নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ! অনীক মাহমুদ

অনীক মাহমুদ

আমি খুব সাধারন। আমার সঙ্গী বলতে ঐ এক নীরবতা। নিরসঙ্গ থাকতে ভাল লাগে। ভালো লাগে একা নীরব রাস্তায় হাটতে, যেখানে প্রতি কদম কদম নীরব গল্পের সৃষ্টি। ভালো লাগে কিছু অতীত গল্প কল্পনায় এনে তার মেরামত করতে। আমিই এমনই একা, নীরব, নিরসঙ্গ !

অনীক মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার আমি !

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭


আমি ! নির্সন্দেহে আমি একজন মানুষ।
এমন একজন মানুষ যার নিজেকে খোজার শেষ নেই, নিজের ভেতরে চরিত্র গঠনের শেষ নেই, উল্টো চিন্তারও শেষ নেই, এমন কি যার জীবনে সময়েরই শেষ নেই !
ওহ ! আমি আমার সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই – আমি অনীক।
মজার বিষয় হল, এই নামটি আমার অপছন্দের ছিলো। এ কারনে একটা সময় আমি আমাকে লুকিয়ে রাখতাম দুঃক্ষিত আমার এই নামটাকে লুকিয়ে রাখতাম, কারন আমি মানতাম এই নামটি আমিই, এটি শুধু মাত্র একটি নাম নয় এই নামটি যেন আমার আমি। সাথের বন্ধুরা যখন এই নামটি ধরে আমায় ডাকতো, তখন ভুরু কুচকাতাম, মনে মনে ভাবতাম, কেন ডাকছে এই নামে ? একটা সময় নিজেই নিজের নাম পরিবর্তন করে ফেলতে লাগলাম, ভাবতাম নামটাই নায়ক, কারন নামটাই যে আমি! কিন্তু তখন কিছু বুঝে করার ব্যাপারটা মাথায় আটকাচ্ছিলো না, বাধ ভাঙ্গা জীবন তখন। এক এক বন্ধুর কাছ থেকে নিজের তৈরি করা নাম ধরে ডাকা সে কি ভালোই না লাগতো। কিন্তু দিন শেষে ঘরে ফেরার পর মার মুখ থেকে এই নাম টি ধরে ডাকা খুব মধুর হত কিন্তু আমার মনে সংশয় থাকতোই, মনে মনে বলতাম কেন রাখলে এই নাম ??
তখন নিজের মধ্যে সত্ত্বা ছিলো না,
মনসত্ত্যের ঘাড়ে কুন্ডুলি পাকিয়ে বসে থাকতো জেদ।
গতানুগতিক প্রযুক্তির যুগ, প্রযুক্তি যেন নামের ঘাড়েও চেপেছিলো, বন্ধুমহলে সবার নামের আগে আর পরে শিং আর লেজটা থাকা চাই, নয়তো সে বন্ধুই নয় আস্ত ক্ষেত। তার ওপর প্রজন্মের পরিবর্তনের ছোয়া, নতুন প্রজন্ম তখন ছুঁই ছুঁই, রমনী ঘেষা যুগ। যত সুন্দর নাম তত সুন্দরী রমনী, নামটাই তখন প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
এমনি এক ছোট্ট ঘটনা মনে পড়লো – তখন এই “অনীক” অনীক নয় সে তখন “সাইফ”। বিকেলে সাইফ ঘুমুচ্ছে, তখন তার মোবাইলে একটা ফোন আসলো, ফোন টা ধরলো তার মা ! ফোনের ওপার থেকে –
hay saif ! what’s up bro ?
মা তখন হতভম্ব ! সুন্দর মত বলে দিলো রং নাম্বার । কিন্তু ফোনটা কি আসলে রং ছিলো কিনা যাচাই করার জন্য মা অনীককে জিজ্ঞাসা করে “সাইফ” কে ? অনীক উত্তরে বলে সে নিজেই সাইফ। মা যে কি বলবে ভেবে উঠতে পারছিলো। অনীকের কাছ থেকে সাইফ এর সৃষ্টির গল্প শুনে মা শুধু একটা কথায় বললো “মানুষ কিন্তু নামে বড় হয় না বড় হয় তার কর্মে”। তাই আজ আমি সব নামের অবসন ঘটিয়ে শেষ বিকেলের সৈনিকই আছি, আমি যে অনীক! আমি আজ কর্মে বিশ্বাসী, ভালো কর্মের ফলে নাম থাকলে তো আমার নামটিই থাকবে, নায়ক হব আমি নামে কি ?
