![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
আপনাদের মূল্যবান পরামর্শগুলো কাজে লাগালাম। প্রায় সম্পূর্ণ স্ক্রিপ্টটা বদলে নতুন করে লিখতে হল। এবার নিশ্চয়ই আগের সমস্যাগুলো থাকবে না।
সিনেমা পিপলস-এর পরিবেশনায় ম্যাজিক ইমেজ-এর প্রযোজনায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র - কর্কট। আগামী ২রা ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জে শুটিং হবে। আপনাদের মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে অনলাইনে রিলিজ হবে। যথাসময়ে সবাইকে জানাব। আশা করি,আপনাদের ভালো লাগবে।
নিচে পরিবর্তিত নতুন স্ক্রিপ্ট আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। কোন সমস্যা থাকার কথা না, তারপরও কারো চোখে পড়লে জানাতে ভুলবেন না। আগাম ধন্যবাদ।
কর্কট
শাহজাহান শামীম
গল্প সংক্ষেপ :
একটা বালক শিশু খেলতে খেলতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। তার হাতে একটা খাবারের পোটলা। এক সময় সে খাবারের পোটলা নিয়ে একটা দোকানে ঢোকে। দোকানটি ফলের। বিশেষত সস্তা ফল কলার ছড়াছড়ি। লোকটি সে সময়ে কলা পাকানোর জন্য কার্বাইড ছিটাচ্ছিল। লোকটি তার বাবা। সে তার বাবার কাছাকাছি গিয়ে জানায়, তার মা পিঠা পাঠিয়েছে। লোকটি পিঠা দূরে রাখতে বলে এবং ছেলেটিকেও দূরে সরে বসতে বলে।
ছেলেটি খাবারের পোটলাটা রেখে দোকান থেকে বেরিয়ে যায়। খেলতে খেলতে বাড়ি ফিরতে থাকে।
অন্য দিকে, দোকানে কলার ক্রেতা আসে। সে তার পাতিতে করে দুই কাদি কলা নিয়ে বাজারের দিকে যায়।
ছেলেটির সঙ্গে রাস্তায় তার মামার সঙ্গে দেখা হয়। মামা তাকে নিয়ে বাজারে আসে। বাজার থেকে কলা কেনে। কলা কিনে ভাগিনা বাড়ি ফেরে। শিশুটির মা তাকে কলা খেতে দেয়। কলা খেয়ে ছেলেটির ডায়রিয়া হয়ে যায়।
ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে বাড়ি ফেরে লোকটা। তার স্ত্রী তার সঙ্গে কলা নিয়ে ঝগড়া করে এবং অপমান করে।তারা ছেলেকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।
রাতে ঘুমাতে গিয়ে লোকটি দুঃস্বপ্ন দেখে। তার শিশুটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পচে গেছে। তার শিশুটির শরীর থেকে মাংস খুলে খুলে পড়ছে। সে সেই পচা মাংস খাচ্ছে।
ভয় পেয়ে সে ঘুম থেকে জেগে ওঠে।
পর দিন সকালে সে কার্বাইড ফেলে দেয়। তার মন আনন্দে ভরে ওঠে।
চরিত্রসূচি :
নং নাম বয়স পরিচয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
০১ মোসলেম মিয়া ৪০ কলার আড়ৎদার
০২ আরমান ১০ আড়ৎদারের ছেলে
০৩ মোমেনা ৩০ আড়ৎদারের স্ত্রী
০৪ আবুল ২৫ কলা বিক্রেতা
০৫ নজরুল ২০ আড়ৎদারের শালা
০৬ কাসেম ২০ আড়তের কর্মচারী
০৭ নাহার ২০ নজরুলের প্রেমিকা
দৃশ্য-০১
স্থান : একটি রাস্তা
সময় : বিকাল
চরিত্র : বালক আরমান
আরমান রাস্তা দিয়ে নাচতে নাচতে আসছে। তার হাতে একটা পোটলা। বোঝা যায়, একটা বাটি কাপড় দিয়ে বাঁধা।
টাইটেল আসতে থাকে।
দৃশ্য-০২
স্থান : কলার আড়ৎ। ভেতরের ঘর।
সময় : বিকাল
চরিত্র : আড়ৎদার মহাজন মোসলেম মিয়া, কর্মচারী কাসেম এবং মোসলেম মিয়ার বালক ছেলে আরমান
কলার আড়তে একটা ড্রামে কার্বাইড মেশানো পানি। তাতে কলা চোবাচ্ছে আড়ৎদারের কর্মচারী কাসেম।
মোসলেম মিয়া : কাম কদ্দুর ?
কাসেম : (কাজ করতে করতে ) হুনলাম, মোবিল কোর্ট নাকি আবার আইতাছে।
মোসলেম মিয়া : কস কী ! কবে ?
কাসেম : হেইডা জানলে তো সবার আগে ফুইট্যা যাইতাম। কে আর বারবার পাছায় বাড়ি খাইতে চায় ?
মোসলেম মিয়া : মোবিল কোটের জ্বালায় তো ব্যবসা করন যাইত না। কয় দিন পর পর ম্যাজিস্ট্রেট বেটি আয়া কয়, আপনি কলায় কেমিক্যাল মিশিয়েছেন কেন ? জানেন, এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ? আরে মাতারি, কার ক্ষতি, কার লাভ - এইডা আমার জাইন্যা কী লাভ ? আমি ব্যবসাহিত মানুষ। আমি আমার লাভ দেখমু। কেমিক্যাল না দিলে কলা পাকব কেমনে ? কিলাইয়া ? (কর্মচারীকে) বেশি কইরা চুবা।
কাসেম : বেশি দিলে তো গইল্যা মাডা হ্ইয়া যাইব।
মোসলেম মিয়া : ক্যাচাল করস ক্যান ? যেমনে কইতাছি হেমনে কর।
কাসেম : হুনলাম, এই ক্যামিক্যাল নাকি হেবি তুক্ষার। হাত নাকি খায়া ফালায়।
মোসলেম মিয়া : কেডায় এই সব ভুয়া কথা কয় ? কলা পাকানির লিগা কেমিক্যাল মিলায় না কোন হালায় ? কার হাত খুইল্যা পড়ছে ? আর লাখ লাখ আদম সন্তান যে কলা খায়, তাগো কি ভুড়ি ক্ষয়া পড়ছে ?
