নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েকটি অন্ধকারের গল্প

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০০

গল্প -০১

এক লোকের অনেক টাকা হয়েছে। ব্যবসা করে প্রচুর সম্পদের মালিক হওয়ার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, এবার তিনি আর পুরোনো একতলা বাড়িতে থাকবেন না। তিনি একটা বহুতল ভবন বানাবেন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, তিনি ইট,বালু, সিমেন্ট কিনে আনলেন। একদল রাজ মিস্ত্রিী এনে কাজ শুরু করে দিলেন। বাড়িটি কত তলা হবে, প্রত্যেক তলায় কয়টি রুম হবে সব সিদ্ধান্ত তিনি নিলেন। তিনি কোন ইঞ্জিনিয়ারের কাছে গেলেন না। তিনি কোন প্লান পাস করালেন না, কোন স্থাপত্য নকশা তৈরি করলেন না। কেবল রাজ মিস্ত্রী লাগিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে ৫তলা ভবন তৈরি করে ফেললেন।

মাস ছয়েকের মধ্যে তার ভবন নির্মাণ শেষ হল। তিনি তার স্ত্রী সন্তানসহ সেই বাড়িতে উঠে গেলেন। তারপর একদিন কোন কুক্ষণে তার মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ল তার সাধের বাড়িটি। তিনি সপরিবারে মারা পড়লেন।



গল্প-০২

এক লোকের মোগলাই খানা খাবারের শখ হল। তিনি বাজারে গেলেন। ভাতের চাল কিনলেন। কিছু সবজি কিনলেন। তারপর বাড়িতে ফিরে এলেন মহানন্দে। স্ত্রীকে বাজারে ব্যাগ দিয়ে বললেন, মোগলাই খানা তৈরি কর।

ব্যাগ হাতড়ে স্ত্রী বিরক্ত হলেন। কোন মাংস নাই। পোলায়ের চাল নাই। তেল, নুন, গরম-মসল্লা কিছুই নাই। তিনি কিভাবে মোগলাই রান্না করবেন ? তিনি তার স্বামীকে গিয়ে বললেন, এই বাজারে মোগলাই খানা সম্ভব না।

স্বামী দাবী করলেন, এই বাজারেই মোগলাই খানা বানাতে হবে। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রী ঝগড়া লাগল। স্বামী স্ত্রীকে দিলেন বেদম মার। মার খেয়ে স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে রান্না করল। কিন্তু সেটা মোগলাই খানা হল না।

কেন মোগলাই খানা হল না এই অজুহাতে আবারও স্ত্রীকে পেটালেন ভদ্রলোক।



গল্প-০৩

বাংলাদেশে যারা নাটক সিনেমার পরিচালক হয়, তারা সাধারণত গরীব মানুষ। নাটক সিনেমা বানানোর মতো অর্থ সম্পদ তাদের অনেকেরই নাই। ফলে নাটক সিনেমায় টাকা বিনিয়োগ করার জন্য প্রযোজক খুঁজতে হয়।

প্রযোজক কারা ? যাদের বিনিয়োগ করার মতো টাকা আছে। কিন্তু তাদের অনেকেই নাটক সিনেমা সম্পর্কে কিছুই জানে না। তারা একটা ধারণা থেকে এই খাতে বিনিয়োগ করেন। বিনিয়োগ করার সময়ে তারা এক ধরনের ভয়ে ভুগতে থাকেন। তারা মনে করেন, তাদের টাকাটা জলে ফেলছেন। এজন্য বিনিয়োগের পরিমাণ কমাতে শুরু করেন।

গল্প-০১ এর মতো অনেক প্রযোজক কোন চিত্রনাট্যের দরকার বোধ করেন না। তারা নিজেরাই গল্প বানান।একটা মুখে মুখে বানানো গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য ছাড়াই কাজে নেমে পড়েন। ফলে গল্প ভালো হয় না। ফলাফল লস প্রজেক্ট।

অন্য দিকে গল্প-০২ এর মতো যোগ্য লোক ছাড়া কাজ করলে কাজের মান খারাপ হতে বাধ্য। বাজার ভালো মতো না করলে যত বড় রাঁধুনী হোক না কেন রান্না কখনও ভালো হবে না।

অনেক প্রযোজক গল্প না বুঝে যে কোন হেনতেন গল্পে টাকা বিনিয়োগ করেন এবং ধরা খান। তার নির্মিত সিনেমা ফ্লপ খায়। তিনি টাকা মারা খান এবং দর্শকের গালি খান। চিত্রনাট্যকে গুরুত্ব না দিলে কখনও সফল প্রযোজক বা পরিচালক হওয়া সম্ভব না।

পৃথিবীর সব বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় সিনেমা একটা ভালো চিত্রনাট্য থেকে তৈরি হয়েছে।



