নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।
লিখার কোন ইচ্ছাই ছিলো না , কিন্তু কি করবো হাত খুব চুলকাচ্ছিল , চুলকানোর মানুষ নাই তাই কি বোর্ডের উপর দাপদাপি শুরু করলাম ।
পয়েন্ট ১ঃ পহেলা বৈশাখ ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম ?
নাহ হারাম না । উৎসব কখনই হারাম না । নবী করিম সাঃ বলেছেন, উৎসবের প্রয়োজন আছে এজন্যই আমাদের মুসলমান দের উৎসব হচ্ছে দুই ঈদ ।
পহেলা বৈশাখ একটা উৎসব তাই এটা হারাম হতে পারে না । তবে হ্যা বেলাল্লা পনা হারাম । এটা উৎসবের সাথে কোন ভাবেই সম্পর্কিত নয় । যারা বেলাল্লাপনা করে তারা এমনিতেও করে অমনেও করে এবং করবেই । তাদের জন্য উৎসব কে হারাম হিসেবে ঘোষণা করা মানে হচ্ছে কাশের ওষুধ কে নিষিদ্ধ করার মত । কেউ কাশতে কাশতে মারা গেলেও এটা খাওয়া যাবে না কারন এটা নেশা ধরিয়ে দেয় ।আর পোলাপান এটাকে নেশা হিসেবে ইউজ করে ।
পয়েন্ট ২ঃ কারা করতেছে এই লাফালাফি ?
১। যারা এই উৎসবে নিজেকে শরিক করতে পারছে না । এ বেচারারা যেকোন কারনে উৎসবের আমেজে নিজের মন কে ভেজাতে পারতেছে না বাধ্য হয়ে শিয়ালের মত বলতেছে "আঙ্গুর ফল টক" । আসেন তাদের জন্য ২ মিনিটের শোক পালন করি।
পয়েন্ট ৩ঃ কেন করতেছে ?
সিম্পল ব্যাপার । মানুষের সিম্প্যাথি পেতে চাচ্ছে । এরা যেহেতু নিজেরা উৎসব টাকে আপন করতে পারছে না সেহেতু এরা চায় না আর কেউ সেটা করুক । মানূষের কমন সমস্যাগুলোর একটা হচ্ছে ইর্ষা । ঈর্ষা ব্যাপার টা যখন মনে ঢুকে যায় তখন এরা লেজ কাটা শিয়ালের মত আচরন করে । কেউ যখন সিগারেট খায় তখন সে অবশয়ই চাইবে তার পাশের সঙ্গীটিও সিগারেট খাক । তবে প্রব্লেম হচ্ছে ভালো জিনিস গুলো মানুষ কে যতটা না প্রভাবিত করে খারাপ জিনিস গুলো তার থেকে কয়েক গুন বেশি প্রভাবিত করে ।
পয়েন্ট ৪ঃ ধর্ম কে কেন জড়াচ্ছে ?
ধর্ম মানেই হচ্ছে বিশ্বাস । এটা হচ্ছে বিশ্বাসের সর্বোচ্চ পর্যায় । একটা মানুষ কেই যদি আপনি বিশ্বাস করেন সে যদি চুরিও করে তারপরেও আপনার কাছে মনে হবে , নাহ সে চুরি করে নি কিংবা করলেও তার পেছনে কোন মহৎ উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে । কারন আপনি তাকে বিশ্বাস করেন । আপনার ব্রেইন এটা গেথে রেখেছে যে লোক টা ভালো । সে খারাপ কিছু করতে পারে না । ধর্ম হচ্ছে সেই ধরনের এক বিশ্বাস । যেটার দোহাই দিলে আপনি আমি সবাই সেটা মেনে নিতে বাধ্য ।
পয়েন্ট ৫ঃ আমার ভাষ্য কি ?
ও ধর্ম প্রান ভাই বোনেরা আমার , আপনারা ভুলে যাচ্ছেন যে এই উৎসব টা কোন এক মুসলমান( সম্রাট আকবর ) এর হাতেই শুরু হয়েছিল । তো ভাই বোনেরা নিজেরা না করেন ঠিক আছে হুদাই আকাইরা প্যাচাল পাইরা নিজের মুখের ফ্যানা উঠার কি দরকার ? আমাদের এলাকার এক ঘটনা শেয়ার করি ,
আমাদের ওখানে প্রতিবছর মেলা হয় । সেখানে সার্কাসের নামে ওশ্লীল ডান্স হয় । এক বন্ধু সহ আমরা ঠিক করলাম যে সেখানে আমরা যাবো না । আমি ঠিক মত বাড়িতে বসে আছি । পরে শুনি সে নাকি একাই ঐরকম সার্কাস ৫ টা শো দেখেছে ।
এখন আমার মনে প্রশ্ন হলো , সে তাহলে আমাকে এ ধরনের কথা বলল কেন ?
পরে শুনি ঐসময় তার পকেটে টাকা ছিলো না ।
সেরকম আপনার নিজের যাবার এবিলিটি নাই । হোক না সেটা অর্থ , সামাজিক পরিস্থিতি ব্লা ব্লা ব্লা তাই বলে আরেক জন গেলে আপনার চুলকায় কেন ?
আর হ্যা যেখানে আসতেছে ধর্ম । কথা হলো আমরা আগে বাঙ্গালী হইয়া জন্মাইছি তারপর ধার্মিক । এই দেশে এক কালে মুসলমান ছিলো না পুরাটাই হিন্দু অধ্যুষিত ছিল । তারপর শাহজালাল রঃ এনাদের মত কিছু মহামানব এসে সত্য ধর্ম ইসলাম প্রচার করেছেন এরপর আপনার বাবার বাবা কিংবা তার বাবার বাবা প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন । সে হিসেবে আমরা জিনগত ভাবে কেউই মুসলমান না । এরকমও না যে আমরা কেউ আরব থেকে এদেশে এসেছি । সুতরাং বাঙ্গালীয়ানা টাকে ভুলে যাবার কোন মানেই আমি দেখি না । মহানবী সাঃ ও নিজের দেশ কে ভালোবাসতেন । আমিও বাসবো । আমিও আমার সংস্কৃতিকে ভালোবাসবো সেটাকে সবার সামনে তুলে ধরবো । কতপয় লুইচ্চার লুইচ্চামিকরবে তার জন্য অন্য কেউ সেটাকে হারাম ঘোষণা করবে আর সেই কথায় আমি এটাকে ভুলে যেতে পারি না । আমার জিন আমাকে সেটা করতে মানা করে । সেখানে আপনি যতই লাফালাফি করে আলিম্পিক গোল্ড মেডেল নিয়া আসেন না কেন , বাঙ্গালী বৈশাখ উদযাপন করবেই । আপনাদের অযথা লাফালাফি করাই হবে। তবে সাবধান থাইকেন অধিক লাফালাফিতে যেন নিজের পা টাই না ভেঙ্গে যায় ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০২
অমিত বসুনিয়া বলেছেন: হুমমমমম
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪০
বিজন রয় বলেছেন: ওসব কিছু না।
সমস্যা হিন্দুয়ানি।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কুযুক্তি। 'আমরা ঢাকাবাসী'র ঈদ মিছিল নিয়ে তো কেউ আপত্তি করেনা। ফালতু মুখোশ আর পেঁচা ছাড়া শোভাযাত্রা করেন। কেউ কিছু বলবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নতুন বলেছেন: "আঙ্গুর ফল টক" এটা একটা বড় ফ্যাক্টর..