![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম : ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯; মানিকগঞ্জ। পৌষের কোনো এক বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতে এদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হয়েছিলো আমার, মায়ের কাছে শুনেছি। হঠাৎ বৃষ্টির সেই শীতের রাতে আঁতুর ঘরে মার পাশে দাইমা নামক আমার অ-দেখা এক মহিলা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। উঠোনে রেখে দেয়া প্রয়োজনীয় সাংসারিক অনুষঙ্গ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে দাইমা বাইরে গেলে প্রায়ান্ধকার ঘরে জন্ম হয়েছিলো আমার। জন্মেই দেখেছিলাম, আমার চারপাশে কেউ নেই- মা ছাড়া। আজ, এই এতদিন পর- আমার চারপাশে সহস্র মানুষের ভিড়- তবু মার কাছে ফিরতেই ভালো লাগে আমার। যোগাযোগ : [email protected] [email protected]
[উৎসর্গ : প্রিয় ব্লগার কৌশিককে, যার প্রতিটি লেখা আমাকে আনন্দ দেয়।]
'এই মাতোয়ালা রাইত' শিরোনামে আশ্চর্য-অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছিলেন শামসুর রাহমান; পুরনো ঢাকার এক বাসিন্দার মুখ দিয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন জীবনের এক অসামান্য ব্যাখ্যা।
পুরনো ঢাকার মানুষগুলো যখন সাহিত্যে উঠে আসে তখন এমনিতেই খুব কালারফুল হয়ে ওঠে, বিশেষ করে তাদের ভাষার কারণে। আখতারুজ্জমান ইলিয়াস এবং শহীদুল জহিরের গল্প-উপন্যাসে আমরা এমন অনেক কালারফুল চরিত্রের দেখা পেয়েছি। কিন্তু কবিতায়? আমার জানা মতে রাহমানের এই কবিতাটিই একমাত্র।
কবিতাটি শুরু হয় খুব হালকা চালে, এক আপাদমস্তক নেশাখোরের জবানিতে-
'হালায় আজকা নেশা করছি বহুত। রাইতের
লগে দোস্তি আমার পুরানা, কান্দুপট্টির খানকি
মাগীর চক্ষুর কাজলের টান এই মাতোয়ালা
রাইতের তামাম গতরে। পাও দুইটা কেমুন
আলগা আলগা লাগে, গাঢ়া আবরের সুনসান
আন্দরমহলে হাঁটে। মগর জমিনে বান্ধা পাও'
বোঝা যায়, নেশাখোর এই লোকটি নিশিখোরও বটে- ' রাইতের লগে দোস্তি আমার পুরানা' ; আর রাতের কী আশ্চর্য বর্ণনা দিচ্ছে সে, দেখুন-'কান্দুপট্টির খানকি মাগীর চক্ষুর কাজলের টান এই মাতোয়ালা রাইতের তামাম গতরে!' রাতের শরীরে 'কান্দুপট্টির খানকি মাগীর চক্ষুর কাজলের টান'! কী অসাধারণ উপমা!
কবিতা আরো কিছুদূর এগোয় হালকা চালেই-
'আবে, কোন্ মামদির পো সামনে খাড়ায়? যা কিনার,
দেহস না হপায় রাস্তায় আমি নামছি, লৌড় দে;
না অইলে হোগায় লাথথি খাবি, চটকানা গালে।
গতরের বিটায় চেরাগ জ্বলতাছে বেশুমার।'
মনে হচ্ছে, যেন এক রাজা সে, এই রাতের শহরে। কেউ সামনে দাঁড়ালে 'হোগায় লাথথি ' খাবে, অথবা 'চটকানা গালে।' কিন্তু এখানেই থামছে না সে, নিজের পরিচয় দিচ্ছে এইভাবে-
'আমারে হগলে কয় মইফার পোলা, জুম্মনের
বাপ, হস্না বানুর খসম, কয় সুবরাতি মিস্ত্রি।
বেহায়া গলির চাম্পা চুমাচাট্টি দিয়া কয়, 'তুমি
ব্যাপারী মনের মানু আমার, দিলের হকদার।'
অর্থাৎ, আমাদের যা যা পরিচয় হতে পারে তার সবই ধরা হলো এই পঙক্তিগুচ্ছে- কারো সন্তান, কারো বাবা, কারো স্বামী, কারো বা প্রেমিক। এমনকি পেশাগত পরিচয়েও তো পরিচিত হই আমরা! কিন্তু এগুলো কি সত্যিকার অর্থেই আমাদের 'পরিচয়' তুলে ধরতে পারে? পারে না। আর তাই, কবিতাটিও এতক্ষণের হালকা চাল ছেড়ে এবার প্রবেশ করে এক গভীর দার্শনিক জগতে-
'আমার গলায় কার গীত হুনি ঠাণ্ডা আঁসুভরা?