(ভেজা কলাটা মহাজন মোসলেম মিয়ার হাতে লেগে যায়। মহাজন লুঙ্গি দিয়ে তার হাত মুছতে মুছতে থাকে। )
আরমান : (অফ স্ক্রিন ভয়েজ) বাবা
মোসলেম মিয়া : (বাবা চমকে যায়) ভিতরে আহিস না, আমি আইতাছি।
কাট।
দৃশ্য-০৩
স্থান : কলার আড়ৎ। বাইরের দোকান।
সময় : বিকাল
চরিত্র : আড়ৎদার মহাজন মোসলেম মিয়া, তার ছেলে আরমান এবং খুচরা কলা বিক্রেতা আবুল
মোসলেম মিয়া ভেতরের ঘর থেকে দোকানে আসে। আরমান তার হাতে থাকা বাটি নামিয়ে রাখে।
ছেলে : বাবা, পিঠা পাঠাইছে মা।
(ছেলে তার পিঠার বাটি কলার কাদির সামনে রাখে। )
বাবা : ওইখানে রাখিস না, দূরে রাখ।
(বাবা নিজে বাটি দূরে সরিয়ে রাখে। বাবা টিফিন ক্যারিয়ার খুলতে যায়। এমন সময় কলা বিক্রেতা আসে।বিরক্ত হয়ে টিফিন ক্যারিয়ার সরিয়ে রাখে। )
বিক্রেতা আবুল : সালাম মহাজন।
(সালাম দিয়েই সে কলার কাছে চলে যায়। মহাজন হিসাবের খাতা বের করে। )
বিক্রেতা আবুল : (কলা দেখতে দেখতে) কলাডি তো ভালই।
মোসলেম মিয়া : হাত দিবি না, এদিক আয়।
(কলা বিক্রেতা আবুল ফিরে আসে)
মোসলেম মিয়া : ট্যাকা দে।
আবুল : টেহা তো দিমুই।
(কলা বিক্রেতা আবুল তার লুঙ্গির কোচড় থেকে টাকার পোটলা বের করে দেয়। মোসলেম টাকা গুনতে থাকে। অন্য দিকে কলা বিক্রেতা কলার কাদির কাছে ফিরে গিয়ে কলা গুনতে থাকে। )
মোসলেম মিয়া : (টাকা গোনা শেষে) পঞ্চাশ ট্যাকা কম দিলি ক্যান ?
আবুল : (কলার কাদি পাতিতে রাখতে রাখতে) খাওনের ট্যাহা নাই। পঞ্চাশটা ট্যাহা রাখছি। কালকা দিমু নে।
মোসলেম মিয়া : অত কতার কাম নাই। ট্যাকা দে।
আবুল : (লুঙ্গির কোচড় থেকে টাকা বের করতে করতে) তাইলে আর কী, না খায়াই থাকমু নে।
(বিক্রেতা আবুল পাতি তুলতে যায়। মোসলেম মিয়া বাধা দেয়।)
মোসলেম মিয়া : খাড়া, দেহি।
(মোসলেম মিয়া পাতির কলাগুলো গুনে দেখে।)
মোসলেম মিয়া : আরেক পন লয়া যা।
আবুল : ব্যবসা খারাপ, এইডাই তো বেচতে পারি না।
কলা বিক্রেতা আবুল পাতি তুলে চলে যায়। মহাজন মোসলেম মিয়া বাটি বা টিফিন ক্যারিয়ার খোলে। পকেট থেকে ৫টাকা বের করে ছেলেকে দেয়। )
মহাজন : (ছেলেকে) যা, রিক্সা দিয়া বাড়ি যা গা।
(ছেলে টাকা নিয়ে পকেটে রাখে। চলে যেতে গিয়ে ফিরে আসে।)
ছেলে : বাবা, দুইটা কলা দিবা।
মহাজন : চোপ, বাড়ি যা।
(ছেলে ভয় পেয়ে চলে যায়।)
কাট।
দৃশ্য -০৪
স্থান : রাস্তা
সময় : বিকাল
চরিত্র : আরমান, তার মামা নজরুল এবং তার প্রেমিকা নাহার
আরমান নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরছে। হঠাৎ খেয়াল করে তার মামা নজরুল ও তার প্রেমিকা নাহার একটা গাছের নিচে বসে আছে।
আরমান : মামা।
(মামা চমকে যায়। ঘাড় ঘুরিয়ে ভাগনেকে দেখে। )
আরমান : আামি যাই, মারে গিয়া কমু নে।
(মামা নজরুল উঠে চলে আসে। প্রায় দৌড়ে গিয়ে ভাগনেকে ধরে। )
নজরুল : মামা, খাড়াও, কিছু খাইবা ?
আরমান : খাওয়াইবা ?
নজরুল : কী খাইবা ?
আরমান : তাইলে কলা খাওয়াও।
নজরুল : চল, তোমারে কলা কিন্যা দেই।
(নজরুল তার প্রেমিকা নাহারকে ইশারায় বসতে বলে ভাগিনার সঙ্গে চলে যায়। )
কাট।
দৃশ্য -০৫
স্থান : বাজার
সময় : বিকাল
চরিত্র : নজরুল, তার ভাগিনা আরমান ও কলা বিক্রেতা আবুল
কলা বিক্রেতা বাজারে কলার পাতি সাজিয়ে বসেছে। মামা ও ভাগিনা আসে।
নজরুল : (ভাগিনাকে) কোনটা নিবা, মামা।
(ভাগিনা আরমান কলা দেখিয়ে দেয়)
নজরুল : এই কলার হালি কত ?