নাম টাই সব নয়; মানুষের মত মানুষ হতে হয় ।
আমি ! নির্সন্দেহে আমি একজন মানুষ।
এমন একজন মানুষ যার নিজেকে খোজার শেষ নেই, নিজের ভেতরে চরিত্র গঠনের শেষ নেই, উল্টো চিন্তারও শেষ নেই, এমন কি যার জীবনে সময়েরই শেষ নেই !
ওহ ! আমি আমার সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই – আমি অনীক।
মজার বিষয় হল, এই নামটি আমার অপছন্দের ছিলো। এ কারনে একটা সময় আমি আমাকে লুকিয়ে রাখতাম দুঃক্ষিত আমার এই নামটাকে লুকিয়ে রাখতাম, কারন আমি মানতাম এই নামটি আমিই, এটি শুধু মাত্র একটি নাম নয় এই নামটি যেন আমার আমি। সাথের বন্ধুরা যখন এই নামটি ধরে আমায় ডাকতো, তখন ভুরু কুচকাতাম, মনে মনে ভাবতাম, কেন ডাকছে এই নামে ? একটা সময় নিজেই নিজের নাম পরিবর্তন করে ফেলতে লাগলাম, ভাবতাম নামটাই নায়ক, কারন নামটাই যে আমি! কিন্তু তখন কিছু বুঝে করার ব্যাপারটা মাথায় আটকাচ্ছিলো না, বাধ ভাঙ্গা জীবন তখন। এক এক বন্ধুর কাছ থেকে নিজের তৈরি করা নাম ধরে ডাকা সে কি ভালোই না লাগতো। কিন্তু দিন শেষে ঘরে ফেরার পর মার মুখ থেকে এই নাম টি ধরে ডাকা খুব মধুর হত কিন্তু আমার মনে সংশয় থাকতোই, মনে মনে বলতাম কেন রাখলে এই নাম ??
তখন নিজের মধ্যে সত্ত্বা ছিলো না,
মনসত্ত্যের ঘাড়ে কুন্ডুলি পাকিয়ে বসে থাকতো জেদ।
গতানুগতিক প্রযুক্তির যুগ, প্রযুক্তি যেন নামের ঘাড়েও চেপেছিলো, বন্ধুমহলে সবার নামের আগে আর পরে শিং আর লেজটা থাকা চাই, নয়তো সে বন্ধুই নয় আস্ত ক্ষেত। তার ওপর প্রজন্মের পরিবর্তনের ছোয়া, নতুন প্রজন্ম তখন ছুঁই ছুঁই, রমনী ঘেষা যুগ। যত সুন্দর নাম তত সুন্দরী রমনী, নামটাই তখন প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
এমনি এক ছোট্ট ঘটনা মনে পড়লো – তখন এই “অনীক” অনীক নয় সে তখন “সাইফ”। বিকেলে সাইফ ঘুমুচ্ছে, তখন তার মোবাইলে একটা ফোন আসলো, ফোন টা ধরলো তার মা ! ফোনের ওপার থেকে –
hay saif ! what’s up bro ?
মা তখন হতভম্ব ! সুন্দর মত বলে দিলো রং নাম্বার । কিন্তু ফোনটা কি আসলে রং ছিলো কিনা যাচাই করার জন্য মা অনীককে জিজ্ঞাসা করে “সাইফ” কে ? অনীক উত্তরে বলে সে নিজেই সাইফ। মা যে কি বলবে ভেবে উঠতে পারছিলো। অনীকের কাছ থেকে সাইফ এর সৃষ্টির গল্প শুনে মা শুধু একটা কথায় বললো “মানুষ কিন্তু নামে বড় হয় না বড় হয় তার কর্মে”। তাই আজ আমি সব নামের অবসন ঘটিয়ে শেষ বিকেলের সৈনিকই আছি, আমি যে অনীক! আমি আজ কর্মে বিশ্বাসী, ভালো কর্মের ফলে নাম থাকলে তো আমার নামটিই থাকবে, নায়ক হব আমি নামে কি ?
নাম টাই সব নয়; মানুষের মত মানুষ হতে হয় ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.