আসলে কেউগা আমি? কোনহানতে আইছি হালায়
দাগাবাজ দুনিয়ায়? কৈবা যামু আখেরে ওস্তাদ?
চুড়িহাট্টা, চান খাঁর পুল, চকবাজার, আশক
জমাদার লেইন, বংশাল; যেহানেই মকানের
ঠিকানা থাউক, আমি হেই একই মানু, গোলগাল
মাথায় বাবরি; থুতনিতে ফুদ্দি দাড়ি, গালে দাগ,
যেমুন আধলি একখান খুব দূর জামানার।'
নিজের গলায়ই সে যেন অন্য কারো 'গীত' শোনে 'ঠাণ্ডা' অশ্রুভরা! এবং প্রশ্ন করে - কে আমি, কোত্থেকে এসেছি এই 'দাগাবাজ দুনিয়ায়?' শেষ পর্যন্ত কোথাযই বা যাবো? যেখানেই যাক, সে তো সে-ই একই মানুষ- 'গোলগাল মাথায় বাবরি; থুতনিতে ফুদ্দি দাড়ি, গালে দাগ'! এবং নিজেকে তার মনে হচ্ছে- খুব দূর অতীতের 'আধলি একখান!'
মানুষের অস্তিত্ব-অনুসন্ধানের জন্য প্রাচীন সব প্রশ্ন সঙ্গে নিয়ে একই তালে কবিতা এগোয়, এবং আমাদেরকে উপস্থিত করে আরো গভীর-গভীরতর প্রশ্নের মুখোমুখি-
'আমার হাতের তালু জবর বেগানা লাগে আর
আমার কইলজাখান, মনে অয়, আরেক মানুর
গতরের বিতরে ফাল পাড়ে; একটুকু চৈন নাই
মনে, দিল জিঞ্জিরার জংলা, বিরান দালান। জানে
হায়বৎ জহরিলা কেঁকড়ার মতন হাঁটা-ফিরা
করে আর রাইতে এমুনবি অয় নিজেরেও বড়
ডর লাগে, মনে অয় যেমুন আমিবি জমিনের
তলা থন উইঠা আইছি বহুত জমানা বাদ।'
নিজেকেই নিজের কাছে অচেনা লাগে! এমনকি নিজের হাতের তালুও 'বেগানা' লাগে; নিজের 'কইলজাখান'ও যেন অন্য কারোর, নিজের শরীরে এসে 'ফাল পাড়ে!' আর রাতে নিজেকেও বড় 'ডর লাগে', মনে হয় মাটির ভেতর থেকে সে উঠে এসেছে বহুকাল পর!
কবিতা থামে না, এবার তার চোখে পড়ে এক শবযাত্রা। পুরনো ঢাকার স্বভাবজাত কৌতুকপূর্ণ ভাষায় তার বর্ণনাও দেয় সে, আর মনে হয়-'আজরাইল আইলে' তাকেও অন্ধকার কবরে 'হান্দাতে' হবে! এবং মনে হয় এ-ও যে, মৃত্যু এক নিত্য সহচরের মতোই সত্য আর কাছের-
'এ-কার মৈয়ত যায় আন্ধার রাইতে? কোন ব্যাটা
বিবি-বাচ্চা ফালাইয়া বেহুদা চিত্তর অইয়া আছে
একলা কাঠের খাটে বেফিকির, নোওয়াব যেমুন?
