![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টাইম ম্যাগাজিনে একটি আর্টিকেল[২৮৫] বের হয়েছে কৃতজ্ঞতার উপকারিতার উপরে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে ২,৬১৬ জন বয়ঃপ্রাপ্ত মানুষের উপরে গবেষণা করে দেখা গেছে: যারা অপেক্ষাকৃত বেশি কৃতজ্ঞ, তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা, অমূলক ভয়-ভীতি, অতিরিক্ত খাবার অভ্যাস এবং মদ, সিগারেট ও ড্রাগের প্রতি আসক্তির ঝুঁকি অনেক কম।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে: মানুষকে নিয়মিত আরও বেশি কৃতজ্ঞ হতে অনুপ্রাণিত করলে, মানুষের নিজের সম্পর্কে যে হীনমন্যতা আছে, নিজেকে ঘৃণা করা, নিজেকে সবসময় অসুন্দর, দুর্বল, উপেক্ষিত মনে করা, ইত্যাদি নানা ধরণের সমস্যা ৭৬% পর্যন্ত দূর করা যায়।
২০০৯ সালে ৪০১ জন মানুষের উপর গবেষণা করা হয়, যাদের মধ্যে ৪০%-এর ক্লিনিকাল স্লিপ ডিসঅর্ডার, অর্থাৎ জটিল ঘুমের সমস্যা আছে। তাদের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ, তারা একনাগাড়ে বেশি ঘুমাতে পারেন, তাদের ঘুম নিয়মিত হয়, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন এবং দিনের বেলা ক্লান্ত-অবসাদ কম থাকেন।
নিউইয়র্কের Hofstra University সাইকোলজির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড: জেফ্রি ফ্রহ ১০৩৫ জন ১৪-১৯ বছর বয়সি শিক্ষার্থীর উপর গবেষণা করে দেখেছেন: যারা বেশি কৃতজ্ঞতা দেখায়, তাদের পরীক্ষায় ফলাফল অপেক্ষাকৃত বেশি ভালো, সামাজিক ভাবে বেশি মেলামেশা করে এবং হিংসা ও মানসিক অবসাদে কম ভোগে। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই মানসিক সমস্যাগুলো মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাদের মধ্যে বাবা-মার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ আশংকাজনকভাবে কম।
Wall Street Journal একটি আর্টিকেলে[২৮৬] বলা হয়েছে—
যেসব বয়ঃস্থ মানুষ প্রতিনিয়ত কৃতজ্ঞতা অনুভব করেন: তাদের কর্মস্পৃহা, জীবনসম্বন্ধে তাদের আস্থা, তাদের সামাজিক মেলামেশা, এবং তাদের সুখানুভূতি কৃতজ্ঞতাবোধহীনদের তুলনায় অনেক অনেক বেশি হয়ে থাকে –প্রায় এক যুগ গবেষণার ফল থেকে এটি জানা গেছে। এদের মধ্যে হতাশা, ঈর্ষা, লোভ অথবা মদ্যপানে আসক্তি আসার সম্ভাবনা কম। এরা অপেক্ষাকৃত বেশি আয় করে থাকে, এরা গভীরভাবে ঘুমিয়ে পড়ে, এরা নিয়মিত ব্যায়াম করার সুযোগ পায় এবং ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও এদের বেশি।
এবার বুঝতে পারছেন, কেন আমাদের প্রতিদিন ৫ ওয়াক্তে, কমপক্ষে ১৭ বার সুরা ফাতিহায় বলা উচিত—
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামিন
সমস্ত প্রশংসা এবং ধন্যবাদ আল্লাহর, যিনি সৃষ্টিজগতের প্রভু। [ফাতিহা ১:২]
আল্লাহ যখন শয়তানকে তার সান্নিধ্য থেকে বের করে দিচ্ছিলেন, তখন শয়তান একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শপথ করেছিল, যা থেকে তার মানুষকে ধ্বংস করার অন্যতম একটি প্রধান পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়—
