নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্নে সমুদ্র পারি দেওয়া ছেলেটি জেগে উঠে দেখে সে মাত্র বিছানার এপাশ ফিরে ওপাশে শুয়েছে মাত্র

অমিত বসুনিয়া

পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।

অমিত বসুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারাক ওবামা বাংলাদেশের মেথর বস্তিতে

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

বারাক ওবামা বাংলাদেশের মেথর বস্তিতে-

ঢাকা শহরটা নতুন করে সেজেছে ।
হঠাত করে মনে হচ্ছে পুরো ঢাকা শহরে পৌষ মেলা শুরু হবে তার আয়োজন চলছে ।
যদিও ঢাকা শহরে পৌষ মেলা অকল্পনীয় ।
ঢাকা শহরকে এভাবে শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষে চকচকে করার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জনাব বারাক ওবামা সাহেবের আগমন ।
এদিকে উনার আগমন উপলক্ষ্যে ঢাকার সকল ফকিরকে ছুটি দেওয়া হয়েছে ।
বিনিময়ে আগামী ৭ দিনের জন্য তারা ১২০ টাকা করে অবসর ভাতা পাচ্ছে । শর্ত একটা কোন ফকিরই আগামী ৭ দিন রাস্তার মুখ দেখতে

পারবে না , ভিক্ষা করতে পারবে না । সরকার কি আর বুঝে ? যে এই ১২০ টাকা উচ্চবিত্ত ফকিরদের হাত খরচ মাত্র । থাক সে কথা নাহয়

আরেক দিন সময় করে বলা যাবে ।
জনাব বারাক ওবামা সাহেব ঢাকায় আসলেন । যথারীতি দেশের সব নেতা ,প্রধানমন্ত্রী , রাষ্ট্রপতি তারে বিমান বন্দর থেকে নিয়ে আসলেন ।
সেদিন এসেই সারাদিন মিটিং করতেই গেলো । রাতে হোটেলে এসে তার মনে হলো আরেহ এ দেশে মদ খোলাখুলি ভাবে খাওয়ায় হয় না ।

এদিকে দেশের নেতারা নিজে খেলেও কোন এক কারনে উনাকে মদের ব্যাপারে আগে থেকে কিছু বলতে পারতেছেন না । বারাক ওবামা সাহেব

ও নিজে থেকে কিছু বলতে পারছেন না । এভাবে তার প্রথম রাত কাটলো । পরের আবার সেই মিটিং সেমিনার শেষ করে রাতে হোটেলে ফেরা ।

এদিকে তার মনে পড়লো প্রতিদিন ক্লান্ত হয়ে ফিরে সে মিশেলের কাছ থেকে এক গ্লাস ওয়াইন খায় । কিন্তু উপায় না দেখে ঘুমিয়ে পড়লো

রাতে স্বপ্নে দেখলো মিশেল আর সে একটি প্রাইভেট পার্টি তে গিয়ে ধুমছে ড্রিঙ্ক করতেছেন । হঠাত রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো চরম মদের নেশা

পেয়ে গেছে তার । কিন্তু নিরুপায় !!
এরকম ঘটনা পরের দিনেও হলো । এদিকে নেশার চোটে মিটিং গুলাও ভালোভাবে হচ্ছেনা । আবার মুখ ফুটে বলতেও পারছেন না আমি ড্রিঙ্ক

করবো । হাজার হলেও এটা মুসলিম কান্ট্রি । পরদিন রাতে সে মমিন কে ডাকল ।
ওহ আমিতো বলতে ভুলেই গেছি মমিন হচ্ছে প্রেসিডেন্ট সাহেবের খন্ডকালীন ব্যাক্তিগত সহকারী । তার নিয়োগ মাত্র ৭ দিনের জন্য । অবশ্য

এধরনের নিয়োগ তার প্রতি মাসেই হয়। এই তো কয়েক দিন আগেই সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন । যা হোক মমিন রে ডাক দিলেন
- মমিন তুমি কি আমার জন্য ড্রিঙ্ক এর ব্যাবস্থা করতে পারবা ?
- স্যার এখানে ?
- পাগল হয়েছ ? দেখছো না চারিদিকে মিডিয়ার লোক । এরা যেভাবে ছেকে আছে তাতে এদের দেখে মনে হচ্ছে এরা আমার টয়লেটেও

ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে । হঠাত একদিন এক বিখ্যাত বাংলা চ্যানেলে প্রকাশ হবে ।
" বিশ্বে প্রথম বারাক ওবামার টয়লেট ভিডিও " এরপর সেটা ফেসবুকে বুস্ট করে দেওয়া হবে , ইউটিউবে দেওয়া হবে ।
- স্যার কথাটা ভুল বলেন নাই । আমরা একটু এরকমই ।
- কি করবা কেমন করে করবা জানিনা । কিন্তু আমার মদ চাই ব্যাস । এই নেশায় মদ না খেলে আর মিটিং করতে পারবো না ।
- স্যার আপ্নারে নিয়ে তো কোন হোটেলেও যেতে পারবো না ।সবাই চিনে ফেলবে । কি যে করি ............
স্যার একটা ব্যাবস্থা আছে । সবচাইতে সেইফ । যদিও জায়গাটা আপনার পছন্দের হবে না ।
- কোথায় ?
- স্যার বস্তিতে ।
- কি ?
- জ্বি স্যার ( মমিন সাহেব ভয়ে ভয়ে বললেন )
- আমি যাবো বস্তিতে ? আর ইউ পিস অফ শিট ?
- স্যারের চেয়ে ভালো উপায় আমার জানা নাই ।
- গেট আউট ।
মমিন রে ঘর থেকে বের করে দিলেন । কিন্তু এদিকে নেশায় তার মাথা কাজ করতেছে না । এদিকে মিশেল ফোন করেছিলো ?
কোথায় কোথায় তাদে সেই ওয়াইনের কথা উঠেছিলো । সাথে সাথে নেশাটা বেড়ে তিন গুন হলো ।
ফোন টা কিছুক্ষনের মধ্যে রেখে দিলেন । তারপর তিনি ভুলে গেলেন যে উনি হচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ।
- মমিন যেখান থেকে পারো যেমন করে পারো আমারে ড্রিঙ্ক করাও ।
- স্যার চলুন । তবে একটা টি শার্ট পরে বের হোন তাতে সুবিধা হবে ।
- আচ্ছা
মমিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে নিয়ে আসলেন ঢাকার এক কুখ্যাত বস্তিতে যেখানে অর্ধেক বাড়িই হচ্ছে মেথর দের ।
তারা যাচ্ছে ছোট্ট একটা গলির ভেতর দিয়ে হেটে হেটে । এই গলি এতটাই সরু যে দুজন লোক কাটাকাটি করতে গেলে গায়ে গা লেগে যায় ।

তাদের পাশ কাটিয়ে এক লোক গেলো যার গায়ের গন্ধে প্রায় উলটা এসেই গিয়েছিলো অনেক কস্টে সেটা চাপা দিলেন ।
মমিন ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন । মন মনে ভাবলেন সালা মেথর রা কি সব সবময় গায়ে মল নিয়ে ঘোরে নাকি ।
আরো ভেতরে গিয়ে বস্তির সেরা মদ টা কিনলেন । সেই মদ প্রেসিডেন্ট সাহেব এক গ্লাস খেয়েই মুখটা অদ্ভুত রকমের বিকৃত করলেন ।
দেখে মনে হবে কেউ উনার পশ্চাত দেশে লোহার গরম শিক দিয়ে ছ্যাকা দিচ্ছেন ।
মমিন বুঝলেও কিছুই করতে পারলো না ।কারন এটা আমেরিকান ওয়াইন নয় এটা হচ্ছে দেশি বাংলা মদ ।
জনাব ওবামা আরেক গ্লাস খেয়েই হর হর করে সবকিছু বের করে দিলেন ।
অবস্থা বেগতিক দেখে পাশের মেথরের ঘরেই নিয়ে গেলো । পানির ঝাপটা দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হলো আমাদের ওবামা সাহেবের ।
কিন্তু জ্ঞান ফিরে সেই বোটকা গন্ধে আবার জ্ঞান হারালেন । জ্ঞান ফিরে নিজেকে আবিস্কার করেন হোটেল রুমে । মাঝখানে ১৪ ঘন্টা পেড়িয়ে

গেছে সেটা কিভাবে কিছু মনে করতে পারছেনা ।
এইরকম অবস্থার পর বারাক ওবামার তার সকল প্রোগ্রাম বাতিল করে এমারজেন্সি ফ্লাইটে দেশে চলে গেলেন ।
কিছুদিন পর গুজব উঠলো বারাক ওবামা মদ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন । tongue emoticon

লেখাটা নিছক ফান ছাড়া কিছুই নয় । দয়া করে সিরিয়াস ভাবে নিবেন না ।

আর ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন ।

লিখেছি আমিঃ অমিত বসুনিয়া

ফেসবুকে আমি এখানে
লেখাটি এর আগেফাজলামি ডট কম প্রকাশিত

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, প‌্যারাগ্রাফ ভাগ করতে গিয়ে লাইনের ছেড়া বেড়া করাটা ভাল হয় নি, মাঝে মাঝেই হোচট খেতে হয়!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

অমিত বসুনিয়া বলেছেন: ছোট মানুষ তো তাই এখনো সে ভাবে গুছিয়ে লিখতে পারি নাই । আশাকরি পরের বার আরো ভালো করার চেস্টা করবো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.