নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন শাসন ব্যবস্থা ভালো ?

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৫


ইসলামী শাসন এবং কমিউনিস্ট শাসনে কয়েকটা মিল আছে। যেমন : শাসক আজীবন ক্ষমতায় থাকে। জনগণের পছন্দ না হলেও শাসক বদলানোর কোন পদ্ধতি নাই। শাসক মরে গেলে আরেকজন শাসক নির্বাচিত হবে। শাসক বদলানোর একমাত্র নিয়ম হল শাসকের মৃত্যু। কোন মেয়াদ নাই। শাসক নির্বাচনে জনগণের কোন অংশগ্রহণ নাই। বাক-স্বাধীনতা বলে কিছু নাই। সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলার কোন সুযোগই নাই। বিরোধী দল বলে কিছু নাই। সবাই একটা দল। শাসক, সরকার বা দলের বিরুদ্ধে কিছু বল্লেই কল্লা থাকবে না। সীমিত গণমাধ্যম থাকে, তবে সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলার মতো কোন গণমাধ্যম থাকে না। এমনকি অনেক দেশের কোন খবর বাইরের দুনিয়া জানতে পারে না। সরকার খবর সেন্সর করে দেয়।
দুই পদ্ধতির মধ্যে অমিলও আছে। যেমন : কমিউনিস্ট শাসনে নারী-পুরুষ সবাই সমান। নারী পুরুষ সবাই কাজ করে খাবে। সবাইকে খাইট্টা খাইতে হবে। সবই রাষ্ট্রের সম্পদ, জনগণের ব্যক্তিগত সম্পদ বলে কিছুই নাই। ইসলামী শাসনে মহিলারা ঘরে থাকবে। নারীদের শিক্ষাও নাই, কাজ করার সুযোগ তো দূরের কথা। স্বামী কামাবে, স্ত্রী-সন্তানরা খাবে। জনগণের ব্যক্তিগত সম্পদ আছে। তবে সব ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রমও আছে। অনেক ইসলামিক দেশে নারীরা শিক্ষা ও কাজের সুযোগ পায়।
ইসলামী শাসন ও কমিউনিস্ট শাসন অনেক সময় রাজতন্ত্রে রূপ নেয়। দেখা যায়, রাজার মতো পরবর্তী শাসক তার পুত্র বা কন্যা হয়। রাজতন্ত্রের মতোই উত্তরাধিকার নির্বাচিত হতে থাকে। এই রকম হলে বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম বলে কিছুই থাকে না।
অন্য দিকে, গণতন্ত্রে শাসক বদলানোর ক্ষমতা জনগণের হাতে। শাসক একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারে। তারপর ইচ্ছা করলে জনগণ শাসক বদলাতে পারে। এই মেয়াদ কোন দেশে ৫ বছর, কোন দেশে ৪ বছর। বাক-স্বাধীনতা আছে। বিরোধী দল আছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল সরকারকে ধুয়ে দিতে পারে। ব্যক্তিগত সম্পদও আছে। শিক্ষা ও কাজ করার সুযোগ সবারই আছে। গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করা যায়।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে বেশি জনপ্রিয় গণতন্ত্র। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি নাগরিক সুযোগ সুবিধা আছে এমন এমন ১০টি দেশের তালিকা করলে দেখা যায়, সবগুলো দেশই গণতান্ত্রিক। এমনকি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি অভিভাসন প্রত্যাশী ১০টি দেশের তালিকা করলেও দেখা যায়, সবগুলো দেশই গণতান্ত্রিক।
পৃথিবীর একমাত্র দেশ চীন যেখানে একই সঙ্গে দুটি শাসন পদ্ধতি আছে। চীনের মূল ভূখণ্ডে কমিউনিস্ট শাসন। অন্য দিকে হংকং-এ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। পৃথিবীর অনেকগুলো দেশে রাজা থাকলেও রাজার হাতে কোন ক্ষমতা নাই। রাষ্ট্রপ্রধান রাজা হলেও নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে এবং প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিক পন্থায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়।
কোন প্রকার শাসন ভালো বলা মুশকিল। একেক দেশের জন্য একেক রকম শাসন পদ্ধতি কার্যকর হয়। তবে একটা কথা বলা যায়, শাসক যদি সৎ, যোগ্য ও মানবিক হয়, তবে যে কোন শাসন পদ্ধতিই জনগণের জন্য উপকারী হতে পারে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩৮

