নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুটি গোলাপকে আপনি পাশাপাশি রাখলে দুটির মাঝে খুব বেশি ব্যবধান খুঁজে পাবেন না। কিন্তু দুটি মানুষকে পাশাপাশি রেখে তুলনা করলে দেখবেন আকাশ পাতাল ব্যবধান। অনেকক্ষেত্রে তুলনা করাটাও যৌক্তিক মনে হবেনা।যে আশেপাশের কাছের মানুষের হৃদয় জয় করতে অক্ষম তার মুখে আকাশ-বাতাস জয় করার কথাটা এতটা বায়বীয় যে, তা রীতিমত হাস্যকর।সাগরের ঢেউ থামানোর ভালবাসার অলীক ভাবনা সামান্যতম লোভ-লালসা দমায়ে রাখতেও যখন ব্যথ হয় তখন তা অযৌক্তিকই বোধ হবে।
মনের চাওয়ার লাগামটাকে যে টেনে ধরতে সক্ষম নয় তার চন্দ্র জয়েও কিইবা আসে যায়? আবেগের বশে স্বপ্নীল জগতে বসে আশার আলো জ্বালা আর সুখানুভূতির খেলা বিজলী চমকের মতো কঠিন বাস্তবতায় এসে হারিয়ে যায়। একজন বিশ্বাসী মানুষের কাছে জীবন মানে এক অনন্তকালের পথে যাত্রা। আবার অবিশ্বাসী মানুষের কাছে জন্মই শুরু মৃত্যুই শেষ। ফলে জন্ম-মৃত্যুকে কেউ অনেকগুলো অ্ধ্যায়ের মাঝে একটি অধ্যায় বা অনেকগুলো ধাপের মাঝে একটি ধাপ মানে করছে আবার কেউ এটুকুকেই পরিপূণ-পূণাঙ্গ কিছু মনে করছে। এতে ভিন্নধমী দৃষ্টিভঙ্গি-চিন্তাধারা ভিন্নধরনের ব্যক্তিত্ব- ভিন্নধমী আচরণকেই যৌক্তিক করে তুলেছে।
হতে পারে একজন পরকালে বিশ্বাসীর কাছে ব্যাংক ব্যালেন্স, দামি বাড়ি-গাড়ি-আভিজাত্য বড় না হয়ে তার আদশই বড় হয়ে দেখা দিতে পারে। আবার যার হিসাব-নিকাশ দুনিয়ার জীবনের পরিসরেই সীমাবদ্ধ তার কাছে জনপ্রিয়তা-হাততালি-প্রশংসা-আমিত্ব বড় হয়ে দেখা দিতে পারে।যার সততা আছে সেই নীতিবান মানুষের কাছে ইন্দ্রিয়সুখ নয় চরিত্রই বড় হয়ে দেখা দেয়। শুধুমাত্র নীতিবজিত মানুষই বড়লোক হবার শটকাট পথ পায়।বিশ্বাসী মানুষ সুখে-দু:খে স্রষ্টার ওপর নিভরশীলতার কারণে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা থেকে মুক্ত থাকে। আর অবিশ্বাসী মানুষ বিপদ-আপদ-শান্তি নিজের কৃতকমের ফলাফল কিংবা অন্যের দয়া-সহযোগিতা-শত্রুতার ফলাফল মনে করে। ফলে ভয়-ভীতি-সংশয় তার আছে; সে পরিস্থিতি বা অবস্থার জন্যে নিজেকে বা অপরকে দায়ি করে। বিশ্বাসী মানুষ ভাবে তার পালাবার পথ নেই, ভাগ্যের ওপর তার হাত নেই ফলে তার হারাবারও ভয় নেই।
জগৎ প্রেমিক হবার জন্যে জীবন বিমুখ হতে হবে এমন কোন কথা নেই।বক্রপথে নয় সহজ সরল পথেই মুক্তি সম্ভব।
©somewhere in net ltd.