বুঝছোনি হউরের পো, এলা আজরাইল আইলে
আমিবি হান্দামু হ্যাষে আন্ধার কব্বরে। তয় মিয়া
আমার জেবের বিতরের লোটের মতই হাচা মৌত।'
কিন্তু মৃত্যু তো আসলে আমাদেরকে জীবনের পক্ষেই দাঁড় করিয়ে দেয়! আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়- আমরা বেঁচে আছি; বেঁচে থাকা কী সুন্দর, কী অসাধারণ! সে-ও এবার তা-ই ভাবছে, এবং বেঁচে থাকার গৌরবে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠছে! -
'এহনবি জিন্দা আছি, এহনবি এই নাকে আহে
গোলাব ফুলের বাস, মাঠার মতন চান্নি দিলে
নিরালা ঝিলিক মারে। খোওয়াবের খুব খোবসুরৎ
মাইয়া, গহীন সমুন্দর, হুন্দর পিনিস আর
আসমানী হুরীর বারাত; খিড়কির রৈদ, ঝুম
কাওয়ালীর তান, পৈখ সুনসান বানায় ইয়াদ।
এহনবি জিন্দা আছি, মৌতের হোগায় লাথথি দিয়া
মৌত তক সহিসালামত জিন্দা থাকবার চাই।'
হ্যাঁ, বেঁচে আছি বলেই তো এখনো ফুলের সুবাস নাকে আসে, চাঁদনি রাত 'দিলে ঝিলিক মারে', আর জীবনের নানা আয়োজনের মধ্যে ফিরে ফিরে যাই- নারী, সুর ও সুরার কাছে! আর তাই- 'মৌতের হোগায় লাথথি দিয়া মৌত তক সহিসালামত জিন্দা থাকবার চাই!' কী অসাধারণ লাইন!
কিন্তু এখানে এসেও কবিতাটি থামে না। আত্ন-অনুসন্ধানের পরিক্রমা শেষে কোনো প্রশ্নের ঠিকঠাক না পেয়েও যখন সে জীবনের পক্ষে দাঁড়ায়, বেঁচে থাকার আনন্দে মুখর হয়, তখন আবার ফিরে আসে সেই ভাবনা! অস্তিত্বের অর্থ কি?-
'তামাম দালান কোঠা, রাস্তার কিনার, মজিদের
মিনার, কলের মুখ, বেগানা মৈয়ত, ফজরের
পৈখের আওয়াজ, আন্ধা ফকিরের লাঠির জিকির-
হগলই খোওয়াব লাগে আর এই বান্দাবি খোওয়াব!'
সবই স্বপ্ন তাহলে? এমনকি এই আমিও? আমার অস্তিত্বও?
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:১৭
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আসলেই কবিতাটি আশ্চর্য-অসাধারণ। এর আগে এই ব্লগেই কবিতাটির কিছু অংশ পড়েছিলাম কোনো এক ব্লগারের সৌজন্যে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এর আগে এই ব্লগেই কবিতাটি কেউ পোস্ট দিয়ে ফেলেছেন?!? আর আমি এত বড় কবিতা টাইপ করতে গিয়ে কাহিল হয়ে গেলাম!
আগে জানলে কপিপেস্ট করে চালিয়ে দিতাম!
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:১৯
চিকনমিয়া বলেছেন: পেলাচ দিয়া যাই
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেকদিন পর আইলা জেডা, কেমুন আছো?
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:২৩
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষন গুরু....হালায় আমারোভি নেশা নেশা লাগবার লাগচে
প্রিয় পোষ্টে নিলাম....কবিতাটা আমার দারুন পছন্দ
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: না খাইয়াই নেশা নেশা লাগবার লাগচে!!
প্রিয় পোস্টে নিলেন শুনে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩৬
কৌশিক বলেছেন: এত গুনী একজন লেখক একটা পোস্ট উৎসর্গ করলে বিনয়ের অবতার হতে ইচ্ছে করে। কি আর কমু।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: গরীবের বাড়িতে হাতির পা পড়লো মনে লয়!
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪২
সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: মনে হচ্ছে নেশা না করলে কবিতাটা জমবে না। নিয়া রাইখা দেই-অসাধারণ হইছে।
আপনারে স্যালুট-স্যালুট রাহমান সাহেবরে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: নিয়া রাখলেন কি নেশা কইরা কবিতাটা জমানোর লাইগা? আমারে ভাগ দিয়েন কিন্তু, একলা একলা নেশা করলে মাইন্ড করুম!
