নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি হুমায়ূন আহমেদ হতে চেয়েছিলাম

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭




এই কথাটা শুনেই অনেকে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসবেন। কিন্তু আমার মনে হয়, শুধু আমি না, আমার প্রজন্মের যারা পড়ুয়া ছিলেন, তারা সবাই কোন না কোন সময় হুমায়ূন আহমেদ হতে চেয়েছেন। তার লেখার যাদু সব পাঠককে একজন হুমায়ূন হতে প্রলুব্ধ করে।
একটা সময় ছিল যখন ইমদাদুল হক মিলন হুমায়ূন আহমেদের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। তখন বই কেনার পাশাপাশি বই ভাড়া নিয়ে পড়ার প্রচলন ছিল। আমার বোনেরা গল্পের বই পড়তেন। বইয়ের তালিকায় অনেক বইই ছিল। তবে সবচেয়ে বেশি ছিল দস্যু বনহুর। তারপর মাসুদ রানা। আর ইমদাদুল হক মিলনের বই। প্রতি বইয়ের ভাড়া দুই টাকা। এক সপ্তাহ রাখা যেত। আমার শৈশব ভরে ছিল এই সব বই পড়ার অভ্যাস।
সেই সময়ে হুমায়ূন আহমেদের নাটক 'এই সব দিন রাত্রি' জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাত আটটার সংবাদের পর সবাই টিভির সামনে বসে পড়ে। আর যখন 'কোথাও কেউ নেই' প্রচার হতে শুরু করল, তখন পথঘাট খালি হয়ে যেত। মনে হত শহরে কার্ফু দিয়েছে।
কলেজে পড়ার সময়ে লেখক হওয়ার বাতিক ছিল বলে বিভিন্ন সাহিত্য সভায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রায় সব সাহিত্য সভায় হুমায়ূন আহমেদের লেখাকে সস্তা ও ফালতু বলে অভিমত দিতেন সভায় উপস্থিত তথাকথিত লেখকবৃন্দ। আমি বয়সে ছোট ও অনভিজ্ঞ বলে তাদের এই সব কথার প্রতিবাদ করতে পারতাম না। আবার কখনও কখনও ভাবতাম, আমি হয়তো পাঠক হিসেবে খুবই সস্তা বলে হুমায়ূন আহমেদকে পছন্দ করি। এখন ভাবতে ভালো লাগে, সেই সব পণ্ডিত লেখকরা কালের আবর্তে হারিয়ে গেছেন, কিন্তু সেই 'সস্তা' হুমায়ূন আহমেরদ আজও পাঠকের মনে বেঁচে আছেন।
নিজে খুব বেশি লিখতে পারি নি। অল্প কিছু গল্প ও 'নাটকের মেয়ে' নামে একটা অতি সস্তা প্রকাশিত উপন্যাস দিয়ে আমার লেখালেখি শেষ। কিন্তু খেয়াল করেছি, আমার সমস্ত লেখায় হুমায়ূন আহমেদের মারাত্মক প্রভাব আছে। বলা যায়, নিজের অজান্তেই তাকে গুরু মেনে বসে আছি।
এখন বুঝি, লেখক হতে হলে অন্য লেখকের প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। লিখতে হয় নিজের মতো করে। নিজের অলসতার কারণে সেই নিজের মতো করে আর লেখা হল না। আর কোন দিন হবে কি না জানি না।
তবে একটা জিনিস খুব ভালো লাগে। সেই 'সস্তা' হুমায়ূন আহমেদ এখন আর 'সস্তা' নন। তিনি এখন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম স্মরণযোগ্য লেখক।
আমাদের দেশে বেঁচে থাকাকালীন মেধাবীদের অপমান অপদস্ত করা হয়। এই অপমান অপদস্ত হজম করে যারা কাজ করে যেতে থাকেন, তারাই এক সময় সফল হন। সবার এই রকম মনের জোর থাকে না। তবে একটা কথা সত্য, যেই মেধাকে আমরা তার জীবিত থাকার সময়ে সম্মান করি নাই, মরার পর তাকে মহান বানানোর জন্য আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কত রগড় করি।
হুমায়ূন আহমেদ হচ্ছেন সেই বিরল প্রতিভা, যিনি তার জীবদ্দশায় সম্মান ও ভালোবাসা পেয়ে গেছেন।
আজ তার ৭০তম জন্মদিন। ভালোবাসা, প্রিয় লেখক।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

বিজন রয় বলেছেন: আপনি এত দিন কোথায় ছিলেন?
আবার কোথা হতে উদয় হলেন?

ভাল আছেন নিশ্চয়ই।
নিয়মিত হবেন?

নতুনরা তো আপনাকে চেনেই না!!!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এত দিন লিখতে ইচ্ছা করে নাই। আমি তো আর পেশাদার লেখক না। শখের বশে মাঝে মাঝে লিখি। কে কাকে চেনে বা না চেনে তাতে কিছু যায় আসে না।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হুমাযূন জাদু ভুলতে পারা সহজ নয়।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

বনসাই বলেছেন: শামীম ভাই, অনেক দিন পর ব্লগ লিখলেন মনে হয়; আসলে তিনি ছিলেন বলেই বাঙ্গালী একটু একটু পড়তে শিখেছে, পাঠক হয়েছে। বই কেনা আরম্ভ করেছে। দুই টাকায় বই ভাড়া- খুব দারুন ব্যাপার ছিল; না কিনেই কত বই পড়া যেতো তখন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মেলা দিন পর লিখলাম। আজকাল ব্লগে লিখতে ইচ্ছা হয় না। সময়ও পাই না তেমন একটা।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

বিজন অধিকারী বলেছেন: দারুন লেখা, তবে আপনি লেখালেখি চালিয়ে যান, মনটাকে প্রফুল্ল রাখতে পারবেন সারা জীবন

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আমি বই পড়া শুরু করেছি হুমায়ন সাহিত্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই ।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের বা বাঙালীর ইতিহাসের সবচে জনপ্রিয় মানুষটির নাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জীবনে একটি নাতিদীর্ঘ উপন্যাস রচনার মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য জীবনের শুরু। এই উপন্যাসটির নাম নন্দিত .... হুমায়ূন আহমেদের তুমুল জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক কোথাও কেউ নেই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা রেদওয়ান রনি নির্মাণ করেন সাত পর্বের একটি মিনি-ধারাবাহিক বাকের ভাই, হিমু।হুমায়ূন আহমেদ বহু গল্প বিচিত্র মানুষের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছেন।
আসুন আমরা হুমায়ন সাহিত্য থেকে অনুপ্রাণিত হই।

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ জন্মদিন স্যার।
আপনার একজন ভক্ত, যার চোখে আপনি মহাপুরুষ।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২

বিজন রয় বলেছেন: কে কাকে চেনে বা না চেনে তাতে কিছু যায় আসে না।................. কিন্তু আমার যে যায় আসে। তাই আপনাকে এখনো মনে রেখেছি।

আর আমার যে মানুষের সাথে বসবাস, তাই মানুষের অনেক কিছুতেই যে আমার যায় আসে!!!

শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.