![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারণ মানুষ। বই পড়ার ইচ্ছে আগে থেকেই কিন্তু সময় এর অভাবে বই নিয়ে বসা হয় না। কিন্তু অনলাইন এ থাকা হয় তাই ব্লগ এ কিছু সময় দেয়া এতে অনেক কিছু পড়া ও জানা হয়ে যায়।
জামদানি শাড়ির প্রতিটি বুননে শুধু তাঁতিদের ভালোবাসা,আনন্দ,কষ্ট লুকিয়ে থাকে না। জামদানি শাড়ির প্রতিটি ভাজে ভাজে লুকিয়ে আছে রহস্য। হ্যাঁ রহস্য...
আমাদের আগের পোস্ট গুলো যারা পড়েছেন তারা হয়তো এতোদিনে জেনে গেছেন সুতি, হাফসিল্ক ছাড়াও আরেক ধরনের জামদানি পাওয়া যায় এখন। আর তা হলো নাইলন সুতায় বোনা জামদানি। যেটা দেখলে আপনি কোনোভাবেই ধরতে পারবেন না এটি হাফসিল্ক নয় নাইলনের জামদানি। সত্যি বলতে গেলে আমি নিজেও ব্যবসায়ে না নামলে হয়তো কখনোই এসব জানতে পারতাম না। একই রং, একই ডিজাইনের জামদানি কিন্তু দামের পার্থক্য বিশাল। এর অন্যতম একটি কারন কিন্তু এই সুতা।
রেশম সুতা কিনতে হয় তোলা প্রতি (৭২-৭৫) টাকা দরে। অপরদিকে নাইলনের সুতা তোলা প্রতি (৮-১০) টাকা দরেই পাওয়া যায়। এবার হিসাবনিকাশ টা আপনিই করে দেখুন দুটো শাড়ি একই রং একই ডিজাইন হওয়ার পরেও দামে কেন এতো তফাৎ...
নাইলনের সুতায় বোনা শাড়িগুলো একটু বেশি উজ্জ্বল হয় হাফসিল্ক এর তুলনায়। ভাইয়া আর আপুরা আমরা তো সবাই এটা জানি "চকচক করলেই সোনা হয় না" ঠিক তেমনি একই রকম দেখতে সব জামদানি আসল হাফসিল্ক এর জামদানি হয় না। এখন হয়তো অনেকেই বলতে পারে নাইলনের সুতা তো কি হয়েছে অল্প কিছুদিনের জন্য পড়ব কিংবা একটা প্রেজেন্টেশন আছে অথবা বোনের গায়ে হলুদে পড়ব, জামদানি একটা হলেই হলো। আসলেই তো, জামদানি একটা পড়লেই হলো। কিন্তু আপু আপনি যখন নাইলনের জামদানি হাফসিল্ক এর দামে কিনছেন আর কিছুদিন পড়ার পর শাড়িটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তখন কিন্তু আপনি আবার বলছেন, জামদানি শাড়ি ভালো না, টেকশই না, পুরোটাকা টাই নষ্ট হলো। আর তখনই জামদানি থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ইম্পোর্টেড কোনো ডিজাইনার শাড়িতে।
আজ এক বড় ভাইয়ের সাথে এসব বিষয়ে কথা হচ্ছিল, কথা প্রসঙ্গে এক পর্যায়ে হাসতে হাসতে তিনি বল্লেন, সাবধান এসব হাড়ির খবর ফাঁস করে দিও না যেন। আমিও হাসতে হাসতেই জবাব দিলাম, ভাইয়া আমরা শুধুমাত্র ব্যবসা করতে জামদানি নিয়ে উঠে পরে লাগিনি। জামদানি শিল্প টাকে আবার বাঁচিয়ে তুলতে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আর আমাদের এই প্রচেষ্টা তখনই সফল হবে যখন সবাই আসল জামদানি চিনতে পারবে। নকল জামদানি কিনে ঠকবেনা আর জামদানি থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিবে না।
এতো এতো কথা বলার কিন্তু একটাই কারন সেটা হলো আপনাদের জামদানি সম্পর্কে সচেতন করা। সঠিক তথ্য দেয়া। শেষে একটা কথাই বলবো মেশিনে বোনা জামদানি, সুতি, হাফসিল্ক কিংবা নাইলন এর জামদানি যেটাই কিনুন না কেন অন্তত জেনে শুনে কিনুন আপনি কি কিনছেন।
ক্রেতাদের সন্তুষ্টিই আমাদের মুলধন।
ধন্যবাদ
জামদানি কথন এর লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/notes/682883431858039/
জামদানি কথন ২ এর লিঙ্কঃ Click This Link
২| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:২৭
আমু বলেছেন: ধন্যবাদ
জি ওয়েবসাইটটি এখন রেডি হয় নি। কাজ চলছে। তবে ফেসবুক পেজ ওপেন আছে এখন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৫ ভোর ৪:৪৪
গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: জানিনা কেনো যেনো সেই ছোটবেলা থেকেই কতগুলো জিনিষের প্রতি আমার অকারন ভালোলাগা। জামদানি সেই তালিকার উপরের দিকেই আছে। পোস্টটি ভালো লাগলো। আপনাদের ওয়েবসাইটটি দেখলাম এখনও নন-ফাংশনাল। এ বিষয়ে কোনো সাহায্য দরকার হলে জানাবেন।