নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির পাশে আরশিনগর সেথা পড়শী বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুটো ছবি নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫


১৯৭২ সালের ২ সেপ্টেম্বর মওলানা ভাসানী গণভবন পর্যন্ত ভুখা মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মিছিল থেকে মওলানা ভাসানীকে ভেতরে তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য নিয়ে যান পুলিশ এবং রক্ষীবাহিনীর কর্মকর্তারা।

মওলানা ভাসানীর সাথে ছিলেন কাজী জাফর আহমেদ এবং রাশেদ খান মেনন। এসময়ে গণবভবনে তাকে পেঁপে ও স্যান্ডউইচ খেতে দেওয়া হয়। মেনন এবং জাফর সেসব খেতে নিষেধ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনের স্নেহাস্পদ সহকর্মীদের অনুরোধে সৌজন্য রক্ষার্থে স্যান্ডউইচ খান বৃদ্ধ মওলানা ভাসানী। ওদিকে ক্যামেরাম্যান মওলানার ছবি তুলে নিল। ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ সালে ইত্তেফাক পত্রিকায় এই ছবিটি প্রকাশিত হয়।



পঞ্চাশ বছর পর একই ধরনের চিত্র দেখা গেল বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমান উল্লাহ আমানের ক্ষেত্রেও। সমাবেশে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ফুল-ফল উপহার দেওয়া হয়। গয়েশ্বরকে চিকিৎসা দিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ডিবিপ্রধান।

ছবি ভাইরাল হয়েছে। বলা হচ্ছে এটা সরকারের কূটকৌশল। আসলে ব্যাপারটা কী?

২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। নিহত হন ২৪ জন। আহত অনেক। আহতদের চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয়া হয় নি। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান চিকিৎসাহীন অবস্থায় মারা যান। এই যে গ্রেনেড হামলা- এর মদদদাতা ছিলেন স্বয়ং তারেক রহমান। খালেদা জিয়া সংসদে গিয়ে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড এনেছিলেন। খালেদা জিয়া হয়তো জানতেন না চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সমুচিত জবাব দিয়েছে বটে। কিন্তু চিকিৎসা করার সুযোগও দিয়েছে। আমান বা গয়েশ্বর যার প্রমাণ। যদিও তারা বলছে, এগুলো সব নাটক। এই নাটক কি আইভি বা অন্যান্যদের সাথে করতে পারল না বিএনপি?

খালেদাপুত্র কোকো মারা যাওয়ার পর খালেদার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। দেখা তো দূরের কথা, সৌজন্যতা দেখিয়ে গেট পর্যন্ত খোলা হয়নি। নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনা ফোন দিয়েছিলেন খালেদাকে। ফলাফল?

আচ্ছা, বিএনপিপন্থিরা কি বলতে পারে শেখ হাসিনার কী দায় পড়েছে খালেদাকে স্বান্তনা দেওয়ার বা বিএনপি নেতাদের চিকিৎসা দেওয়ার? বিএনপির তো কোমর ভাঙা, তাদের মন জয় করে শেখ হাসিনার কী লাভ?

তারেক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যেসব ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা বলেছে, তা অমার্জনীয়। খালেদা শোক দিবসে বানানো জন্মদিন পালন করেছেন। জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করেছেন। এত এত অপকর্ম সহ্য করা কি শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারও পক্ষে সম্ভব ছিল?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না ।

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সেটা ঠিক।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: হাসিনা ভোট চোর

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আর জিয়া বা খালেদাকে জনগণ কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়েছিল?

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

লিংকন বাবু০০৭ বলেছেন: চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়।

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: বিদেশিদের দেখানোর জন।

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তাতে লাভ কী?

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাসানীর ছবিটি নিয়ে অপপ্রচার চলছে সামাজিক মাধ্যমে।
মাওলানা ভাসানী অনেকের কাছেই শ্রদ্ধার আর নানা কারনেই তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে নানাভাবে রয়েছেন।
কিন্তু কোন কারনে আদর্শহীন কট্টর ডানপন্থি বিএনপি ও তার ভক্তরা কট্টর বামপন্থি ভাসানী হাইপার সমর্থক হয়ে থাকেন।

একজন বয়বৃদ্ধ প্রাক্তন আওয়ামীলীগ সভাপতি মাওলানা সাহেব প্রধানমন্ত্রীর দফতরে স্মারকলিপি দিতে এসে বসলেন,
একটা মানুষ অনেক হেটে এসে অনেকটা ক্লান্ত। কিছু চা পানি খেলে সমস্যা টা কি? উনি তো তখনো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। ষড়যন্ত্র কোথায়? তখন এটা নিয়ে কোন রাজনীতি হয় নি, কিন্তু এখন শুরু হয়েছে।

আর গয়েশ্বর? একজন বন্দিকে চিকিৎসা দেয়া খাওয়াদাওয়া করানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এটাই নিয়ম। রাজনিতি খুজে লাভ নেই।

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: খোলা চোখে দেখলে ছবি দুটোতে রাজনীতি নেই।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২৫

কলাবাগান১ বলেছেন: খিচুড়ি ও নাই আর 'জনগন' ও হাওয়া হয়ে গেল তাদের ঢাকার প্রবেশ মুখের ৫ ঘন্টার অবস্হান ধর্মঘট। সবচেয়ে বেশী মন খারাপ হবে মহাজাগতিক ভাই এর কেননা......

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মেয়ের জামাইকে নিয়ে তিনি আশাবাদী।

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: অতি সাধারন এক ছবি, সাধারন এক ঘটনা।

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হ্যাঁ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.