নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।
কিরে এখনো হয় নাই ? এতক্ষন লাগে বানাইতে , তাইলে খামু কখন ব্যাটা – কথাটা জাহিদ শোভনের উদ্দেশ্যে বললো ।
শোভন চুপচাপ একমনে বসে কিছু শুকনাপাতা ব্লেড দিয়ে কুচি কুচি করে কাটছে । এত নিপুন ভাবে করছে যে কেউ দেখলেই মুগ্ধ হয়ে যেতে বাধ্য । কাটা শেষ করে একটা সিগারেট হাতে নিলো , ভেতর থেকে তামাকে গুড়াগুলো সব বের করে দিয়ে সেই শুকনোপাতার কুচি গুলো তার ভেতরে ভরে দিলো । লাইটার টা দে – অনেক্ষন পর শোভন বললো । হাত বাড়িয়ে রাব্বীর কাছ থেকে লাইটারটা নিয়ে সেই শুকনোকুচির সিগারেটে আগুন ধরিয়ে টানতে শুরু করলো । রাব্বী সেদিকে একমনে তাকিয়ে ভাবছে , কি আছে এর মধ্যে ? জাহিদ শোভনরা প্রায়দিন এখানে এসে এই জিনিস খায় । রাব্বীকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে শোভন বলে উঠলো , কিরে দিবি নাকি এক টান ?
রাব্বীর মনের মধ্যে হঠাৎ কেমন যেন উত্তেজনার তৈরী হলো সে বলতে যাবে , “দে দেখি একটা টান মারি ” এমন সময় জাহিদ বলে উঠলো , না থাক দরকার নাই ওর টানার , শেষে কিছু হয়ে গেলে তাকে বাড়ি নিয়ে যাবে কে ?
জাহিদের কথার সাথে সাথে রাব্বীর মনের ইচ্ছাটাও দপ করে নিভে গেলো । যেন তার ইচ্ছাটা একটা সদ্য জ্বালানো মোমবাতি আর জাহিদের কথাটা একটা দমকা বাতাস ।
সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়ে আসতেছে । আকাশে সূর্যের তাপ কমে গিয়ে এখন রাতের ঠান্ডার সাথে যুদ্ধ করে খানিকটা নিজেকে টিকে রেখেছে । সেটা করতে গিয়ে নিজের হলুদ আভা খুইয়ে ফেলেছে । এখন লাল আভা ধারন করেছে , হয়তো প্রচন্ড রাগে আবার হয়তোবা রাতের কাছে নিজে পরাজিত হবার অপমানে । সামনে থাকা বাশঝাড়টা থেকে অনর্গল পাখির ঝাক ডাকছে । কিছু পাখি এখনো আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে , মনে হয় এরা এখনো নিজের বাসা খুজে পায় নি । রাব্বীরা বসেছে নদীর পাড়ে , সেখান থেকে নদীর পানি স্পষ্ট দেখা যায় । একটা টাকি মাছ পাড়ের কাছে এসে ঘনঘন তাদের দিকে উকি দিচ্ছে , সে কি তাদের কে কিছু বলছে ? সৃষ্টিকর্তা মানুষকে কেন সব পশুপাখির ভাষা বোঝার ক্ষমতা দিলেন না ? এই মাছটি হয়তো তাদেরকে এখান থেকে চলে যেতে বলছে ।পাখিরাও হয়তো নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতেছে , এই লোকগুলো এখনো যায় না কেন ? আচ্ছা পাখির মত মাছেরও কি কোন নির্দিষ্ট বাসা আছে ? তাদের বসার চারিদিকেও কি বেড়া টাইপ কিছু দেওয়া ? তাদের বেড়া কি হতে পারে , কাদার ঘন আস্তরন ?
