নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির পাশে আরশিনগর সেথা পড়শী বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি-আওয়ামী বলয়ের বাইরে কাউকে ভাবা যায় না কেন?

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯


বাংলাদেশের মানুষ মোটা দাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি। জামায়াত, জাপা বা অন্য দলগুলোর কিছু ভোট থাকলেও অদূর ভবিষ্যতেও প্রধান দুটো দলকে টপকে যেতে পারবে বলে মনে হয় না।

ভালো করলেও খারাপ করলেও দুটো দলের মধ্যেই থাকবে। কেন এমন হয়? আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল। তাদের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের অগ্রগতিও হয়েছে বেশ। তবে দলটাকে গণতন্ত্র আহরণকারী বলা হচ্ছে। কারণ, গত দুই মেয়াদে কোনোমতে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আছে। কারচুপির ভয়ে বড় আরেকটি দল নির্বাচনে আসেনি।

অপরদিকে স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে গঠিত দল বিএনপি। দলটি যখন গঠন করা হয়, কিছু উচ্চাভিলাষী সেনা কর্মকর্তা ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের লোক ছাড়া এখানে আর কাউকে পাওয়া যায়নি। সেনানিবাসে জন্ম নেওয়া দলটি রাজপথে বেড়ে উঠে। যদিও তাদের শাসনামল নিয়ে সমালোচনা আছে। তবুও দলটির বেশ জনসমর্থন লক্ষ্য করা যায়। আওয়ামী লীগের বিরোধীরা যেমন; এর বাইরে নতুন প্রজন্ম যারা বিএনপির আগের শাসনামল দেখেনি, তাদের অনেকেই দলটিকে সমর্থন করছে।

ক্ষমতাসীনদের বাড়াবাড়ির দরুণ একসময়কার পতিত দল এখন গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক। এমতাবস্থায় করণীয় কী? বিএনপিকে সমর্থন করা? অনেকেই বলছেন, জনগণ যাকে বেছে নেবে, তাকেই নিক। এটা কতটুকু যুক্তিসংগত? জনগণ যদি চোর-বাটপারকে বেছে নেয়, তাও মেনে নিতে হবে? বাংলাদেশের মানুষ ঠিক কতটুকু রাজনীতি সচেতন যে যোগ্য লোককে বেছে নেবে? মাত্র ৫০০ টাকায় ভোট কেনাবেচার নজির আছে অনেক। গণতন্ত্রের নামে কি আমরা মূর্খদের বেছে নেব? তারেক রহমান কি কোনোভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য?

অন্ধভাবে দেখি অনেকে একে ওকে সমর্থন করছে। খালেদা, হাসিনা ভুল করলেও তাদের ভুলকে ফুল বিবেচনা করা হয়। এত এত শিক্ষিত হয়ে কী লাভ আমরা যদি অন্যায়কে অন্যায় না বলতে পারি? আমাদের জন্মদাতাও যদি ভুল করে, অন্যায় করে আমরা কি মেনে নেব? দলের চেয়ে নাকি দেশ বড়। বাংলাদেশের কয়জন মানুষ এটা মানে? নেতা যা বলছে, তাই অন্ধভাবে বিশ্বাস করে দেশ ও জাতির ক্ষয়-ক্ষতি করা কতটুকু যৌক্তিক? আমরা কেন সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে পারি না?

কেউ কি অস্বীকার করবেন দেশে সুশাসন বেশি দরকার? দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাও জরুরি। অথচ এদিকে নজর নেই কারও। ক্ষমতাসীনরা হয়তো জানেন না বাজারদর। বিরোধীরা মনে করছে তারা ক্ষমতায় এলে সব ঠিক হয়ে যাবে। জনগণকে বোঝাচ্ছে ভোটাধিকার বেশি দরকার। ভোটাধিকার পেয়ে বিজয়ী হয়ে দেশের কী করবে, তা আগেও দেখা গেছে। যদিও এটা ঠিক তখন দায়বদ্ধতা বেশি থাকবে।

গণতন্ত্র, ভোটাধিকার- এগুলো ফাও কথা। ১৯৯১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত গণনা করলে তাই দেখা যায়। সুশাসন বেশি দরকার। সেটা কোথায়? দিনদুপুরে সন্ত্রাসীরা গুলি করে চলে যায়। পুলিশ আসামি ধরে কিন্তু যে জীবন গেল, তা কি ফেরত পাওয়া যায়? মানুষ কেন দ্বিদলের বৃত্ত ভেঙে কেবল দেশের কথা ভাবে না? যে যে দলই করুক না কেন, কেন মেনে নেয় না এক দলের কর্মীরা অন্য দলের ভাই-বন্ধু? কেন হিংস্র হতে হবে? বিরোধীকে হত্যা করতে হবে? একই দেশের মানুষ, একই ভাষা আবার একই ধর্ম, তবুও কেন ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হয় না।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ফখরুদ্দিনের শাসন আমলে দেশ ভালো চলেনি। তখন থেকেই দেশে লাগামহীন ভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি শুরু হয়েছিলো।

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এত খুনোখুনি হয়নি।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নিজে কিছু বললাম না, গাজী সাহেব থেকে ধার নিলাম, ্আপনার ভাবনায় সমস্যা আছে।'

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: লেখা এলোমেলো মনে হচ্ছে? নির্দিষ্ট করে বললে সুবিধা হয়। ভাবনা ঠিক করা যাবে।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: দলীয় সমর্থকরা দলের বাইরে কিছু ভাবতে পারে না। এটা আমাদের দেশে একটা বিড়াট সমস্য্। আর এ কারনেই আমাদের দেশে গনতন্ত্রের বদলে রাজতন্ত্র কায়েম হয়। দুই কুখ্যাাত, লুটেরা পরিবারকে এই দেশের রাজনীতি থেকে বিতারিত না করা গেলে , দেশের উন্নতি কখনই সম্ভব হবে না।

