![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ম শ্রেণীর বাচ্চাদের মাঝে আমি দৈর্ঘ-প্রস্হ ও বয়সে সবার চেয়ে বড় ছিলাম; আমার পরেই ছিলো পাখী। পাখী পাশের গ্রামের মুসলিম মেয়ে। ক্লাশের পর, আমরা ছেলেরা মিলে ফুটবল খেলতাম; খেলার পর, স্কুলের পুকুরে গোসল করার সময় নিজেদের মাঝে সাতার প্রতিযোগীতা করতাম; আমি বরাবরই বেশ সামনে থাকতাম। ইহা দেখে পাখী একদিন আমার সাথে সাতার প্রতিযোগীতার প্রস্তাব দিলো।
ক্লাশ শেষে আমরা স্কুলের পুকুরে সাতার দিলাম; আমি বিনা কষ্টে তাকে পরাজিত করলাম। সে পানি থেকে উঠে আসলো, আমার দিকে তাকাতেই তার ঠোঁট বাকা হয়ে কান্না এলো; আমি নিজের বেকুবী বুঝলাম; ওকে প্রথম হতে দেয়া উচিত ছিলো। সে মাস'খানেক প্রস্তুতি নিয়ে আবার নামলো পুকুরে; আমি সামান্য পেছনে থেকে তাকে প্রথম স্হান দিলাম। খুশিতে তার চোখগুলো চিকচিক করছিলো।
২য় শ্রেণী থেকে আমি ছেলেদের মাঝে সাতারে ১ম হতাম, সে মেয়েদের মাঝে ১ম হতো। হাইস্কুলে যাওয়ার আগে, সে অনেকবার আমার সাথে প্রতিযোগীতা করেছে, প্রায় প্রতিবারেরই ২/১ ফুট সামনে থেকে ১ম হয়েছে। হাইস্কুলে জুনিয়র গ্রুপে আমরা ২ জনেই ছেলে ও মেয়েদের মাঝে নিজেদের রেকর্ড ধরে রেখেছিলাম।
৯ম শ্রেণীতে, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার সময় এক সমস্যা দেখা দেয়; আমাদের এ্যাসিসটেন্ট হেড মাষ্টার ৯ম/১০ম শ্রেনীর মেয়েদের সাতারের আইটেম বাদ দিয়ে দেন; সবাই মেনে নিয়েছে কিন্তু পাখী ইহা মানবে না; সে হেড মাষ্টারের সাথে কথা বললো ও উনার থেকে পারমিশন নিলো যে, সে ছেলেদের সাথে সাতার প্রতিযোগীতায় অংশ নিবে।
পাখী ও মেয়েরা ইহা নিয়ে খুবই উত্তেজিত; আমাদের ক্লাশের নাটের গুরু ছিলো ক্লাশের ভালো ছাত্রী বীণা; সে আমার দুর্বলতা পেলে ক্লাশে উহাকে পরিবেশন করতো। সাতার নিয়ে সে প্রেডিকশান করলো যে, আমি পাখির কাছে পরাজিত হবো।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার দিন সকাল থেকেই পাখী খুবই ফুরফুরে মেজাজে আছে। কিন্তু আমি সমস্যায় পড়লাম; খেলার স্যার বললেন,
-তুই যদি পাখীকে ১ম স্হান ছেড়ে দিস ইচ্ছা করে, ইহার ফল ভালো হবে না; ইন্টার স্কুল কমপিটিশনে পাখী যাবে, তুই যেতে পারবি না; পাখী অন্য স্কুলের ছেলেদের সাথে পেরে উঠার সম্ভাবনা নেই।
দুপুরের পর, সাতার শুরু হলো; পাখাী আমার পাশে অবস্হান নিলো পানিতে; আমি সরে যাইতে চাইলে সে না করলো। পুকুরটা ছিলো বেশ বড়; ৩ ভাগের ২ ভাগ দুরত্ব অবধি আমি তার পাশাপাশি থাকলাম। মনে হচ্ছে, সে কিছুটা ক্লান্ত, আমি স্পীড বাড়ালাম। এক সময়, সে আমার কাছেই চলে এসেছিলো; মনে হয়, তার হাতের সাথে আমার পা সামান্য স্পর্শ করেছিলো; আমি সরে গিয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম, সে সেকেন্ড হলো।