বাসায় ফিরেই রাব্বী নিজের ঘরে ঢুকে বিছানায় বসে পড়লো , শোভনরা যখন শুকনোপাতার কুচির তৈরী জিনিসটা জ্বালায় তখনি তার মাথা ঘোরা শুরু হয় । তার ইচ্ছা করছে এখুনি একটা ঘুম দিতে । বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই মাথার ব্যাথাটা যেন দ্বিগুন হয়ে গেলো । মনে হচ্ছে কে যেন তার পিছনে প্রায়ার্স দিয়ে চাপ দিচ্ছে । কোনরকমে উঠে বাথরুমে ঢুকলো মাথা নিচু করে ট্যাপ এর নিচে রেখে কিছুক্ষন মাথায় পানি ঢাললো । এখন কিছুটা ভালো লাগছে , সে আবার এসে শুয়ে পরলো । এবং শোয়ার সাথেই ঘুম । এতো সহজে তার ঘুম কখনো আসে না । বিছানার শোয়ার প্রায় ২/৩ ঘন্টা পর তার ঘুম আসে । আজকে এতো তারাতারি আসলো , মনে হয় সেই শুকনো পাতার ইফেক্ট । ঘুমের মধ্যে অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখলো , তার পা গাছের ডালের সাথে ঝুলানো মাথা নিচ পাশে হাত গুলো কোমরের সাথে বেধে রাখা । তার মাথার ঠিক নিচে ফনা তুলে আছে একটা বিষাক্ত সাপ । সাপটা দেখতে অনেকটা গায়ের উপর গরম মাড় ঢেলে দেওয়া কুকুর দের মত বিচ্ছিরি ।ঘুমের মধ্যেই তার বমি পেয়ে গেলো । এমন সময় রাব্বীর ঘুম ভেঙ্গে গেলো , সে দৌড় দিলো বাথরুমের দিকে ।
পেটের থাকা সবকিছুই বের হয়ে গেলো , সাথে মাথাটার ব্যাথাটাও । রাব্বী এসে আবার বিছানায় গা এলিয়ে দিলো । এপাশ ওপাশ করতেই হাতে লাগলো নির্মেলেন্দু গুণ এর কবিতাসমগ্র । এলোমেলো ভাবে কিছুক্ষন পাতা উল্টালো এরপর তার চোখ আটকে গেলো একটি কবিতায় ,
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক, শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক । আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না, আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী -সেবার দায় থেকে ।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক :
আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না,পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না ।
এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি।
আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক । কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক ।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক : ‘তোমার চোখ এতো লাল কেন?’
এক নিশ্বাসে কবিতাটা শেষ করে ফেললো সে । আবিস্কার করলো তার চোখের কোণ বেয়ে কয়েকফোটা পানি বইয়ের পাতা ভিজিয়ে দিলো । এইরকম আবেগময় কোন কবিতা থাকতে পারে ? আসলে রাব্বী তেমন কবিতা পড়তো না এই বইটা হয়তো তার শাকিলাপা এনে রেখেছে । শাকিলা তার বড় বোন , সে তাকে শাকিলাপা বলে ডাকে । শাকিলা আবার ভীষণ রকমের বইপাগলী । এ জীবনে কত বই পড়েছে তা ইয়াত্তা নাই । এই বই পড়ার জন্য রাব্বীর মা সিদ্দিকা খাতুনের কাছে শাকিলা যে কত বকা খায় , তারপরেও তার বই পড়া থেমে নেই । এই বইটা হয়তো সে তার কোন বইপড়ুয়া বান্ধবীর কাছে ধার করে এনেছে । মায়ের ভয়ে ছোট ভাইয়ের অনুপস্থিততে তার ঘরে শুয়ে শুয়ে পড়ছিল । রাব্বী ঠিক করলো সে এই বইয়ের সব কবিতা পড়ে শেষ করবে তারপর তার শাকিলাপা কে দেবে । আবার সে পড়া শুরু করলো ,
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্রসঙ্গীতে যত আছে,
হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে……………।
