নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনন্তকালব্যাপী এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় লাভ কাদের ?

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১০:১০



বেহেশত পাব আমি, তার জন্য অন্য আরেকজন এত পেরেশান কেন ? কারণ মার্কেটিং করলে তারও কমিশন আছে। এই কমিশনের লোভ কারও পক্ষে এড়ানো সম্ভব না। এই মার্কেটিং পলিসি পৃথিবীব্যাপী ধর্মের ব্যবসা খুলে বসেছে।
কিন্তু ধর্মের ব্যবসায় যত লাভ, তার চেয়ে অনেক বেশি লাভ ধর্মের সঙ্গে যখন রাজনীতি এসে মেশে। তখন বিনা পুঁজিতে বিপুল জনসমর্থন পাওয়া যায় এবং সাম্রাজ্য জয় করা যায়। কোন কারণ ছাড়াই একদল মানুষকে আরেকদল মানুষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়া যায়। যারা পার্থিব কোন কারণে কখনও শত্রু ছিল না, তাদেরকেও চিরস্থায়ী শত্রু বানিয়ে ফেলা যায়।
ফলে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা এবং সাম্রাজ্য বাড়ানোর পক্ষে কুযুক্তি মগজে ঢোকানো খুব সহজ হয়। এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় লাভ হয় ধনী অস্ত্র ব্যবসায়ীদের, ধূর্ত রাজনীতিবিদদের এবং ধর্মজীবীদের। মারা যা খাওয়ার পুরোটাই যায় গরীব সাধারণ মানুষের। কিন্তু ধর্মের আফিম গিলিয়ে তাদের ধর্মান্ধ বানিয়ে চির দিনের জন্য গোলাম বানিয়ে ফেলা সম্ভব। ফলে তারা সব সময় তার তথাকথিত বানানো প্রতিপক্ষকে অনর্থক ঘৃণা করে এবং যুদ্ধকে সমর্থন করে সাম্রাজ্যবাদীদের সহায়তা করতেই থাকবে।
সারা পৃথিবীতে ধর্মের সংখ্যা ৪৩০০ টি। তার মধ্যে আব্রাহিমীয় তিনটি ধর্ম সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার ঢাল হিসেবে চমৎকারভাবে ব্যবহার করা যায়। এই ধর্মগুলো যুদ্ধ চায় বলেই ধূর্ত রাজনীতিবিদদের কাছে এই ধর্মগুলো প্রিয়। কারণ যুদ্ধ না হলে সাম্রাজ্য বিস্তার করা যায় না। এগুলো যতটা না ধর্ম, তার চেয়ে অনেক বেশি সাম্রাজ্য বিস্তারের হাতিয়ার। প্রতিটি ধর্মের মধ্যে সাম্রাজ্য বিস্তারের পক্ষে কুযুক্তির অভাব নাই। ফলে এগুলো অন্য দেশ দখল করার পক্ষে ব্যবহার করা খুব সহজ।
একই স্থান (জেরুজালেম) তিন ধর্মের লোকের কাছে ঈশ্বরের নাম দিয়ে বেচে দেয়া হয়েছে। অনেকটা একই নারীকে তিন পুরুষের কাছে বিয়ে দেয়ার মতো। স্বভাবতই যুদ্ধ লাগবে এবং প্রচুর রক্তপাত হবে। এই যুদ্ধের কোন শেষ কখনও হবে না। আজকে এক পক্ষ জিতছে এবং অপরপক্ষ হারছে। কোন এক প্রজন্মে এসে অন্য পক্ষ জিতবে। সাম্রাজ্য বিস্তারের পক্ষে ধর্ম ও রাজনীতি মিলেমিশে একাকার বলে এই যুদ্ধের পক্ষে সব সময় মানুষ পাওয়া যাবে। নিজেরাও মরবে, অপরকেও মারবে। আর লাভ হবে সারা পৃথিবীর অস্ত্র ব্যবসায়ীদের। ধর্ম ও রাজনীতিকে ব্যবহার করে তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ব্যবসা করে যাবে। এই খেলার কোন শেষ নাই।
ধর্মের আফিম গিলিয়ে এবং জাতীয়তাবাদ উস্কে দিয়ে বড় বড় অস্ত্রের ব্যবসায়ী রাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটি করা হয়েছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল রাখার জন্য। যুদ্ধকে ব্যবসা হিসেবে চিরস্থায়ী রূপ দেয়ার জন্য। এই ব্যবসার পক্ষে ধর্মের কুযুক্তি ব্যবহার করে বলা হচ্ছে 'দ্যা প্রমিজ ল্যান্ড'। তারা তাদের সংসদের সামনে লিখে রেখেছে সেই আয়াত - হে ইসরাইল, তোমার সীমানা নীল নদ থেকে ফোরাত পর্যন্ত। সেই প্রমিজ ল্যান্ডের জন্য ইহুদীরা শতাব্দীর পর শতাব্দী যুদ্ধ করে যাবে। পৃথিবীর বড় বড় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা তাদের ল্যাবরেটরি হিসেবে এই 'প্রমিজ ল্যান্ড' ব্যবহার করবে এবং তাদের ডেমো বানাবে আরবদের খুন করতে করতে।
কিন্তু এই পাশা খেলায় ইহুদীরা এক তরফা জিতবে তার কি কোন গ্যারান্টি আছে ? কোন দিন কি পাশার ছক উল্টাবে না ? তখন ? সুতরাং যুদ্ধ থামবে না। ধর্ম, রাজনীতি, বিজ্ঞান, ব্যবসা --- সব কিছু যখন যুদ্ধের পক্ষে, তখন যুদ্ধ থামবে কেন ?
ধর্মের চশমা পরা চোখ দিয়ে এই সমস্যার কোন সমাধান কোন দিনও হবে না। ধর্মের চশমা সব সময় নিজেকে ও নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ এবং অপর ধর্ম ও তার অনুসারীদের ঘৃণিত বা অভিশপ্ত হিসেবেই আমাদের দেখাবে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন ইহুদী লোক দেখেছেন, যেই লোক আপনার থেকে কম বুদ্ধিমান? আপনে বুঝতেছেন যে, কৌশলে ইহুদীদের যুদ্ধে লিপ্ত করা হয়েছে, আর আপনার থেকে বুদ্ধিমান ইহুদীরা উহা বুঝে না?

