নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাস - নিষিদ্ধ জ্যোৎস্না - পর্ব - ১০

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

তীব্র মাথা ব্যথা হচ্ছে। এত তীব্র যে ঘুমাতে পারছি না। ঘণ্টাখানেক আগে দু’টো প্যারাসিটামল খেয়েছি। প্যারাসিটামল ফেইল মেরেছে।

উহ, বুকের ছাতি ফেটে যাচ্ছে। অনেকক্ষণ আগেই টেবিলে রাখা জগের পানি শেষ। নিচে নেমে পানি নিয়ে আসব কিনা ভাবছি।

নিচে নামলাম। মায়ের ঘরে একবার টোকা দিতেই দরজা খুলে গেল। মা বোধ হয় জেগে ছিলেন। মার কি রাতে ঘুম হয় না ?

দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘এত রাতে জেগে আছিস ?’

খেয়াল করলাম, মার চোখ লাল। আমি জগটা বাড়িয়ে দিলাম। বললাম, ‘পানি লাগবে।’

‘রাতে এক জগ দিয়ে এলাম। এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল ?’

মিথ্যে করে বললাম, ‘হাত মুখ ধুয়ে ফেলেছি।’

‘হাতমুখ ধোয়ার জন্য তো বাথরুম আছে। তাছাড়া বাথরুমের পানিও খাওয়া যায়।’

নিজেকে বোকা মনে হল। বাথরুম থেকে পানি নিলেই কাজ চলত। মা জগ ভরে ঠা-া পানি নিয়ে এলেন। ফ্রিজের ঠা-া পানি। মা বললেন, ‘রাত জেগে আর বই পড়ার দরকার নেই। ঘুমিয়ে থাক।’

উপরের রুমে পৌঁছে মনে হল, কী যেন পরিবর্তন হয়েছে। খুব সূক্ষ্ম অথচ চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন। চট করে চোখে পড়ল, বুক শেলফের বইগুলো নেই। সম্ভবত পনির নিয়ে গেছে। ও যা বইয়ের পোকা।

শুয়ে পড়লাম। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র হয়ে এল মাথার যন্ত্রণা। অসহ্য ! মাথাটা বিশ্বাসঘাতকতা করছে।

আমি কি কোন অন্যায় করেছি ? খুব বেশি কঠিন অন্যায় ? না, অন্যায় করি নি। এর কোন বিকল্প নেই। একজন হিরোইন ব্যবসায়ীকে সরিয়ে দেয়াটা অন্যায় না। সে যত দিন বেঁচে থাকবে নতুন নতুন মানুষকে মাদকাসক্ত করে যেতেই থাকবে। তাছাড়া সে একের পর এক বিয়ে করে নতুন নতুন মেয়ের সর্বনাশ করবে। এ হতে দেয়া যায় না। অনেক লোকের জীবন বাঁচাতে একটা জীবন ধ্বংস করা কোন অন্যায় নয়। এ অন্যায় হতে পারে না।

আরও দু’টো প্যারাসিটামল খেয়ে নিলাম। মনে হচ্ছে ট্যাবলেটগুলো নকল। কাজ করছে না। ঢক ঢক করে পানি খেলাম। যেই পিপাসা সেই। আবার দেখি, গা ঘামছে। সম্ভবত জ্বর আসছে।

বাথরুমে এসে হাত-মুখ ধুয়ে নিলাম। তাতে তো লাভ হলই না, বরং ঘুম ঘুম ভাবটা চলে গেল। তলপেটের চাপ কমিয়ে ফিরে এলাম বিছানায়। কিন্তু এখন শুতে ইচ্ছে হচ্ছে না।

আবার চিন্তাটা ফিরে এল মাথায়। উহ, কী অসহ্য চিন্তা ! এ চিন্তা না তাড়ানো পর্যন্ত আমার শান্তি নেই।

চিন্তাটা তাড়ানোর একটাই উপায় - অন্য কিছু ভাবতে হবে। সুখের কিছু। আনন্দের কিছু। আচ্ছা, সুমীর কথা ভাবলে কেমন হয় ? সেই যে সুমী। যাকে নিয়ে আমার প্রথম কবিতা।

সুমী এখন কোথায় আছে ? কত বড় হয়েছে ? এখন ওকে দেখলে কি আমি চিনতে পারব ? ও আমাকে ? যদি দু’জন দু’জনকে চিনে ফেলি, তবে কী হবে ? সেই যে আবেগ, সেই যে অভিমান, সব কি ফিরে আসবে আবার ?

ওকে খুঁজে বের করলে কেমন হয় ? শহরের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করলে ? সোমাকেও কি সাথে নিয়ে নেব ? এ বাড়ি যেভাবে খুঁজে বের করেছে, সেভাবে খুঁজে বের করে বলবে, ‘কী, হল তো ?’

আমি চমকে উঠলাম। সোমা আর সুমী - নামের কী অদ্ভুত মিল ! এত দিন তো ব্যাপারটা চোখে পড়ে নি। কী আশ্চর্য !

