নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্নে সমুদ্র পারি দেওয়া ছেলেটি জেগে উঠে দেখে সে মাত্র বিছানার এপাশ ফিরে ওপাশে শুয়েছে মাত্র

অমিত বসুনিয়া

পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।

অমিত বসুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে বদলাচ্ছে ? মানুষ নাকি পৃথিবীঃ একটু খানি নিজের ভাবনার বহিঃপ্রকাশ

১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৯

রাত বাড়ছে হাজার বছরের পুরনো সে রাত ।
নাহহ কথাটা আমি আরেক ভাবে বলি ,
মানুষ বদলাচ্ছে , হাজার বছর পুরোনো সেই মানুষ ।
আসলেই কি বদলাচ্ছে ? কি বাড়তেছে ?
পৃথিবী বদলাচ্ছে ? নাহ পৃথিবী বদলাচ্ছে না বদলাচ্ছি আমরা ।
এই ধরুন বর্তমান কম্পিউটার এর কথা । পৃথিবীতে কি কম্পিউটার বানানোর কাচামাল আগে ছিলো না ?
অবশ্যই ছিলো , কারন পৃথিবীর বাইরে থেকে একমাত্র সুর্যের আলো ছাড়া কিছুই আসে না । তাহলে ?
আসলে আমরা বদলে গেছি , আমাদের চিন্তা ধারা বদলে গেছে । আমরা এখন বুঝে গেছি কিভাবে কম্পিউটার বানাতে হয় ।

এখন আমরা কি চিন্তা করি ?
পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘুরতেছে । অথচ কয়েকশ বছর আগে আমাদের বিশ্বাস ছিলো সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে । সুর্য কি আগে পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরতো ? তারপর আস্তে আস্তে নিজের শক্তি সঞ্চয় করে পৃথিবীর কপালে মেশিনগান ঠেকিয়ে হুকুম করেছে বাবা অনেক দিন তোর চারিদিকে ঘুরেছি , এখন আমার চারিদিকে চক্কর কাট । নাহহ , আসলে আমাদের দেখার স্টাইল চেঞ্জ হয়েছে । আগে আমরা যেভাবে দেখতাম সেটা এখন পরিবর্তন হয়ে গেছে । পৃথিবী সুর্য কোনটাই বদলায় নাই বদলে গেছি আমরা । বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের ধ্যান ধারনার ভান্ডার ।



আমরা কি বানিয়েছি যেটা নশ্বর ?
পারফেক্ট কিছুই না । যেমন ধরেন একটা ঘড়ি । ঘড়ি যখন প্রথম আবিস্কার হয় তখন কি এরকম সুন্দর হাতে পড়ার মত একটা ঘড়ি ছিলো ?
নাহ ছিলো না , তখন হয়তো কাঠি , পাথর ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে একা সময় দেখার যন্ত্র বানিয়েছিলাম । তারপর বুঝতে শিখলাম নাহ এর চেয়েও ভালো কিছু দরকার । তখন বানালাম দেয়াল ঘড়ি , এরপর টেবিল ঘড়ি , এরপর হাতঘড়ি । এগুলো গেলো এনালগ ঘড়ি ।
এরপর আমরা বানালাম ডিজিটাল ঘড়ি , যেখানে কাটা নামক কিছু নাই । কি সুন্দর কয়েকটা ডিজিট চেঞ্জ এর মাধ্যমে সময় দেখাচ্ছে ।
এতেও আমরা থামলাম না , এখন আবার এই ঘড়ির মধ্যেই নিজের ম্নোবাইল ফোন এর কন্ট্রোল নেওয়া যায় এরকম ঘড়িও আবিস্কার হয়েছে ।
কিছু বুঝলেন ? যখন ডিজিটাল ঘড়ি আসলো তখন কয়জন ওই আগের সুর্যঘড়ি ব্যাবহার করেছে ?
এই ডিজিটাল ঘড়ির যুগে এসে সুর্যঘড়ি নামক এক বস্তু যেটা মানব জাতির হাতে তৈরী সেটা বিলুপ্ত /মানে বিনাশ হয়ে গেছে । আচ্ছা এমন কি কোন সময় আসবে না যেখানে আমাদের ব্যাবহৃত যে গ্যাজেট ব্লা ব্লা ব্যাবহার করতেছি সেগুলোও একসময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে ? তার মানে কি দ্বাড়াচ্ছে ? আমরা নশ্বর কিছুই তৈরী করতে পারি নাই । যা আজকে নশ্বর তা কয়েক বছর কিংবা কয়েকশ বছর পর বিলুপ্ত ।
হ্যা এবার প্রশ্ন করেন তাহলে নশ্বর কোনটা ? ঐ যে দেখতেছেন বাতাস , আলো পৃথিবী এইগুলা নশ্বর ।

মোদ্দাকথা কি ?
মোদ্দাকথা হচ্ছে , আমরা পরিবর্তনশীল আজকে আমরা যেটাকে সত্যি ভেবে বসে আছি । কয়েক বছর পর সেটা আমাদের কাছে ঘোর মিথ্যা । তাই আসুন সত্যি মিথ্যার ফাড়াক না করে । নিজের মত করে নিজেরটা ভাবি , নিজের টা করি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.