নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা সচল হওয়ায় অনেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ। যদিও এ মুহুর্তে মামলাটা চালু করা কতটুকু জরুরি ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। আমেরিকার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা, বা লীগ সরকারের মন্ত্রীদের হম্বিতম্বিও কতটুকু জরুরি বোঝা যাচ্ছে না। শেখ হাসিনা নিজেই কি নিজের বিপদ ডেকে আনছেন?
আবার এটাও ভাবি, বাংলাদেশের নির্বাচন বা অন্যান্য ইস্যুতে বিদেশিদের এত মাথাব্যথা কেন? ইউনূসের মামলা চালু হলে দেশে-বিদেশে পক্ষে-বিপক্ষে বিবৃতির হেতু কী?
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ একবার বলেছিলেন, গরিবের বউ সবার ভাউজ (ভাবি)। বাংলাদেশের অবস্থা মনে হয় তেমনই। আবার এটাও হতে পারে ড. ইউনূস সারাবিশ্বে সুপরিচিত একজন ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে কিছু হলে হৈচৈ হওয়াই স্বাভাবিক। এখন প্রশ্ন, উনি কি আইনের বাইরে?
বলা হচ্ছে, সরকার বিরোধীপক্ষের মামলা সচল রাখে অথচ নিজেদের মামলা স্থগিত করে দেয়। পৃথিবীর কয়টা দেশে খুব বড় মামলা না হলে ক্ষমতাসীন সরকার নিজেদের লোকদের মামলা সচল রাখে আমার জানা নেই। একজন সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দিয়েছেন। একটা-দুটো উদাহরণ হয়তো থাকতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কী হয়? পাকিস্তান, মিশর বা মিয়ানমারের মতো সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বাধীন রাষ্ট্র ছাড়া খুব কম রাষ্ট্রেই ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক মামলা চালু রাখতে দেখা যায়।
রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহার নতুন কিছু না। আমরা বরাবরই দেখে আসছি নিজেদের মামলা প্রত্যাহার বা স্থগিত রেখে বিরোধীদের মামলা সচল রাখা হয়। আবার বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে তাদের নিজের মামলা স্থগিত রেখে বিরোধীদের মামলা সচল করে।
আমাদের মনস্তত্ত্ব এমন হয়েছে যে আদালতের কোনো রায় বিপক্ষে গেলে পক্ষপাতদুষ্ট বলি। বলি, একজনের ইশারায় সব হয়। মানে সরকারপ্রধানকে ইঙ্গিত করি। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো তাই হয়। কিন্তু রায় পক্ষে এলে কেন ঠিক আছে ভাবা হয়? আমরা নিজেরাই বা কতটুকু আইনের শাসনে বিশ্বাসী?
আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক সেনাবাহিনীর উচ্চপদে চাকরি করেন। উনার ভয়ে উনার এলাকা তটস্থ। বলা চলে, উনার দাপটে বাঘে-মহিষে একই ঘাটে জল খায়। উনি আবার লেখালেখিও করেন। বইপত্রও বেরিয়েছে। ভদ্রলোক মাঝেমধ্যে বলেন, ঠিকমতো লিখতে পারি না। উপর থেকে চাপ আসে।
সংসদে সরকার কোনো প্রস্তাব আনলে সংসদ সদস্যরা মানতে বাধ্য। মনমতো না হলে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করা যায় কিন্তু জনসম্মুখে বলা যায় না। দলের ভেতরে দলীয় সভানেত্রীর এমনই কর্তৃত্ব যে, সাহস করে কিছু বলাও যায় না। যদিও বলার সুযোগ থাকে, কিন্তু সর্বসম্মতিক্রমে যা সিদ্ধান্ত, সবাই তা মেনে নেয়।
সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে ওপর থেকে যা নির্ধারিত, তাই মানতে হয়। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী বা পুলিশ বা যে কোনো বাহিনীর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
শুধু সরকারি কেন বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানেও কি স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়? আপনি নিজে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। কতটুকু স্বাধীনতা কর্মীদের দেন? দুর্নীতি নিয়ে কথা হয়, অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া নিয়ে কথা হয়। সুযোগ পেলে কে দুর্নীতি করে না? আপনি কি আপনার চেনাজানা লোকদের ছাড়া অন্যদের যোগ্য পদে নিয়োগ দেন?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৩৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ১০০% ঠিক। তবে একটু রেখেঢেকে এগোনো উচিত।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে। কিন্তু ইউনূসের কিছুই করতে পারবে না।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হ্যাঁ।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: যা ঘটছে তা অশুভ এবং অপ্রত্যাশিত ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তা তো বটেই।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
বাউন্ডেলে বলেছেন:
এই বক্তব্যটা মোটেও সঠিক নয়। সাধারন জনতার এ বিষয়ে বক্তব্য হলো, আমরা দশ টাকা খাজনা দিতে না পারলে চৌকিদার লাল শাকের আঁটি উঠিয়ে নিয়ে যায় । ইউনুস আবার কোন ক্ষেতের মুলা ? ওকে বেঁধে করের টাকা আদায় করছেনা কেন ? হাসিনা মেয়ে মানুষ বলে “মস্তানী” দেখাচ্ছে ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শোধ করে দেবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমিরিকা ও পশ্চিমাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে নেমেছেন। এ যুদ্ধে জিতেগেলে দেশে-বিদেশে তাঁর প্রভাব আরো বাড়বে। আর তিনি হেরে গেলেও বলতে পারবেন লড়াই করে হেরেছি। বিনাযুদ্ধে দেবনাক সুচাগ্র মেদেনী। প্রতিপক্ষ আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্ব হলেও জাতির জনকের কন্যার তাদের সাথে লড়াইয়ের সাহস আছে।