নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের সিনেমা শিল্প উন্নয়নের জন্য ৮ দফা : আগে আমাদের শিল্পের উন্নয়ন ঘটান, তারপর কেবল ভারতীয় কেন, সকল সিনেমার জন্য আমাদের দরজা খুলে দিন

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০২





সরকার বার বার ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি করার চেষ্টা করছে। যুক্তিটা হল, ভারতীয় সিনেমা এলে আমাদের সিনেমা হলগুলিতে প্রচুর দর্শক যাবে। প্রদর্শকরা প্রচুর টাকা আয় করবে, তাদের আর সিনেমা হল বন্ধ করে দিতে হবে না। সুন্দর যুক্তি ।



কিন্তু ভারতীয় সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দেয়ার মতো অবস্থা দেশীয় সিনেমার নেই। ফলে ভারতীয় সিনেমার ঠেলায় দেশীয় সিনেমা শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে পুরোপুরি। দেশীয় সিনেমা না থাকলে প্রদর্শকরা তো চিরকালের জন্য বিদেশী সিনেমা নির্ভর হয়ে যাবে।



তাই ভারতীয় সিনেমা আমদানির আগে আমাদের নিজস্ব সিনেমার উন্নয়ন করতে হবে। প্রকৃত উন্নয়ন। যাতে করে ভারতীয় সিনেমা আমদানি করলেও আমাদের সিনেমা শিল্প টিকে থাকতে পারে।



তবে আমার মতে, নিজের সিনেমা শিল্পকে শক্ত ভিত্তির উপর দাড় করানোর পর দরজাটা খুলতে হবে পৃথিবীর যে কোন সিনেমার জন্য, কেবল ভারতীয়দের জন্য নয়। তাহলে হবে প্রকৃত উন্নয়ন। তাহলে হবে প্রকৃত প্রতিযোগিতা। তখন দেশের সিনেমা শিল্পেরও উন্নয়ন হবে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে সেই সিনেমাগুলো যাদের পেছনে থাকবে মেধাবী নির্মাতারা।







আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প উন্নয়নে নিচে ৮ দফা প্রস্তাব দিলাম :



০১. একটি সরকারী ফিল্ম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা। এই ফিল্ম ইনস্টিটিউটে দেশী বিদেশী যোগ্য শিক্ষক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। শুনেছি, এই সরকার একটা আইন পাশ করেছে।



০২. সরকারী খরচে বড় পরিসরে একটা আধুনিক ফিল্ম সিটি তৈরি করতে হবে। এই ফিল্ম সিটিতে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে। পত্রিকায় দেখেছিলাম, গত বিএনপি সরকার গাজীপুরে একটা ফিল্ম সিটির কাজ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল। সেটা এখন পর্যন্ত শেষ হয় নাই।



০৩. নতুন নতুন মেধাবী লেখক, পরিচালক ও অভিনেতা খোঁজা দরকার। প্রতি বছর একটা আয়োজন করে নতুনদের ব্যাপক মাত্রায় সুযোগ দেয়া এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। এই আয়োজনটা প্রতি বছর হওয়া দরকার। 'নতুন মুখের সন্ধানে' নামে এফডিসি একটা অভিনয় শিল্পী খোঁজার কার্যক্রম চালায়। কিন্তু সেটা এত অনিয়মিত যে, ওটার মূল উদ্দেশ্য নষ্ট হয়ে গেছে।



০৪. মেধাবী নতুন নতুন চলচ্চিত্রকার তৈরির উদ্দেশ্যে সরকারী অনুদান চালিয়ে যেতে হবে। এখন অনুদান দেয়া হয় ৩৫ লাখ টাকা। এত অল্প টাকা দিয়ে ভালো সিনেমা তৈরি করা সম্ভব না। অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে পুরো ফিল্মের বিনিয়োগ দিতে হবে।



০৫. প্রতিষ্ঠিত প্রযোজক/পরিচালকদের সিনেমা নির্মাণে ব্যাংক ঋণ দিতে হবে। ভারতসহ পৃথিবীর সব বড় বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত সিনেমা পরিচালক/প্রযোজকরা ব্যাংক ঋণ পান।



০৬. সরকার এই সেক্টরে পিপিপির মাধ্যমে দেশী বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে। বিনিযোগের ক্ষেত্রে যৌথ প্রযোজনা একটা ভালো বুদ্ধি। এর আগেও ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে এবং সেগুলো ভালো রকম ব্যবসা সফল হয়েছে।



০৭. সিনেমা হলগুলোকে ভেঙ্গে মার্কেট বানাতে হবে। তবে প্রতিটি মার্কেট হবে বহুতল বিশিষ্ট।তবে শর্ত থাকবে প্রতিটি মার্কেটের উপর তলায় মাল্টিপ্লেক্স থাকতে হবে। কোন সিনেমা হল মালিক যদি এই রকম মার্কেট করতে চান, তবে অবশ্যই সরকার তাকে ঋণ দেবে। মাল্টিপ্লেক্সসহ নতুন মার্কেট বানালে সিনেমা হলের সংখ্যাও বাড়বে এবং অন্য দিকে হল মালিকরাও মার্কেট থেকে ভাড়া বাবদ প্রচুর আয় করবেন।



