নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতদিন যে সবাই কেন তাপে পুড়ল সে প্রশ্নটা করছে না কেউ। এই অনুসারীরা সবাই যে হেফাজতের তা কিন্তু না, সাধারণ মানুষও আছে। যাদের হেফাজত তথা মামুনুলের প্রতি প্রাণাধিক দরদ রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমন ঠেকাতে যারা আন্দোলন করেছে, তাদের একজন এই হেফাজত নেতা মামুনুল। কিন্তু মোদীর আগমন ঠেকাতে পারেনি সে। মাঝখানে পুলিশের সাথে গণ্ডগোল করে মাদ্রাসার কিছু ছেলেপেলে অকালে মরল। যেমনটা শাপলা চত্বরে হয়েছিল ২০১৩ সালে। সরকার পতন করবে বলে জমায়েত হয়েছিল বটে, কিন্তু পুলিশের ঠেঙানি খেয়ে কান ধরে শেষে বাড়িতে ফেরত গিয়েছিল। কথায় বলে, মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্তই। এরা ফ্রান্সকে বয়কট করেছিল কিন্তু ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসার পর চুপ হয়ে গেছে। ভিসা পেলে আবার দৌড় লাগাতে দেরি করে না।
যাহোক, গণ্ডগোলের কয়েকদিন পর নারায়ণগঞ্জের এক রিসোর্টে ঝর্ণা নামের এক নারীর সঙ্গে ধরা হয়েছিল মামুনুলকে। মামুনুল তার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে বলেছিল এ তার বন্ধুর বউ। আবার এই মামুনুলই পরদিন মানবিক বিয়ের গল্প ফাঁদে। যদি বিয়ে করেই থাকে, তাহলে প্রথম স্ত্রীকে কেন বলল ঝর্ণা বন্ধুর স্ত্রী? যদি তাই হয়, সে কি বন্ধুর স্ত্রীকে ভাগিয়ে এনেছিল? এ কোন মানবিকতা? গণ্ডগোলে কয়েকজন ছাত্র মরল, এ অবস্থায় অন্য নারী নিয়ে রিসোর্টে যাওয়া কতটুকু মানবিক? আর যদি বউই হয়, ওই সময়ে বউ নিয়ে রিসোর্টে যাওয়া লাগে?
এই মামুনুলদের মাদ্রাসায় শিশু বলাৎকার নিয়ে কিছু বলতে দেখা যায় না। তারেক মনোয়ার যে এত মিথ্যাচার করল, ইংলিশ লিগের খেলোয়াড় ছিল, অক্সফোর্ডের শিক্ষক ছিল- কত কথা। মুফতি ইব্রাহিম যে করোনার সাথে সাক্ষাৎকারের কথা বলেছিল তাও কাউকে কিছু বলতে দেখা যায়নি। কেন লোকজন এদের মিথ্যাচার সাপোর্ট দিয়ে যায়?
আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীরা তাও আকাম-কুকাম করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু এই ভণ্ডদের বিরুদ্ধে কেন কিছু বলা হয় না? এত মিথ্যাচার, এত ভণ্ডামি করেও এরা ধর্মের ইজারাদার হয় কী করে?
ভারতে রামরহিম নামে এক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছিল। এর অনুসারীরা একে রক্ষা করতে পুলিশের ওপর হামলা করেছিল। ভাবা যায় ধর্ম এদের মগজকে কোন অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে!
বাটপার তো বাটপারই। ধর্মের মোড়কে করলে তো তা আরও বড় বাটপারি। কেন উপমহাদেশের লোকজন এসব বাটপারদের সমর্থন করে যায়? এদের সমর্থন করে কি ধর্মের দুই পয়সার উপকার হয় নাকি ক্ষতি হয়- এই সহজ হিসাবটা কি এদের অনুসারীরা বুঝতে পারে না?
০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তাই তো দেখা যাচ্ছে।
২| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১:১৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ৫০১ এর মুক্তিতে তার ছেলেপেলেরা যেভাবে স্লোগান দিচ্ছে মনে হচ্ছে বেচারাকে আবার জেলে ঢুকিয়ে ছাড়বে
০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঈদ নেমেছে।
৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৩:৩৭
কামাল১৮ বলেছেন: জামিন না কেসথেকে খালাস।কোনটা
০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জামিন
৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: এই দেশের মানুষদের ঘাড়ে যতক্ষণ তার স্বার্থ নিয়ে টানাটানি হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই চুপই থাকবে...
গতকাল একটা ভিডিও দেখলাম, একটু কুকুরকে লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে মেরে ফেললো....
কেউ কোন প্রতিবাদ করলো না...
কারণ তাহাদের মাথায় কুকুর যে একটা অপরাধী প্রাণী ঢুকায় দিছে...
এই দেশের মানুষদের হতাশা ছাড়া আর কিছুই দেওয়ার নাই...
ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধর্ম ব্যবসা করবে, আর আরেকদল তাদের পুষে রাখবে...
এইভাবেই চলবে...
০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পশু-পাখির প্রতি এদেশের তথাকথিত ধার্মিকদের সহানুভূতি কম।
৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তেনার সমর্থকরা অন্ধ। বিবেক, বিচারবোধ নেই...
০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এরা মনে করে ধর্মের মোড়কে সব জায়েজ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৩
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের ধর্ম চিন্তায় শুদ্ধতার স্থান নাই আছে অন্ধত্বের অবস্থান ।