নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেম করার পর সাজিদ আর রাইসার বিয়ে ঠিক হল।পারিবারিক ভাবে সবকিছু ঠিকঠাক,আংটি পড়াও হয়ে গেছে।পরের সপ্তাহ বিয়ে ...
বিয়ের ঠিক ৩ দিন আগে সাজিদ এর বাবা রাইসার বাবাকে খবর দিল তার ছেলেকে একটি গাড়ি দিতে হবে।
কথা শুনে একরকম হার্ট এটাক অবস্থা রাইসার বাবা জনাব রহমানের(চাকরি থেকে অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা)। কারন তার মধ্যবিত্ত পরিবার সেই পরিবারে গাড়ি দেওয়া তাও আবার তিন দিনের মধ্যে অসম্ভব ।
রহমান সাহেব অনেক করে বুঝানোর চেষ্টা করলেন সাজিদের বাবাকে।কিন্তু তিনি অনড়।বিয়ের দিনই গাড়ি দেওয়া লাগবে তাহলে বিয়ে হবে, না হলে বিয়ে হবে না ।
সবকিছু শুনে রাইসা ফোন দেন সাজিদকে। সাজিদ বলেনঃ একটা গাড়িই তো বলনা তোমার বাবা কে দিয়ে দিতে।
রাইসাঃসাজিদ তুমি কি যৌতুক চাচ্ছ ?
সাজিদঃএভাবে বলছ কেন তুমি।যৌতুক কেন হবে একটা উপহার চাচ্ছি ।
রাইসাঃবাবা তো বলেছে যে বিয়ের পর দিবে।
সাজিদঃ না এখনি লাগবে।
রাইসাঃতুমি না আমাকে স্বার্থ ছাড়া ভালবাস বিয়ে করতে চাও ?
সাজিদঃ ও সব কথার কথা ।আমি কিছু বুঝি না গাড়ি আমার চাই ব্যাস।
রহমান সাহেব বাধ্য হয়ে নিজের জীবনের শেষ সঞ্চয় এর পুরাটা দিয়ে গাড়ি কিনে দিলেন।তার একমাত্র কন্যা সন্তানের বরকে।
এখন কথা হচ্ছে এভাবে আর কত অন্যকে কায়দায় ফেলে নিজে বিলাসিতা করবেন ?
এই সঞ্চয় টুকুই ছিল তার একমাত্র সম্বল। একবার কি ভাব্লেন না তার বাকি জীবন কেমন করে চলবে......
হয়ত আপনিও ভাবছেন যৌতুক নেওয়ার কথা ...
আপনাকে বলছি... অন্যের টাকায় বিলাসিতা করতে আপনার খুব ভাল লাগবে?
এ প্রশ্নটা আপনার বিবেকের কাছে করুন।
এই অন্যের টাকায় কিছুদিনের জন্য বিলাসিতা করবেন ।কিন্তু যার কাছ থেকে টাকাটা নিলেন তার কি অবস্থা হয়েছে সেটা কি একবার ও ভেবেছেন তার কাছ থেকে কি কখন ভালবাসা পাবেন ?
না সেটা ভাবেন নি কারন আপনি তখন টাকার নেশায় বুদ।
বুঝবেন সেই সময় যখন আপনার মেয়ের বিয়েতে আপনাকে যৌতুক দেওয়া লাগবে।তখন বুঝবেন আরেকজনের কষ্ট।
তাই শপথ করিঃ যৌতুক দেব না, নিব না কাউকে নিতে বা দিতে দিব না।
©somewhere in net ltd.