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৩
সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: 'এ-কার মৈয়ত যায় আন্ধার রাইতে? কোন ব্যাটা
বিবি-বাচ্চা ফালাইয়া বেহুদা চিত্তর অইয়া আছে
আবারো অসাধারণ কইতে মনচাইলো।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ দিতে মনচাইলো!
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৩
হাসান বায়েজীদ বলেছেন: ঢাকাইয়া ভাষা শুনেছি তবে শিখতে পারি নাই, কোথাও কোনো বিচ্যূতি ঘটেছে কিনা কবি'র সেটা বোঝাও সম্ভব নয়, দূর্দান্ত। শ্যাষের দিকে, মৃত্যূর আগে আগে, প্রথম আলোয় এক জন্মদিনে লেখা একটা কবিতায়ও গদ্য ষ্টাইলে চানখার পুলের নাম নিয়েছিলেন কবি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: বিচ্যুতি নয়, সচেতন মডিফিকেশন হতে পারে। পাঠকের কাছে বোধগম্য করে তোলার দায় তো একজন লেখকের থাকেই। যে কোনো ডায়ালেক্ট-ই খানিকটা মডিফাই করে উপস্থাপন করেন লেখকরা। এখানেও তেমনটি ঘটতে পারে। তবে আমি নিশ্চিত নই। ঢাকাইয়া ভাষা জানি না, তবে কিছুটা বুঝতে পারি।
৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৫
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: চমৎকার একটা কবিতার আলোচনা! তবে আপনার মূল (প্রথম) ভালোবাসা মনে হয় জীবনানন্দ। শামসুর রাহমান নয়, তাই এই কবিতা অতো আদর পেলো না অন্য আলোচনাগুলোর মতোন!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: জীবনানন্দর জন্য আমার ভালোবাসার কোনো তুলনা হয় না, সত্যি। কিন্তু আরো অনেক কবির অনেক কবিতা খুব ভালো লাগে। লিখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু টাইপ করার ভয়ে আর লেখা হয়ে ওঠে না!
এই কবিতাটি টাইপ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, তারপর আর বেশি লিখতে ইচ্ছে হয়নি! তবে এটাকে লাইন-টু-লাইন ব্যাখ্যা করা দরকার বলেই মনে করি আমি।
১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৫
নিশা সিনহা বলেছেন: অডিওতে শিমুল মোস্তফার আব্রিতি শুনেছিলাম
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমি শুনিনি! কেমন হয়েছে আবৃত্তি?
১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৬
প্রিন্স আশরাফ বলেছেন: প্লাস।কবিতাটা আমার দারুন পছন্দ
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: থ্যাংকস।
আমারও।
১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: "আসলে কেউগা আমি? কোন্হানতে আইছি হালায়
দাগাবাজ দুনিয়ায়? কৈবা যামু আখেরে ওস্তাদ?"
হক সওয়াল,কেউগা এত বিতলামি?
"আমার হাতের তালু জবর বেগানা লাগে আর
আমার কইলজাখান, মনে অয়, আরেক মানুর
গতরের বিতরে ফাল পাড়ে; একটুকু চৈন নাই
মনে, দিল জিঞ্জিরার জংলা, বিরান দালান।"
দিলকা বাত,হগলই খোওয়াব লাগে আর এই বান্দাবি খোওয়াব!'
তয় "মৌত তক সহিসালামত জিন্দা থাকবার চাই।"
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২২
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ, কেউগা এত বিতলামি?
আমিও "মৌতের হোগায় লাথথি দিয়া মৌত তক সহিসালামত জিন্দা থাকবার চাই।"
১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৯
একরামুল হক শামীম বলেছেন: দারুন বিশ্লেষণ।
জীবনানন্দ দাশের কবিতাগুলো নিয়েও এই ধরনের বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট চাই। প্রয়োজনে আমি কবিতা টাইপ করে দিবো।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনি টাইপ করে দিলে তো আমি লেখার জন্যে দুই পায়ে খাড়া হয়ে থাকবো! কথা দিলেন কিন্তু, পরে আবার পিছলাইয়েন না!