বিষক্ষয়_রিটার্নস বলেছেন: এমন ভাবে কইলেন বিনা ভোটের আওয়ামীলিগের সরকারকে চাইলেই বাংলাদেশের মানুষ চেন্জ করে ফেলতে পারবে........................আফগান-তালেবানের গনতন্ত্র-মানবাধিকার নিয়া বাংলাদেশীদের চিৎকারে একটা কথাই মনে পরে "সুই বলে ছাকনি তোর সারা গা ভর্তি ফুটা, নিজের পাছায় যে বিশাল ফুটা সেই খবর নাই"

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:০৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: গণতন্ত্রে তবুও কথা বলতে পারেন। অন্য তন্ত্রে কথাও বলতে পারবেন না। কল্লা নগদে চলে যাবে।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


চীনে কি কম্যুনিজম চলছে? আমার তো মনে হয়, ওখানে জাতীয়তাবাদী গলাকাটা ক্যাপিটেলিজম!

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:০৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অফিসিয়ালি কমুনিজম। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পদের মালিক হওয়া যায়।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটি দেশ কোন পদ্ধতিতে চলবে সেটা সেই দেশের জনগন ঠিক করে।

আমি চাই একদিন সারা পৃথিবী একটাই দেশই হবে।
দেশ প্রদেশগুলি ভাষা সংস্কৃতি অনুযায়ী আমেরিকান স্টেটের মত পৌর সিটির মত ভাগ ভাগ হয়ে নির্বাচিত নিজস্ব আইনি কাঠামোর ভেতরে নিজস্ব অর্থনীতিতে নিজ রিজনের খরচে চলবে। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ থাকবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে আলোচলার মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে সম্পদের সমবন্টনের চেষ্টা হবে। ধর্ম যার যার থাকবে, মসজিদ মন্দিরও থাকবে। প্রচার বা অনের উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না।
একদিন না একদিন হবেই।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:১১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভিসামুক্ত দুনিয়া সম্ভব। ইউরোপীয় ইউনিয়ন করেছে। পৃথিবীর সৌন্দর্য হচ্ছে ভিন্নতার বৈচিত্র্য। ভিন্ন মতকে কচুকাটা করার ইচ্ছা না থাকলে পৃথিবী অনেক বেশি শান্তির হত।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:২৫

জিকোব্লগ বলেছেন: দেশে কি তালিবান শাসন ব্যবস্থা চাচ্ছেন ?

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:১৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমাকে কি পাগলা কুত্তায় কামড়াইছে ? গণতন্ত্রের অনেক অসুবিধা আছে। পৃথিবীতে এখনও মানুষ নিখুঁত কোন শাসন পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারে নি। তারপরও এখন পর্যন্ত জনগণের জন্য গণতন্ত্র সবচেয়ে ভালো শাসন ব্যবস্থা। রাষ্ট্রের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি নাগরিক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় গণতন্ত্রে। অন্যান্য তন্ত্রে আপনি দাবীও জানাতে পারবেন না। কল্লাই থাকবে না।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩২