আবুল : দাম জিগান লাগত না। আমাগো মহাজনের পোলার লগে কি ব্যবসা করমু ?
আরমান : আপনে না আব্বার আড়ৎ থিকা মাল নিয়া আইলেন ?
আবুল : হ।
নজরুল : তিন হালি দেন।
কলা বিক্রেতা আবুল ৩ হালি কলা দেয়।
নজরুল : কত দিমু ?
আবুল : মহাজনের পোলায় কলা খাইব, কী আর নিমু। ৫০ ট্যাহা দেন।
(তারা ৫০ টাকা দিয়ে কলা নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়।)
কাট।
দৃশ্য-০৬
স্থান : আড়ৎদারের বাড়ি/ ঘরের ভেতর
সময় : বিকাল
চরিত্র : আরমান এবং তার মা মোমেনা
মা বাসায় কাজ করছে। ছেলে আসে।
আরমান : মা, মামায় কলা কিন্যা দিছে।
মোমেনা : তর মামায় কই ?
আরমান : মামায় তো ...... কই জানি গেল। মা, একটা কলা খাই।
মোমেনা : খা।
আরমান একটা কলা ছিড়ে মুখে দেয়। পরক্ষণে ওয়াক থু বলে ফেলে দেয়।
মোমেনা : কী হইল, আরমান ?
আরমান : কস্টি। এই কলা তো পাকে নাই। আর কেমন জানি গন্ধ।
মোমেনা : রাইখ্যা দে। রাইতে খাইস।
মা পাশের ঘরে চলে যায়। আরমান একের পর এক কলা খেতে থাকে। তারপর কলার ছড়াটা নিয়ে বাইরে চলে যায়।
কাট।
দৃশ্য-০৭
স্থান : একটি খেলার মাঠ
সময় : বিকেল
চরিত্র : আরমান এবং তার বন্ধুরা
তারা ফুটবল খেলছে। হঠাৎ করে আরমান বসে পড়ে।
জনৈক : কী হইছে ?
আরমান : আমার পেট ব্যথা করতাছে। আমি বাড়ি যাই।
(আরমান চলে আসে। ওরা আবারও খেলতে থাকে।)
কাট।
দৃশ্য-০৮
স্থান : আড়ৎদারের বাড়ি/বারান্দা
সময় : রাত
চরিত্র : মোসলেম মিয়া, মোমেনা এবং আরমান
আরমান বমি করছে। তার পাশে বসে আছে তার মা। আরমান বমি থামিয়ে হাপাচ্ছে।
মোমেনা : ব্যথা কমছে ?
আরমান : না, বমি পাইতাছে।
মোমেনা : তর বাবায় আজকা আউক। আড়তের পচা কলা ক্যান বেচে হেইডা আগে জিগামু।কতক্ষণ আগে ফোন দিছি, অহনও খবর নাই।
আরমান : কলা পচা না মা, কষ্টি।
(হন্তদন্ত হয়ে মোসলেম মিয়া আসে। )
মোসলেম মিয়া : কী হইছে আরমানের ?
মোমেনা : তোমার আড়তের পচা কলা খায়া ডায়রিয়া। বমি, পায়খানা।
মোসলেম মিয়া : আমি তো অরে কলা খাওয়াই নাই।
আরমান : মামায় বাজার থিকা কিন্যা দিছে। তোমার আড়তের কলাই।
মোসলেম মিয়া : তর মামায় কার না কার কলা কিন্যা দিছে ।
আরমান : না, বাবা, তোমার আড়ৎ থিকা যেই ব্যাডা কলা আনে, হের থিকাই আমরা কিনছি।
মোসলেম মিয়া : তর মামায় কিন্যা দিল আর নিয়া নিলি ? (মোমেনাকে) আর তোমার ভাইয়ে আমার পোলার পিছনে লাগছে ক্যান ?
মোমেনা : ও অহন আমার ভাইয়ের দোষ হয়ে গেল। তুমি যে পচা কলা বেচ, হেইডার কোন দোষ নাই।
মোসলেম মিয়া : না, নাই। আমার আড়তে আমি কী বেচমু হেইডা আমার ব্যাপার।
মোমেনা : হের লাইগাই তো শুনি কয় দিন পর পর পুলিশে ধইরা নিতে আহে। কেমিক্যাল মিলানোর লিগা জরিমানাও তো দিছ কয়েকবার । ভেজাল জিনিস বেচ, শরম লাগে না ?