১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১২
কঁাকন বলেছেন: কবিতার জন্য ধন্যবাদ
আগে পড়া হয়নি
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকেও।
১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:০১
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: দারুন লাগলো ....
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: আজকে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বই কিনতে গেলাম। উনারে আন্ডার-এস্টিমেট কইরা ফেলছি, ভাবলাম সমগ্র কিনবো আর কতো টাকা লাগবে! উনার সমগ্র যে চার খন্ড, ওইটা জানলে পকেটে আরেকটু ওজন রাখতাম
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হা হা হা। চারখণ্ড না হোক, দু-খণ্ড তো কিনেছেন! পরেরবার পকেটের ওজন বাড়িয়ে মেলায় যাবেন!
১৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৯
দেশী পোলা বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষন
++
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২০
বিবর্তনবাদী বলেছেন: দারুন কবিতা দারুন লেখা।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: থ্যাংকস বিবর্তনবাদী। অনেকদিন পর দেখলাম। ব্যস্ত নাকি?
১৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮
তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: অনেক কঠিন কবিতা । সময় নিয়ে আবার পড়তে হবে।
{ আপনি আমার একটা পোষ্টে বলেছিলেন আমি আপনাকে মেইল করেছি সেটা পেয়ে আপনি লগইন হয়েছেন, এখানে কোন ভুল হচ্ছে। আপানার মেইল আইডি জানালে ভুল বুঝাবুঝির আবসান করা যেত }
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:২৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আরে দূর, ওটা তো ফান করে বলেছিলাম! এখনো সেটা মনে করে বসে আছেন! আশ্চর্য তো! আপনার পোস্টটি মজার ছিলো, ভাবলাম একটু দুষ্টুমি করি, তাই ওরকম বলা। আপনার সঙ্গে পরিচয় তো দূরে থাক, কস্মিনকালেও আপনার নাম শুনিনি, আপনি আমাকে মেইল করবেন কেন? ফান-কমেন্ট না বুঝলে তো মুশকিল তিতিয়ানা! আচ্ছা যান, আপনার পোস্টে এখন থেকে গুরুগম্ভীর মন্তব্য করবো, ফানের ধারেকাছেও যাবো না, হলো তো!
আমার মেইল অ্যাড্রেস আমার প্রোফাইলের শেষের দিকে দেয়া আছে।
২০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৩
তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: আরে না। ফান করবেন না কেন? আসলে আমি নেটে বেশি দিন হয় নি। তাই ভয় পেয়ে ভাবলাম আমার আইডি হ্যক হল কিনা। আমি কি বোকা । আমার পোষ্টে ফান-কমেন্ট অথবা গুরুগম্ভীর মন্তব্য যা খুশি করবেন। আমার বল্গে আপনাকে স্বাগতম
আমি এ্যাড করে নিচ্ছি।
ভাল থাকুন
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: না, আমি দাবো না, লাগ কলেছি।
২১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯
গুরু ভাই বলেছেন: আব্বে হালার সামচু ভি আমারে লইয়া কোবতে লিকচে? ঠ্যাংকু ঠ্যাংকু...
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সামচু ভি ঠ্যাংকু পাইলো, আমি হালায় কি দোস করলাম?!?
২২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি আমি বাকরুদ্ধ !!!!
এমন করেও কোন কবিতা হতে পারে , এমন ভাষায় লেখা কোন কবিতা এতটা মুগ্ধ করতে পারে , ভাবতে পারিনি
অসামান্য বিশ্লেষণের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নেবেন
*** আমি কবিতা বিমুখ মানুষ , বারবার মনে হয় কিছু বুঝতে পারছি না ।অথচ কবিতা যখন কেউ ব্যাখ্যা করে তখন আমি মুগ্ধ শ্রোতা বা পাঠক , আপনার কবিতার সরল বিশ্লেষণগুলোর আকর্ষণক্ষমতা অনেক প্রবল । নিয়মিত বিশ্লেষণের অপেক্ষায় থাকব
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: একবারে বাকরুদ্ধ!