সন্ধার পরের মুহুর্ত যেকোন শহরের জন্য সবচেয়ে ব্যাস্ততম সময়ের একটি । এইসময়ই রাস্তায় হাটার মজা সবথেকে বেশি । রাস্তার সোডিয়াম বাল্বগুলো ময়লা আলোর বিকিরন ঘটাচ্ছে , সেই আলোয় সাদা গাড়িগুলো ময়লা হলুদ মনে হচ্ছে । আশেপাশের পরিবেশ অনেক বেশিই ব্যাস্ত আর হলুদময় । এই হলুদটা অনেকটা গেরুয়া রঙের মত মনে হচ্ছে । আরো বেশী মনে হচ্ছে আশেপাশের মানুষগুলোর জন্য , কারন সবার মধ্যেই কেমন যেন এক বৈরাগ্যের ভাব । হতে পারে সারাদিনের কাজকর্ম শেষে তারা এখন ক্লান্ত সেজন্য সবাইকে এরকম দেখাচ্ছে । আবির কানে হেডফোন লাগিয়ে প্রতিদিন এই সময় হাটতে বের হয় । শহরটা এসময় গাড়ির হুইসেলের আওয়াজ আর বিভিন্ন চেচামেচি ভর্তি থাকে । আবিরের কানে হেডফোন থাকার কারনে এসব তার কানে যায় না । সে শুধু শহরের বৈরাগ্য লুকটাই দেখতে পায় । তার প্রতিদিনের হন্টন যাত্রা শুরু হয় তার মেস থেকে , গিয়ে থামে শহরের সিটি বাজারের চায়ের দোকানে । সেখানে সে এক কাপ চা খায় , খেয়ে আবার নিজের মেসের দিকে হাটতে হাটতে ফিরে আসে । আজকে আবির যথারীতি বের হয়েছে কানে হেডফোন , বাপ্পা মজুমদারের পরী গান বাজতেছে । সে গানের তালে তালে গুন গুন করছে , ” আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে , তুমি আনমনে বসে আছো ………। ” গান শুনতে শুনতে সে এসে সিটি বাজারে এসে পৌঁছল । এসে এক কাপ চা খেয়ে নিলো । খেয়ে মেস ফেরত যাবে এমন সময় তার মনে হলো , রাব্বীর সাথে দেখা করা দরকার । সাথে সাথে রাব্বীর ফোনে কল দিলো , ফোন সুইচ অফ । এটা রাব্বীর কমন অভ্যেস এর একটা , তার ফোন কখন অন থাকে কখন অফ থাকে সে জানেই না । আর এই সময় রাব্বী সবসময় বাসাতেই থাকে । তাই যেই ভাবা সেই হাটা শুরু রাব্বীর বাসার উদ্দেশ্যে । রাব্বীর বাসা বেশি দূরে নয় , সিটি বাজার থেকে ৩০ মিনিটের হাটা পথ ।
রাব্বীর সাথে আবিরের পরিচয় কলেজে পড়া সুত্রে । তাদের প্রথম পরিচয়ও একটু অন্যরকম ভাবে । আবির ক্লাসে এসে বসে আছে একটা চেয়ারে । স্যার তখনো ক্লাসে আসে নি । একটা চিকন স্বাস্থের ছেলে এসে তার পাশের চেয়ারে বসলো । ছেলেটার চোখে চশমা , হাতে হাতঘড়ি দেখেই বুঝা যায় এই ছেলে ভালো মেধাবী । বই ছাড়া পৃথিবীর অন্য কিছুর দিকে এদের কোন খোজ নাই এরা চলে নিজের নিয়মে । নিজের পড়ার টেবিল আর বইয়ের মাঝেই নিজের জীবনকে আটকে রাখে । এদের আবার পুস্তকীয় সাধারন জ্ঞান ভালো । যদি জিজ্ঞেস করা হয় , ইথিওপিয়ার রাজধানীর নাম কি ? চট করে উত্তর দিবে , আদ্দিস আবাবা । অথচ এদের পাশের পাড়ার নামটা জিজ্ঞেস করলে এরা তিনবার তোতলায় দুইবার মাথা চুলকায় একবার নিজের চশমা ঠিক করে , এরপর নিজের হাতঘড়িটির দিকে তাকিয়ে জবাব দেয় , “মনে নেই” । স্যার আসলো ক্লাসে তাদের প্রেজেন্টেশন নেবার সময় আবির লক্ষ্য করলো তার রোলের পরের রোলটাই চশমাবাবুর । আবিরের একত্রিশ ছেলেটির বত্রিশ । ক্লাস শেষ করে ফেরার পথে আবির শুনতে পেলো কে যেন পেছন থেকে রোল নম্বর একত্রিশ বলে চেচাচ্ছে । ফিরে দেখে সেই বত্রিশ রোলের চশমা বাবু । আবির দ্বাড়িয়ে গেলো , ছেলেটি এসে নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো , আমি রাব্বী , আপনি ? আবির অনেকটা অবাক হলো এই ছেলেটি তাকে আপনি ডাকছে কেন ? সেও হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললো – আমি আবির । আবিরের কৌতহল থামলো , যখন দেখলো আশেপাশের সব ছেলেমেয়েরাই একজন আরেকজনকে আপনি আপনি করে ডাকছে , অথচ কিছুক্ষন আগে এরা সবাই একই সাথে একই রুমে বসে ক্লাস করেছে । সেদিনের মত আবির ফিরলো , এরপর কেমন কেমন করে যেন রাব্বীর তার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে গেলো সে বুঝতেই পারলো না ।