মেয়েরা এতেই খুশী; কিন্তু পাখী কেঁদে ফেললো, বললো,
-সে ( আমার নাম বললো ) আমাকে ইচ্ছাপুর্বক লাথি মেরে পেছনে ফেলে দিয়েছে।
মেয়েরা গিয়ে খেলার স্যার ও হেডমাষ্টারের কাছে নালিশ করলো; কিন্তু উনারা পাড় থেকে দেখেছেন যে, পাখী লাইনচ্যুত হয়েছিলো। সারা বিকেল আমি মেয়েদের কোপানলে। পুরস্কার বিতরণের পর, মিষ্টি ও চা দিয়েছে; আমরা দোতালায় আড্ডা দিয়ে চা খাচ্ছি; সেই সময় বীণা, পাখী ও ক্লাশের সব মেয়ে এসে আমাকে ভৎসনা শুরু করলো; বীনা বললো,
-তুই ছোট লোক, সামান্য সাতারে ১ম হওয়ার জন্য তুই পাখীকে লাথি মেরেছিস! ছোট লোক, তুই ২য় স্হান পেয়েছিস।
আমাকে কোন উত্তর করতে দিলো না; পাখী তার পুরস্কারটাকে ( ক্রিষ্টাল পানির জার ) দোতালা থেকে ছুড়ে ফেলে দিলো। মনে কষ্ট পেলাম; বলার কিছু নেই। আমি নাটক না'দেখেই বাড়ী চলে গেলাম।
পরদিন, ক্লাশের বিতন্ডা এড়ানোর জন্য ক্লাশ শুরু হওয়ার পর ক্লাশে ঢুকলাম; বীণা ঘুষি দেখেলো; সবাই হাসছে। স্যার চলে যাবার পর, বীণা ঘোষণা করলো,
-টিফিনের সময় কেহ বাইরে যাবে না, আমাদের ব্রজেন দাসের বিচার হবে; সে কেন পাখীকে লাথি মারলো।
টিফিনের ঘন্টা বাজার পর, সবাই বীণার অভিযোগ শুনলো; ছেলেরা আমার পক্ষে, মেয়েরা পাখীর পক্ষে; আমি ছোট লোক উপাধি পেলেম। আামি পাখীকে বললাম,
-পাখী তুই অনেকের চেয়ে ভালো করেছিস, কিন্তু তুই আজকাল আমার সাথে পেরে উঠার সম্ভাবনা নেই!
-চুপ কর, তুই শর্ট পরে সাতারে নেমেছিস, আমি সোলোয়ার কামিজ নিয়ে সাতার কেটেছি; তুই কোন মুখে বলছিস যে, আমি তোর সাথে পারবো না?
-পাখী, তুই যদি ন্যাংটা হয়েও সাতার দিস, তবুও আমার সাথে পারবি না।
পাখী আমার সামনে ছিলো; সে আমার পদার্থ বিজ্ঞানের বই নিয়ে আমার মুখের উপর বুম করে আঘাত করলো; নাকে লেগে আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো; দেখি নাক থেকে ঝরঝর করে রক্ত ঝরছে; পাখী নিজ রুমাল বের করে আমার নাক চেপে ধরলো। বেচারী ভয়ে কাঁপছে। আমি বললাম,
-তুই সর, আমি মুখ ধুয়ে আসি।
-তুই বেশী ব্যথা পেয়েছিস?
-না, সামান্য; ইহা কিছু না!
২৭ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
আমরা বাংগালীরা যেভাবে সাতার কাটি, উহা সাতারের নিয়ম অনুযায়ী সাতার নয়।
২| ২৭ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছোটকালের স্মৃতি পড়তে ভালো লাগে। সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পাখি এখনো বেচে আছে?
