নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটি স্বাস্থ্য সেবামূলক তথ্য সংকলন ও সংরক্ষণের ক্ষুদ্র প্রয়াস, যে কেউ সরাসরি সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে শারীরিক ও মানসিক যে কোন বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন। সবার জন্য শুভকামনা রইল। ঠিকানা- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভাষানী হলের পিছনে। গেরুয়া বাজার।

আনন্দ হোমিও

আনন্দ হোমিও › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুলের যত্ন- জট ছাড়ানো

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

চুল অনেক পাতলা ও চিকণ বস্তু। ফলে চিকণ জিনিস একটি অপরটির সাথে জড়াবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে কোঁকড়া চুল বেশি জট হয়। তাছাড়া যারা চুলে তেল কম ব্যবহার করে বা একেবারেই করে না তাদের চুলে জট হয়। বিশেষ করে গোসলের পরে চুলে জট লেগে যায়। আর এতেই ছিঁড়ে যায় চুল অথবা চুল পড়ে। একটু সচেতনতা এই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে আপনাকে। এবার জেনে নেয়া যাক চুলের জট ছাড়ানোর কয়েকটি উপায়।

নিয়ম করে তেল লাগানঃ

সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চুলে তেল লাগানোর চেষ্টা করুন। মাথায় দেয়ার আগে তেল হালকা গরম করে নেবেন। এরপর শাওয়ার ক্যাপ বা উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন গোসলের আগ পর্যন্ত। চুলে কুসুম গরম তেল লাগিয়ে ভালো ফলাফল পেতে পারেন।

চিরুনি নয়, আঙুল ব্যবহার করুনঃ

চুলের জট ছড়ানোর জন্য প্রথমে আঙ্গুল দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে নিন। কারণ চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়াতে গেলে বেশি চুল উঠে যায়। আর ভেঁজা চুলের জট ছড়াতে যাবেন না চুল শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পরে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর অভ্যেস করুন। এতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম।

কন্ডিশনার ব্যবহার করুনঃ

শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার লাগাতেই হবে। এতে চুল মসৃণ ও নরম থাকবে জট লাগাও প্রতিরোধ করবে। তবে চুলে কন্ডিশনার লাগানোর সময় অবশ্যই চুলের মাঝখান থেকে লাগানো শুরু করবেন। খেয়াল করবেন যেন, মাথার খুলিতে কন্ডিশনার না লাগে।

নিচ থেকে জট ছাড়াতে শুরু করুনঃ

জট ছাড়ানোর নিয়ম হল চুলের নিচের দিক থেকে শুরু করা। আমাদের ধৈর্য্য হারিয়ে চুলের জট ছাড়াতে দুই দিক থেকে চুল দুই ভাগ করে টানি। এতে আর বেশি জট পড়ে যায় চুলে।

চুলের আগা নিয়মিত ছেঁটে রাখলে জট কম পরে। এছাড়া আপনার চুলের আগা যদি ফেটে গিয়ে থাকে তাহলে ছেঁটে দিলে আগা ফাটা ও জট লাগা দুটোই সামলানো যায় একসঙ্গে।

বড় দাঁতের চিরুনি নিনঃ

বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস করুন। এতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম। তাছাড়া প্লাস্টিকের বদলে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন কাঠের তৈরি চিরুনি হলে আরও ভালো হয়। আর মনে রাখবেন, ভেজা চুল কখনই আঁচড়াবেন না। কারণ তা নরম থাকে আর ছিঁড়ে যায়।

বালিশের কভারে সুতি নয় সিল্ক ব্যবহার করুনঃ

ঘুমনোর সময় আমরা সাধারণত সুতির কাপড়ের বালিশের কভার ব্যবহার করি। কিন্তু সুতি কাপড় আমাদের চুল থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুলে স্থির বিদ্যুৎ তৈরি করে। এতে করে চুলে রুক্ষতা তৈরি হয়ে জট লাগার প্রবণতা বাড়ে কিন্তু সিল্কের কাপড়ে সে সমস্যা হয় না।

বেণী করে শ্যাম্পু করুনঃ

সব সময় যে খোলা চুলেই শ্যাম্পু করতে হবে এমন কোনও কথা নেই। বরং বেণী করে চুলে শ্যাম্পু করলে ধীরে ধীরে বেণী খুলে আসে ধোয়ার সময়। যা মূলত ভেজা চুলের জট পাকানো থেকে রক্ষা করে আপনার চুলকে।

চুল খোলা রাখুনঃ

কিন্তু তার মানে এই নয় যে চুল সব সময় বেঁধে রাখবেন। তাতেও কিন্তু জট বাঁধে চুলে। কাজেই বাড়িতে যখন থাকবেন, চেষ্টা করুন চুল খুলে রাখার। আর নিয়মিত চুল পরিষ্কার করে আঁচড়ে রাখুন। অবাধ্য চুলকে বশে আনার জন্য পরিচ্ছন্ন রাখুন চুলকে।

-ঃসংকলিতঃ-

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.