![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
রাষ্ট্রীয় সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গতকাল সোমবার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে আদালত জানতে চেয়েছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ ও ওয়াসিমসহ অন্যদের কেন ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না?
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করা হোক এমনটি তিনি চান না। এত এত সংস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস করেছেন, করছেন যে, উনাকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা না করা ভারি অন্যায় হয়ে যাবে? যাহোক, নোবেলজয়ী ইউনূস যেহেতু চাচ্ছেন না, কী আর করা যাবে।
শেখ হাসিনার সময়ে কেউ ছিঁচকে চুরি করলেও সেই দায় পড়ত তার ওপর। পড়ারই কথা। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু, যত অপকর্মের দায় উনার কাঁধেই পড়াটা স্বাভাবিক। তবে ভালো কাজ করলে সাধুবাদ জানানো যাবে না। সেটা আবার তোষামোদি হয়ে যাবে।
এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্বপ্রাপ্ত। দেশে খুন-ধর্ষণসহ যাবতীয় অপকর্মের দায় পড়ছে লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমানের ওপর, যদিও তিনি রাষ্ট্রীয় কোনো পদে নেই। বিএনপি ক্ষমতায় নেই, তাও একটা অংশ বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চায়। অন্যায়-অপকর্ম যেই করুক, তার বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সরকারে যিনি আছেন, তাকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা যায় না- সব দায় তাকে রহমানের!
একটা রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন হলো। আশাহত অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করলে তাকে হেয় করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আগেও খুন-খারাপি হতো। এখন তো বলতে পারছেন। আগে তো বলতেও পারতেন না। বলতে পারাটাও বিরাটভাবে গৌরবান্বিত করা হচ্ছে।
এখন কথা হলো- আগেও হতো, এখনও যদি হয়, তাহলে খামোখা এতগুলো মানুষ মরল কেন? একদল দল গিয়ে অন্য দলের পকেট ভারী করার জন্য?
নিজের পক্ষে হলে ভাই ভাই বিপক্ষে গেলে .দির ভাই- এখন এই স্লোগান চলছে। পক্ষের লোকের অপকর্মও চোখে পড়ে না। অথচ বিপক্ষের কেউ অন্যয় করলে তার অনুসারীর কাছে জবাব চাওয়া হয়। ভালো তো, ভালো না?
১৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৪২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ২০০৭-এ মারামারি-খুনোখুনি হলে জায়গামতো ভরে দেওয়া হতো। সে যে কেউ হোক। এখন সবাইকে যার যার মতো অরাজকতার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সরকার আছে দর্শকের ভূমিকায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৩২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যেখানে ২য় বার নোবেল পাওয়া নিয়ে কথা চলছে সেখানে দেশিয় উপাধি দিয়ে কাজ হবে না । দেশে খুন খারাবি বেড়ে গেছে কারণ খারাপ মানুষ বুঝে গেছে এই সরকারের খুটি নড়বড়ে।
কোনোদিন দেখেছেন ইনটেরিম সরকারি দলের মতো আচরণ করতে ? উহার একটা সরকারি দল আছে আর বিরোধি দল বিএনপি। শেখ হাসিনার আমলে ককটেল ফুটাতো সরকার নিজে আর মামলা দিতো ফখরুল সাহেবের উপর । এখনো তাই চলছে।