রাব্বীর বাসার সামনে এসে হেডফোনটা মাথা থেকে নামিয়ে গলায় রেখে গেটে দুইটা টোকা দিতেই রাব্বীর মা বের হয়ে আসলো । একটু জোড় গলায় বললো , কে —– ? আবির সালাম দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলো আন্টি রাব্বী আছে ? হুম্মম আছে , তুমি কে ? আবির রাব্বীর বাসা অনেকবার এসেছে অথচ প্রতিবারই রাব্বীর মা তাকে জিজ্ঞেস করেছে তুমি কে । এমনভাবে জিজ্ঞেস করেছে যেন উনি এর আগে কখনো তাকে দেখে নি । আবির অনেকবার ভেবেছে আন্টিকে জিজ্ঞেস করবে , আন্টি আপনি কি আমাকে সত্যিই চিনতে পারছেন না ? কিন্তু কোনবারই জিজ্ঞেস করা হয়ে উঠে নি । প্রতিবারই সে জবাব দিয়েছেন আন্টি আমি রাব্বীর বন্ধু ।
রাব্বীর মা গেট খুলে দিলে সে ভেতরে এসে রাব্বীর রুমের দিকে পা বাড়ালো । রাব্বীর রুমটা একটু বাইরের দিকে । মেইন গেট এর পর ছোট বারান্দা ,মেইন গেটের সোজা বারান্দার অপর প্রান্তে একটা দরজা । সেই দরজা হচ্ছে রাব্বীদের বসার ঘরের , এটা রাব্বী তাকে বলেছিলো । আবির কোনদিনও এদের বসার ঘরে ঢুকে নি । গেট দিয়ে ঢুকে ডানদিক দিয়ে বারান্দায় শেষ মাথায় রাব্বীর রুম , আবিরের দৌড় সে পর্যন্ত ।
গিয়ে দেখে রাব্বী শুয়ে শুয়ে বই পড়ছে – স্বাভাবিক ঘটনা । তাকে দিকে বিছানা উঠে বসলো । উঠে বসতেই আবিরের চোখে পড়ল নির্মেলেন্দু গুণ এর কবিতাসমগ্র , রাব্বী কবিতা পড়ে ! তাও আবার নির্মেলেন্দু গুণ ! অনেকটা আশ্চার্যই হয়ে গেলো সে । তার এই ভাবনার মাঝে ছেদ ঘটলো রাব্বীর কথায়, কিরে কি ব্যাপার ?
তোর সাথে দেখা করতে এলাম ।
দোস্ত আজকে তো এক কাহিনী ঘটে গেছে , আমি তো জাহিদ আর শোভন এর সাথে গেছিলাম এক জায়গায় ।
রাব্বীর কথা শুনে আবির আরেকবার একটা ধাক্কা খেলো । জাহিদ , শোভন এই দুই গাজাখোরের সাথে এর কি ? কই গেছিলো ? রাব্বীকে জিজ্ঞেস করায় সে খুলে বললো সবকিছু । শুনে তো আবির থ ! রাব্বী শেষপর্যন্ত গাজার আড্ডায় গেলো !
চলবে ……………
২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪০
অমিত বসুনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪২
আর. এন. রাজু বলেছেন: হুঁ। আমার ব্লগটটা একবার দেখে আসবেন।
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: "সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়ে আসতেছে"
এটা আপনার গল্পের একটা বাক্য।
বাক্যটা পড়েই গল্পটা পড়ার সাধ সত্যি বলতে মিটে গেল। একজন গল্পকার অবশ্যই অবশ্যই লেখার সময় আঞ্চলিকতা পরিহার করবেন। না করলে সেটা আর ভাল গদ্য হয়ে ওঠে না। এটা যদি সংলাপের ভিতরে থাকত মেনে নিতাম, কিন্তু ন্যারেটিভ অংশে!!!
যাই হোক, বিষয়টার দিকে খেয়াল রাখবেন।
শুভ কামনা আপনার জন্য
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: "সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়ে আসতেছে"
এটা আপনার গল্পের একটা বাক্য।
বাক্যটা পড়েই গল্পটা পড়ার সাধ সত্যি বলতে মিটে গেল। একজন গল্পকার অবশ্যই অবশ্যই লেখার সময় আঞ্চলিকতা পরিহার করবেন। না করলে সেটা আর ভাল গদ্য হয়ে ওঠে না। এটা যদি সংলাপের ভিতরে থাকত মেনে নিতাম, কিন্তু ন্যারেটিভ অংশে!!!
যাই হোক, বিষয়টার দিকে খেয়াল রাখবেন।
শুভ কামনা আপনার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৮
আর. এন. রাজু বলেছেন: ভালো লাগলো।
পরের পর্বের আশায় রইলাম।