ঈশ্বরকণা বলেছেন: লেখাজোকা শামীম,
একটা সিনসিয়ার রিকোয়েস্ট । আপনার নিকটা চেঞ্জ করে পড়াশুনা শামীম করে ফেলুন আর ইসলাম আর অন্যান্য যা নিয়ে লিখতে চান সে সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করে দিন ।তারপর অবশ্যই লিখবেন কোনো অসুবিধে নেই। আপনার এই লেখাটা নিয়ে কোনো আলোচনা সমালোচনা করার কোনো অর্থ নেই । কারণ প্রথম প্যারাগ্রাফে ইসলামী শাসন নিয়ে যা যা বলেছেন তার সবটুকুই ভুল (পরের দিকে আর কি লিখেছেন সেটা আর পড়তে ইচ্ছে করতে করলো না শুরুর গলদের জন্য)। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু ইসলামিক দেশ নয় । একই ভাবে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া এমনকি মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো সম্পর্কেও এটা বলা যেতে পারে যে এরা পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামিক আইন অনুসারে পরিচালিত হয় না ।তাই এদের দেখে ইসলামী শাসন সম্পর্কে উপসংহার টানার যে চেষ্টা আপনি করেছেন সেটা ভুলতো বটেই আপনি যে এই বিষয়ে লেখার মতো পড়াশোনা করেননি সেটাও খুব পরিষ্কার । ইসলামের শাসন ব্যবস্থা বা কাঠামো নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করা যেতেই পারে কিন্তু আলোচনাটা সঠিক হওয়া দরকার । সঠিক না জেনে লেখাটা উচিত নয় শুধু ইসলাম না কোনো বিষয়েই। তাই এ নিয়ে আরো লেখার আগে নিকটা প্লিজ -----।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এই কথা শুনতে শুনতে বুড়া হয়ে গেলাম। আমি কম জানি। আপনি বেশি জানেন। চীন ছাড়া আমি কোন রাষ্ট্রের নামই উল্লেখ করি নি। আমি সিস্টেমগুলো সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা করেছি। এখানে কোনটা ভুল বলেছি, বলে দেন। আপনার কাছ থেকে শিখি।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় শাসক আজীবন ক্ষমতায় নাও থাকতে পারে। শরিয়া বিরোধী কোন কিছু করলে তাকে অপসারণ করা যায়। বাক স্বাধীনতা অবশ্যই আছে। কিন্তু বাক স্বাধীনতা বলতে আমরা ব্লগে যেমন বুঝি, আমি অশ্লীল কথা বলবো, গালাগালি করবো আমার খুশি মত, এই রকম বাক স্বাধীনতা না। ইসলামী সরকার শরিয়া বিরোধী কিছু বললে তার প্রতিবাদ করা যায়। এই ধরণের নজির অনেক আছে।

আমাদের জন্য নমুনা হোল খোলাফায়ে রাশেদিন। অন্য কেউ নয়। কারণ তাদেরকেই আমাদের রসূল (সা) সঠিকভাবে পথনির্দেশ প্রাপ্ত খলিফা বলেছেন। বাকিরা সঠিকভাবে পথনির্দেশ প্রাপ্ত ছিলেন না। বর্তমান সৌদি রাষ্ট্র কোন আদর্শ ইসলামী শাসনে চলে না। পৃথিবীতে বর্তমানে কোন আদর্শ ইসলামী শাসন নাই।

ইসলামী শাসনে মহিলাদের শিক্ষা নাই, এটা ভুল ধারণা। সৌদি আরবে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের শিক্ষার হার ৯৯.২৮%। গ্রাজুয়েশনের হারের দিকে থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। ২০১৪ সালের ৩৫,০০০ সৌদি মেয়ে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য গিয়েছে। তাদের মধ্যে ৫০% এর অধিক যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছে। ২০১৫ সালে সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রায় ৫২% নারী শিক্ষার্থী ছিল। ঐ বছর ১৬২২১ জন মেয়ে মাস্টার করেছে যার মধ্যে ১৭৪৪ জন পি এইচ ডি করেছে। ৫৭ টি দেশে মেয়েরা পড়তে গেছে। বেশী গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৩ সালে ১৫০৩২ জন নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৩২ জন ছিলেন প্রফেসর। আরব আমিরাতে ৯৫.৮% মেয়ে শিক্ষিত। অথচ ছেলেদের শিক্ষার হার ৯৩.১%।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

নতুন বলেছেন: কোন শাসন ব্যবস্থা ভালো ?


