নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।
মেয়েটা চলে যেতেই কেন জানি সে জায়গাটায় আর দ্বাড়িয়ে থাকতে ইচ্ছা করছিলো না । তবে কি ?......
নাহ এত তারাতারি আমি কারো উপর ক্র্যাশ খেতে পারি না ।
মেয়েটির উলটো পথে হাটা শুরু করলাম , সাদিক আবার আমার জন্য সবুর মামার দোকানে অপেক্ষা করছে ।
সবুর মামার দোকানে এসে দেখি সাদিক এখনো আসে নাই । তাকে ফোন দিলাম ।
- হ্যালো
- কিরে সাদিক তুই কই ।
- মামা, বাপে প্যারা দিছে বাজার থেকে একটা মুরগি কিনে এনে দিতে হবে ।
- তুই এখন কই ?
- বাজারে আইছি , তুই ১০ টা মিনিট অপেক্ষা কর আমি আসতাছি ।
- আচ্ছা আয় ব্যাটা তারাতারি ।
আমি সবুর মামার কাছে এক কাপ চা আর একটা সিগারেট নিলাম । সময় কাটছে না ।
পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফেসবুকে ঢুকলাম , দেখি একটা মেয়ে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে । ভালো করে তার প্রোফাইল ঘাটলাম , পুরো টাইম্লাইনে মেয়েটার সেলফি তে ভর্তি । আচ্ছা মেয়েগুলো এমন কেন ? দিনে যত দানা ভাত খায় তার চেয়েও বেশি সেলফি তুলে । আর সেলফি তোলার সময় মুখের এই অদ্ভুত এঙ্গেল টা এ কোথা থেকে আবিস্কার করছে কে জানে ।
হাতে সময় আছে তাই টাইম্লাইন টা আরো ভালো করে ঘাটতে লাগলাম ।
একটা স্ট্যাটাস দেখলাম " পৃথিবীতে কি শুধু ছেলেদেরই অধিকার আছে সবকিছু করার , মেয়েদের নাই ? "
দেখলাম অনেকে অনেক রকম ফানি কমেন্ট করেছে , আমিও একটা কমেন্ট করলাম । " পৃথিবীতে একমাত্র ট্যলেন্টেড মেয়ে/ছেলের অধিকার বা ক্ষমতা আছে সবকিছু করার , অন্য কারো নয় " ।
কে জানে এই সাদিক আরো কতক্ষন বসে রাখবে । আরেক কাপ চা খেতে হবে ।
- মামা আরেক কাপ চা দাও ।
- দুধ চা নাকি রঙ চা মামা ?
- দাও রঙ চাই দাও , আর কড়া করে দিও যাতে সময় কাটে ।
চা টা অর্ধেক শেষ করতে না করতেই সাদিক আসলো তার সাথে বসে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে বাসা চলে গেলাম । বাসায় বসে টিভি দেখছি , টিভিতে চলছে স্টার জলসার মহান সিরিয়াল । আম্মু আর ছোটবোন চোখ , নাক , মুখ, কান , হৃদয় সবকিছু এক করে নাটকে মনোযোগ দিয়েছে । তাদের আগ্রহ দেখে, আমিও নাটক টা দেখা শুরু করলাম ।
নায়ককে দুস্ট রাক্ষস রা পুতুল বানিয়ে রেখেছে , আর নায়িকা গেছে কোন এক রাক্ষস পুরীতে নায়ক কে বাচানোর ওষুধ আনতে । নায়িকা আবার দ্বিগবিজয়ী , জগত সেরা , সবার কল্যান কারী ।
এই সব ছাতামাতা বেশিক্ষন চোখে সইলো না , হাতে ফোন নিয়ে ফেসবুকে ঢুকলাম ।নোটিফিকেশন এ দেখলাম মেয়েটি আমার কমেন্টের রিপ্লাই দিয়েছে । ভেতরে ঢুকে দেখি সে লিখেছে , " আপনার মত ধারনা এই পৃথিবীতে কয়জনের আছে ? "
আমিও রিপ্লাই দিলাম , " আজকে একজন ভাবছে কালকে এক হাজার জন ভাববে "
কি যেন কি ভেবে মেয়েটাকে এক টা মেসেজ দিলাম
" হাই "
তারপর ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করলাম , কিন্তু কোন রিপ্লাই নাই ।
আমিও খেয়েদেয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম ।
_-----------------------------------------------------------------------------------
বাকিগুলো পড়তে চাইলে কমেন্টের লিঙ্ক ফলো করুন
মেয়েটা চলে যেতেই কেন জানি সে জায়গাটায় আর দ্বাড়িয়ে থাকতে ইচ্ছা করছিলো না । তবে কি ?......
