------------------------------------
একই বাড়ি সংক্রান্ত ঘটনা না দেখালে কি ভালো লাগবে ? বাড়িটা তো একটাই। এই বাড়ি রক্ষার জন্যই তো সে শাশুড়িকে খুন করে। সুতরাং লোকেশন গ্রাম / শহর করার সুযোগ নাই।
নাটকের গল্পের ট্রিটমেন্টের যথেষ্ঠ রিলিফ রাখব।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৩০| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫৫
রঙ পেন্সিল বলেছেন: এইটা নিয়ে তো দেখি বিস্তর আলোচনা হয়ে গেছে অলরেডি। নাটকের এখন কি অবস্থা? আপডেট জানতে ইচ্ছা করল!
৩১| ১৫ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:১৪
আবদুল মুনয়েম সৈকত বলেছেন: চরম হইছে...... একদম পারফেক্ট +
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৩৮
মোঃ আমিনুল ইসলাম (মিলন) বলেছেন: valo hoice........... & valo hbe? producer paichen?