যেই শাসন ব্যবস্থায় জনগনের জন্য কাজ করে সেটা ভালো। বর্তমানে নেতারা রাজনিতি করে ব্যবসা হিসেবে। তাই তাদের লাভই আসল কথা।

দেশের জনগনের দেখাশুনার জন্য জ্ঞানী এবং ত্যাগী মানুষকে দায়ীত্ব দিতে হয়। আমাদের সমাজে ভালো মানুষ ক্ষমতায় যেতে পারেনা তাই ভালো শাসন ব্যাবস্থা আমাদের বর্তমান সমাজে দেখা যায় না।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীতে ধর্ম একদম নিঃশেষ হয়ে গেলেই পৃথিবী সুন্দর হয়ে যাবে।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ফরাসি বিপ্লবের পর ইউরোপে রাষ্ট্র ও ধর্মকে আলাদা করে ফেলা হয়। এই আলাদা করে ফেলায় আমরা আধুনিক গণতন্ত্র পেলাম। Click This Link

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫

ঈশ্বরকণা বলেছেন: শুধু মাত্র আপনার প্রথম প্যারাগ্রাফের বয়ান থেকে বলি ভুলগুলো (হাই লাইটগুলো আপনার কথা):

১. ইসলামী শাসন এবং কমিউনিস্ট শাসনে কয়েকটা মিল আছে। যেমন : শাসক আজীবন ক্ষমতায় থাকে।
ইসলামিক শাসনে শাসক আজীবন ক্ষমতায় থাকে এই আজগুবি কথাটা আপনার ইনোভেশন না কোনো হাইরোগ্লিফে লেখা পেয়েছেন ? ইসলামিক শাসক ততক্ষনই ক্ষমতায় থাকবেন যতক্ষণ কুরআন আর সুন্নাহ ধারণ করবেন ।এর থেকে বিচ্যুত হলেই গণ (Gone)। হজরত আবুবকর (রাঃ) খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হবার পরপরই মদিনার লোকদের লক্ষ্য করে যেই বক্তৃতাটা দিয়েছিলেন সেখানে পরিষ্কার ভাবেই বলেছেন যতক্ষণ আমি কুরআন আর সুন্নাহর পথে থাকবো ততক্ষনই আমি খলিফা । এই পথ থেকে বিচ্যুত হলেই আমি আর আপনাদের খলিফা নই । উপস্থিত সবাইকে সেই কোথায় সায় দিতে হয়েছিলো তার শর্তে । এগুলো কিন্তু ইসলামের লিখিত ইতিহাস । হাদিসের বইগুলোতেও এই ঘটনাগুলোর বর্ণনা আছে। তার মানে কি বলা যায় শাসক আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন যা ইচ্ছে তাই করলে সেটা কিন্তু ঠিক না ? বুড়ং ডেমোক্রেটিক গভর্নমেন্ট সিস্টেমেই অনেক সময় সেটা হতে পারে । এই যে ট্রাম্প এর বিরুদ্ধে রেপ কেস থেকে শুরু করে, সরকারি প্রভাব বিস্তার করে ব্যক্তিগত ব্যবসায়ে লাভ (যেটা আমেরিনাকে সংবিধান অনুযায়ী কঠিনভাবে নিষেধ), বিচারে বাধা দেওয়া, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এই ধরনের ইম্পিচএবল অভিযোগের পরেও তাকে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হবে ৰকাৰনে তাকে সরানো যায় নি । এর জন্য কি ঝামেলায় না এখন্স আমলাতে হচ্ছে আমেরিকার !

