নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দামি পোষাক, চাকচিক্যময় অলঙ্কার কিংবা সাঁজগোজের মাধ্যমে সৌন্দয বৃদ্ধির চেষ্টা হচ্ছে প্রকৃত সৌন্দয লুকিয়ে রাখার অপচেষ্টা।অল্পে তুষ্ট না হলে অতৃপ্তি বাড়ে আর অতৃপ্তি বাড়লে অশান্তি বাড়ে।সমস্যার ভিড় দেখে যে ভীত হয় সমাধান তার মাথা থেকে আসে না।যার কোন কৌতুহল নেই, যার মাথায় প্রশ্ন আসেনা কখনও উত্তরও তার মাথা থেকে বের হয় না।যা কিছু অনাবশ্যক, অপ্রয়োজনীয় তার প্রতি গুরুত্বদানের মানেই হচ্ছে প্রযোজনীয় ও আবশ্যক কিছু গুরুত্বহীন হয়ে পড়া।
ক্ষণিকের সুখ কিংবা সাময়িক আনন্দের মোহে ভবিষ্যত কল্যাণকে উপেক্ষা করা যাবে না।বতমানকে আগামীর উপযোগী করে ব্যবহার করতে না পারলে ভবিষ্যত প্রজন্ম চরম দুবিসহ জীবন যাপনে বাধ্য হবে।আসলে হয় ভাল নয় খারাপ, বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস-যেটাই হোক একটি পন্থায় চলতে হবে, মধ্যম কোন পন্থা নেই। তোষামোদ অপছন্দনীয় তবে অভিযোগ সহানুভূতি লাভের মাধ্যম।হালাল হারাম বেছে চলতে গেলে খরচের ভারসাম্য রক্ষা করতেই হবে।যেখানে টাকার প্রয়োজন সেখানে অমায়িক ব্যবহার আর মুখের কথাই যথেষ্ট হতে পারে না।
যারা অলস সময় কাটায়, কমব্যস্ত থাকেনা তারাই অনথক কাজ বেশি করে।অকমরাই অকাজে বেশি তৎপর থাকে। উইলিয়াম ব্লেক বলেছিলেন, বদ্ধ পানির কাছ থেকে বিষ আশা করতে পারো।অসহায়ত্ব, দুবলত্ব, অক্ষমতার কারণে স্বাথপরতা দেখা দিলে তা জীবন সংগ্রামে বেচেঁ থাকার স্বাথে অপরিহায বিবেচিত হতে পারে।যখন বুদ্ধির বিবেচনা দিয়েই চলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তখন হৃদয় উপেক্ষিত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।আসলে বিবেক দ্বারা চালিত মানে বুদ্ধি ও হৃদয়ের সমন্বয়ে চালিত।
একাকিত্বের ভয়াবহতা এমন যেন মাঝেমাঝে কবরের নিরবতা নেমে আসে।প্রশান্তি প্রাচুযতা থেকে আসে এমনটি নয়। আবার সামথ্যহীন থাকাই হিংসুকের হিংসা থেকে নিরাপদে থাকার গ্যারান্টি নয়।আসলে মানবজীবন দ্ন্ধমুখর, নানাবিধ জটিলতার সমাহার। কারো অন্তরে যদি কুমন্ত্রনা জাগে তবে তার বাইরের রুপটা তাকে চেনার জন্যে যথেষ্ট নয়।ব্যক্তির ধ্বংস মানে তার ধনসম্পদের ধ্বংসই শুধু নয়, তার ইজ্জত-সম্মান বজায় না থাকায়, চরিত্র ও আদশ কলুষিত হওয়ায়।
অস্বীকার করলেই সবক্ষেত্রে দায়িত্ব এড়ানো যায়না।সত্যকে, বাস্তবতাকে অস্বীকার করে সুস্থ-স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যায় না। প্রদশনেচ্ছা থেকে করা ভাল কাজ মূল্যহীন হয়ে পড়ে, বিশ্বাসভঙ্গ করলে সম্পক দুবল হয়ে পড়ে, উদাসীনতা থাকলে যৌক্তিকতাও উপেক্ষিত হয়,কৃপণতা থাকলে ভালবাসাও বিড়ম্বনা বাড়ায়। ফলে সুবিচার,সুবিবেচনা খুব বেশি গুরুত্বপূণ।অনাগত ভবিষ্যতে সমাগত সত্য অবশ্যম্ভাবী যদি বিশ্বাসের প্রতিফলন কমে ঘটে।বিপন্নতাবোধে মানবতাবোধ লোপ পেতে থাকে।আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ভীতিকর যেকোন সংবাদে মহাবিপযয় ও মহাদূযোগের আশংকায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ে।
©somewhere in net ltd.