নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখেন কতগুলো পিড়ামিডের একটি ছবি ব্লগ দিলাম ।

১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৪


পিরামিড হলো পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি সুন্দর কবরের নাম । প্রাচীন মিশর শাসন কালে ফারাও রাজারা তাদের কবরের উপর নির্মিত করতেন একধরণের সমাধি মন্দির আর ওই মন্দিরগুলোই হলো পিরামিড । মিসরে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ৭৫টি পিরামিড আছে। সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষনীয় হচ্ছে গিজা'র পিরামিড যা খুফু র পিরামিড নামেও পরিচিত। এটি তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর আগে। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল ২০ বছর এবং শ্রমিক খেটেছিল ১ লাখ। পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে। পাথর খন্ডের এক একটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন আর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মত। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল দূর দুরান্তের পাহাড় থেকে। পাথরের সাথে পাথর জোড়া দিয়ে এমনভাবে পিরামিড তৈরি করা হত একটি পাথর থেকে আরেকটি পাথরের মাঝের অংশে একচুলও ফাঁক থাকত না।চার হাজারের বছরের পুরানো এক সমাধিতে অংকিত এক চিত্রে দেখা যায় এক বিশাল স্তম্ভকে স্লেজে করে সরানো হচ্ছে অনেক মানুষ রশি দিয়ে সেই স্লেজগুলো টেনে নিচ্ছে। আর তাদের মধ্যে একজন পাত্র থেকে জল ঢালছে বালির উপরে। এতে ঘর্ষণে প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। এভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পিরামিডের আড়াই টনের একে একটি ব্লক।

প্রাচীনকালে মিশরীয় লোকেরা দৃঢ়ভাবে তারা বিশ্বাস করতেন মৃত্যুর পরও তাদের আত্মা বেচে থাকে কাজেই পরবর্তী জীবনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সুন্দর ভাবে জীবনটাকে যাতে উপভোগ করা যায় সে চিন্তা করে মিশরীয়রা বেশির ভাগ অস্থির থাকতেন । ব্যক্তির গুরুত্বের ওপর নির্ভর করে গুরুত্ব দেওয়া হতো এই বিষয়ে । ব্যক্তি যতো গুরুত্বপূর্ণ হতো এই কাজেরও তত বেশি গুরুত্ব বেড়ে যেত।


পরবর্তী জীবনের আরাম আয়েশের জন্যই স্বভাবতই ফারাওদের ব্যাপারেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হতো। প্রত্যেকেই চাইতেন বিশাল আয়তনের হোক তার সমাধিক্ষেত্র । অনেকেই মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত সমাধিক্ষেত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যেত। এসব সমাধিক্ষেত্র আসলে মৃতের আত্মার ঘর। মিশরীয়রা মনে করতেন লাশ বা মৃতদেহ টিকে থাকার ওপরই নির্ভর করে তার আত্মার বেচে থাকা বা ফিরে আসা।

মৃতদেহ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে তারা তাদের মৃত দেহগুলোকে মমি বানিয়ে রাখতেন। আত্মার বেচে থাকার জন্য চাই প্রয়োজনীয় নানা জিনিষ। তাই নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র বিশেষ করে খাবার দাবার মৃতদেহের সাথে দিয়ে দিতো তারা। সমাধিস্তম্ভ প্রধানের দায়িত্ব ছিলো দস্যুদের হাত থেকে মৃতদেহ আর তার ব্যবহার্য জিনিসপত্র রক্ষা করার। কিন্তু কবরে সমাধিত ব্যক্তিটি কত বিপুল পরিমাণ বিত্ত আর ক্ষমতাবান ছিল তা জাহিরের উদ্দেশ্যেও নির্মাণ করা হতো পিরামিড।


ফারাওদের মৃতদেহের সাথে কবরস্থ করা হতো বিপুল ধন সম্পদ। সমাজের বিত্তশালীদের কবরেও মূল্যবানসামগ্রী দেয়া হতো। এমনকি নিন্মশ্রেণীর মানুষদের কবরেও সামান্য পরিমাণ হলেও কিছু খাবার রেখে দেয়া হতো।




মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।

২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৭:২৩

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ বাড্ডা ঢাকা । শুভ সকাল ।

২| ১৮ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

আমি বন্দি বলেছেন: ভালো লাগলো পোস্ট ।

২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৭:২৪

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ আমি বন্দি । শুভ সকাল ।

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

জুন বলেছেন: বাহ দারুন তো !
+

২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৭:২৪

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ আপু । শুভ সকাল ।

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: বর্ননা ছবি ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৭:২৫

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামািনক ভাই । শুভ সকাল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.