২. জনগণের পছন্দ না হলেও শাসক বদলানোর কোন পদ্ধতি নাই।
বুঝতেই পারছেন ওপরের কথাগুলো থেকে আপনার কথাটা সত্যি না । আর শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে আর সেটা সত্যি হলে অবশ্যই শাসক বদলানো যাবে । হজরত ওমর (রাঃ) হজরত মাবিয়াহকে (রাঃ) সিরিয়ার লোকদের অসুন্তুষ্টির অভিযোগের ভিত্তিতেই অপসারণ করেছিলেন । হজরত ওসমানও (রাঃ) তার সময়ে আর হজরত ওমরের (রাঃ)নিয়োগকৃত কয়েকজন আমিরকে পরিবর্তন করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার মানুষের অভিযোগ করার জন্য । আপনার ভুলগুলো ক্লিয়ার হলো না আরো বলতে হবে ?

৩. শাসক মরে গেলে আরেকজন শাসক নির্বাচিত হবে। শাসক বদলানোর একমাত্র নিয়ম হল শাসকের মৃত্যু। এনিয়ে আরো বলতে হবে ওপরে বলার পরেও ?

৪. কোন মেয়াদ নাই।
পৃথিবীর নানান দেশেই এমন কি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও সরকারের প্রধানের মেয়াদ নির্ভর করে নানা ফ্যাক্টরের ওপর। যেমন আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ভাবেই সরকার প্রধানের মেয়াদ আজীবন হতে পারে তাই না ? স্যার রবার্ট ওয়ালপোল ১৭২১-৪২ সালের মধ্যে মানে ২০ বছর, (হজরত ওমর (রাঃ) আর হজরত ওসমানের (রাঃ) সম্মিলিত সময়ের সমান বা কিছু বেশি সময়, ব্রিটিশ প্রাইমিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেন । জর্জ ওয়াশিংটনকে দ্বিতীয় বারের পর তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হবার অনুরোধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এফডিআর নির্বাচন ছাড়াই দুই টার্ম বেশি সরকার প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন ! পুরোনো হয়ে গেলো উদাহরণ গুলো ! তাহলে আধুনিক উদাহরণ দেই ঠিক আছে ? মার্গারেট থ্যাচার প্রায় তেরো বছর ব্রিটিশ প্রাইমিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেন এইতো সেদিন । আপনি জানেন কি না জানিনা, সাংবিধানিক ভাবে গণতন্ত্রের সূতিকাগার ব্রিটেনে সরকার প্রধান হিসেবে থাকার কিন্তু কোনো সাংবিধানিক টার্ম লিমিট নেই ।গণতন্ত্রের জন্য অদ্ভুত না ব্যাপারটা? আর সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে এখনো যেকোনো প্রাইম মিনিস্টার আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারেন সাংবিধানিক ভাবে ।মাঝে মাঝে গণতন্ত্রও অন্য সব তন্ত্রের মতোই তাই মঈন হচ্ছে না ? ইসলামেও নির্ধারিত মেয়াদ নেই সরকার প্রধানের । সংবিধান (মানে কুরআন আর সুন্নাহ) মেনে চললে তাকে পরিবর্তনের সুযোগ নেই কিন্তু সাংবিধানিক ভাবে শাসক নিজেকে অযোগ্য করে ফেললেই যে কোনো আধুনিক রাষ্ট্রের মতোই তাকে অপসারণ করা যাবে ।

৫. শাসক নির্বাচনে জনগণের কোন অংশগ্রহণ নাই। ইসলামের বিরুদ্ধে এই অসামান্য অপপ্রচারে আপনিও সামিল হয়ে গিয়েছেন মনে হচ্ছে না জেনে বা না বুঝেই ! ইসলামে শাসক নির্বাচনে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই সেটা আপনি কোথায় পেলেন ? প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের শুরুতো মনে হয় ইসলাম থেকেই । রাসূল (সাঃ) নিজেইতো তার পরে কোনো উত্তরাধিকারী মানে উম্মতের জন্য কোনো খলিফা নির্বাচিত করে যাননি তার সাহাবীরা নিজেদের মধ্যে থেকে নিজেরাই যেন যোগ্যতম লোককে খলিফা নির্বাচিত করতে পারে সেজন্য । খোলাফায়ে রাশেদীনের কোনো খলিফাই উত্তরাধিকার সূত্রে নির্বাচিত না । জনগণের মতামত নিয়েই তাদের অন্যান্যরা নির্বাচন করেন। এগুলোতো প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস নাকি সেগুলো পড়েননি ?