আপনার চাকুরী আছে, নাকি পরিবারের হোটেলে আছেন?

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কেবল ইহুদী কেন সব ইব্রাহিমীয় ধর্মে যুদ্ধ করা বিরাট সওয়াবের কাজ। বিধর্মী খুন করা বিরাট সওয়াবের কাজ। বুদ্ধিমান বলে কি মানুষের লোভ থাকবে না ? বেহেশতের লোভ ও সাম্রাজ্যের লোভ সবার আছে। টাকা, ক্ষমতা এবং প্রতিপত্তির লোভ মানুষের মধ্যে চিরন্তন।

২| ১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি এখন এটা সেটা বলে ক্লান্ত হয়ে যাবেন; আপনি যা যা বুঝেন, একজন ইহুদী কি আপনার চেয়ে কম বুঝেন? আপনি সো্যাবের জন্য যুদ্ধে যাবেন?

আপনি যদি যা যাওটার সম্ভাবান থাকে, একজন ইহুদী সওয়াবের জন্য যু্দ্ধে না যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অনেক বেশী। আমার ধারণা, যেকোন ইহুদী আপানার থেকে গড়ে বেশী জানে।

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক।

৩| ১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:১১

কামাল১৮ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন।ধর্মথেক্ বেরিয়ে আসলেই সম্ভব দুনিয়াকে মানুষের বস বাসের উপযোগি করা।যেটা করেছে নরওয়ে ,সুইডেন ও ডেনমার্ক সহ আরো কিছু দেশ।আমরা আছি বস্তাপচা মতাদর্শ নিয়ে।

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৩১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধর্মের অনেক উপকারী দিক আছে। কিন্তু এক ধর্মমতের অনুসারীরা অন্য ধর্মমতের অনুসারীদের ঘৃণা করে। এই ঘৃণা উস্কে দেয় দাঙ্গা এবং যুদ্ধ। এই দাঙ্গা ও যুদ্ধে আলুপোড়া দিয়ে খায় ধূর্ত অস্ত্র ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও ধর্ম ব্যবসায়ীরা।

৪| ১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন।ধর্মথেক্ বেরিয়ে আসলেই সম্ভব দুনিয়াকে মানুষের বস বাসের উপযোগি করা।যেটা করেছে নরওয়ে ,সুইডেন ও ডেনমার্ক সহ আরো কিছু দেশ।আমরা আছি বস্তাপচা মতাদর্শ নিয়ে।

সম্পূর্ন সহমত।

৫| ১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: অনেক দরকার নেই।ধর্মের একটা উপকার দেখান,যেটা ধর্ম ছাড়া মানুষ পারে না।আর আমি আপনাকে হাজারটা অপকার দেখাবো।

১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:১৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: জাপানী ইকিগাই সম্পর্কে জানার পর মনে হয়েছে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান আসলে ওটাই। যদিও ওটা ধর্ম নয়। ধর্ম ছাড়াও মানুষ ধর্মের সবগুলো উপকার পেয়ে জীবনযাপন করতে পারে। সম্ভব।

৬| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১:৫৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধর্ম ব্যবসায়ের মাধ্যমে লাভ হবে আল্লামা-শফি/বাবুনগরী গংদের, দেওয়ানবাগীদের - এরা ফুলে ফেঁপে বিশাল সাম্রাজ্য গঠন করবে ইহলৈকিক জগৎ ভোগ করার জন্য।
ধর্ম ব্যবসায়ে লাভ হবে আল্লামা নরেন্দ্র মোদী গংদের, বেকুব ধর্মান্ধদের দাসদাসী বানিয়ে আর সংখ্যালঘুদের বিতাড়িত করে দীর্ঘদিন শাসন করবে আর আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলবে।
ধর্ম ব্যবসায়ে লাভ হবে ইভাঞ্জেলিস্টদের, অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে হিংসা-দ্বেষ ছড়িয়ে পুঁজিবাদের চরম উন্নতি সাধন করবে নিজেদের জন্য।
ধর্ম ব্যবসায়ে লাভ হবে মধ্যপ্রাচ্যের বাদশাহদের। জনগণের সম্পদের সিংহভাগ লুটেপুটে ফ্রান্স আর বেলজিয়ামে গিয়ে মত্ত হবে ভোগবিলাসে।
লক্ষ্য করে দেখুন সম্পদ লুট আর ভোগের বিষয়ে সব রসুনের কোয়া কিন্তু এক |

১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:৩০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: একদম সত্যি কথা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.