নাহ এত তারাতারি আমি কারো উপর ক্র্যাশ খেতে পারি না ।
মেয়েটির উলটো পথে হাটা শুরু করলাম , সাদিক আবার আমার জন্য সবুর মামার দোকানে অপেক্ষা করছে ।
সবুর মামার দোকানে এসে দেখি সাদিক এখনো আসে নাই । তাকে ফোন দিলাম ।
- হ্যালো
- কিরে সাদিক তুই কই ।
- মামা, বাপে প্যারা দিছে বাজার থেকে একটা মুরগি কিনে এনে দিতে হবে ।
- তুই এখন কই ?
- বাজারে আইছি , তুই ১০ টা মিনিট অপেক্ষা কর আমি আসতাছি ।
- আচ্ছা আয় ব্যাটা তারাতারি ।
আমি সবুর মামার কাছে এক কাপ চা আর একটা সিগারেট নিলাম । সময় কাটছে না ।
পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফেসবুকে ঢুকলাম , দেখি একটা মেয়ে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে । ভালো করে তার প্রোফাইল ঘাটলাম , পুরো টাইম্লাইনে মেয়েটার সেলফি তে ভর্তি । আচ্ছা মেয়েগুলো এমন কেন ? দিনে যত দানা ভাত খায় তার চেয়েও বেশি সেলফি তুলে । আর সেলফি তোলার সময় মুখের এই অদ্ভুত এঙ্গেল টা এ কোথা থেকে আবিস্কার করছে কে জানে ।
হাতে সময় আছে তাই টাইম্লাইন টা আরো ভালো করে ঘাটতে লাগলাম ।
একটা স্ট্যাটাস দেখলাম " পৃথিবীতে কি শুধু ছেলেদেরই অধিকার আছে সবকিছু করার , মেয়েদের নাই ? "
দেখলাম অনেকে অনেক রকম ফানি কমেন্ট করেছে , আমিও একটা কমেন্ট করলাম । " পৃথিবীতে একমাত্র ট্যলেন্টেড মেয়ে/ছেলের অধিকার বা ক্ষমতা আছে সবকিছু করার , অন্য কারো নয় " ।
কে জানে এই সাদিক আরো কতক্ষন বসে রাখবে । আরেক কাপ চা খেতে হবে ।
- মামা আরেক কাপ চা দাও ।
- দুধ চা নাকি রঙ চা মামা ?
- দাও রঙ চাই দাও , আর কড়া করে দিও যাতে সময় কাটে ।
চা টা অর্ধেক শেষ করতে না করতেই সাদিক আসলো তার সাথে বসে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে বাসা চলে গেলাম । বাসায় বসে টিভি দেখছি , টিভিতে চলছে স্টার জলসার মহান সিরিয়াল । আম্মু আর ছোটবোন চোখ , নাক , মুখ, কান , হৃদয় সবকিছু এক করে নাটকে মনোযোগ দিয়েছে । তাদের আগ্রহ দেখে, আমিও নাটক টা দেখা শুরু করলাম ।
নায়ককে দুস্ট রাক্ষস রা পুতুল বানিয়ে রেখেছে , আর নায়িকা গেছে কোন এক রাক্ষস পুরীতে নায়ক কে বাচানোর ওষুধ আনতে । নায়িকা আবার দ্বিগবিজয়ী , জগত সেরা , সবার কল্যান কারী ।
এই সব ছাতামাতা বেশিক্ষন চোখে সইলো না , হাতে ফোন নিয়ে ফেসবুকে ঢুকলাম ।নোটিফিকেশন এ দেখলাম মেয়েটি আমার কমেন্টের রিপ্লাই দিয়েছে । ভেতরে ঢুকে দেখি সে লিখেছে , " আপনার মত ধারনা এই পৃথিবীতে কয়জনের আছে ? "
আমিও রিপ্লাই দিলাম , " আজকে একজন ভাবছে কালকে এক হাজার জন ভাববে "
কি যেন কি ভেবে মেয়েটাকে এক টা মেসেজ দিলাম
" হাই "
তারপর ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করলাম , কিন্তু কোন রিপ্লাই নাই ।
আমিও খেয়েদেয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম ।
_-----------------------------------------------------------------------------------
চলবে .
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮
অমিত বসুনিয়া বলেছেন: চালাইলাম , মনে হয় আর পারুম না ।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: মনে হয় আর পারুম না ।
কেন কেন ? এ তাড়াতাড়ি হতাশ হওয়া চলবে না।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০
অমিত বসুনিয়া বলেছেন: নেক্সট এ আরো লিখবো
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২
মহা সমন্বয় বলেছেন: চলুক... দেখা যাক কি হয়....
সুন্দর প্রচেষ্টা।
শুভ কামনা রইল।