৫। বাক-স্বাধীনতা বলে কিছু নাই।
সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলার কোন সুযোগই নাই। এই যে আরেকটা গোয়েবলসীয় প্রচারনার কথা বললেন ইসলামের বিরুদ্ধে । বাক স্বাধীনতার মাত্রা নিয়ে যদিও অনেক মতবাদ আছে কিন্তু সেটা না আলোচনা না করেও ইসলামের ক্ষেত্রে এই অভিযোগ সত্যি না সেটা নিশ্চিন্তেই বলা যায় । আপনি কি জানেন হজরত ওমরের (রাঃ) বিরুদ্ধে তার আলখেল্লার কাপড় একটু বড় (মানে বেশি কাপড় দিয়ে বানানো) সেটা নিয়ে জুম্মার খুৎবার সময় প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিল একজন সাধারণ মানুষ । তখন জামাতে উপস্থিত হজরত ওমরের (সাঃ) ছেলে সাক্ষী দিয়েছিলেন বায়তুল মাল থেকে খলিফারজন্য নির্ধারিত কাপড় একটু ছোট ছিল দেখে উনি উনার কাপড় থেকে খলিফাকে কাপড় দিয়েছেন যাতে তার শরীরের সাথে আলখেল্লা মাপ মতো হয় ! ভাই এগুলো ইসলামের লিখিত ইতিহাস আর হাদিসের বইগুলোতেও এই ঘটনা বা তথ্যগুলো আছে । কোনো মনগড়া গল্প না । আর প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় হজরত আলীর বিরুদ্ধে খারিজীদের একটা প্রধান অভিযোগই ছিল উনি যুদ্ধ বন্দীদের ক্ষেত্রে কুরআনের নির্দেশ মতো ফায়সালা করেননি। জঙ্গে জামালের যুদ্ধের পরে এই অভিযোগ তারা করেছিল । তারজন্য কিন্তু তাদের ওপর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ।তার মানে বাক স্বাধীনতা ইসলামে আছেই । কল্পনাতীত বাক স্বাধীনতার সুযোগই দেয়া আছে । আপনার বিপরীত কোনো মন্তব্য থাকলে জানাবেন, কোনো অসুবিধে নেই ।

৬. বিরোধী দল বলে কিছু নাই। সবাই একটা দল।
বিরোধী দল থাকতেই হবে আর থাকলেই ভালো সেটা আপনি কোথায় পেলেন ? আমাদের দেশেতো বিরোধী দল, বিরোধী নেতা নেত্রী, হুইপ স্পিকার আরো কত কি আছে । তাতে গণতন্রের কি ঘন্টা উপকার হলো ? অনেক দেশেই জাতীয় সরকার থাকে প্রয়োজনে । সেটাতেই যদি উপকার হয় তাতেই বা অসুবিধে কি ? আমাদের দেশেওতো তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ই গণতন্ত্র সবচেয়ে বেশি কার্যকর থাকে । তখন কি বিরোধীদল থাকে নাকি ? ইসলামে নেতৃত্ব বা নেতৃত্বের অভিলাষী সবাইকেই কুরআন সুন্নাহ মানতে হবে পুরোপুরি । ইজমা বা কিয়াসের পার্থক্য থাকতে পারে। আর তাতে যদি বিরোধী দল না থাকে তাহলে সমস্যা কোথায় বুঝতে পারছি না । এটা কোনো শাসন ব্যবস্থার ডিফাইনিং ক্রাইটেরিয়া বলে ধরতে হবে কেন ?

