নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনালি সময় মানে হতে পারে সোনালি ভবিষ্যৎ

২০ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৩৪


চলচ্চিত্রের সোনালি সময় বলে একটা কথা খুব প্রচলিত। পৃথিবীর সব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এই কথাটা বলা হয়। অতীতের জন্য মানুষের মধ্যে একটা হা হুতাশ থাকেই। বিশেষত শৈশবের স্মৃতি মানুষকে খুব আবেগে আপ্লুত করে। কিন্তু জীবন গতিশীল এবং সেটা ভবিষ্যতের দিকে। আমরা চাইলেও আর কখনও অতীতে ফিরে যেতে পারব না।
আমাদের দেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকে বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রের সোনালি সময়ে ফিরে যেতে হবে। আবেগ দিয়ে বিবেচনা করলে কথাটার অনেক মূল্য আছে। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলে বোঝা যায়, এই কথার আসলে কোন দাম নাই। সোনালি সময় আর কখনও ফিরে আসবে না।
বরং আমাদের সোনালি ভবিষ্যতের জন্য কাজ করা উচিত। মোটা দাগে, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, মেধাবী পরিচালক না থাকা এবং যথেষ্ঠ সংখ্যক সিনেপ্লেক্স না থাকা। প্রযোজকের সংকটও প্রকট। তবে মেধাবী পরিচালক থাকলে সেই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
আমাদের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট লোকজনের ভবিষ্যৎমুখী পরিকল্পনা খুব একটা নাই। দেশের আনাচে কানাচে প্রচুর মেধাবী গল্পকার ছড়িয়ে আছেন, যাদেরকে সুযোগ করে দিলে ভালো চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবেন। কিন্তু সেই সুযোগ করে দেয়ার মতো বড় প্রযোজনা সংস্থা বা প্রযোজক আপাতত নেই।
অন্য দিকে সিনেপ্লেক্স বানাতে প্রচুর টাকা লাগে। এত টাকা বিনিয়োগ করে এই খাত থেকে লাভসহ টাকা ফেরত পাওয়া খুব কঠিন। তবে পরিকল্পনা করে বিনিয়োগ করলে এই খাত থেকেও প্রচুর লাভ করা সম্ভব। কারণ আমাদের দেশে প্রচুর জনসংখ্যা। এদের মধ্যে বেশির ভাগই তরুণ। তার মানে হল, আমাদের সিনেমা দেখার প্রচুর দর্শক আছে।
সিনেমার সোনালি সময়ে সিনেমা হলের মালিকরা সিনেমা নির্মাণের জন্য ভালো ভালো পরিচালকদের পেছনে লগ্নি করতেন। অনেক পরিচালককে অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখতেন। নামজাদা পরিচালক ও প্রযোজকদের প্রায় বিনিয়োগ করা লাগত না।
সিনেপ্লেক্স কোম্পানিরও সিনেমা প্রযোজনায় বিনিয়োগ করতে হবে। যারা ইন্ডাস্ট্রিতে পরীক্ষিত মেধাবী তাদের পেছনে নিশ্চয়ই বিনিয়োগ করা যায়।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

অধীতি বলেছেন: আগের তুলনায় এখনকার ছবিগুলো বেশ লাগে। মাঝে কয়েকটা ছবি অনেক ভাল লাগছে। উনপঞ্চাশ বাতাস।

২| ২০ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রতিভাবান চলচ্চিত্র নির্মাতা কেন আমরা পাচ্ছি না এটা নিয়ে গবেষণা করা উচিত। প্রতিভা টাকা পয়সা দিয়ে বা জোর ক'রে তৈরি করা যায় না। তবে অনুকুল পরিবেশে সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়। চলচ্চিত্র নির্মাণে অনেক টাকা লাগে। ফলে হয়তো অনেক প্রতিভাশালী মানুষও টাকার অভাবে আগাতে পারছেন না। সরকার থেকে নাকি অনেক সময় চলচ্চিত্রের জন্য অর্থ দেয়া হয়। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই স্বজনপ্রীতি বা অন্য কারণে উলু বনে মুক্তা ছড়ানো হয়।

৩| ২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: যেই দেশে ডিপজল নায়ক প্রযোজক হয়, সেখানে আপ্নি কী আশা করেন?

৪| ২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের দর্শকদের কিছুটা উন্নতি হলেই দেশের চলচিত্র বদলাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.