মোসলেম মিয়া : তুই এত বড় বড় কথা কবি না।
মোমেনা : আমার পোলার কিছু হইলে তোমারে আমি ছাড়মু না। একদম মামলা কইরা জেলের ভাত খাওয়ামু।
আরমান : বাবা, মা, আমার খুব খারাপ লাগতাছে।
মোসলেম মিয়া : চল তরে ডাক্তারের কাছে নিয়া যাই।
(তারা ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। )
কাট।
দৃশ্য-০৯
রাতে আড়ৎদার মোসলেম মিয়া দুঃস্বপ্ন দেখে।
স্বপ্নদৃশ্য :
সিরিজ অব শটস :
০১) ছেলের সামনে একটা বড় গামলা । তাতে প্রচুর কলা।
০২) ছেলে কলা খাচ্ছে।
০৩) বাবা তাকে কলা খেতে নিষেধ করছে। কিন্তু ছেলে শুনতে পাচ্ছে না।
০৪) ছেলের মুখের মাংস কলার মতো করে কালো হয়ে পচে যাচ্ছে।
০৫) বাবা চিৎকার করছে।
০৬) বাবার সামনে ছেলে গামলা তুলে ধরে । বাবা দেখে তাতে পচা মাংস।
০৭) ছেলে তার মুখ থেকে পচা মাংস খুলে গামলায় রাখে । বাবাকে খেতে বলে।
০৮) বাবা ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু তার মুখ থেকে গোঙ্গানি ছাড়া কোন শব্দ বের হয় না।
০৯) বাবাকে জোর করে পচা মাংস খাওয়ায় ছেলে।
আতঙ্কে গো গো করতে করতে বাবা মোসলেম মিয়া জেগে ওঠে। দেখে তার তার পাশে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে তার ছেলে আরমান এবং স্ত্রী মোমেনা। তাদের দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাবা।
কাট।
দৃশ্য-১০
স্থান : একটি ময়লা ফেলার স্থান
সময় : সকাল
চরিত্র : মোসলেম মিয়া ও তার কর্মচারী কাসেম।
বিরক্ত মনে কাধে করে ড্রাম নিয়ে আসে কাসেম। মোসলেম মিয়া ও কাসেম মিলে সেই ড্রাম নামায় ময়লার ঢিবির সামনে। তারপর ড্রামে থাকা সকল তরল ময়লার ঢিবিতে ফেলে দেয় মোসলেম মিয়া। তার মন খুশিতে ভরে ওঠে।
ফেড আউট। এন্ড টাইটেল।
মূল পোস্ট বা পূর্বের পোস্ট :
সিনেমা পিপলস-এর পরিবেশনায় ম্যাজিক ইমেজ-এর প্রযোজনায় আমার পরবর্তী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র - কর্কট। আগামী ২রা ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জে শুটিং হবে। ৬ থেকে ৮ মিনিটের এই চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। কেমন হবে এই চলচ্চিত্রটি ? আপনাদের মূল্যবান মতামত জানান।
কর্কট
শাহজাহান শামীম
গল্প সংক্ষেপ :
একটা বালক শিশু খেলতে খেলতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। তার হাতে একটা খাবারের পোটলা। এক সময় সে খাবারের পোটলা নিয়ে একটা দোকানে ঢোকে। দোকানটি ফলের। বিশেষত সস্তা ফল কলার ছড়াছড়ি। লোকটি সে সময়ে কলা পাকানোর জন্য কার্বাইড ছিটাচ্ছিল। লোকটি তার বাবা। সে তার বাবার কাছাকাছি গিয়ে জানায়, তার মা পিঠা পাঠিয়েছে। লোকটি পিঠা দূরে রাখতে বলে এবং ছেলেটিকেও দূরে সরে বসতে বলে।
ছেলেটি খাবারের পোটলাটা রেখে দোকান থেকে বেরিয়ে যায়। খেলতে খেলতে বাড়ি ফিরতে থাকে।
অন্য দিকে, দোকানে কলার ক্রেতা আসে। সে তার পাতিতে করে দুই কাদি কলা নিয়ে বাজারের দিকে যায়।
ছেলেটির সঙ্গে রাস্তায় তার মামার সঙ্গে দেখা হয়। মামা তাকে নিয়ে বাজারে আসে। বাজার থেকে কলা কেনে। কলা কিনে ভাগিনা বাড়ি ফেরে। শিশুটির মা তাকে কলা খেতে দেয়। কিন্তু কলা কাচা বলে সে খেতে পারে না।
রাতে লোকটি বাড়ি ফেরে। তার স্ত্রী খাবার পর কলা দেয়। লোকটি কলা খায় না। বরং ঝগড়া করে কলাটি বাইরে ফেলে দেয় ।
রাতে ঘুমাতে গিয়ে লোকটি দুঃস্বপ্ন দেখে। তার শিশুটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পচে গেছে। তার শিশুটির শরীর থেকে মাংস খুলে খুলে পড়ছে। সে সেই পচা মাংস খাচ্ছে।
ভয় পেয়ে সে ঘুম থেকে জেগে ওঠে।
পর দিন সকালে সে তার দোকান থেকে সব কলা নিয়ে ফেলে দেয়। কার্বাইড ফেলে দেয়। তার মন আনন্দে ভরে ওঠে।
চরিত্রসূচি :
নং নাম বয়স পরিচয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
০১ মোসলেম মিয়া ৪০ কলার আড়ৎদার
০২ আরমান ১০ আড়ৎদারের ছেলে
০৩ মোমেনা ৩০ আড়ৎদারের স্ত্রী
০৪ আবুল ২৫ কলা বিক্রেতা
০৫ নজরুল ২০ আড়ৎদারের শালা
০৬ কাসেম ২০ আড়তের কর্মচারী
০৭ নাহার ২০ নজরুলের প্রেমিকা
দৃশ্য-০১
স্থান : একটি রাস্তা
সময় : বিকাল
চরিত্র : বালক আরমান
আরমান রাস্তা দিয়ে নাচতে নাচতে আসছে। তার হাতে একটা পোটলা। বোঝা যায়, একটা বাটি কাপড় দিয়ে বাঁধা।
টাইটেল আসতে থাকে।
দৃশ্য-০২
স্থান : কলার আড়ৎ। ভেতরের ঘর।
সময় : বিকাল
চরিত্র : আড়ৎদার মহাজন মোসলেম মিয়া, কর্মচারী কাসেম এবং মোসলেম মিয়ার বালক ছেলে আরমান
কলার আড়তে একটা ড্রামে কার্বাইড মেশানো পানি। তাতে কলা চোবাচ্ছে আড়ৎদারের কর্মচারী কাসেম।
মোসলেম মিয়া : কাম কদ্দুর ?
