![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাকে একটি নতুন সকাল এনে দিবো ...
ছোট ছেলেদের জন্য মুসলমানি আর বড় মেয়েদের “মা হবার” ভয় এই দুইটি আতঙ্ক প্রকৃতিগত ভাবেই আবশ্যিক সাবজেক্ট ।
আমি তখন ক্লাশ ফোর/ফাইভে পড়ি । কান ফিসফিস শোনি আমাকে নাকি কাটাবে । আমার ছোট ভাই আমার চেয়ে দুই বছরের ছোটো তাকেও একসাথে কাম করবে বলে কয়েকদিন দেরি হচ্ছে । আমার তো জানে পানি নাই । কারন মুসলমানি নিয়ে বন্ধুমহলে যে কাহিনী শুনেছি আর আমি নিজে একটি ঘটনার কিছু অংশ দেখেছি ও, কিন্তু এটা থেকে পালাবার যে কোনো উপায়ও নাই ।
বন্ধুমহলের প্রচলিত গল্প: বড় একটি খাইট্টার উপর নুনুটা রেখে বড় একটা কাটারী দিয়ে এক কুপ । তারপর কিয়ামত.....
আমার দেখা অভিজ্ঞতা : কোথাও কোনো মুসলমানি হলে ছোট বাচ্চাদের যাদের মুসলমানি হয় নাই তাদের কাছে আসতে দিতো না । আমার একবার একটি ঘটনার কিছু অংশ দেখার কুভাগ্য হয়েছিলো । আমাদের পাশের বাড়ির সম্পর্কে আমার চাচা হয় তার কাম হবার সময় শেষের দিকের দৃশ্য একটু দেখেছি । লোকজনের ভিড়ের করনে দুর থেকে উঁকি মের দেখি কাকাকে যা করার করে ফেলেছে তারপরও চার পাঁচ লোকে ধরে আছে । ভিড়ের করনে চাচার নিচের অংশ দেখতে পারছি না । উপরের দিকে দেখি কাকার চখের পানি , নাকের পানির সাথে মুখ দিয়ে বাতাসা (মিষ্টি) বের হচ্ছে । আমিতো যা বুঝার বুঝে ফেলেছি, দে দৌয়োড় ...
তখনকার সময়ে ৯৯% মুসলমানি করাতো গুটকা (আজম) দিয়ে । কোনো প্রকার ব্যথানাশক ইনজেকশন না এমনকি করার পর একটি প্যারাসিটামলও না । ব্যান্ডেজ এর জন্য ব্যবহার করতো কাপড়ের ন্যাকড়া আর শুকনো গবরের ছাই । আল্লাহরই রহমত এতো কিছুর পরও খুব কম জনেরই ইনফেকশন হতো ।
একসময় আমার কিয়ামতের ডেড পড়লো । বন্ধুমহলে বেড়ে গেলো আমাকে ভয় দেখাবার প্রবণতা । বড়রা আমাকে উপদেশ দিতো, ভায় পাবার কোনো কারন নাই । এই কাম আমরা সবাই করেছি । তুই মাঝে মাঝে অস্ত্রটার মাথায় করাল্লা বালু দিয়ে রাখবি এতে মুসলমানির সময় ছোলানোর কষ্টটা কম হবে ।
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সারা বাড়ি উৎসব উৎসব ভাব । হাঠাৎ মনে পড়ে গেলো আজতো সেই দিন । মুখটা গেলো চুপসে ! কিছুক্ষণ পর সবাই আনন্দ করছে দেখে আমিও আনন্দতে যোগ দিলাম । মাকে বললাম টাকা দাও বোম (ফটকা) কিনবো । মা বিশ টাকা দিলেন , আমিতো অবাক যেখানে পাঁচ টাকার উপরে আশাই করি না সেখানে...? ফটকা কিনে আফাটে-কুফাড়ে (এখানে-সেখানে) ফোটাতে লাগলাম কোউ আমাকে কিছু বলছেনা । মনে মনে ভাবলাম কোরবানির আগে হয়তো এই ভাবে পশুকে আলগা ছেড়ে দেওয়া হয় ।
দুপুরের মধ্যেই আমাকে গোসল করিয়ে নতুন লঙ্গি পড়িয়ে পাটিতে (কোরবানির বেঁধিতে ) বসালো । আশে পাশের মুরুব্বিরা বললো, বাবা কিছু খাবা? আমি বললাম কিছু খাবো না । নির্দিষ্ট টাইমের একটু পরে গুটকা এলো । তিন/চার জান লোকে আমাকে শক্ত করো ধরলো । একজন ধরলো বিশেষ কায়দায় । আমার আর টানা দেবার সুযোগ থাকলো না । একজন আমার মাথা অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাখলো যেনো নিচে দেখতে না পারি ।
গুটকা তার কাজ শুরু করলো । কিন্তু আমার কপাল খারাপ । হয় আমার চামড়া মোটা না হয় গুটকার চাকুতে ধাঁর ছিলো না । যেখানে এক ফ্যাসএ মাথার চামড়াটা কেটে যাওয়ার কাথা সেখানে তিন চার ফ্যাসেও কাটলো না । আশে পাশের মুরুব্বিরা গুটকার উপরে ক্ষ্যাপে গেলেন । যাক আবশেষে কাজটা শেষ হলো । আমাকে দুজন লোকে ধরে বিছানার উপর আদম করে শুইয়ে রাখলো ।
এর পর শুরু হলো গুটকাকে চার্জ করা । গুটকা অনুনয় বিনয় করে বললো , এই অনুষ্ঠানে অন্যএকজন গুটকার আসার কথা ছিলো । আমি আসার কারনে সে শত্রুমী করে যাদুর করে আমার চাকু বোঁতা করে দিয়েছে ।
কি আর করা যাবে গুটকাকে বিদায় করে দেয়া হলো । ছোট ভাইএর মুসলমানি করানো হলো একদিন পর অন্য গুটকা দিয়ে ।
এর পর শুরু হলো বন্দি জীবন । যে বয়সে এক ঘন্টা ঘরে বন্দি থাকার চিন্তা করতে পারি না সেখানে প্রায় ২০-২৫ দিন । ঘরে থাকতে থাকতে গায়ের রং ফরসা হয়ে গেলো ।
