নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাজা মাইনুদ্দিন চিশতীর কিছু কথা ।

১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০২


খাজা মইনুদ্দিন চিশতী ছিলেন চিশতীয় ধারার ভারতীয় উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত সুফি সাধক । তিনি ১১৪১ সালে জন্মগ্রহন করেন এবং ১২৩৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন । তিনি গরিবে নেওয়াজ নামেও পরিচিত ছিলেন । মইনুদ্দিন চিশতীই ভারত উপমহাদেশে প্রথম এই ধারা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচিত করেন ।

তিনি ভারতে চিশতী ধারার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ধারা বা সিলসিলা এমনভাবে পরিচিত করেন পরবর্তীতে তার অনুসারীরা যেমন বখতিয়ার কাকী, বাবা ফরিদ, নাজিমদ্দিন আউলিয়াসহ প্রত্যেকে ক্রমানুযায়ী পূর্ববর্তীজনের শিষ্য আরো অনেকে ভারতের ইতিহাসে সুফি ধারা এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান । ধারনা করা হয় খাজা মইনুদ্দিন চিশতী ৫৩৬ হিজরী ১১৪১ সালের পূর্ব পারস্যের সিসটান রাজ্যের চিশতীতে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি পারস্যে বেড়ে উঠেন । পনের বছর বয়সে তার পিতা মাতা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার পিতার কাছ থেকে একটি বাতচক্র উইন্ডমিল এবং একটি ফলের বাগান উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন । কিংবদন্তী অনুসারে, একদিন তিনি তার ফলবাগানে পানি দিচ্ছিলেন তখন তার ফলবাগানে আসেন বিখ্যাত সুফি শেখ ইব্রাহিম কুন্দুজী কুন্দুজী নামটি জন্মস্থান কুন্দুজ থেকে এসেছে ।.কুন্দুজীকে বাগানে দেখে যুবক মইনুদ্দিন কুন্দুজীকে কিছু ফল দিয়ে আপ্যায়ন করেন । এর প্রতিদানস্বরুপ কুন্দুজী মইনুদ্দিনকে এক টুকরা রুটি দেন এবং তা খেতে বলেন । এই পর তিনি তার সম্পত্তি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র গরীবদের মাঝে দান করে দেন । এরপর তিনি বিশ্বের মায়া ত্যাগ করে জ্ঞনার্জন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বুখারার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ।

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বোখারা থেকে নিশাপুরে আসেন । সেখানে চিস্তিয়া তরীকার অপর প্রসিদ্ধ ছুফি সাধক খাজা উসমান হারুনীর নিকট মুরীদ হন শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন । তার সেবায় ২০ বছর একাগ্রভাবে নিয়োজিত ছিলেন । পরে উসমান হারুনী তাকে খেলাফত বা ছুফি প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেন । খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বহু দেশ ভ্রমণ করেন । সে সময়ে বিভিন্ন জ্ঞানী, গুণী, পন্ডিত, দার্শনিকসহ অসংখ্য ছুফি সাধকের সাথে সাক্ষাত লাভ করেন বলে নানা গ্রন্থে তথ্য পাওয়া যায় । তিনি ইরাকের বাগদাদে আব্দুল কাদির জিলানীর সাহচর্যে ৫৭ দিন অবস্থান করেন । তার জীবনীতে বর্ণিত আছে যে এ সময় আব্দুল কাদির জিলানী তাকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন, ইরাকের দায়িত্ব শায়েক শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দীকে আর হিন্দুস্থানের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হলো । একই সংবাদ নিজ পীর খাজা ওসমান হারুনীর সাথে মদীনায় অবস্থান ও জিয়ারতকালে নবী মুহাম্মদ এর পক্ষ থেকে পেয়েছিলেন । তিনি আরব হতে ইরাক ইরান, আফগানিস্তান হয়ে প্রথমে লাহোর পরে দিল্লী হয়ে আজমিরে বসতি স্থাপন করেন । খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ছিলেন পাক ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে কিংবদন্তিতুল্য একজন ঐতিহাসিক ছুফি ব্যক্তিত্ব । তিনি স্বীয় পীর উসমান হারুনীর নির্দেশে ভারতে আগমন করে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেন এবং তারই মাধ্যমে বহু লোক ইসলাম গ্রহণ করেন । তিনি কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার খাকীকে খিলাফতের দায়িত্ব অর্পন করে সিলসিলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন ।

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ৬৩৩ হিজরীর ৫ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ রজব সূর্যোদয়ের সময় ইন্তেকাল করেন । তখন তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর । তার বড় ছেলে খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী তার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন । প্রতিবছর ১লা রজব হতে ৬ রজব পর্যন্ত আজমির শরীফে তার সমাধিস্থলে ওরছ অনুষ্ঠিত হয় যাতে হিন্দু মুসলিম নানা ধর্ম, বর্ণ এবং গোত্রের মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে সমবেত হন ।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
তার পরে গুগল সার্চ ইঞ্জিন
এবং আর তথ্য
Bhakti poetry in medieval India By Neeti M. Sadarangani. Pg

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

প্রামানিক বলেছেন: খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী নিয়ে লেখাটি পড়ে অনেক কিছু জানা হলো। আউলিয়াদের জিবনী লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইল।

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রমানিক ভাই ভালো থকবেন ।

২| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ভালো লাগা থাকলো ।

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুদ ভাই ভালো থাকবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.