কাসেম : (কাজ করতে করতে ) হুনলাম, মোবিল কোর্ট নাকি আবার আইতাছে।
মোসলেম মিয়া : কস কী ! কবে ?
কাসেম : হেইডা জানলে তো সবার আগে ফুইট্যা যাইতাম। কে আর বারবার পাছায় বাড়ি খাইতে চায় ?
মোসলেম মিয়া : মোবিল কোটের জ্বালায় তো ব্যবসা করন যাইত না। কয় দিন পর পর ম্যাজিস্ট্রেট বেটি আয়া কয়, আপনি কলায় কেমিক্যাল মিশিয়েছেন কেন ? জানেন, এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ? আরে মাতারি, কার ক্ষতি, কার লাভ - এইডা আমার জাইন্যা কী লাভ ? আমি ব্যবসাহিত মানুষ। আমি আমার লাভ দেখমু। কেমিক্যাল না দিলে কলা পাকব কেমনে ? কিলাইয়া ? (কর্মচারীকে) বেশি কইরা চুবা।
কাসেম : পুলাপানের নুনুর লাগান কলা। বেশি দিলে তো গইল্যা মাডা হ্ইয়া যাইব।
মোসলেম মিয়া : ক্যাচাল করস ক্যান ? যেমনে কইতাছি হেমনে কর।
কাসেম : হুনলাম, এই ক্যামিক্যাল নাকি হেবি তুক্ষার। হাত নাকি খায়া ফালায়।
মোসলেম মিয়া : কেডায় এই সব ভুয়া কথা কয় ? কলা পাকানির লিগা কেমিক্যাল মিলায় না কোন হালায় ? কার হাত খুইল্যা পড়ছে ? আর লাখ লাখ আদম সন্তান যে কলা খায়, তাগো কি ভুড়ি ক্ষয়া পড়ছে ?
(ভেজা কলাটা মহাজন মোসলেম মিয়ার হাতে লেগে যায়। মহাজন লুঙ্গি দিয়ে তার হাত মুছতে মুছতে থাকে। )
আরমান : (অফ স্ক্রিন ভয়েজ) বাবা
মোসলেম মিয়া : (বাবা চমকে যায়) ভিতরে আহিস না, আমি আইতাছি।
ইন্টার কাট।
দৃশ্য-০৩
স্থান : কলার আড়ৎ। বাইরের দোকান।
সময় : বিকাল
চরিত্র : আড়ৎদার মহাজন মোসলেম মিয়া, তার ছেলে আরমান এবং খুচরা কলা বিক্রেতা আবুল
মোসলেম মিয়া ভেতরের ঘর থেকে দোকানে আসে। আরমান তার হাতে থাকা বাটি নামিয়ে রাখে।
ছেলে : বাবা, পিঠা পাঠাইছে মা।
(ছেলে তার পিঠার বাটি কলার কাদির সামনে রাখে। )
বাবা : ওইখানে রাখিস না, দূরে রাখ।
(বাবা নিজে বাটি দূরে সরিয়ে রাখে। পকেট থেকে ৫টাকা বের করে ছেলেকে দেয়। )
মহাজন : যা, রিক্সা দিয়া বাড়ি যা গা।
(ছেলে টাকা নিয়ে পকেটে রাখে। চলে যেতে গিয়ে ফিরে আসে।)
ছেলে : বাবা, দুইটা কলা দিবা।
মহাজন : চোপ, বাড়ি যা।
(ছেলে ভয় পেয়ে চলে যায়। বাবা টিফিন ক্যারিয়ার খুলতে যায়। এমন সময় কলা বিক্রেতা আসে।বিরক্ত হয়ে টিফিন ক্যারিয়ার সরিয়ে রাখে। )
বিক্রেতা আবুল : সালাম মহাজন।
(সালাম দিয়েই সে কলার কাছে চলে যায়। মহাজন হিসাবের খাতা বের করে। )
বিক্রেতা আবুল : (কলা দেখতে দেখতে) কলাডি তো ভালই।
মোসলেম মিয়া : হাত দিবি না, এদিক আয়।
(কলা বিক্রেতা আবুল ফিরে আসে)
মোসলেম মিয়া : ট্যাকা দে।
আবুল : টেহা তো দিমুই।
(কলা বিক্রেতা আবুল তার লুঙ্গির কোচড় থেকে টাকার পোটলা বের করে দেয়। মোসলেম টাকা গুনতে থাকে। অন্য দিকে কলা বিক্রেতা কলার কাদির কাছে ফিরে গিয়ে কলা গুনতে থাকে। )
মোসলেম মিয়া : (টাকা গোনা শেষে) পঞ্চাশ ট্যাকা কম দিলি ক্যান ?
আবুল : (কলার কাদি পাতিতে রাখতে রাখতে) খাওনের ট্যাহা নাই। পঞ্চাশটা ট্যাহা রাখছি। কালকা দিমু নে।
মোসলেম মিয়া : অত কতার কাম নাই। ট্যাকা দে।
আবুল : (লুঙ্গির কোচড় থেকে টাকা বের করতে করতে) তাইলে আর কী, না খায়াই থাকমু নে।
(বিক্রেতা আবুল পাতি তুলতে যায়। মোসলেম মিয়া বাধা দেয়।)
মোসলেম মিয়া : খাড়া, দেহি।
(মোসলেম মিয়া পাতির কলাগুলো গুনে দেখে।)
মোসলেম মিয়া : আরেক পন লয়া যা।
আবুল : ব্যবসা খারাপ, এইডাই তো বেচতে পারি না।
কলা বিক্রেতা আবুল পাতি তুলে চলে যায়। মহাজন মোসলেম মিয়া বাটি বা টিফিন ক্যারিয়ার খোলে।
কাট।
দৃশ্য -০৪
স্থান : রাস্তা
সময় : বিকাল
চরিত্র : আরমান, তার মামা নজরুল এবং তার প্রেমিকা নাহার
আরমান নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরছে। হঠাৎ খেয়াল করে তার মামা নজরুল ও তার প্রেমিকা নাহার একটা গাছের নিচে বসে আছে।
আরমান : মামা।
(মামা চমকে যায়। ঘাড় ঘুরিয়ে ভাগনেকে দেখে। )
আরমান : আামি যাই, মারে গিয়া কমু নে।
(মামা নজরুল উঠে চলে আসে। প্রায় দৌড়ে গিয়ে ভাগনেকে ধরে। )
নজরুল : মামা, খাড়াও, কিছু খাইবা ?