(শয়তান বলল) “আমি মানুষের কাছে আসব ওদের সামনে থেকে, ওদের পেছন থেকে, ওদের ডান দিক থেকে এবং ওদের বাম দিক থেকে। আপনি দেখবেন ওরা বেশিরভাগই কৃতজ্ঞ না। [আল-আ’রাফ ৭:১৭]
কু’রআনে আল্লাহ প্রায় ৬০টি আয়াতে কৃতজ্ঞতার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন। এর মধ্যে একটি বিখ্যাত আয়াত হল—
মনে করে দেখো, তোমাদের প্রভু কথা দিয়েছিলেন, “যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদেরকে আরও দিতেই থাকবো। কিন্তু যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও…, আমার শাস্তি বড়ই কঠিন। [ইব্রাহিম ১৪:৭]
এখানে আল্লাহ ﷻ আমাদেরকে কথা দিয়েছেন যে, যদি আমরা কৃতজ্ঞ হই, তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে দিতেই থাকবেন। তিনি আরবিতে তিনবার জোর দিয়ে একথা বলেছেন, “যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তাহলে আমি তোমাদেরকে আরও দিতেই থাকবো, দিতেই থাকবো, দিতেই থাকবো।”[১]
নিশ্চয়ই শয়তান চাইবে না আপনি জীবনে আরও বেশি পান, আরও ভালো থাকেন। একারণে শয়তানের সবসময় চেষ্টা থাকে: কীভাবে আপনাকে অসুস্থ বিনোদনে বুঁদ করে রাখা যায়, যেই বিনোদন আপনাকে কখনই পরিতৃপ্তি দেয় না। কীভাবে আপনাকে ভুলিয়ে দেওয়া যায় যে, আল্লাহর ﷻ অনুগ্রহে আপনি জীবনে কত কিছুই না পেয়েছেন।
কেন আল্লাহ ﷻ আমাদেরকে কৃতজ্ঞ হতে বলেন? তাঁর তো আমাদের কাছ থেকে কিছুই পাওয়ার নেই। আমরা কৃতজ্ঞ হই আর না হই, তাতে তো তাঁর কোনো লাভ নেই। তাহলে কৃতজ্ঞ হয়ে কী লাভ?
আল্লাহ ﷻ আমাদের প্রত্যেককে অসংখ্য নিয়ামত দিয়েছেন, কিন্তু তারপরেও আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ হই না। বরং সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকি: কখন সেগুলো হারিয়ে ফেলব। আর এই কাজটা শয়তান করে আমাদেরকে—
মানুষকে অভাবের ভয় দেখানোর পদ্ধতিটি শয়তান হাজার হাজার বছর থেকে সফল ভাবে প্রয়োগ করে আসছে। আজো কোটি কোটি মানুষ কাজ করতে করতে তাদের জীবন শেষ করে ফেলে: যত পারা যায় সম্পত্তি জমানোর জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কবরে যায় নগ্ন হয়ে একটা সাদা চাঁদর জড়িয়ে; সমস্ত সম্পত্তি, উপাধি, ক্ষমতা পিছনে ফেলে। যাদের ঈমান দুর্বল, শয়তান তাদেরকে সবসময় এসব কিছু হারানোর ভয়ে রাখে, যাতে করে তারা আল্লাহর উপর ভরসা হারিয়ে ফেলে। যার ফলে মানুষ হয়ে কিপটা হয়ে জীবন পার করে, না হয় সম্পত্তি ধরে রাখার জন্য এমন কোনো খারাপ কাজ নাই যেটা করে না। এমন কি সেটা ‘সোনার ছেলে’দেরকে পোষার মতো জঘন্য কাজ করে হলেও। শয়তানের এই পদ্ধতিকে আল্লাহ কু’রআনে বলেছেন—
শয়তান তোমাদেরকে অভাবের ভয় দেখায় এবং জঘন্য কাজের নির্দেশ দেয়, যেখানে আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর ক্ষমা এবং অনুগ্রহের নিশ্চয়তা দেন। আল্লাহ সীমাহীন এবং তিনি সবকিছু জানেন। [বাকারাহ ২:২৬৮]
মানুষ মনে প্রাণে যা চায়, তাকে সেটা পাওয়ার লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলার পদ্ধতিটি শয়তান একদম প্রথম মানুষ আদম ﷺ এর উপর থেকে চালিয়ে আসছে। সে আদম ﷺ —কে লোভ দেখিয়েছিল: ঠিক যা তার পাবার আকাঙ্ক্ষা ছিল—
তারপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রণা দিয়ে বলল, “আদম, আমি কি তোমাকে অনন্ত জীবন লাভের জন্য এক বৃক্ষের সন্ধান দিবো এবং এমন এক রাজত্ব, যা কখনও শেষ হয় না?” [তা হা ২০:১২০]
শয়তান ভালো করে জানতো তখন আদমের ﷺ ঠিক কী দরকার ছিল। আল্লাহ ﷻ আদমকে ﷺ অফুরন্ত খাবার এবং শান্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও তার দুটা জিনিস ছিল না– অমরত্ব এবং চিরস্থায়ী রাজত্ব। সে জানতো যে, সে একজন মানুষ এবং তাকে একদিন মারা যেতে হবে এবং তখন সে তার এই সব সুখ, অফুরন্ত খাবার, তার সঙ্গি– সবকিছু সে হারিয়ে ফেলবে। শয়তান খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছিল আদমকে ﷺ কীসের কথা বললে সে আর লোভ সামলাতে পারবে না।[১]
এখন আপনি মনে করতে পারেন – ‘আমাকে শয়তান কোনো লোভ দেখায় না। আমি যা করি, নিজেই চিন্তা ভাবনা করে করি।’ কখনও এরকম হয়েছে যে, আপনি একটা নতুন গাড়ি বা বাড়ি কেনার জন্য সিদ্ধান্ত নিলেন। তার জন্য আপনি বাড়তি কাজ করা শুরু করলেন, চাকরির পাশাপাশি একটা ব্যবসা চালু করলেন, আপনার বাবা-মা, পরিবার, সন্তানদেরকে সময় না দিয়ে, তাদের চাওয়া-পাওয়া, আনন্দ, ভালবাসা উৎসর্গ করলেন আরেকটু বেশি আরাম, সুখ এবং নিরাপত্তার স্বপ্নের জন্য?
দিনরাত কাজ করে নিজের শরীরের বারোটা বাজালেন। পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করলেন। আপনার সন্তানদেরকে যখন সময় দেওয়ার কথা, তখন সময় না দিয়ে, তাদেরকে নষ্ট হয়ে যেতে দিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গিয়ে দেখা গেল: আপনার ব্যবসাটা আর সফল হল না, বা আপনার বাড়তি চাকরিটা বেশিদিন থাকলো না। মাঝখান থেকে আপনার আমও গেল, ছালাও গেল। কিন্তু এসব কিছু না করে আপনি যদি আপনার প্রথম চাকরিটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতেন, আল্লাহর ﷻ প্রতি আস্থা রাখতেন, কাজের বাইরে যতটুকু সময় পাচ্ছেন তা ইসলাম শিখে, নিজের পরিবারকে সময় দিয়ে পার করতেন, তাহলে হয়তো প্রথম চাকরিতেই আপনি পদোন্নতি পেতেন, সংসারে শান্তি পেতেন, নিজের এবং পরিবারের জন্য জান্নাত নিশ্চিত করতে পারতেন।
মনে রাখবেন: শয়তান সবসময় আপনাকে আরও চাওয়ার, আরও পাওয়ার জন্য উৎসাহ দিবে। আপনার জীবনে যতই থাকুক, আপনি আরও চাইবেন। আপনার ভেতরে সবসময় আরও কিছু পাওয়ার একটা জেদ থাকবে। কারণ আপনি যখন আপনার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন, তখন আপনি ধীরস্থির, কৃতজ্ঞ হয়ে যাবেন এবং আল্লাহর ﷻ কথা ভাবা শুরু করবেন। যার ফলে আপনার ভেতরে প্রশান্তি আসবে এবং তা আপনার পরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। আপনার ছেলেমেয়েগুলো সুস্থ পরিবারে বড় হয়ে আদর্শ মানুষ হবে। তখন তারা সমাজের মধ্যে সুখ, শান্তি ছড়িয়ে দিবে।