তন্দ্রা মতো এসেছিল। হঠাৎ মনে হল আমার মা এসেছেন। আমার জন্মদাত্রী মাতা। যেই মাতা আমাকে জন্ম দিয়ে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলেন। মার মুখে বিকট হাসি। গায়ের চামড়া আরও ফর্সা দেখাচ্ছে - একেবারে ধবধবে সাদা। পরনে কাফনের কাপড়ের মতো একটা কাপড়। বুদ্ধদেবের মূর্তির মতো তার মাথা থেকে অপরূপ জ্যোতি বেরুচ্ছে। তার মুখটা রাগী রাগী। চোখ বড় বড় করে তিনি বললেন, ‘এ কী করলি তুই ?’

আমি তোতলাতে লাগলাম। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী করেছি ?’

তিনি ড্রাকুলার মতো দাঁত খিঁচিয়ে উঠলেন। বললেন, ‘তুই কি জানিস না, তুই কী করেছিস ?’

ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুমের ভাবটা কেটে গেল। সারা গা ঘামে ভিজে জবজবে। হাত পা থর থর করে কাঁপছে। মাথা গুলিয়ে আসছে। মনে হচ্ছে, আমি চৈত্রের ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে গেছি। চার দিকে ঘূর্ণির বেগ বেড়ে যাচ্ছে। আমি ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছি অতলে।

একটা অস্ফুট চিৎকার করে উঠে বসলাম। গা গুলিয়ে কী যেন চলে আসছে। বাথরুমে পৌঁছতেই মুখ ভরে বমি এল। মুহূর্তের মধ্যে বাথরুমের মেঝে বমিতে সয়লাব হয়ে গেল। হিক্কা উঠছে অনবরত। পেটের ভেতরটা মোচড়াচ্ছে। মনে হচ্ছে, আরও বমি হবে। কিন্তু বার বার হিক্কার সঙ্গে বমির বদলে লালা বেরিয়ে এল।

আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার আগেই বাথরুমের দরজা ধরে বসে পড়লাম। মেঝেতে থাকা বমির স্তুপ থেকে বিকট দুর্গন্ধ আসছে। আমি বাথরুমে থাকা বালতি থেকে মগ দিয়ে পানি নিয়ে বমি পরিষ্কার করলাম।

শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। চারদিকে হঠাৎ অক্সিজেন কমে গেছে। মাথার তালুতে মনে হয় আগুন লেগে গেছে - ভীষণ জ্বলছে। আমি হাঁপাতে হাঁপাতে বেসিনে ঝুঁকে নাক-মুখ ধুয়ে নিলাম।

দেয়াল হাতড়াতে হাতড়াতে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলাম। হঠাৎ মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠল। মাথার ভেতরে মনে হচ্ছে শো শো শব্দ হচ্ছে। চোখ মেলে আছি, অথচ কিছু দেখতে পাচ্ছি না।

কিছুক্ষণ পর নিজেকে আবিষ্কার করলাম রুমের মেঝেতে। মাথা ব্যথা নেই। বরং মাথাটা মহাশূন্যের মতো ফাঁকা। শ্বাস কষ্ট নেই। নাক দিয়ে বাতাস ঢুকে মাথার খুলি ভেদ করে বেরিয়ে যাচ্ছে। বাতাসের তোড়ে চোখ দু’টো ছিটকে বেরিয়ে যেতে চাইছে।

টের পাচ্ছি, দেহের যাবতীয় যন্ত্রের গতি কমে যাচ্ছে। সব কিছু কি থেমে যাচ্ছে ? আমি কি মারা যাচ্ছি ? এভাবে কি মানুষ মারা যায় ?

আমার চার দিকে এক জোড়া অতুল সুন্দর পা হেঁটে বেড়াচ্ছে। সেই পা সিঁড়ি বেয়ে নামছে। বৃত্তের মতো গোল সিঁড়ি। পা নামছে। আমিও নামছি। কেন যেন মনে হল, এই নামা শেষ হলেই আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে।

হঠাৎ কোত্থেকে যেন ধারণা এল, পা জোড়ার অধিকারী আমার মা। আমার জন্মদাত্রী মাতা। বোকার মতো উপরের দিকে তাকালাম। কিচ্ছু দেখতে পেলাম না। পা জোড়া ছাড়া ওপরের দেহটুকু নেই। ঘন কুয়াশার মতো ধোঁয়ার মধ্যে তার দেহ হারিয়ে গেছে। তীব্র আতংকে জমে গেলাম। ওপর থেকে ভেসে এল মার গম্ভীর গলা,‘দ্যাখ, তুই কী করেছিস।’ কী আশ্চর্য ! আমি সব দেখতে পেলাম।

দেখতে পেলাম, আব্বা খাটের নিচ থেকে কেরু কোম্পানীর বোতলটা টেনে বের করলেন। স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, এই বোতলটাতেই আমি ‘ফাইফানন’ মিশিয়েছি। আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হল, ‘আব্বা, ওই বোতলের মদ খাবেন না।’ আব্বা বোতলের ছিপি খুললেন। আমি মনে মনে চিৎকার করে যাচ্ছি, ‘না, ওই বোতলের মদ খাবেন না। আপনি যত মদ চান, আমি এনে দেব। দোহাই আপনার।’ কিন্তু আব্বা আমার দোহাই শুনলেন না। ঢক ঢক করে গলায় ঢেলে দিলেন বিষাক্ত তরল। মনে হল, আমার গলায়ই কেউ তরল বিষ ঢেলে দিয়েছে। আমি দু’হাতে গলা চেপে ধরলাম। গলা-বুক জ্বলে যাচ্ছে। মুখ দিয়ে ফেনা বেরুচ্ছে। চোখ ছিটকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। জিহ্বা অসাড় হয়ে ঝুলে পড়েছে এক পাশে। চোখে মুখে কী ভয়ংকর কষ্ট !