গল্প -০৪

জীবনে প্রচুর সিনেমা দেখেছি। দেখে দেখে একটা ব্যাপার বুঝেছি। সেই সিনেমাটাই শেষ পর্যন্ত ভালো লেগেছে যেটার গল্প আমাকে আকর্ষণ করেছে। যেই সিনেমাটার প্রথম দৃশ্য দর্শক হিসেবে আমাকে আটকে দিয়েছে, সেই সিনেমাটা আগ্রহ নিয়ে দেখেছি। যেই সিনেমাটার পরের দৃশ্যে কী কী ঘটবে বুঝতে পারি নি, সেই সিনেমাটা বেশি কৌতূহল তৈরি করতে পেরেছে। যেই সিনেমার গল্পের পরিণতি ধরতে পারি নি, সেই সিনেমা শেষ পর্যন্ত দেখেছি এবং উপভোগ করেছি।যেই সিনেমা দর্শক হিসেবে আমাকে আটকাতে না পারে, সেটা একটা ব্যর্থ সিনেমা।

আসলে সিনেমা ভালো হয় গল্পের কারণে। গল্প ভালো না হলে সিনেমা কখনও ভালো লাগবে না। এমন একটা গল্প দরকার যেটা দর্শককে প্রথম থেকেই আঠার মতো আটকে ফেলবে এবং দর্শক কখনও বুঝবে না গল্পের পরের দৃশ্যটি বা পরিণতি কী হবে। প্রতিটি দৃশ্য দর্শককে একটা অপ্রত্যাশিত ধাক্কা দেবে, তথ্য এবং বিনোদন দেবে - দর্শককে ভাবাবে এবং শেষ পর্যন্ত লেগে থাকার জন্য আগ্রহী করে তুলবে। অনেকটা মাকড়সার জাল যেমন পোকাকে আটকে ফেলে এবং ধীরে ধীরে মাকড়সার খাদ্যে পরিণত করে, সেই রকম করে দর্শককে গল্পের জালে আটকে ফেলতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। এই রকম গল্প হলে দর্শক সিনেমা দেখবেই। এই দুটি গুণ বর্তমান রেখে যে কোন গল্প তৈরি করলে সেটা দর্শকের ভালো লাগবে।গল্প যদি দর্শককে মাকড়সার জালের মতো আটকে না ফেলে বাকি কোন চমক তৈরি করে দর্শককে আটকানো যায় না - দর্শক এক সময় ফাকিটা ধরে ফেলে এবং বিরক্ত হয়। তাই সিনেমা বানানোর আগে এমন একটা স্ক্রিপ্ট লেখা দরকার, যার মধ্যে এই দুটো গুণ রয়েছে। পরিবেশ, চরিত্র এবং পরিস্থিতি তৈরি করে গল্পের সেটিং নির্মাণ করতে হয়। এমন একটা সেটিং নির্মাণ করতে হবে যেটা একটা ক্লাইমেক্স তৈরি করবে - যার ফলে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হতে থাকবে সাসপেন্স। এই সবগুলো বিষয়কে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করতে পারলে দর্শককে গল্পের জালে আটকে ফেলা যাবে। বিষয়টা যত সহজে বললাম, ততই কঠিন। খুব কম পরিচালক বা চিত্রনাট্যকার এই গুণসম্পন্ন গল্প তৈরি করতে পারেন।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বাংলাদেশী সিনেমায় নতুন ও সৃজনশীল গল্পের ব্যাপক অভাব। আমাদের সিনেমার প্রথম দৃশ্য দেখে বলে দেয়া যায় সিনেমা পরিণতি কী ঘটবে এবং পরের দৃশ্যে কী কী ঘটবে। ফলে দর্শক হিসেবে আমাদের আগ্রহ শুরুতেই নষ্ট হয়ে যায়। এই ধরনের গল্প বা চিত্রনাট্যের উপর নির্ভর করে বানানো সিনেমা কখনও দর্শকের ভালো লাগবে না।



