নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির পাশে আরশিনগর সেথা পড়শী বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতি বিদ্বেষ খুব ভয়ানক একটা ব্যাপার

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৮


সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের এক স্কুলে ক্লাসের মুসলিম শিক্ষার্থীদের চড় মারতে হিন্দু শিক্ষার্থীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন এক শিক্ষিকা। এই ঘটনায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যে শিশুটিকে মারা হয়েছিল, সে নাকি নামতা মুখস্ত বলতে পারেনি। যাহোক, সমালোচনার জেরে স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবাক করা ব্যাপার হলো- এই ঘটনায় ওই শিক্ষিকা না কি অনুতপ্ত নন। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীর অভিভাবক না কি কড়া হতে বলেছিলেন। অথচ জানা যাচ্ছে, শিক্ষিকা সাম্প্রদায়িক আচরণ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি যে ক্লাসে যত মোহামেডান বাচ্চা আছে তাদেরকে যেন একটা করে চড় মারা হয়।’


আমেরিকা বা কানাডার মতো দেশে মাঝেমধ্যে কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে শ্বেতাঙ্গদের বিরোধ বাঁধে। পুলিশ কর্তৃক নির্যাতনে মৃত্যুর কথা তো প্রায়ই শোনা যায়। সারা বিশ্বে যেসব দেশের নেতারা মানবতার বাণী শোনায়, সেসব দেশে যখন এসব ঘটনা ঘটে অবাক হতে হয়।


হিটলারের ইহুদি বিদ্বেষ কারও অজানা নয়। ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের মুসলমানরাও ইহুদিদের ঘৃণা করে। শুধু কি তাই? হলোকাস্টকে সমর্থনও করে। অভিযোগ, ইহুদিরা ফিলিস্তিন দখল করেছে। মাঝেমধ্যেই হামলে পড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর। একসময় খৃষ্টানদের এখন মুসলমানদের বিরাগভাজন হওয়া ইহুদি জাতির উৎপত্তি কোথায়? তাদের পিতৃভূমি কোথায় ছিল?


পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন তখনকার পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদশের নিরীহ বাঙালিদের ওপর হামলা চালায় তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল এখানকার বাঙালি নারীদের গর্ভবতী করা। তারা বলেছিল, এখানকার মুসলিমরা সহি মুসলিম না। পাকবাহিনীর ধর্ষণের ফলে সহি মুসলমান পয়দা হবে। কী বীভৎস! মুসলিমদের প্রতিই যদি এ মনোভাব হয়, হিন্দুদের প্রতি মনোভাব কেমন ছিল সে কথা তো বলাই বাহুল্য।


৪৬ সালের দাঙ্গার ক্ষত ইতিহাস থেকে এখনও মুছে যায়নি। নোয়াখালী-কলকাতায় রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। ধর্ষণের মহোৎসব চলছিল। অথচ দু অঞ্চলের ভাষা-সংস্কৃতি সব একই ছিল। শুধু ধর্মীয় বিভাজন লাখ লাখ মৃত্যুর কারণ। ফলাফল বাংলা ভাগ।


ভারত, বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানে দুর্নীতি, হত্যা, বিচারহীনতা নিয়ে যতটা না আলোচনা হয়, তারচেয়ে বেশি আলোচনা হয় ধর্মীয় বিষয় নিয়ে। কোনো সম্প্রদায়ের একজনের বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতির অভিযোগ আনা হোক, যার পেটে ভাত নেই সেও তেড়ে আসবে। অন্য ধর্মের কেউ এই কাজ করলে তাকে তো বটেই, সুযোগ পেলে তার গোষ্ঠিসুদ্ধ মাটিতে পুঁতে ফেলবে। নিজের ধর্মের কেউ ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিলে তারও রেহাই নেই।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: বিদ্বেষ শব্দটাই আমার অপছন্দ।
বিদ্বেষ ক্ষতিকর।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সহমত।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ওই স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধই থাকবে। এর পিছনে রাজনৈতিক কোন উদ্দ্যেশ্য থাকতে পারে। এই ২০২৩ সালে এসে শুধুমাত্র মুসলিমের সন্তান হাবার কারণে কোন শিক্ষিকা কোন ছাত্রকে এভাবে মার খাওয়াতে পারে না। শ্রেণী কক্ষের ভিতরে ওই ভিডিওটা করলো কে? আবার ভাইরালও করে দিলো।

তবে ধর্ম বিদ্বেষ ছড়ায় এবং মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির সবচেয়ে বড় টুল হচ্ছে ধর্ম, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার সম্ভাবনা আছে। তবে এটা স্পষ্ট যে, ওই মহিলা সাম্প্রদায়িক আচরণ করেছিলেন।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১১

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ম নিজেই একটা সাম্প্রদায়িক বিষয়।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধার্মিক হতে গিয়ে অমানবিক হয়ে গেলে সবজায়গায় সমস্যা।

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: ৩। ইহুদীরা সারা বিশ্বের মধ্যে এক ধরণের সুপার পাওয়ার ওয়ালা জাতি। আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে দেয়া মান্না সালওয়া ভক্ষণের ফলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে অন্যান্য সব জাতির থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। তাদের পিতৃভূমি থেকে সম্রাট জুলিয়াস সীজার তাদেরকে ঝাড়ে বংশে উচ্ছেদ করে দেবার পর তারা সারা ইউরোপে ছড়িয়ে যায়। নতুন নতুন দেশ ও বাণিজ্য রূট আবিষ্কারের যুগে তারা জাহাজ নির্মাণ ও বাণিজ্যে সুদে টাকা খাটিয়ে অল্প সময়েই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায় এবং ইউরোপ জুড়ে খৃস্টানদের বিরাগ ভাজন হয়। যার মর্মান্তিক পরিণতি ছিল হিটলারের হলোকাস্ট।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর ইউরোপ নিজেদের ঘাড় থেকে এই বোঝা নামানোর জন্য তাদেরকে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। সেই থেকে ইউরোপ শান্তিতে আছে এবং ইহুদীরা মধ্যপ্রাচ্যে বসে সারা বিশ্বের মুসলিমদের ঘাড়ে বসে তাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তাদের পিতৃভূমি থেকে সম্রাট জুলিয়াস সীজার তাদেরকে ঝাড়ে বংশে উচ্ছেদ করে দেবার পর তারা সারা ইউরোপে ছড়িয়ে যায়। তাদের পিতৃভূমি কি ইউরোপ না কি আরব?

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: বিদ্বেষ থাকা উচিৎ সমাজের সকল মন্দ কাজের উপর। যেমন চুরী, দূর্নীতি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এগুলোর ওপর নামমাত্র বিদ্বেষ থাকে। বাস্তবতা হলো সুযোগ পেলে যে কেউ চুরি, দুর্নীতি করে।

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতে নিপীড়ন, অনাচার বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশী হয়। কিন্তু এগুলি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব কিছু বলে না।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বড় দেশ। প্রতিটা রাজ্যে একটা করে ঘটনা ঘটলেও অনেক।

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



সমস্যা হচ্ছে ধর্ম পালন করতে গিয়ে লোকজন অন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধর্মান্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার ধর্ম কে রাজনৈতিক ভাবেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সহমত। তাছাড়া মানুষ বিবেকটাকেও কাজে লাগায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.