বিছানায় যে দেহটুকু ওঠাব এমন শক্তি নেই। দেহের ওজন অকস্মাৎ বেড়ে গেছে। নিজের দেহটুক নিজেই বইতে পারছি না। অনেক কষ্টে মাথা উঁচিয়ে চার দিকে তাকালাম। সব কিছু উল্টো লাগছে। ঘরের জিনিসপত্র সব ওলট-পালট ঘোলাটে হয়ে গেছে।

আমি চিৎকার করে বললাম, ‘মা, আমি কোন অন্যায় করি নি। কয়েকটি জীবন বাঁচাতে এটা করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।’

কাউকে দেখলাম না, অথচ খিলখিল শব্দে রক্ত হিম করা হাসির শব্দ শুনলাম। আমার জেদ চেপে গেল। কোত্থেকে শক্তি পেলাম কে জানে। চেঁচিয়ে বললাম, ‘ন্যায়-অন্যায় কিচ্ছু মানি না। আপনি কোথাকার নীতিবাগীশ ? আব্বাকে ছেড়ে যাওয়ার সময় নীতির কথা মনে ছিল না ? কেন তাঁর সঙ্গে মিথ্যে প্রেম করেছিলেন ? কেন ? দু’ বছরের একটা শিশু সন্তানকে ছেড়ে যেতে কোন কষ্ট হয় নি ? কোন কষ্ট হয় নি তার অসহায় জীবনের কথা ভেবে ?’

কোন জবাব না পেলেও মাকে দেখলাম, একটা সুসজ্জিত বেডরুমে কার সাথে খুব হেসে হেসে কথা বলছেন। আমি তৎক্ষণাৎ লোকটিকে চিনলাম। ইনি আমার মায়ের বর্তমান স্বামী। লোকটি মায়ের কাঁধে হাত রেখে নিচু স্বরে কী যেন বললেন। মা হাসতে হাসতে লোকটির গায়ে ঢলে পড়লেন। আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম।

মা, আপনি বড় সুখে আছেন। দুঃখের হাত আপনাকে ধরতে হয় নি। জীবন-যন্ত্রণার হুল আপনাকে বিদ্ধ করে নি। হতাশার তীব্র দহন আপনাকে দংশন করে নি। আপনাকে বড় হিংসে হয়। আপনাকে কক্ষণো মা বলতে ইচ্ছে হয় না। যার মধ্যে সন্তানের প্রতি স্নেহ নেই, তিনি মা নন।

দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে বুঝলাম, উঠে দাঁড়িয়েছিলাম। গলার কাছে গরগর শব্দ হচ্ছে। বমি আসছে বোধ হয়। আমি কোন রকমে বাথরুমে গিয়ে ঢুকলাম।



চলবে ...



পর্ব -০১পর্ব - ০২পর্ব - ০৩পর্ব - ০৪পর্ব - ০৫

পর্ব -০৬পর্ব -০৭পর্ব -০৮পর্ব - ০৯





আমার অন্যান্য ধারাবাহিক উপন্যাস :



কুষ্ঠ নিবাস



নাটকের মেয়ে



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে কক্ষণো মা বলতে ইচ্ছে হয় না। যার মধ্যে সন্তানের প্রতি ¯েœহ নেই, তিনি মা নন।

ঠিক করে দিয়েন। এই পার্টটা আবেগের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হল। ভালো লেগেছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বানান ঠিক করে দিয়েছি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

কাউসার রানা বলেছেন: সকাল থেকে প্রতিটি পর্ব পড়ে তারপর মন্তব্য করলাম।
ভালই তবে কুষ্ঠ নিবাস, এবং নাটকের মেয়ে এই দুই গল্প থেকে এখনও বের হতে পারেনি মনে হয়। কিছুটা কমেডি, কিছু ভাল মানুষের কথা কিংবা কিছু সুখের কথা লিখে দেন। ( এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত।)
আপনি বরাবরই ভাল লিখেন। আমি একজন সাধারণ পাঠক মাত্র।

ধন্যবাদ। লিখে যান অবিরত।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন । এই লেখাটি ওই দুটি লেখার আগে লেখা।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি। সব পড়ে মন্তব্য করব। বুকমার্ক কএ রাখছি।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সবগুলো সময় করে পড়ে ফেলতে হবে একদিন

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এক দিন সময় করে বসে পড়েন।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

গোর্কি বলেছেন:
-ভালো লেগেছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.