নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ মোবারক ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৩



প্রতি বছর ঈদ এলে এই কথাগুলো মাথায় আসে। মনে হয়, কথাগুলো শেয়ার করি। শেয়ার করলে অবশ্যই লাভ হয়।
যাগগে, মূল কথায় আসি ।
০১) প্রতি বছর ঈদ এলে লাখ লাখ লোক ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যায়। এত বেশি লোক যায় যে, ঈদের দিন ঢাকা শহর ফাকা থাকে। প্রায় ৯০% চলে যায় গ্রামে। তার মানে হল , এই ৯০% লোকের বাড়ি আসলে গ্রামে। তারা পড়াশোনা বা কাজের জন্য ঢাকা শহরে এসেছে, আসতে বাধ্য হয়েছে।
০২) যারা ঢাকায় ঈদ করে তারা আসলে ঢাকার মানুষ। এরাই ঢাকা শহরের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মালিক। তার মানে হল, ঢাকা শহরের বেশির ভাগ জমি, দালাল কোঠা ও অন্যান্য স্থাপনার মালিক খুব অল্প সংখ্যক মানুষ। হতে পারে সেটা মাত্র ১০% মানুষ। এই ১০% মানুষই ঢাকা শহরের শতভাগ সম্পত্তির মালিক। আর ৯০% মানুষ ঢাকা শহরে মূলত তেমন কোন সম্পত্তি করতে পারে নি।
০৩) যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তাদের গ্রামেই করতে পারত, ঢাকা শহরে থাকা বেশির ভাগ মানুষ ঢাকা শহরে আসত না। গ্রামে তার উপযোগী কোন কাজের ব্যবস্থা নেই বলে বাধ্য হয়ে ঢাকায় চলে এসেছে সে। তার মানে হল, আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে গ্রামে গ্রামে সম্মানজনক ও উপযোগী কর্মের সংস্থান করতে পারি, ঢাকা শহরের অনেক লোক স্থায়ীভাবে গ্রামে চলে যেতে পারবেন।
০৪) কেবল কর্মসংস্থান নয়, শিক্ষার জন্য ভালো স্কুল-কলেজ ও চিকিৎসার জন্য ভালো হাসপাতাল থাকলে গ্রামের মানুষকে শহরে আসতে হত না। পাশাপাশি যোগাযোগের জন্য রাস্তাঘাটও থাকা দরকার।
০৫) এবার বলা যাক, কিভাবে গ্রামের মানুষকে গ্রামে রাখা সম্ভব। প্রথমেই উপজেলা পদ্ধতিটাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় একটা আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলতে হবে। গড়ে তুলতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুল। প্রতি অর্থ বছরে ১০টা উপজেলাকেও এই বিশেষ উন্নয়নের আওতায় আনলে ৫০ বছরে সারা দেশ উন্নত হয়ে যাবে।
০৬) এবার আসা যাক কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে। এটাও গ্রামে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ধরেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানী খাত হল তৈরি পোশাক। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো অনায়াসে গ্রামে করা যেত। কারণ গার্মেন্টেসের বেশির ভাগ শ্রমিক গ্রামের মানুষ। ভালুকার দিকে গ্রামের মধ্যে কিছু গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি হয়েছে। ফলে গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখনও রপ্তানী খাতের যে কোন ফ্যাক্টরি গ্রামে করা সম্ভব।
০৭) আইটি খাত নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করা বাকি। আইটি খাতের ফ্রি ল্যান্সারদের জন্য শহরের বসবাস করা জরুরী না। কিন্তু কথা আছে। গ্রামে ইন্টারনেট পৌছাতে হবে। তার আগে দূর করতে হবে লোডশেডিং। তাহলে গ্রামে বসেই একজন ফ্রি ল্যান্সার ডলার কামাতে পারবে।
অনেকে বলবেন, অনেক বেশি স্বপ্ন দেখছি। আসলে এটাই হওয়া উচিত ছিল অনেক আগে। তাহলে ঢাকা শহরে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে নাকাল হতে হত না। একটা ঘিঞ্জি ঘরে দিনের পর দিন জীবনযাপন করতে হত না । বাবা মা ভাই বোন ছেড়ে একা একা ঢাকা শহরে পড়ে থাকতে হত না। গ্রামের সুন্দর পরিবেশে থেকেই মানুষ একটা সুন্দর জীবনযাপন করতে পারত।
আমরা যদি এখনও পরিকল্পনা করি, আগামী ৫০ বছর পর ঢাকা শহরের বাইরে সারা দেশে সব সুযোগ সুবিধা ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। আমরা কি এই কাজটা শুরু করব ? নাকি কেবল ঢাকার উন্নয়ন করেই ভাবব দেশের উন্নয়ন হয়ে গেছে ?
সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক ।