কবিতাবিমুখ হলে যে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে হয় ভাইটু। আমিও কবিতা একটু কমই বুঝি, তবু লেগে থাকি আর কি! একসময় একটা অর্থ ঠিকই বেরিয়ে আসে।
মন্তব্যটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
২৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৬
তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: "লাগ করো না, লাগ করো না তোমায় আমি মালবো না
সত্যি বলছি লাগ করে থাকতে আমি পালবো না"
আব্বে আমার বল্গে না আইলে কইলাম খবর আছে(
(
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন:
'ইশারায় শিষ দিয়ে আমাকে ডেকো না!'
২৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: ইশারায় কি ডাকতে আসি নি । আমি তো সহব্লগারের দাবী নিয়ে এসেছি।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: গিয়ে ঘুরে এলাম তো আপনার ব্লগ থেকে!
২৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:১৬
তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: দেখেছি এবং খুব খুশী হয়েছি। আপনার মন্তব্য খুবই মজার ছিল।
{আপনি কি ম্যাসেন্জার ব্যবহার করেন না?}
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: নারে ভাই, ম্যাসেন্জার ব্যবহার করি না! আমি প্রাচীন আমলের মানুষ, সুদূর অতীত থেকে এসে ভুল করে আপনাদের সময়ের আবর্তে ঢুকে পড়েছি!
২৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:০১
হাল্ক বলেছেন: আপনাকে নজরে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হল। বুড়ি আমাকে পর্যন্ত ভালো ছেলে বলতে চায় না। অথচ আমার ব্লগে আপনার কমেন্ট দেখে সে আপনার খুব প্রশংসা করল। সুতরাং আমার বুড়িকে impress করে রাখার অপরাধে আপনার উপর আমি নজর রাখব।
হঠাত হঠাত প্লাস পেলেই বুঝবেন আমি ঘুরে গেছি আপনার ব্লগ।
সাবধান। বেশি ভালো লিখবেন না ।
(anyway, পুষ্টে প্লাস)
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হা হা হা। অবশেষে নজরবন্দি হলাম! খাইছে!!
বেশি বেশি ভালো লিখতে হবে যাতে আপনার বুড়ি আমাকে আরো বেশি বেশি পছন্দ করে এবং আপনার বুকে অগ্নি প্রজ্বলিত হয়!
মজার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আখসানুল।
২৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:১৯
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: "জানে
হায়বৎ জহরিলা কেঁকড়ার মতন হাঁটা-ফিরা
করে আর রাইতে এমুনবি অয় নিজেরেও বড়
ডর লাগে, মনে অয় যেমুন আমিবি জমিনের
তলা থন উইঠা আইছি বহুত জমানা বাদ"
এই লাইন কয়টা প্রিয় হয়ে গেল .....
কিছু শব্দ মনে হয় এমনেই বাদ দিসেন ?
যেমন : মাঠা -- ঘোল
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: না, কবিতা থেকে কোনো শব্দ বাদ পড়েনি। তবে লাইন-টু-লাইন ব্যাখ্যা করিনি। যতটুকু করেছি, তাতে তো বোঝা যায় মনে হয়, তাই না?
২৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৯
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: দারুন তো!
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, দারুণ!
২৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৫৪
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: বোঝা যায় মানে ..... দারুন হইসে ... কাশ আমি ভি এমন ব্যাখা দিতে পারতাম .....
২য় বার কবিতা মন দিয়া পড়ার সময় রোম খাড়া হইয়া গেসে ..