গল্প-০৫

আমাদের সিনেমা শিল্পকে বদলে দিতে হলে দরকার এমন প্রযোজক যিনি মাকড়সার জালের মতো গল্প খুজে বের করতে পারেন। যিনি বুঝতে পারেন, কোন গল্পটি দর্শককে আটকে ফেলবে। যিনি বুঝতে পারেন, এক জন চিত্রনাট্যকারের গুরুত্ব। যিনি বুঝতে পারেন, একটি পরিকল্পিত চিত্রনাট্য ছাড়া কখনও একটি ব্যবসা সফল সিনেমা তৈরি করা সম্ভব না। যিনি গল্পের মর্যাদা দিতে জানেন, তিনি হবেন সফল প্রযোজক।তিনি জানেন স্থাপত্য নকশা ছাড়া যেমন বহুতল ভবন বানানো যায় না, তেমনি ভালো পরিকল্পিত চিত্রনাট্য ছাড়া চলচ্চিত্র বানানো যায় না। তিনি জানেন, উল্টাপাল্টা রান্না করে যেমন মোগলাই খানা পাওয়া যায় না, তেমনি মেধাবী লোকজনকে নিয়োগ না করলে ভালো ব্যবসা সফল সিনেমা বানানো যায় না। তিনি একটি ব্যবসা সফল সিনেমা বানাতে চান বলেই তিনি কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন। সুতরাং তিনি অবশ্যই পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজ করবেন না। সিনেমা বানানোর সবচেয়ে ভালো পরিকল্পনা হল একটা ভালো চিত্রনাট্য তৈরি করা এবং সেই চিত্রনাট্যকে চলচ্চিত্রে রূপ দেয়ার জন্য মেধাবী ও দক্ষ লোকদের যোগাড় করা। একজন সফল প্রযোজক হতে চাইলে এই গুণ দুটো অর্জন করতে হবে।



গল্প-০৬

সিনেমার রিমেক একটি সাধারণ ঘটনা। অনেক বিখ্যাত সিনেমা রিমেক হয়। তার পাশাপাশি বিখ্যাত সিনেমার গল্প চুরি করাটাও সাধারণ ঘটনা। হলিউডের গল্প চুরি করে বলিউডে প্রচুর সিনেমা হয়। বলিউডের গল্প চুরি করে ঢাকাই সিনেমা হয়। তামিল সিনেমার গল্প চুরি না করলে বাংলাদেশী সিনেমা হয়ই না।

কথায় বলে, চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা। এই ইন্টারনেটের যুগে চুরি বিদ্যা খুব সহজেই ধরা পড়ে যায়।আগের যে কোন সময়ের চেয়ে সিনেমা দর্শকরা এখন অনেক বেশি অরিজিনাল সিনেমা দেখে।

মজার ব্যাপার হল, কপি পেস্ট সিনেমা সব সময়ই অরিজিনাল সিনেমার চেয়ে মানে খারাপ হয়। যারা অরিজিনাল সিনেমাটা দেখে ফেলে তারা কপি পেস্ট সিনেমা দেখে বিরক্ত হয় - দর্শক হিসেবে নিজেকে প্রতারিত মনে করে। নকল কাহিনী বুঝে ফেললে সেই সিনেমা প্রায় সময়ই ফ্লপ হওয়ার ঝুকি থাকে।

প্রকৃত অর্থে সিনেমার উন্নয়নের জন্য দরকার অরিজিনাল গল্প। আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নকল গল্প অনুসারে সিনেমা তৈরি হয় বলে চিত্রনাট্যকার দরকার হয় না। প্রায় সময়ই কোটি টাকার সিনেমা নির্মাণের প্রজেক্টে স্ক্রিপ্ট রাইটার বা চিত্রনাট্যকারের জন্য কোন বাজেট বরাদ্দ থাকে না।

কখনও কখনও পরিচালক বা প্রযোজক কোন চিত্রনাট্যকারকে দিয়ে স্ক্রিপ্ট লিখালেও তাকে টাকা না দেয়া তালে থাকে । বেশির ভাগ সময় টাকা ভেঙ্গে ভেঙ্গে দেয়। অনেক সময় প্রথম কয়েক কিস্তির টাকা পাওয়া গেলেও শেষ দিকের টাকা আর পায় না চিত্রনাট্যকার।

ফলে বাংলাদেশে চিত্রনাট্যকার পেশা হিসেবে গড়ে উঠেনি। খুব কম মানুষই এই পেশায় টিকে থাকতে পারেন। যারা টিকে থাকেন, তাদের সামনে পরিচালক বা প্রযোজক কোন তামিল বা বলিউড সিনেমার ডিভিডি দিয়ে কেবল কপি পেস্ট করে দিতে বলেন। ফলে নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগও সীমিত এই পেশায়।

যত দিন পর্যন্ত অরিজিনাল গল্পে কদর না বাড়বে এবং চিত্রনাট্যকারদের সম্মানী নিয়ে চুদুর বুদুর না দূর হবে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের সিনেমা শক্তভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াবে না।

প্রযোজক হিসেবে এবং পরিচালক হিসেবে যে কাজগুলো করা দরকার :

০১) একজন মেধাবী চিত্রনাট্যকারকে অরিজিনাল গল্প লেখার দায়িত্ব দেয়া। তার মেধাকে ব্যবহার করা। তাকে তার কাজটি ভালোভাবে করতে দেয়া।

০২) কোন গল্পে দর্শক আঠার মতো আটকে যাবে সেটা বুঝতে হবে। কোন নকল গল্পে আজকাল দর্শক মজে যায় না। সুতরাং নকল করার ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে।

