নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্নে সমুদ্র পারি দেওয়া ছেলেটি জেগে উঠে দেখে সে মাত্র বিছানার এপাশ ফিরে ওপাশে শুয়েছে মাত্র

অমিত বসুনিয়া

পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।

অমিত বসুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসিবের ব্রেকআপ

২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:২০

কয়েকদিন থেকেই সময়টা একেবারে খারাপ যাচ্ছে হাসিবের ।
বিভা কে একেবারেই সময় দিতে পারছে না সে। তার প্রধান কারন বাসার কিছু সমস্যা ,যেগুলো সে কারো সাথেই শেয়ার করতে চাচ্ছেনা । সে

কারো কাছে নিজের পরিবার কে ছোট করতে চায় না । এমন কি বিভার সামনেও নয় ।
এভাবে কেটে গেলো ১৭ দিন , বিভার সাথে দেখা করে নাই । হাসিব এখন নিজের মাঝেই নাই কিভাবে সে বিভার সাথে দেখা করবে ? কালকে

রাতে বিভার সাথে কথা হয়েছিলো আজকে তাদের দেখা করার কিন্তু সে ঘুম থেকে উঠলো দুপুর ১ টায় ! এভাবে আর চলে না । সে ফ্রেশ হয়ে

এসে খানিকটা পায়চারী করলো বাসার সামনে আর মাঝ মাঝে মোবাইল এর স্ক্রিন এর দিকে তাকাচ্ছিলো । অনেক্ষন হাটাহাটি করে সে হুট করে

ঘরে এসে টি শার্ট টা গায়ে চাপালো । বাসা থেকে বের হয়ে গেলো । হাসিবের মা পিছনে ডাকলো খেয়ে যেতে । কিন্তু হাসিব সেটা না শোনার

ভান করে এড়িয়ে গেলো ।

ওদিকে বিভা রেডি হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্ব্যে হাজির । একদম মেজাজ চরম সীমায় তার চড়ে গেছে । গত কয়েকদিন হাসিব তার সাথে যে বিহ্যাভ

গুলো করেছে তাতে সে একেবারে বিরক্ত । গত একমাসে হাসিবের সাথে অল্প কথাতেই লেগে যাচ্ছিলো হাসিবের । মনে হয় তাদের ভালোবাসার

নদী আজ মরুভুমি হয়ে গিয়েছে । সেখানে হাজার পানি ঢাললেও সেটা সিক্ত হবে না । এর কারন হাসিবের এড়িয়ে চলা শুধু নয় তার সাথে আরো

কিছু আছে । কিছুদিন আগে বিভার ফোন করেছিলো হাসিব কে । তখন হাসিব কে সে একটি মেয়ের সাথে রিকশায় যেতে ।
অথচ সে ফোন করেছিলো কিন্তু হাসিব ফোন তুলে নাই ।

হাসিব রাস্তায় এসে ভাবলো বিভার এরকম মেসেজের মানে কি ? কি কারনে বিভা এতটা ক্ষুব্ধ ? কারন খুজতে গিয়ে সেদিনের সেই মিতার কথা

মনে পড়লো ।
মিতা তার খালাতো বোন , খালার সাথে তাদের বাসায় এসেছে ডাক্তার দেখাতে। মিতার আবার হাতের মধ্যে একটা টিউমার হয়েছে । এবং

বিকেলে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একরকম বাধ্য হয়েই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো হাসিব । ঠিক সেই সময় বিভার ফোন আসে , অনেকটা

লজ্জার কারনেই মিতার সামনে হাসিব ফোন তুলতে পারে নাই । এসব চিন্তা করতে করতেই সে গন্তব্যে এসে গেলো ।
দুরু দুরু বুকে মিতার সামনে হাজির হলো । নিজের সকল টেনশন চেপে রেখে
হাসি মুখে বল্লো
কেমন আছো ?
বিভার মুখে কোন কথা নাই ।
এরকম অনেক হয়েছে এবং হাসিব তার মান ভেঙ্গেছিল । এবার সেই সব কিছু ট্রাই করলো । কিন্তু কাজ হলো না । বিভার মন আজকে

কিছুতেই গলছে না । আগে হাসিবের যে কথাগুলো সে মুগ্ধ হতো আজকে সেই কথাগুলোয় তার কাছে কেমন যেন বিষাক্ত কিছুর মত লাগছে ।

গত কয়েকদিনের টানাপোড়ানের মনে হয় এটাই ফলাফল ।

এরপর যা কিছু হলো তা লিখতে পারি নাই । কেন পারি নাই ?

সে আরেক কাহিনী ।
অনেক কস্টে অমিত বসুনিয়া "হাসিবের ব্রেকআপ " নামক একটি গল্প লিখতে শুরু করে । এক পর্যায়ে সে এক দৈববাণী শুন্তে পায় ।
কেউ তাকে বলছে
: অমিত......
* কে ?
# আমি । আমাকে চিনতে পারছো না ?
* না । কে আপনি ?
# আমি হাসিব ।
*এটা হতে পারে না ।
# কেন হতে পারে না । তোমার জন্যই আমি বাধ্য হয়ে এসেছি ।
# আমার জন্য ?
* হুম তোমার জন্য । তুমি আমাদের এমন এক প্রেম কাহিনী লিখে তার মধ্যে আবার ভাঙ্গন ধরাতে চাও ?
# তাহলে আমি কি করবো ?
* যেভাবেই হোক আমাদের সম্পর্ক যাতে ভেঙ্গে না যায় বুঝলে ।
# আচ্ছা ঠিক আছে । কিন্তু এখন যে নতুন করে লিখা সম্ভব নয় ...। সামনে পরিক্ষা ।
* তাহলে পরিক্ষার পর লিখো ।
‪#‎ধন্যবাদ‬

কেমন লেগেছে অসমাপ্ত কাহিনী টা ?
দেখি ঈদের আগে যদি কোন দিন কাহিনীটা সম্পূর্ণ করতে পারি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.