ঐ মৈয়তের ব্যাপার টা .....জমিনের ভিতর থেকে উঠে আসার অনুভূতিটা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পুরান ঢাকার বাচনভংগিতে কি আরো এমন কবিতা আছে ?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: পুরান ঢাকার বাচনভংগিতে এমন আর কোনো কবিতা আছে বলে আমার জানা নেই। তবে গল্প উপন্যাস আছে।
মনে হচ্ছে আপনি ওই ভাষাটা জানেন। সেক্ষেত্রে কবিতাটি ব্যাখ্যার দায়িত্বও কিন্তু আপনার আছে। শামসুর রাহমানের কবিতা নিয়ে যতগুলো আলোচনা পড়েছি, কোথাও এটি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। ওই ভাষাটি না জানার ফলেই এটা ব্যাখ্যা করার রিস্ক কেউ নিতে চান না! আমি সাহস করে করেছি বটে, তবে খানিকটা সংশয় থেকেই গেছে। আপনি যদি পুরনো ঢাকার ভাষা এবং জনজীবনের সঙ্গে পরিচিত হয়ে থাকেন, তাহলে অনুরোধ করবো- প্লিজ কবিতাটি ব্যাখ্যা করুন। ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক খুশি হবো।
৩০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
লীনা দিলরূবা বলেছেন: কবিতা বিশ্লেষণ করার সময় আপনি সম্ভবত সেই কবি হয়ে যান, যে সুরে কবিতা পড়ি ব্যবচ্ছেদও একই সুরে হয়। কোন মারদাঙ্গা ভাব নেই। অনেক শুভাশিষ আপনাকে।
অ.ট: প্রথমআলোর গোল টেবিলে তো বোমা ফাটিয়েছেন, গত সপ্তাহে দেখলাম একজন আবার একহাত দেখিয়ে দিয়েছে। আপনার জবাব তৈরী তো?
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৫৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার প্রশংসা পেয়ে তো প্রায় আকাশে উঠে গেলাম, এখন নামি কিভাবে?
'শুভাসিষের' জন্য ধন্যবাদ।
-----------------------
অ.ট : ওই কথাগুলো বলার দরকার ছিলো! আজকে দেখলাম আরেকজন বোমা ফাটিয়েছে। পাঠ-প্রতিক্রিয়া চলতে থাকুক। আমি এখনই নতুন করে কিছু বলবো না..। সবার কথার উত্তর দেয়ার তো দরকার নেই। যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে নিশ্চয়ই দেবো।
৩১| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৩
লীনা দিলরূবা বলেছেন: হুম সবই অনুসরণ করছি। সংরক্ষণও করছি। কলমের জোর থাকলে প্রথমআলোতে আমিও এ বিষয়ে মন্তব্য পাঠাতাম। আপনার বক্তব্য জোর সমর্থন করি। প্রয়োজন বোধ করলে জবাব দেবেন, অপেক্ষায় থাকলাম।
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কলমের জোর থাকা না থাকার অজুহাত দিচ্ছেন কেন?
আপনার লেখা কি আমি পড়িনি? জানি না যে জোর আছে কি নেই? এ বিষয়ে আপনার মতামতগুলো আপনার পোস্টেই তো জেনেছি, সেগুলোই লিখে পাঠান না কেন?
ফাঁকিবাজি করবেন, আবার কলমের দোষ দেবেন, একখান মাইনাস লন!
৩২| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৪৯
লীনা দিলরূবা বলেছেন: কামাল ভাই আমরা চাই আপনারা এটা নিয়ে বেশি বেশি বলেন, প্রথম আলো এজন্য সবচে' সঠিক ফোরাম। এই দৈনিকের কোন কলাম, নিউজ, আমার- আমার চারপাশের লোকজনের দৃষ্টি এড়ায়না। আমার মা'ও লেখাটা পড়েছেন এবং প্রসংশা করেছেন, আলোচনাটা আসলেই জাদরেল হয়েছে। আর এসব লেখকদের জানা প্রয়োজন তারা আসলে কোথায় অবস্থান করছেন, আর নিজেদের নিয়ে কি কষ্ট কল্পনা তারা রচণা করে চলেছেন।
১২ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৪১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমি আলোচনাটা শুরু করে দিয়েছি, এখন অন্যদের দায়িত্ব এটা এগিয়ে নেবার। আমি একাই কথা বলে যাবো, তা তো হয় না। আপনিও অংশ নিন আলোচনায়, খুশি হবো...
৩৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:২২
লীনা দিলরূবা বলেছেন: গুরুজনের আদেশ .......... চেষ্টা করবো। ভাল থাকেন কামাল ভাই।
১৩ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:১৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ...
৩৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৩১
মাসউদ জাজিরা বলেছেন: এ ধরণের লেখা আমি আগে কখনো পড়িনি। অনেক ভালো লাগলো।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:২০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৩৫| ২৭ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:১২
সাগর ঢাকা বলেছেন: আপনার লেখাটা ফেসবুকে দিলাম, যদিও কবিতা পরে এমন বন্ধু কম ! তারপরেও ভালো লাগা যদি কারো ভালো লাগে!