০৩) চিত্রনাট্যকারের জন্য যথাযথ সম্মানীর ব্যবস্থা করা। সম্মানী মেরে দিয়ে কারো কাছ থেকে ভালো কাজ আদায় করা সম্ভব না।

আশা করি, আমাদের দেশের সম্মানিত প্রযোজক এবং পরিচালকবৃন্দ সচেতন হবেন এবং আমাদের সিনেমা শিল্প আবারও শক্ত ভিতের উপর দাঁড়াবে।



মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

রাধাচূড়া ফুল বলেছেন: ভালো লাগল লেখাটা পড়ে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: লেখাটি পড়ে কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

জোনাক আলো বলেছেন: প্রিয় শামীম ভাই,
যথার্থ লিখেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের দেশে যেমন সুচিন্তার প্রযোজক কম, তেমনি যোগ্য পরিচালকও হাতে গোনা!

প্রযোজকের নয়, চিত্রনাট্যের গুরুত্ব বোঝার দ্বায়টা কিন্তু পরিচালকের।

আপনার কাছ থেকে জানতে চাই, আমাদের দেশের একজন সিনেমা চিত্রনাট্যকারের(মৌলিক) সম্মানী কত টাকা হলে 'যথাযথ' হবে?

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: প্রযোজকের নয়, চিত্রনাট্যের গুরুত্ব বোঝার দ্বায়টা কিন্তু পরিচালকের।
..................................................................................................
কথা সত্য। কিন্তু প্রযোজক যখন এই খাতে বাজেট দেন না, পরিচালকের কিছু করার থাকে না।
প্রযোজক এবং পরিচালকের সম্পর্ক অনেকটা বাবা মায়ের মতো। বাবা যদি ভালো বাজার না করেন, মা কিভাবে ভালো রান্না করবেন ?

চিত্রনাট্যকারের সম্মানী নির্ভর করে চিত্রনাট্যকারের সুনাম এবং অভিজ্ঞতার উপর। শুনেছি বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রনাট্যকারবৃন্দ প্রতিটি বাণিজ্যিক সিনেমার চিত্রনাট্যের জন্য ২ লাখ টাকা থেকে আড়াই লাখ টাকা পেয়ে থাকেন। কিন্তু এই সম্মানীর চিত্রনাট্যকার খুব কম আছেন।

অন্য দিকে, নতুন চিত্রনাট্যকারের ক্ষেত্রে অনেক কম সম্মানী হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেটা ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা হয়ে থাকে।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো লাগল।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: মোট কথা সিনেমা শিল্পকে প্রফেশনাল হয়ে উঠা দরকার । যে যেই বিষয়ে অভিজ্ঞ, সে সেই কাজ করবে । সিনেমার প্রত্যেকটা খুটিনাটি ব্যাপারের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট থাকবে ।


ধন্যবাদ শামীম ভাই ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমার পুরো লেখাটার এত সুন্দর একটা সামারি করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শুধু একটু স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা না থাকলে কেবল সদিচ্ছা দিয়ে কাজ হবে না। কাজ জানা লোককে সম্মান করতে হবে। দক্ষ মানুষের মেধা, শ্রম এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে জানতে হবে।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জোনাক আলো বলেছেন: প্রিয় শামীম ভাই,
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমাদের সিনেমাতে প্রফেশনাল দৃষ্টিভঙ্গি যে নেই, তাতো দৃশ্যমান। কিন্তু একটি সিনেমা দেখেও কি মনে হয় যে, পরিচালক স্ক্রিপ্ট বোঝেন? বা গুরুত্ব দেন?
টাকার সংকট সত্যজিৎ রায়- এর ও ছিলো!
এই চক্রে না পরে ভালো সিনেমা করার দায়িত্ব কি পরিচালকরা নিতে পারেন না!!!

কোথাও থেকে তো শুরু করতে হবে, সেই শুরু করার দক্ষতা পরিচালকের থাকতে হবে... আর কারো নয়!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমাদের দেশে অনেক ভালো পরিচালক সিনেমা বানাতে পারেন না প্রযোজকদের চক্করে পড়ে। প্রযোজকদের চক্কর থেকে বের হওয়ার জন্যই সত্যজিৎ রায় নিজে প্রযোজক হয়েছিলেন।

প্রযোজক যখন গল্প বোঝে না, না বুঝে একটা ফালতু গল্পে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে, তখন পরিচালক হিসেবে তাকে সমর্থন করা ছাড়া অনেকের কিছু করার থাকে না। এই ধরনের প্রযোজকরা ব্যবসায় ধরাও খায়।

৭| ২০ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:৩১

মোঃ কাওছার হোসেন ঠাকুরগাঁও বলেছেন: গুরু আমার কিন্তুু ঘুম ধরছে, দিলাতো হার্টবির্ট টা বাড়ায়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.