২৭ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০০
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
না, পাখী বেঁচে নেই।
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: মধুসূদন, বঙ্কিমচন্দ্র পড়ে নেংটা- মেংটা অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করছেন।
পঞ্চাশ-ষাট দশকে গ্রামীন মেয়েদের পোশাকের বিপরীতে-
সাঁতার কেটে লুঙ্গি খালি গায়ে; যে কোন দুধের শিশু ও জিতবে।
এইসব গাবেজ ব্লগে লিখার জিনিস না।
২৭ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০১
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
থাই বস্তির মেয়েরা ন্যাংটা সাতার কাটে, আপনি পেরে উঠছেন তো? থাই বস্তিতে কিন্তু এইডস আছে।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আমেরিকান চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন? কিউবা, রাশিয়া থেকে ভাল নাকি খারাপ?
২৭ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৪০
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
রাশিয়ার সবকিছুই দখল করেছে পুটিনের মাফিয়ারা; এখন রাশিয়ানদের অবস্হা পুর্ব ইউরোপের মতো।
কিউবা ভালো করছে; তবে, মাথাপইছু আয় কম হওয়ায়, অনেক কিছু এগুচ্ছে না।
আমেরিকান চিকিৎসা ব্যবসা ভালো।
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দফাদার@কিউবার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো । প্রত্যেক ১২০-১৫০ মানুষের জন্য একজন ‘ফ্যামিলি ডক্টর’ বরাদ্দ। তাঁরা রোগ প্রতিরোধে কাজ করেন, যা ব্যয় হ্রাস করে এবং স্বাস্থ্য মান উন্নত করে। কিউবা নিজস্ব টিকা তৈরি করে (যেমন: Soberana ও Abdala COVID-19 টিকা)। তারা ৬০টিরও বেশি দেশে ডাক্তার পাঠিয়েছে।অবরোধ না থাকলে আরো ভালো করতো ।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লিখে রাখুন, আলীগ বিহীন নির্বাচনে যে সরকার গঠিত হবে সেই সরকার মেয়াদ পুরণ করতে পারবে না।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়নি। এবার আলীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হচ্ছে।
ফলাফল হচ্ছে- এই নির্বাচন প্রশ্ন বিদ্ধ হবে। মানুষ মানবে না ।
২৮ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:৫২
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
বিএনপি-জামাত-শিবির-এনসিপি যা প্ল্যান করছে, সেটা বাতাসে উড়ে যাবে; ওদের সরকার টিকবে না।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
হলপ করে বলা যায়, এই লেখা অন্য কোনো ব্লগার লিখলে আপনি গার্বেজ বলে বগল বাজাতেন!!!
২৮ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:০২
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
আপনার হলপের ১ পয়সাও মুল্য নেই; আপনি ছাত্র হিসেবে স্কুলে অপদার্থ ছিলেন।
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: বাহ আপনাকে দেখে ভাল লাগছে , ওয়েলকাম ব্রো ।
২৮ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৩০
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
ধন্যবাদ।
আমি আছি, আমি থাকবো।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:১৭
কামাল১৮ বলেছেন: আগে একবার পড়েছে মনে হয়।জীবন থেকে নেয়া।
২৮ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৯
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
অবশ্যই আগে পড়েছেন। এটা দিয়েছি, যারা আমাকে চিনতেন তাদেরকে বুঝানোর জন্য যে, আমি ব্লগে আছি।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: অতীতে মানুষজন গোপনে দূর্নীতি চাঁদাবাজি করতো। এখন এনসিপি তো বুক ফুলিয়ে চাঁদাবাজি করছে। কোনো ভয়ডর নাই।
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:৩০
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
এগুলো পাকি সেনাবাহিনীর ট্রেনিং প্রাপ্ত জংগী; দেশে ৩০ হাজারের বেশী ট্রেনিং প্রাপ্ত জংগী আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পাখি এখনো বেচে আছে? বাঙালি সাতার এতো ভালো পারে বাট Olympic এ কোনো মেডেল পেলো না ।