প্রতি বছর ঈদ এলে এই কথাগুলো মাথায় আসে। মনে হয়, কথাগুলো শেয়ার করি। শেয়ার করলে অবশ্যই লাভ হয়।
যাগগে, মূল কথায় আসি ।
০১) প্রতি বছর ঈদ এলে লাখ লাখ লোক ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যায়। এত বেশি লোক যায় যে, ঈদের দিন ঢাকা শহর ফাকা থাকে। প্রায় ৯০% চলে যায় গ্রামে। তার মানে হল , এই ৯০% লোকের বাড়ি আসলে গ্রামে। তারা পড়াশোনা বা কাজের জন্য ঢাকা শহরে এসেছে, আসতে বাধ্য হয়েছে।
০২) যারা ঢাকায় ঈদ করে তারা আসলে ঢাকার মানুষ। এরাই ঢাকা শহরের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মালিক। তার মানে হল, ঢাকা শহরের বেশির ভাগ জমি, দালাল কোঠা ও অন্যান্য স্থাপনার মালিক খুব অল্প সংখ্যক মানুষ। হতে পারে সেটা মাত্র ১০% মানুষ। এই ১০% মানুষই ঢাকা শহরের শতভাগ সম্পত্তির মালিক। আর ৯০% মানুষ ঢাকা শহরে মূলত তেমন কোন সম্পত্তি করতে পারে নি।
০৩) যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তাদের গ্রামেই করতে পারত, ঢাকা শহরে থাকা বেশির ভাগ মানুষ ঢাকা শহরে আসত না। গ্রামে তার উপযোগী কোন কাজের ব্যবস্থা নেই বলে বাধ্য হয়ে ঢাকায় চলে এসেছে সে। তার মানে হল, আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে গ্রামে গ্রামে সম্মানজনক ও উপযোগী কর্মের সংস্থান করতে পারি, ঢাকা শহরের অনেক লোক স্থায়ীভাবে গ্রামে চলে যেতে পারবেন।
০৪) কেবল কর্মসংস্থান নয়, শিক্ষার জন্য ভালো স্কুল-কলেজ ও চিকিৎসার জন্য ভালো হাসপাতাল থাকলে গ্রামের মানুষকে শহরে আসতে হত না। পাশাপাশি যোগাযোগের জন্য রাস্তাঘাটও থাকা দরকার।
০৫) এবার বলা যাক, কিভাবে গ্রামের মানুষকে গ্রামে রাখা সম্ভব। প্রথমেই উপজেলা পদ্ধতিটাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় একটা আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলতে হবে। গড়ে তুলতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুল। প্রতি অর্থ বছরে ১০টা উপজেলাকেও এই বিশেষ উন্নয়নের আওতায় আনলে ৫০ বছরে সারা দেশ উন্নত হয়ে যাবে।
০৬) এবার আসা যাক কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে। এটাও গ্রামে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ধরেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানী খাত হল তৈরি পোশাক। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো অনায়াসে গ্রামে করা যেত। কারণ গার্মেন্টেসের বেশির ভাগ শ্রমিক গ্রামের মানুষ। ভালুকার দিকে গ্রামের মধ্যে কিছু গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি হয়েছে। ফলে গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখনও রপ্তানী খাতের যে কোন ফ্যাক্টরি গ্রামে করা সম্ভব।
০৭) আইটি খাত নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করা বাকি। আইটি খাতের ফ্রি ল্যান্সারদের জন্য শহরের বসবাস করা জরুরী না। কিন্তু কথা আছে। গ্রামে ইন্টারনেট পৌছাতে হবে। তার আগে দূর করতে হবে লোডশেডিং। তাহলে গ্রামে বসেই একজন ফ্রি ল্যান্সার ডলার কামাতে পারবে।
অনেকে বলবেন, অনেক বেশি স্বপ্ন দেখছি। আসলে এটাই হওয়া উচিত ছিল অনেক আগে। তাহলে ঢাকা শহরে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে নাকাল হতে হত না। একটা ঘিঞ্জি ঘরে দিনের পর দিন জীবনযাপন করতে হত না । বাবা মা ভাই বোন ছেড়ে একা একা ঢাকা শহরে পড়ে থাকতে হত না। গ্রামের সুন্দর পরিবেশে থেকেই মানুষ একটা সুন্দর জীবনযাপন করতে পারত।
আমরা যদি এখনও পরিকল্পনা করি, আগামী ৫০ বছর পর ঢাকা শহরের বাইরে সারা দেশে সব সুযোগ সুবিধা ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। আমরা কি এই কাজটা শুরু করব ? নাকি কেবল ঢাকার উন্নয়ন করেই ভাবব দেশের উন্নয়ন হয়ে গেছে ?
সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়ছি। ভালো লাগলো আপনার চিন্তাগুলো। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: লেখাজোকা শামীম ,




