নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিন্টুর নগর সংবাদ

কোন পরিচয় চান

মিন্টুর নগর সংবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প কমলা সুন্দরির হানিমুন

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০৩


বেশ একা হয়ে গেছেন কমলা সুন্দরী । সারাদিন বাসাতে একা একা সময় কাটে । সমপ্রতি প্রেমের চার বছর পূর্তিতে বিয়ে করেছে সে তার প্রেমিক জামালকে । বিয়ের পর থেকে স্বামী জামাল এখন আর তাকে খুব একটা বেশি সময় দিতে পারে না । সেই সকালে বেরিয়ে যায় আর আসে রাত ১২ টায় কখন ১টায় । দিনে বাকি সময়টা বাড়িতে একা থাকে কমলা । কিছুদিন আগে মেয়ে একা থাকে বলে কমলার সাথে তার মা থাকতো । কমলার মায়ের বাসা অবশ্য তাদের বাসার খুব কাছেই । ইচ্ছা করলেই কমলা যখন তখন মায়ের কাছে চলে যেতো । কয়েক দিন হলো মাও মরে গেছে । এখন কমলা বলতে গেলে একা হয়ে গেছে তাই কমলা স্বমীকে বলে তার শশুরবাড়ি কুমিল্লায় চলে গেছে । কমলা এখন অনূভব করে মা বেঁচে থাকতে সে বুঝেনি তার বিয়ে হয়েছে । তার কাছে মনে হতো বিয়ে হয়নি সে হয়তো পাশেই কোথাও তার কোন বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গেছে । মা মরে যাওয়ায় কমলার কাছে এখন সব ফাকা লাগছে শূন্য মনে হচ্ছে । এখন কমলা বুঝতে পারছে যে তার সত্যিই বিয়ে হয়েছে । এখন কমলা অনুভব করে বিয়ের পরে তার কি কি দায়িত্ব । সে এখন সামনের দিনগুলোর ভাবনা করে বেশি । এসব কারণে এখন সে স্বামী বলে একটি প্রাইভেট কম্পানীতে চাকুরি নিলেন । নতুন চাকুরি নতুন অফিস বেশ গুছিয়ে গাছিয়ে চলছে কমলা । কমলার কাজে খুশি হয়ে তার অফিসের বস তাকে একদিন দুপুরের লান্সের দাওয়াত দেন প্রথমে কমলা কি মনে করে যেন তার বসের দাওয়াত না করে দেন পরে অনেক অনুরোধে কমলা তার বসের দাওয়াত কবুল করেন । কমলা দেখতে শুনতে বেশ সুন্দর ছিলেন । খাওয়ার টেবিলে বস কমলাকে বললেন কমলা কালকে তোমাকে দেশের বাহিরে সিঙ্গাপুর যেতে হবে আমি দুজনের জন্য সিঙ্গাপুরে টিকেট কেঁটেছি । কমলাতো বসের কথা শুনে মনে মনে বসকে খুব খারাপ ভাবতে লাগলেন এই ভেবে কেননা বস জানে আমি একজন বিবাহিত নারী তারপরেও সে আমায় নিয়ে কোন সাহসে এরকম একটি চিন্তা ভাবনা করলো । এই ভেবে কমলা খাবার টেবিল থেকে ওঠে চলে গেলেন তার অফিস কক্ষে ।
বস প্রথমে বিষয়টি না বুঝতে পারলেও পরে বুঝতে পেরেছন তাই সেও দ্রুত কমলার অফিস কক্ষে গেলেন এবং কমলাকে বিষয়টি
খুলে বললেন । এই যে কমলা আসলে আমি তোমার কাজে খুশি হয়ে তোমাকে আমার পক্ষ হতে সিঙ্গাপুরের টিকিট দুটি এবং সেখানে এক সপ্তাহ হোটেলে থাকা ও গুরে বেড়ানোর যে মানে তোমাদের হানীমুনের যে খরচ সব গীফট মনে করে দিচ্ছি । ওখানে তুমি আর তোমার স্বামী যাবে ।
এ কথা শুনে কমলা এখন নিশ্চিত হলেন আসলে কমলা বসকে যা ভাবছে সে ওরকম কোন মানুষ না তার বস আসলে খুব সুন্দর মনের একজন মানুষ ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১২

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প।

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:০২

মিন্টুর নগর সংবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২৫

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লেখনী । গল্পে ++++++

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:০৩

মিন্টুর নগর সংবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৫১

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: অসাধারণ গল্প । আপনি কিন্ত এ ধরণের গল্প লেখলেও পারেন । :)

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২০

সুমন কর বলেছেন: হাহাহা.......মজা পেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.