শুধু মাত্র আপনার প্রথম প্যারাগ্রাফের থেকেই ভুলগুলো বলেছি । খানিকটা বলা গেলো ? বুঝতে পারলেন কিনা সেটাও ইম্পরট্যান্ট কিন্তু ।সেটা বলার ভার আপনার ওপরেই থাকলো । কিন্তু আমার মূল পয়েন্টটা বুঝলেন কি ? আর বুড়ো হবার দরকার নেই ।এখন আপনার জোয়ান হবার সময় আর তাই আরেকটু পড়াশুনা করে লিখুন কোনো সমস্যা নেই ।পুরো ব্যাপারগুলো না জেনে লিখলেই সমস্যা । চাও ।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: খুব চমৎকার একটি শাসন ব্যাবস্থা চীন চালাচ্ছে । ওর ফ্লাগ আর কতিপয় বিষয় ছাড়া আমরা উৎপাদন ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারি ।

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০২

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: কমেন্ট গুলা পড়লাম

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

তানভির জুমার বলেছেন: ইসলামী শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান একেবারে নিচে দিকে।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সেটা বুঝলাম। অন্যগুলো সম্পর্কে জ্ঞান আছে নাকি একেবারে মূর্খ ?

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০০

তানভির জুমার বলেছেন: গণতন্ত্রের নামে পৃথীবিতে সবচেয়ে বেশী ভাওতাবাজি চলে।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভাওতাবাজি সবগুলো শাসন ব্যবস্থাতেই আছে। সবগুলো শাসন ব্যবস্থারই বিকৃত রূপ আছে।

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৪

বিষক্ষয়_রিটার্নস বলেছেন: ক্ষমতাসিনদের পছন্দনা এমন কথা বইলা দেখেন .............সাংবাদিক কাজলের মতো থাপড়াইয়া কানের পর্দা ফাটাইয়া ফেলবে,অথবা কার্টুনিস্ট দুইজনের মতো পিটাইয়া কালশিটা ফালাইয়া দিবে অথবা শহিদুলের মতো পিটাই শোয়াইয়া ফেলবে, আর খাড়া হইয়া দাড়াইতে পারবেন না..........................জিহবা যেটা আছে সেটা শুধু চাটার কাজে মানে ক্ষমতাসিনদের পা চাটার কাজে ব্যাবহার করবেন

১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: *আপনাকে কেউ বলেনি লেখাটা দু'বার এসেছে।

আমার জানামতে ইসলামিক শাসন ব্যাবস্থার রাজতন্ত্রে কোন কোন রাজা বাদশার কন্যা ক্ষমতায় আসেনি।
আর কম্যুনিষ্ট বা সোশ্যালিষ্ট দেশ সোভিয়েত বা চীনে কখনো কারো সন্তান ক্ষমতায় আসেনি- নারী বা কন্যাতো দুরের কথা- এখানে কোনদিন কোন নারী দ্বারা শাসিত হয়নি। কিউবাতে দুই ভাই শাসন করেছে, সেটার একটা বিশেষ কারন ছিল। উঃ কোরিয়াতে অবশ্য এই ধারা চলছে।
বাকিগুলোর খবর ভাল করে জানতে হবে।

গনতন্ত্র ভাল অবশ্যই কিন্তু যার যার সুবিধা ধারা তৈরি করে ভজঘট পাকিয়ে ফেলেছে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: দুই বার এল কিভাবে বুঝলাম না।
একটা কথা আছে বাংলায়।
যে যায় লংকা, সে হয় রাবণ।
শাসক ভালো না হলে তন্ত্র ভালো হয়ে লাভ নাই।
দুষ্ট শাসক যে কোন তন্ত্রকে তার নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে ফায়েদা নিয়ে নেবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.