শয়তান কোনভাবেই চায় না এর কোনোটাই হোক। তাই যেভাবেই হোক শয়তান কখনও আপনাকে জীবনে ধিরস্থির হয়ে, নিজেকে নিয়ে ভাবার, আল্লাহকে ﷻ নিয়ে ভাবার, পরিবারকে নিয়ে ভাবার সুযোগ হতে দিবে না। এর সবচেয়ে মোক্ষম উপায় হল, আপনাকে একটা নতুন মডেলের গাড়ি কেনার জন্য পাগল করে দেওয়া। একটা নতুন মডেলের মোবাইল ফোন কিনে লোকজনকে দেখানোর জন্য অস্থির করে দেওয়া। ২০ ইঞ্চি টিভিটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেলে দিয়ে একটা ৪০ ইঞ্চি টিভি কেনার জন্য তাগাদা দেওয়া, যেন আপনি আপনার প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবের সামনে মুখ দেখাতে পারেন। কারণ শয়তানের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাকে—
আল্লাহর কথা ভুলিয়ে দেওয়া
কিছু মানুষ আছে যাদের উপর শয়তান পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে। এধরনের মানুষের চিন্তা-ভাবনা, কাজকর্ম, অনুভুতি, আবেগ– সবকিছুই শয়তানের দখলে চলে গেছে। এরা কথা বললে খারাপ কথা বলে, যা শুনলে মানুষ কষ্ট পায়, বিভ্রান্ত হয়ে যায়, মানুষে মানুষে সমস্যা তৈরি হয়। এদের কাজগুলো বেশিরভাগই হারাম কাজ। যেমন: টিভি দেখলে এরা দেখে তারকাদের সাক্ষাতকার, মিউজিক শো, ড্যান্স কম্পিটিশন, নানা ধরণের অসুস্থ সিরিয়াল। মুভি দেখলে দেখে সব মারামারি, খুনাখুনি, বিকৃত হরোর মুভি, না হয় হারাম প্রেম-ভালবাসা, পরকীয়ার মুভি। খবরের কাগজে এরা সব হারাম খবর পড়ে: কে কবে কাকে কী গালি দিলো, কে কাকে ধর্ষণ করলো, কোন পাতায় কোন মডেলের ছবি আছে। কম্পিউটারে বসলে এরা চুরি করা সফটওয়্যার ব্যবহার করে। ইন্টারনেটে গেলে এরা বেশিরভাগ সময় পর্ণ, সিনেমা, সিরিয়াল; না হয় ফেইসবুকে পরকীয়া, অবৈধ মেলামেশা, ডেটিং সাইটে মিথ্যা যোগ্যতা দিয়ে অন্যদেরকে পটানোর চেষ্টা করে। মোবাইল ফোনে বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গীবত, এর নামে ওকে লাগানো, গোপন খবর ফাঁস করে দেওয়া ইত্যাদি।
এভাবে এরা প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত যত ধরণের শয়তানী কাজ করা যায়, তার সবই করে। এরা তাদের মস্তিস্কের নিয়ন্ত্রণ শয়তানের হাতে দিয়ে দিয়েছে। তাদের অন্তরের ভেতরে চালকের আসনে আর তার বিবেক বসে নেই। বসে আছে শয়তান। এদের সম্পর্কে আল্লাহ ﷻ বলেছেন—
শয়তান এদের উপরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে এবং তাদেরকে আল্লাহর কথা ভুলিয়ে দিয়েছে। এরা শয়তানের দল। সাবধান! এই শয়তানের দল একদিন ধ্বংস হয়ে যাবেই। [মুজাদিলা ৫৮:১৯]
এই ধরণের মানুষদের সম্পর্কে সাবধান। আল্লাহ ﷻ এদেরকে শয়তানের দল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এরা আর সাধারণ মানুষ নেই। আল্লাহর দৃষ্টিতে এরা মানুষরূপী শয়তান। সে আপনার বাবা-মা, ভাইবোন, ছেলে-মেয়ে যেই হোক না কেন। সাবধানে থাকবেন, যেন তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে, বা তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে, আপনি আল্লাহকে ﷻ সন্তুষ্ট রাখার কথা ভুলে না যান, আল্লাহর ﷻ বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু না করেন।