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সত্যিকার গণতন্ত্র বলতে যা বোঝায়; এ দুটো দল দিয়ে সেটা কায়েম হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললে চলে। তাই গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে চিল্লানো আমি বেহুদা মনে করি। দেশে তো শিক্ষিত মানুষের অভাব নেই। এরা দলীয় চিন্তার বাইরে গিয়ে কেন শিক্ষিত, দেশপ্রেমিক মানুষদের পক্ষে জোর দাবি তোলে না কে জানে। সাড়ে সর্বনাশ করলেও বাপ-দাদা যে দল করে এসেছে, সে দলই সই।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: গনতন্ত্র গনতন্ত্রই।সেটা আবার সত্যিকারের অসত্যিকারের কি।দোষ গুন দুটিই আছে।গনতন্ত্র চর্চার বিষয় যেটা আমরা করছি না।
পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ছয় সাত পার্সেন্ট গনতন্ত্র উপভোগ করছে,বাকিরা গনতন্ত্রের পথে আছে।
ফকরুদ্দিনের কথা বলে লেখান মান নষ্ট করে ফেলেছেন।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:২০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ফখরুদ্দিনের সময় জননিরাপত্তা ছিল। এটা তো এদেশীয় গণতান্ত্রিক সরকার দিতে পারছে না।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: কারন এর বাহিরে যারা আছে তাদের সবাই চোর এবং লোভী। এমন না যে বিএনপি আওমিলীগের মধ্যে এই গুন নাই। ভড়পুর আছে। কিন্তু এদের রাজনীতি করার পুরানা অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক কিছু বোধ আছে। তাই তাদের ছাড়া অন্যরা যখন রাজনৈতিক দল গঠন করে তা কেবলি বিদেশ ভ্রমন আর অর্থ পাচারের সহজ উপায় বের করার পন্থা হিসেবেই সাধারন জনগন দেখে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:১৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অন্যদের মধ্য থেকে ভালো কেউ হতে পারে না?

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:২২

অপু তানভীর বলেছেন: জ্বী এটাই গনতন্ত্র । জনগনের ইচ্ছের প্রতিফলন ।
জনগন যদি ইচ্ছে করে তাহলে চোর ডাকাতকেই তার নেতা হিসাবে নির্বাচন করবে । এখানে আপনার কিছু বলার নেই । একটা দলের জন্ম যেখানে আর যেভাবেই হোক না কেন দেশের জনগন যদি তাকে তাহলে দেশ চালাতে দিতে হবে । হিসাব সিম্পল ।

আপনি অবশ্যই এই জনগনের ইচ্ছের প্রতিফলনের সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু বাঁধা দিতে পারেন না । আমি কাকে ভোট দিবো কাকে নির্বাচিত করবো সেটার ব্যাপারে অন্য কারো বাঁধা দেওয়া কিংবা জোর খাটানো অবৈধ ।


০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জনগণ হিরো আলমকে সমর্থন করলেও তাতে সায় দিতে হবে? হিরো আলম বাদ। সে তো ক্রিমিনাল না। যারা ক্রিমিনাল তাদের কি সমর্থন দিতে হবে জনগণ যদি চায়?

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: অন্যদের মধ্য থেকে ভালো কেউ হতে পারে না?

পারবেন না কেনো । অবশ্যই পারে কিন্তু সেই পারারা আসছে কই ? যে যায় মক্কায় সে হয় হাজী অবস্থা এমনি চলছে ।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মানুষ এই দুই বলয়ের বাইরে তেমন ভাবে না।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশে একবারই সুন্দর সুষ্ঠু ভোট হয়েছিল সেটা বিচারপতি শাহাব উদ্দিনের সময়। আর আওয়ামী লীগের সময় তার ১৪ টা বাজিয়েছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ২০০৮ এরটাও ভালো ছিল।

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার ইচ্ছে হবে না আপনি সমর্থন করবেন না । ঝামেলা শেষ । কিন্তু আপনি কেন আপনার নিজের পছন্দকে অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেন? এই অধিকার কি আপনার আছে?

আমি হিরো আলমকে পছন্দ করি না । আমি চাই না সে নির্বাচিত হোক । কিন্তু যদি ১০০ জন তাকে পছন্দ করে ভোট দেয় সেখানে আমার কিছু করার নেই। সেটাকে বাঁধা দেওয়ার অধিকার আমার আপনার নেই । সে যদি নির্বাচিত হয় তাকে মেনে নিতে হবে । এটাই গনতন্ত্র । মনে রাখা দরকার যে গনতন্ত্রে একজন রাজা আর একজন ফকির উভয়ের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা সমান । একজন শিক্ষিত একজন অশিক্ষিতের ভোট দেওয়ার অধিকার সমান । একজন ধর্মান্ধ একজন ধার্মিক একজন অবিশ্বাসী সকলের ভোট দেওয়ার অধিকার সমান । অবশ্য দলকানারা এসব বোঝে না ।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এ জন্যই বোধহয় গ্রীক দার্শনিক বলেছিলেন, গণতন্ত্র হলো মূর্খদের শাসন ব্যবস্থা। আপনি যে বিবরণ দিলেন, বোধকরি খোদ আমেরিকাতেও এমন গণতন্ত্র নেই। ওখানেও একটা আধুনিক স্ট্যান্ডার্ডে নির্বাচন হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.