কেমন আছেন? নতুন লেখা কই???
৩৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৯
মোহাম্মাদ রাকিবুল হাসান বলেছেন: অসাধারণ
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:১৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন:
পুরো কবিতাটি একবার একসঙ্গে পড়ে নেয়া যাক-
হালায় আজকা নেশা করছি বহুত। রাইতের
লগে দোস্তি আমার পুরানা, কান্দুপট্টির খানকি
মাগীর চক্ষুর কাজলের টান এই মাতোয়ালা
রাইতের তামাম গতরে। পাও দুইটা কেমুন
আলগা আলগা লাগে, গাঢ়া আবরের সুনসান
আন্দরমহলে হাঁটে। মগর জমিনে বান্ধা পাও
আবে, কোন্ মামদির পো সামনে খাড়ায়? যা কিনার,
দেহস না হপায় রাস্তায় আমি নামছি, লৌড় দে;
না অইলে হোগায় লাথ্থি খাবি, চটকানা গালে।
গতরের বিটায় চেরাগ জ্বলতাছে বেশুমার।
আমারে হগলে কয় মইফার পোলা, জুম্মনের
বাপ, হস্না বানুর খসম, কয় সুবরাতি মিস্ত্রি।
বেহায়া গলির চাম্পা চুমাচাট্টি দিয়া কয়, 'তুমি
ব্যাপারী মনের মানু আমার, দিলের হকদার।'
আমার গলায় কার গীত হুনি ঠাণ্ডা আঁসুভরা?
আসলে কেউগা আমি? কোন্হানতে আইছি হালায়
দাগাবাজ দুনিয়ায়? কৈবা যামু আখেরে ওস্তাদ?
চুড়িহাট্টা, চান খাঁর পুল, চকবাজার, আশক
জমাদার লেইন, বংশাল; যেহানেই মকানের
ঠিকানা থাউক, আমি হেই একই মানু, গোলগাল
মাথায় বাবরি; থুতনিতে ফুদ্দি দাড়ি, গালে দাগ,
যেমুন আধলি একখান খুব দূর জামানার।
আমার হাতের তালু জবর বেগানা লাগে আর
আমার কইলজাখান, মনে অয়, আরেক মানুর
গতরের বিতরে ফাল পাড়ে; একটুকু চৈন নাই
মনে, দিল জিঞ্জিরার জংলা, বিরান দালান। জানে
হায়বৎ জহরিলা কেঁকড়ার মতন হাঁটা-ফিরা
করে আর রাইতে এমুনবি অয় নিজেরেও বড়
ডর লাগে, মনে অয় যেমুন আমিবি জমিনের
তলা থন উইঠা আইছি বহুত জমানা বাদ।
এ-কার মৈয়ত যায় আন্ধার রাইতে? কোন ব্যাটা
বিবি-বাচ্চা ফালাইয়া বেহুদা চিত্তর অইয়া আছে
একলা কাঠের খাটে বেফিকির, নোওয়াব যেমুন?
বুঝছোনি হউরের পো, এলা আজরাইল আইলে
আমিবি হান্দামু হ্যাষে আন্ধার কব্বরে। তয় মিয়া
আমার জেবের বিতরের লোটের মতই হাচা মৌত।
এহনবি জিন্দা আছি, এহনবি এই নাকে আহে
গোলাব ফুলের বাস, মাঠার মতন চান্নি দিলে
নিরালা ঝিলিক মারে। খোওয়াবের খুব খোবসুরৎ
মাইয়া, গহীন সমুন্দর, হুন্দর পিনিস আর
আসমানী হুরীর বারাত; খিড়কির রৈদ, ঝুম
কাওয়ালীর তান, পৈখ সুনসান বানায় ইয়াদ।
এহনবি জিন্দা আছি, মৌতের হোগায় লাথথি দিয়া
মৌত তক সহিসালামত জিন্দা থাকবার চাই।
তামাম দালান কোঠা, রাস্তার কিনার, মজিদের
মিনার, কলের মুখ, বেগানা মৈয়ত, ফজরের
পৈখের আওয়াজ, আন্ধা ফকিরের লাঠির জিকির-
হগলই খোওয়াব লাগে আর এই বান্দাবি খোওয়াব!