আপনাকে সবসময় মনে রাখতে হবে, আপনি পৃথিবীতে এসেছেন আল্লাহকে ﷻ খুশি রেখে নিজে ভালো থাকার জন্য। আল্লাহর ﷻ বিনিময়ে অন্যদেরকে খুশি রাখার জন্য নয়। তাই কখনও আপনার নষ্ট হয়ে যাওয়া স্বামী বা স্ত্রীর জন্য নিজের জীবন শেষ করে দিবেন না। কখনও বাবা-মার অন্যায়ের সমর্থনে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে শেষ করবেন না। মানুষরূপী শয়তান বসের হয়ে জঘন্য কাজ করে নিজের উপরে আল্লাহর ﷻ আক্রমণ ডেকে আনবেন না। এদের কাছ থেকে সসন্মানে, সুকৌশলে সরে আসুন, কারণ আল্লাহ ﷻ আমাদেরকে সাবধান করেছেন –
তুমি এমন কাউকে পাবে না, যারা সত্যিই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ এবং শেষ বিচার দিনে বিশ্বাস করে, কিন্তু একই সাথে তাদেরকেও ভালবাসে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যায়। যদিও কিনা তারা তাদেরই বাবা, ছেলে, ভাই বা নিজেদের কোন দল বা জাতির কেউ হয়। [মুজাদিলা ৫৮:২২]
Bibliography:
[১] নওমান আলি খানের সূরা আল-বাকারাহ এর উপর লেকচার এবং বাইয়িনাহ এর কু’রআনের তাফসীর।
[২] ম্যাসেজ অফ দা কু’রআন — মুহাম্মাদ আসাদ।
[৩] তাফহিমুল কু’রআন — মাওলানা মাওদুদি।
[৪] মা’রিফুল কু’রআন — মুফতি শাফি উসমানী।
[৫] মুহাম্মাদ মোহার আলি — A Word for Word Meaning of The Quran
[৬] সৈয়দ কুতব — In the Shade of the Quran
[৭] তাদাব্বুরে কু’রআন – আমিন আহসান ইসলাহি।
[৮] তাফসিরে তাওযীহুল কু’রআন — মুফতি তাক্বি উসমানী।
[৯] বায়ান আল কু’রআন — ড: ইসরার আহমেদ।
[১০] তাফসীর উল কু’রআন — মাওলানা আব্দুল মাজিদ দারিয়াবাদি
[১১] কু’রআন তাফসীর — আব্দুর রাহিম আস-সারানবি
[১২] আত-তাবারি-এর তাফসীরের অনুবাদ।
[১৩] তাফসির ইবন আব্বাস।
[১৪] তাফসির আল কুরতুবি।
[১৫] তাফসির আল জালালাইন।
[১৬] লুঘাতুল কুরআন — গুলাম আহমেদ পারভেজ।
[২৮৫] Szalavitz, M. and Szalavitz, M. (2015). Why Gratitude Isn’t Just for Thanksgiving | TIME.com. [online] TIME.com. Available at: Click This Link [Accessed 28 Apr. 2015].
[২৮৬] Beck, M. (2015). Thank You. No, Thank You. [online] WSJ. Available at: Click This Link [Accessed 28 Apr. 2015].
২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২
ভুড়ির চাক্ বলেছেন: ধন্যবাদ !
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২
সদালাপি বলেছেন: সকল প্রশংসা আল্লাহ সুবহানু তাআলার ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
ভুড়ির চাক্ বলেছেন: আল্লাহু আকবর !
৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মোস্তাক খসরু বলেছেন: মৌলবাদ নিপাত যাক।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
ভুড়ির চাক্ বলেছেন: হাহা হাহা অবাক বিনোদন..... ভাই মৌলবাদ এর সংজ্ঞা জানেন তো?
আপনি পোস্ট টা পরে কমেন্ট করলেন নাকি টাইটেল এ ইসলাম শব্দটাই আপনার আপনার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে?
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
তিথীডোর বলেছেন: +++
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
ভুড়ির চাক্ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২
জুনায়েদ জুবেরী বলেছেন: ++