আরমান : খাওয়াইবা ?
নজরুল : কী খাইবা ?
আরমান : তাইলে কলা খাওয়াও।
নজরুল : চল, তোমারে কলা কিন্যা দেই।
(নজরুল তার প্রেমিকা নাহারকে ইশারায় বসতে বলে ভাগিনার সঙ্গে চলে যায়। )
কাট।
দৃশ্য -০৫
স্থান : বাজার
সময় : বিকাল
চরিত্র : নজরুল, তার ভাগিনা আরমান ও কলা বিক্রেতা আবুল
কলা বিক্রেতা বাজারে কলার পাতি সাজিয়ে বসেছে। মামা ও ভাগিনা আসে।
নজরুল : (ভাগিনাকে) কোনটা নিবা, মামা।
(ভাগিনা আরমান কলা দেখিয়ে দেয়)
নজরুল : এই কলার হালি কত ?
আবুল : ২০ টাকা হালি
নজরুল : তিন হালি দেন। ৫০ টাকা পাইবেন।
আবুল : আর ৫টা টাকা দিয়েন। ঠক হয়ে যায়।
নজরুল : আপনে গো তো খালি ঠকই হয়ে যায়। দিবেন নাকি কন ?
আবুল : কী আর করা। নেন।
বিক্রেতা আবুল তিন হালি কলা দেয়। তারা ৫০ টাকা দিয়ে কলা নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়।
কাট।
দৃশ্য-০৬
স্থান : আড়ৎদারের বাড়ি/ ঘরের ভেতর
সময় : বিকাল
চরিত্র : আরমান এবং তার মা মোমেনা
মা বাসায় কাজ করছে। ছেলে আসে।
আরমান : মা, মামায় কলা কিন্যা দিছে।
মোমেনা : তর মামায় কই ?
আরমান : মামায় তো ...... কই জানি গেল। মা, একটা কলা খাই।
মোমেনা : খা।
আরমান একটা কলা ছিড়ে মুখে দেয়। পরক্ষণে ওয়াক থু বলে ফেলে দেয়।
মোমেনা : কী হইল, আরমান ?
আরমান : কস্টি। এই কলা তো পাকে নাই।
মোমেনা : রাইখ্যা দে। রাইতে খাইস।
আরমান উঠে বাইরে চলে যায়। মা কাজ করতে থাকে।
কাট।
দৃশ্য-০৭
স্থান : একটি খেলার মাঠ
সময় : বিকেল
চরিত্র : আরমান এবং তার বন্ধুরা
তারা ফুটবল খেলছে।
দৃশ্য-০৮
স্থান : আড়ৎদারের বাড়ি/ঘরের ভেতর
সময় : রাত
চরিত্র : মোসলেম মিয়া, মোমেনা এবং আরমান
রাতের খাবারের পর আড়ৎদার মোসলেম মিয়াকে কলা দেয় তার স্ত্রী মোমেনা । কলা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগে। সে কলা না খেয়ে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়।
আড়ৎদার মোসলেম মিয়া খাওয়া শেষ করে। মোমেনা একটা বাটিতে দুধ ও কলা নিয়ে আসে। সে মোসলেম মিয়ার হাতে গামছা দিয়ে তার সামনে বাটি নামিয়ে রাখে।
মোসলেম মিয়া : জানো না, আমি কলা খাই না। আনল কেডা ?
মোমেনা : আমার ভাইয়ে আনছে । খাও।
মোসলেম মিয়া : না, খামু না।
মোমেনা : ক্যান, খাইবা না ক্যান ? নিজের কত বড় কলার আড়ৎ। নিজে তো হাতে কইরা কলা আনো না, মাইনসে আনলে বিরক্ত হও। পোলাডার লিগাও তো আনতে পার। খাইতেও পারে না, খাওয়াতেও পারে না। কিপ্টার গুষ্টি, কিপটা। এই গুষ্টির লগে বিয়া হয়ে জীবনটা শেষ হয়ে গেল।
(মোমেনা গজ গজ করতে করতে থালা বাটি তুলতে থাকে। এমন সময় আরমান এসে তার বাবার রেখে দেয়া কলাটা মুখে দেয়। তার বাবা তাকে চড় মারে।)
মোসলেম মিয়া : এই তুই কলা খাইলি ক্যান ?
আরমান : মা, আমারে মারে।
মোমেনা : পোলাডারে মারলা ক্যান ?