কোমরে বাইটার লগে সবসময় ভ্যান্যা পাত রাখতাম যাতে ছুত না লাগে । তিন চার দিন পর পট্টি খুলে দেয় । তার পর কালো রং এর কিসের জানি তেল গরম করে সেখানে লাগাতাম । ঘরে থাকতে থাকতে ফাফুর লাগতো । আমি সারা দিনই প্রায় তেল গরম করতাম । না লাগলেও করতাম । এর আগে আগুন দিয়ে এতো খেলার সুযোগ পাই নাই । দোয়াতের আগুনে বিভিন্ন বস্তুর পুরারাঙ্ক মাপতে মাপতে আমার দিন কাটতে থাকে ।
অবশেষে মুক্তির দিন আসে । মা কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে বাহিরে যাবার অনুমত দেয়
লঙ্গি পরে যেতে হবে
লঙ্গি হাত দিয়ে উঁচু কের ধরে রাখতে হবে যাতে ঘষা না লাগে
ধোলো বালিতে যাওয়া যাবেনা
বেশি দুরে যাওয়া যাবেনা
পুলাপানের সাথে মারামারি করা যাবেনা
..............................
..............................
আহ! কি সুন্দর পৃথিবীর আলো বাতাস !
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
শান্ত কুটির বলেছেন:
বিয়াফক মজা পাইলাম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
নিজের টা ভুলল্যা গেছেন ?
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
মারাত্মক মজা পাইসি
!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ব্যাথা পান নাই তো ?
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: হে হে হে..........
মজা...........
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৮
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
এখনতো মজা ! তখন কেমন লাগছে ......
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
স্বপ্ন নীল বলেছেন:
আনেক কিছু মনে পরে গেলো
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৪
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ভাই ! কি কি মনে পড়লো ? জানতে মুনচায়......
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
বাংলার ছেলে বলেছেন: হ ভাই, নিজের কথা মনে পড়লো। এইরকম ই ছিল আমারটা ও
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৭
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
বড়রা আমাকে উপদেশ দিতো, ভায় পাবার কোনো কারন নাই । এই কাম আমরা সবাই করেছি
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১
নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: পাড়ার ৯ জন সমবয়সী এক সঙ্গে করেছিলাম!!!! সবার শেষে আমারটা শুকাইছিল!!! অনেক কথাই মনে পড়লো....!!!
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২
নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: পাড়ার ৯ জন সমবয়সী এক সঙ্গে করেছিলাম!!!! সবার শেষে আমারটা শুকাইছিল!!! অনেক কথাই মনে পড়লো....!!!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৯
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
তাতে কি ? জীবনে তো একবারই ! আরতো না
৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৩
আজাইরা পেচাল বলেছেন: পুরান দিনের স্মৃতি মনে পড়ে যাই
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৪
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ভাই আপনার স্মৃতিটাও আমাদের একটু বলেন !
আমরাও মজা নেই
১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
আদম_ বলেছেন: হাস্তে হাস্তে শ্যাষ
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১১
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
এখন তো হাসি পায় কিন্তু তখন এটা দুঃখের বিষয় ছিলো।
১১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
গোবর গণেশ বলেছেন: বড় একটি খাইট্টার উপর নুনুটা রেখে বড় একটা কাটারী দিয়ে এক কুপ । তারপর কিয়ামত.....
অনেক মজা পেয়েছি।
গল্পটা বউ এর সাথে শেয়ার করার কথা ভাবছি।
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
আমার ব্লগে স্বাগতম!
মজা পেয়েছেন জেনে ধন্য হলাম!
১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ভীতুর ডিম্ব বলেছেন: হাসতে হাসতে দম বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মনে মনে ভাবলাম কোরবানির আগে হয়তো এই ভাবে পশুকে আলগা ছেড়ে দেওয়া হয় ।