অনেকদিন পরে এলেন ।
আপনার ৩ , ৪ ও ৫ এর বিষয়ের সাথে জোরের সাথে সহমত ।

ঈদ শুভেচ্ছা রইলো ।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহ্ তাআলার অশেষ রহমতে আরেকটি পবিত্র রমজান মাস পালন করার সুযোগ পেলাম। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। সবার জীবন আনন্দে ভরে উঠুক। সুখী ও সমৃদ্ধ হোক। ঈদ মোবারক

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

সৈয়দ তাজুল বলেছেন:

ঈদের শুভেচ্ছা প্রিয়।

খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা লেখলেন।

দু'আ করি নির্বোধদের জন্য; আজ দু'আ কবুলের রাত

৫| ১৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা । সুন্দর শেয়ার । পুরো দেশের উন্নয়ন হওয়া উচিৎ ।শুধু ঢাকার উন্নয়ন হলে তো হবে না ।

৬| ১৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা

৭| ১৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: দারুণ বলেছেন ভাইয়া। তবে এগুলো নিয়ে যারা কাজ করবে তাদের মাথায় এসব চিন্তা চেতনা রয়েছে বলে আমার মনে হয়না। ঐ যে বললেন, ঢাকার উন্নয়ন করেই ভাবছে দেশের উন্নয়ন হয়ে গেছে। তবে এমন উন্নয়ন হচ্ছে যে সেই ঢাকাতেও বৃষ্টি এলে বন্যা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছাসহ ভালোবাসা জানবেন ভাইয়া।
ঈদ মোবারক!

৮| ১৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঈদ মোবারক :)

বেড়ালের গলায় ঘন্টাটা কেউ বাঁধতে চায়না। ফলে স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যায়!
দেশ নিয়ে কোন দলেরই মাষ্টার প্লান নেই! আমজনতার স্বার্থেতো নয়ই!
আছে স্রফ ক্ষমতা আকড়ে থাকা আর পাবার ডেডিকেশন!
নইলে এগুলো বাস্তবায়ন কঠিন কোন কাজ নয়।

শুনবে কে?

আবারো ঈদের শুভেচ্ছা

৯| ১৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঈদ মোবারক

১০| ১৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নিশি মানব বলেছেন: আপনি যেমন এ চিন্তাটা ধারন করেন, এরকম চিন্তাটা সরকারের প্রতিটি কর্মকর্তা, মন্ত্রী, সচিব, প্রশাসক সকলেই ধারন করে। কিন্তু কেউই সে চিন্তাটা বাস্তবায়ন করতে চায়না কারন সকলেরই কম বেশী একটানা একটা স্বার্থ থাকেই। তারা সব সময় আমি আমি করেন। কেউ আমরা হতে চায়না। যারা আমরা হতে চান, তাদের আরেকটা আমরা গ্রুপ তৈরী হয়ে যায়। এরাই প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করেন। প্রয়োজনে নীল নকশা আকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.