মোসলেম মিয়া : এই বাড়িতে কলা ঢুকব না। এই বাড়িতে কোন দিনও কলা ঢুকব না।
পাশে বেড়ার সঙ্গে ঝোলানো কলা নিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে মোমেনা।
কাট।
দৃশ্য-০৯
রাতে আড়ৎদার মোসলেম মিয়া দুঃস্বপ্ন দেখে।
স্বপ্নদৃশ্য :
সিরিজ অব শটস :
০১) ছেলের সামনে একটা বড় গামলা । তাতে প্রচুর কলা।
০২) ছেলে কলা খাচ্ছে।
০৩) বাবা তাকে কলা খেতে নিষেধ করছে। কিন্তু ছেলে শুনতে পাচ্ছে না।
০৪) ছেলের মুখের মাংস কলার মতো করে কালো হয়ে পচে যাচ্ছে।
০৫) বাবা চিৎকার করছে।
০৬) বাবার সামনে ছেলে গামলা তুলে ধরে । বাবা দেখে তাতে পচা মাংস।
০৭) ছেলে তার মুখ থেকে পচা মাংস খুলে গামলায় রাখে । বাবাকে খেতে বলে।
০৮) বাবা ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু তার মুখ থেকে গোঙ্গানি ছাড়া কোন শব্দ বের হয় না।
০৯) বাবাকে জোর করে পচা মাংস খাওয়ায় ছেলে।
আতঙ্কে গো গো করতে করতে বাবা মোসলেম মিয়া জেগে ওঠে। দেখে তার তার পাশে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে তার ছেলে আরমান এবং স্ত্রী মোমেনা। তাদের দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাবা।
কাট।
দৃশ্য-১০
স্থান : নদীর তীর
সময় : সকাল
চরিত্র : মোসলেম মিয়া ও তার কর্মচারী কাসেম।
বিরক্ত মনে কাধে করে ড্রাম নিয়ে আসে কাসেম। মোসলেম মিয়া ও কাসেম মিলে সেই ড্রাম নামায় নদীর তীরে। তারপর ড্রামে থাকা সকল তরল নদীতে ফেলে দেয় মোসলেম মিয়া। তার মন খুশিতে ভরে ওঠে।
ফেড আউট। এন্ড টাইটেল।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি এটা নিয়ে ভেবেছি। এই জায়গাটা কী করা যায় বলেন তো ?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কার্বাইড মিশ্রিত পানিটা কোথায় ফেললে পরিবেশবান্ধব হবে ?
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভাল ছবি নির্মাণের বিকল্প নাই
গল্পটি সুন্দর , সফলতা জানাই
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: মাটিতে গর্ত করে পানিটা ফেলতে পারেন। নদীর পানি দুষন করলে গল্পের মান পড়ে যাবে।
আমাদের সবারী সচেতন হওয়া দরকার। কলার মত এমন সহজলভ্য কমদামী ফল যা সবাই খেতে পছন্দ করে তাতে বিষ মেশানো নিয়ে সরকারের শক্ত প্রদক্ষেপ আশা করি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: নদীতে ফেলার দৃশ্যটা বাদ দিয়ে দিচ্ছি। গর্ত করে ফেলার আইডিয়াটাই ভালো হবে।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: onek valo laglo!!
Nodite felar bishoyta amar kacheo thik laglo na...tobe, onno kothao felar jayga o toh dekhchi nah!! :p
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: নদীতে ফেলার দৃশ্যটা বাদ দিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার দৃশ্য যোগ করব।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
মাসুদ মারুফ বলেছেন: সবকিছু একজায়গায় রেখে আগুনও দিতে পারেন, সেটা তেমন অযুক্তর কাজ হবে না হয়ত। আপনার সাফল্য কামনা থাকল।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আগুন দেয়ার চেয়ে পুতে ফেলা বা ডাস্টবিনে ফেলা বেশি যুক্তিযুক্ত হবে।
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২০
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেক ভালো হবে আশা করছি ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
নেংটি ইদুর বলেছেন: দারুন হবে। আশা করছি খুব শীঘ্রই দেখতে পাব
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: নেংটি ইদুরকে দর্শক হিসেবে পেয়ে দারুণ ভালো লাগছে।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: দারুণ মেসেজ!
প্লাস দিলাম!
কিন্তু সাত-আট মিনিটে কি শেষ হবে ?
আরেকটু সময় বেশি লাগবে মনে হয়!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এটা স্ক্রিপ্ট-এর ফার্স্ট ড্রাফট। এটা অনেক পরিবর্তন হবে। ডিউরেশন আরও কমবে।
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ভালো হবে আশা করছি ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
আসফি আজাদ বলেছেন: আমিও একই কথাই কই, নদীত ফালায়েন না, পুইতা ফালান নাইলে আগুন দেন।
বাদবাকী আপ্নের মেকিং-এর উপর নির্ভর করতেছে কেমন হইব। শুভেচ্ছা থাকল।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বড় ময়লা ফেলার ভাগাড়ে নিয়ে ফেলার প্লান করছি, কেমন হবে ?
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
প্রজাপতীমন বলেছেন: খুবই ভাল একটা থিম হয়েছে .। অসাধারন হবে।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: দেখা যাক। নির্ভর করছে মেকিং এর উপর।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
সবুজ সাথী বলেছেন: থীম টা ভাল লেগেছে। শুভকামনা রইল।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
কালোপরী বলেছেন: ভাল লাগল
++++++++++++
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আশা করি শর্ট ফিল্মটা আরো ভালো লাগবে।
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগসে থিম। ড্রিম সিকোয়েন্সটা কেমন হবে কৌতুহল হচ্ছে। ওটা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ড্রিম সিকোয়েন্সটা সিজি মানে এনিমেশন হবে। অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
মুশাসি বলেছেন: শুভকামনা থাকলো শামীম ভাই, অপেক্ষায় রইলাম
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন।
১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: "কাসেম : পুলাপানের নুনুর লাগান কলা" এই লাইনটা বাদ দেন।
২য় দৃশ্যের শেষে ইন্টারকাট কিসের যাবে ?
