নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটি স্বাস্থ্য সেবামূলক তথ্য সংকলন ও সংরক্ষণের ক্ষুদ্র প্রয়াস, যে কেউ সরাসরি সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে শারীরিক ও মানসিক যে কোন বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন। সবার জন্য শুভকামনা রইল। ঠিকানা- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভাষানী হলের পিছনে। গেরুয়া বাজার।

আনন্দ হোমিও

আনন্দ হোমিও › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্টিও আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

অতি কমন রোগে পরিণত হয়েছে অস্টিও আর্থ্রাইটিস। দেশের ১০০ ভাগ মানুষের মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষই এই রোগের শিকার। তবে একসময় কেবলমাত্র বয়সকালেই এই রোগের দেখা মিলত।

কিন্তু এখন বয়সকে গুরুত্ব না দিয়ে যে কোনও বয়সের মানুষই শিকার হচ্ছেন এই রোগের। ডাক্তারেরাও ব্যথা কমার ওষুধ দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছেন । কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেঁকে বসে এই ব্যথা। যার জেরে প্রায় পঙ্গু হয়ে যান বেশিরভাগ মানুষই।

তবে শুধুমাত্র ওষুধ খেলেই হবে না তার সঙ্গে বদলাতে হবে জীবন-যাপনের পদ্ধতি।

১.ওজন কমান
ওজন বেশি থাকলে অনেক সময় ব্যথার সূত্রপাত ঘটে। শরীরের ওজন বেশি থাকার ফলে শরীরের চাপ গিয়ে পরে হাঁটু এবং পায়ের পাতার ওপরে। ওজন কমিয়ে ফেললে ব্যথা কিছুটা হলেও উপশম করা যেতে পারে।

২. যোগব্যায়াম অভ্যাস
ওজন কমানোর সঙ্গে যোগব্যায়ামও করতে হবে। যোগব্যায়াম করার ফলে শরীরের রক্ত চলাচল ঠিক ঠাক ভাবে হতে পারে। এছাড়া ওজন কমানোর যোগাও করা উচিত। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটা অথবা জলের মধ্যে কিছু অ্যারোবিকস করা ইত্যাদি।

৩. ঠান্ডা-গরম চিকিৎসা পদ্ধতি
ঠান্ডা-গরম জল ব্যথা জায়গাতে দিলে ব্যথা কিছুটা উপশম করা যেতে পারে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলে স্নান করলে আরাম পাবেন। গরম জলে স্নানের ফলে আপনার যে শিরাগুলোতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে। এমনকি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হট প্যাডের সেঁকও দিতে পারেন। এছাড়া ঠান্ডা কোনও অয়েনমেন্ট লাগাতে পারেন। তাতেও কিছুটা আরাম পাবেন।

৪. আকুপাঞ্চার
আকুপাঞ্চার হল একটি পুরনো চিনা পদ্ধতি। এই পদ্ধতির দ্বারা একটি সরু সূঁচ ব্যথার জায়গাতে ফোটানো হয়। যার মাধ্যমে ব্যথার কিছুটা হলেও কমে যায়। তবে আকুপাঞ্চার করার সময় কোনও দক্ষ মানুষের কাছ থেকে করানোই ভালো।

৫. ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যে সমস্ত খাবারে থাকে সেই ধরনের খাবার খেলে ব্যথা কমতে পারে। ওমেগা ৩ জয়েন্টকে শক্ত হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

৬. ম্যাসেজ
এই ব্যথাতে ম্যাসেজ খুবই উপকারি। ব্যথা জায়গাতে নিয়মিত বা সপ্তাহে তিন দিন ম্যাসেজ করলে ব্যথা কিছুটা হলেও কমে। ম্যাসেজ করার ফলে রক্ত চলাচল স্বভাবিক হয়। যার ফলে রক্তপেশী শিথিল হয়ে যেতে পারে না। তবে ভালো কোনও ম্যাসেজ পার্লারে গিয়ে দক্ষ ব্যাক্তির কাছ থেকেই ম্যাসেজ করা ভালো।

৭. নিজে নিজে ওষুধ না খাওয়াই ভালো
বাজারে এমন অনেক ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় যা খেলে ব্যথা কমার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়ে থাকে। কিছু ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ না করে কখনওই কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
-ঃসংকলিতঃ-

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.