নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির পাশে আরশিনগর সেথা পড়শী বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্যাংকগুলোয় কোনো গোলা ছিল না

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৩

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার জন্য একদল বিপথগামী সেনাসদস্য যে ট্যাংক-কামান নিয়ে গিয়েছিল সেগুলোয় কোনো গোলা ছিল না। অথচ এসব কামান-ট্যাংক দেখে সবাই ভয়ে গর্তে লুকিয়েছে। রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্প কাছেই ছিল। ওরা একটা গুলিও ছুঁড়েনি। অথচ ওরা একটু প্রতিরোধ গড়লে খুনিরা কিছুই করতে পারত না। অবশ্য ওদের প্রধান এমএন নুরুজ্জামানকে কৌশলে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। তাই হয়ত প্রস্তুত ছিল না উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কী করতে হবে। তাছাড়া ওদের কিছু কাজকর্ম বিতর্কিত ছিল। ওরা নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয়ে ছিল।
অদ্ভুত আরও একটা ব্যাপার হলো বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বে যারা ছিল, তাদের কাছে গুলি ছিল না। বদলানোর নাম করে কয়েকদিন আগে এগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু জানতেন না। জানলেও কোনো পদক্ষেপ নিতেন কি না কে জানে। ওনাকে সরানোর চেষ্টা চলছে বহুবার বলার পরও ওনি সতর্ক হননি। অনেকটা অরক্ষিত অবস্থায় ৩২ এ থাকতেন।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর কর্নেল তাহের ও খালেদ মোশাররফ এবং এম এ জি ওসমানির কর্মকাণ্ডও নিন্দনীয় ছিল। ওসমানী খোন্দকার মোশতাকের সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতে নিষেধ করেন। তাহের তো বলে বসেন, "ওর লাশটা দাফন করতে এলাউ করা উচিত হয়নি। বঙ্গোপসাগরে ফেলা উচিত ছিল। এখন তো ওখানে মাজার হবে।"

খোন্দকার মোশতাক শেখ কামালের উকিল বাপ ছিলেন। ১৪ আগস্ট রান্না করে নিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্য। অথচ ওনিও ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব। বঙ্গবন্ধুর পিতৃবিয়োগের খবর শুনে মোশতাক না কি হামাগুড়ি দিয়ে কেঁদেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শোক করবেন কী ওনি নিজেই মোশতাককে সান্ত্বনা দিতে শুরু করলেন। বঙ্গবন্ধুকে মোশতাকের সম্পর্ক ছিল তুমি পর্যায়ের। বেঈমানদের চরিত্র অদ্ভুত। অবশ্য ইতিহাসে এমন ঘটনা নতুন না। জুলিয়াস সিজারের বুকে বন্ধু ব্রুটাস ছুরি চালিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধীকে তার বিশ্বস্ত দেহরক্ষীরাই হত্যা করেছিল। মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেও একসময় গান্ধীভক্ত ছিল।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৭

শাহ আজিজ বলেছেন: ৩২ নাম্বারে পৌঁছেই ঘাতকরা ট্যাংক একটি গোলা ছোড়ে যা মোহাম্মাদপুর টাউন হলের পেছনে আজম রোডের একটি টিনের ঘরের বারান্দায় পড়ে । এখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল । সাভার রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পে যে ট্যাংক গিয়েছিল সেটাতে কোন গোলা ছিল না । নল ঘুরিয়েই ক্যু করেছিল । আমি আজম রোডে কিছুদিন ছিলাম যখন ঐ জায়গায় দাড়িয়ে গল্প করেছি বা শুনেছি ।

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যদ্দুর জানা যায় কামানের গোলা ছিল।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৫ আগস্ট ভোর ৫ টার দিকে ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনে থেকে কামানের গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, ট্যাঙ্কের গোলা নয়। ৪৩ বছরেও বিচার হয়নি সেই ১৩ জন হত্যার মামলার

ঐ সময় ট্যাঙ্কে গোলা ছিল না। ট্যাঙ্কে তো গোলাই ছিল না

'ট্যাঙ্কে তো গোলাই ছিল না। ৪৬ বিগ্রেড এর কমান্ডার কর্ণেল শাফায়াত জামিল এর লেখা বই এ আছে- ১৫ আগস্ট দুপুরবেলা সেনাপ্রধান সফিউল্লাহর নির্দেশে চীফ অব জেনারেল স্টাফ খালেদ মোশাররফ এর লিখিত আদেশ অনুযায়ী জয়দেবপুর থেকে ট্যাঙ্কের গোলা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার আগ পর্যন্ত কিন্তু ট্যাঙ্কে গোলা ছিল না।'

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ লেখাটা শেয়ার দেওয়ায়।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৯

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: ঘাতকরা অনেকদিন আগে থেকেই প্লান করেছিল, ১২/১৩ আগস্ট বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের প্রধান বোধহয় বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক থাকতে বলেছিলো এবং অনেকে বলেছে ওসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু আগের থেকেই জানতো তবুও সতর্ক থাকেনি

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দুঃখজনক ব্যাপার।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: সাচু- তাইলে আজম রোড , পূর্বতন শের শাহ সুরি রোডে যা পড়েছিল তাকি বেহেশত থেকে মারা হয়েছিল :#)

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ শাহ আজিজ ভাই- উপরে আমার দেয়া প্রথম লিঙ্কটা পুরোটা পড়লেই বুঝতে পারবেন। উল্লেখযোগ্য অংশ আমি নীচে দিলাম।

৪৩ বছর আগের ওই হত্যার ঘটনায় মামলা হয় ১৯৯৬ সালে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণের সময় সেনা সদস্যরা কামানের গোলা ছুঁড়লে তা গিয়ে মোহাম্মদপুরের শেরশাহ সুরী রোডর ৮ ও ৯ এবং ১৯৬ ও ১৯৭ নম্বর বাড়ির (টিনশেড বস্তি) ওপর পড়ে। লে. কর্নেল মুহিউদ্দিন আহমেদের (আর্টিলারি) ছোড়া কামানের গোলার বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। মুহূর্তে ধুলায় মিশে যায় ওই বস্তি। ওই ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১৩ জন মারা যায়। প্রায় ৪০ জন আহতের মধ্যে কয়েকজন পুরুষ সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়।

ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট আর আর্টিলারি ইউনিট এক না। সম্ভবত ট্যাঙ্ক ঐ সময় cavalry র অধীনে ছিল। তবে বর্তমানে সম্ভবত আলাদা ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট আছে। ওদের সাথে আর্টিলারির কামান ছিল।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: রাজনীনি বুঝা খুব কঠিন।

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হ্যাঁ।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: ইতিহাসের বেদনাদায়ক কালো অধ্যায়।

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: লজ্জাজনকও বটে।

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩০

বিটপি বলেছেন: আমার কাছে শফিউল্লাহ এবং খালেদ মোশাররফ - এই দুইজনকে খুব সন্দেহজনক চরিত্র বলে মনে হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনের ঘটনায় এদেরও জড়িত থাকা অসম্ভব নয়।

১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা প্রবল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.