এই গল্পটাকি আগে একবার পাবলিশ করেছিলেন ? আগে পড়েছি মনে হলো। বাই দা ওয়ে, অনেক ভালো হয়েছে। বেস্ট অফ লাক ভাইয়া।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ওই লাইনটা বাদ দেব। ইন্টারকাট না, ওটা কাট হবে।
গল্পটা পাবলিশ করিনি। কিন্তু আগে এই থিমে কাজ হয়েছে বলে কমন মনে হচ্ছে। স্ক্রিপ্টটা বাদ দিচ্ছি। নতুন করে লিখব।
১৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
আহমেদ চঞ্চল বলেছেন: Click This Link
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এই লিংক কেন আমাকে দিলেন বুঝলাম না। একটু বুঝিয়ে বলবেন কি ?
১৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
রাসেল১৩ বলেছেন: মূল থীমটা বেশ ভালো একটা বিষয়কে হাইলাইট করায় খুশি হয়েছি
আপনার এর আগেও তো একটা শর্ট ফিল্ম ছিলো এইমাত্র মনে পড়লো, যদিও কোন কারনে সেটা আমি দেখিনি, লিঙ্কটা দিলে খুশি হতাম !
ইয়ে স্ক্রিপ্টটা কেনো জানি বিটিভি এর একটা ফ্লেভার নিয়ে এসেছে
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বিটিভি ফ্লেভার দূর করার জন্য কী করতে পারি, বলেন তো
১৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৮
রীতিমত লিয়া বলেছেন: সচেতনতামূলক পোষ্ট!!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এটা সচেতনতামূলক পোস্ট কি না সেটা জানি না। কিন্তু শর্ট ফিল্মটা সচেতনতামূলক।
২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: থীমটা বেশ সুন্দর
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি ফিল্মটাও ভালো লাগবে।
২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
bakta বলেছেন: দৃশ্য-০৭
স্থান : একটি খেলার মাঠ
সময় : বিকেল
চরিত্র : আরমান এবং তার বন্ধুরা
তারা ফুটবল খেলছে।
উপরের অংশে ফুটবল খেলছে- এটা কেন ? এর দ্বারা কি বোঝাতে চাইছেন।
আমার মনে হয় - ওই সব ছেলেরা সন্ধ্যাবেলায় হ্যারিকেনের আলোয় এক সাথে বসে সমস্বরে পড়াশুনা করছে - এটা দেখালে মনে হবে - এই বয়সের শিশুরা শিশু হলেও তারা পঠনপাঠনে মনযোগী এবং অনুরাগী । শিশুদর্শকেরা তাদের দেখে নিজেরা একটা শিক্ষা লাভ করবে এবং তারাও পঠনপাঠনে মনযোগী হবে । সমাজে এটা একটা ভালো বার্তা পৌঁছবে । আমার মনে হয় এটাই ভালো হবে । দেখুন গল্প আপনার - চিত্রনাট্য আপনার। আমার মনে এটা এলো তাই আপনাকে বললাম ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার পরামর্শটা ভালো লাগল। তবে স্ক্রিপ্ট আর আগের মতো নাই। বদলে গেছে। নতুন স্ক্রিপ্ট কাল আপ করব।
২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৪
রাসেল১৩ বলেছেন: বিটিভি ফ্লেভার দূর করার আগে ব্যপারটা আগে দেখা করকার বিটিভি কি এবং কেনো অন্য চ্যানেলের নাটকের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন, আমি আসলে বিটিভিতে যেধরনের সমাজ সচেতনমূলক নাটক আগে দুপুরে দেখাতো সেগুলোর মাঝে খুব কমন একটা ফিল পেতাম, "অবশেষে সকল সমস্যার সমাধান" এবং আরো কিছু ব্যপার আছে যেটা ব্যাখ্যা করতে পারছি না , তবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ একটা নাটক এর সাথে সেইসব নাটকের পার্থক্য খুব সহজেই অনুভব করতাম আমি, সেই অর্থে বলেছি আমি !
যাহোক হুট করে ঐ মন্তব্য করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী, আসলে পুরো প্রজেক্টটা না দেখে এই ধরনের মন্তব্য করাটা নিতান্তই বোকামী এবং যেটা আমি ইতিমধ্যে করে ফেলেছি, শর্টফিল্ম দেখে তারপর জানাবো
পুনশ্চঃ একটা প্রশ্ন ছিলো আগের কমেন্টে, খেয়াল করেননি অথবা এড়িয়ে গেছেন যাহোক ধন্যবাদ !
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এবার বুঝতে পেরেছি। এই রকম বক্তব্যধর্মী নাটিকাগুলো বিটিভিতে দেখানো হয়। সুতরাং বিষয়বস্তু এবং উপস্থাপনার ঢংয়ে এটা সে রকম হয়েছে। জনসচেতনতা বিষয়টা আসলে বিনোদনধর্মী নয়। যাই হোক, চেষ্টা করব ভিন্নরকম করতে। দেখা যাক।
আমার অনেকগুলো শর্ট ফিল্ম আছে। কিন্তু নেটের স্পিডের কারণে কোনটাই অনলাইনে শেয়ার করা হয় নি।
২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: ভাল
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
shfikul বলেছেন: আপনার সর্টফিল্ম দেখতে ইচ্ছা করছে,কোথায় পেতে পারি অথবা কোনো ডাউনলোড লিংক দেয়া যাবে?
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এই শর্ট ফিল্মটা নির্মাণ করা হয়নি। শেষ মুহূর্তে প্রযোজক পিছিয়ে গেছে। তবে আমার অন্য শর্ট ফিল্মগুলো দেখতে পারেন। ঢাকায় প্রদর্শনী হলে জানাব।
২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২০
এবার তোরা মানুষ হ বলেছেন: শামীম ভাই ভালো মেসেজ , ভালো লাগছে বরাবরের মতো । তবে একটা ব্যাপার নদীর পানিতে কার্বাইড ঢালা কি ক্ষতিকর কিনা সেটার একটা খোজ নিয়ে নিবেন ..