অথবা পুরোনো জীর্ণ সিনেমা হলের মালিকরা তাদের সিনেমা হলের জায়গাটা ডেভেলপারকে দিয়ে দিতে পারেন। ৫০-৫০ রেশিওতে ডেভেলপার পুরোনো সিনেমা হলটা ভেঙ্গে সেখানে বহুতল মার্কেট বানাবে। তবে শর্ত থাকবে যে, একেবার বসুন্ধরা সিটির মতো মার্কেট বানিয়ে তার উপর তলায় একটা সিনেপ্লেক্স বানাবে। এতে করে সিনেমা হল মালিকদের আর লস নিয়ে ভাবতে হবে না। এই কাজটা করতে হলে কোন ঋণ নেয়ারও দরকার নাই। কোন ঝুঁকিও নাই। বরং মার্কেটের দোকানের সালামী থেকেই বিনিয়োগের টাকা উঠে যাবে। আর মাস শেষে বিপুল পরিমাণ ভাড়া তো আসবেই।



০৮. আপাতত ভারতীয় সিনেমা কেবল মাল্টিপ্লেক্সে চলতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, ভারতকেও বছরে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক বাংলাদেশী সিনেমা তাদের সিনেমা হলে চলার অনুমতি দিতে হবে। সারা বিশ্বের সিনেমা তাদের সিনেমা হলে চলতে পারলে আমাদের সিনেমা কেন পারবে না ?



আমাদের সিনেমা শিল্পের উন্নয়ন না করে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি বন্ধ করা হোক।

আমরা ফেসবুকে আমাদের কভার ফটো এবং প্রোফাইল পিক বদলে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিচের দুটি পিক আপনাদের কভার ফটো ও প্রোফাইল পিক হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের আন্দোলনে আপনারাও একাত্ম হোন।



ইচ্ছে করলে ব্লগের প্রো পিকও পরিবর্তন করতে পারেন। আমি করেছি।



কভার ফটো ও প্রোফাইল পিকের ডিজাইন করেছেন বাংলা চলচ্চিত্র ও পাণ্ডুলিপি গ্রুপের এডমিন অন্তর রায় । তাকে মাথা নিচু করে শ্রদ্ধা জানাই।



ছবির লিংক :

http://www.mediafire.com/?6ugt5gqug29sopy



ফেসবুক ইভেন্টে যোগ দিন :

Click This Link





এই একই বিষয়ে আমার পুরোনো লেখা :

আপনি কি বাংলা চলচ্চিত্রকে ভালোবাসেন

ভারতীয় চলচ্চিত্রের আমদানি বন্ধ করা হোক

৩৮ বছর কাটল একটি ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের অপেক্ষায়

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১

সামু মামু বলেছেন: বিটিভিকে জনপ্রিয় করার ৬ দফাঃ যে কোন টিভি চ্যানেল ব্যাবহার করতে পারে :)

Click This Link

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১

সামু মামু বলেছেন: বিটিভিকে জনপ্রিয় করার ৬ দফাঃ যে কোন টিভি চ্যানেল ব্যাবহার করতে পারে :)

Click This Link

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ভাই, সবার আগে আমাদের দর্শকদের হলমুখি করতে হবে। তা নাহলে ভাল ছবি বানাতে পরিচালকরা উৎসাহী হবেনা। ইতিমধ্যে ভাল মুভি বানিয়ে কয়েকজন পরিচালককে ব্যাবসায়িক লসের মধ্যে পড়তে হয়েছে। আর এইসব অখাদ্য মুভি যতদিন হবে, দর্শকরা স্বাভাবিক ভাবেই হলে যাবেনা। বাইরের মুভি আসলে হয়ত দর্শকরা হলমুখি হতেও পারে। সম্ভাবনাটা বিবেচনায় রাখা দরকার।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৫

আমি অপদার্থ বলেছেন:

সুন্দর পোষ্ট।
++++

দাবির সাথে একমত।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশী সিনেমা নিয়ে আসা, আর দেশের সিনেমাশিল্পকে গলা টিপে মারা একই কথা।

প্রতিটি দাবির সাথে একমত প্রকাশ করছি।
আগে নিজে বাঁচি তারপর প্রতিবেশি।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

ডাব্বা বলেছেন: দাবীটিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করুন।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সহমত

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

আরজু পনি বলেছেন:

দাবীগুলি খুবই যৌক্তিক ।

৭ এবং ৮ নম্বর খুবই পছন্দ হয়েছে... মানলে এটা খুব কাজের হবে ।

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: সিনেমা হলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা আবশ্যক। আমাদের রাজশাহীতে (শহরে) এখন সর্বসাকুল্যে সিনেমা হলের সংখ্যা মাত্র একটা !!! সত্যি কথা! চোরাবালি, স্পীড, মোস্ট ওয়েলকাম কিংবা গেরিলা, টেলিভিশন কিংবা নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মত সিনেমা গুলো দেখতে আমাদের শহর থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরের কাটাখালি সিনেমা হলে যেতে হয়েছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বহুতলবিশিষ্ট মার্কেট করে তার উপরে অনায়াসে সিনেপ্লেক্স করা যায়।

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

পারভেজ রানা বলেছেন: ভারতীয় সিনেমা আসতেই দেয়া যাবে না। ভারত কী আমাদের সিনেমা নেবে? আমাদের চ্যানেল গুলোউ তো দেখায় না।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কথা সেটাই।

১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আবোর ঠেলা দিলাম, সবার নজরে আসা উচিৎ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সংশ্লিষ্টদের নজরে এলে বেশি উপকার হত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.