নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পারিবারিক জীবনের প্রধান ও গুরুত্বপূণ কাজ দুটো। একটি হচ্ছে পরিবারের অথনৈতিক প্রয়োজন পূরণ আর অপরটি হচ্ছে মানব বংশের ভবিষ্যত রক্ষা।বিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি। যার মাধ্যমে পারস্পরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ও আমানত রক্ষার যৌক্তিক বৈধতা স্বীকৃত হয়।পারস্পরিক সম্মান থাকার মানে সব বিষয়ে পরামশ করতে হবে এমনটি নয় তবে পরস্পর সম্পকিত বিষয় শেয়ার করা এবং পরামশ ছাড়া বাইরে প্রকাশ না করাটা গুরুত্বপূণ।
দুই ব্যক্তি শুধু নয় দুটি পরিবারে ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারলে উচ্চশিক্ষা কিংবা ক্যারিয়ার অনেকক্ষেত্রে সমষ্টির কোন কাজে লাগেনা। ভাল কিছু অজনের চেষ্টা বিস্তৃত কমপরিধিতে ছড়িয়ে পড়াতে কল্যাণ-যেমন:পরিবার,সমাজ,দেশ, জাতি,মানব সেবা। কমসংস্থান ও উৎপাদনমূলক কাজে নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ হতে পারে।কেউ যদি শুধু নিজের ভাল থাকার চেষ্টা করে আর কমিউনিটির সুখ-শান্তির ব্যাপারে না ভাবে তবে সে প্রকৃত সামাজিক মানুষ হতে পারে না। যে কোন ব্যক্তির অহঙ্কার দূর না হলে তার মযাদার সূচনা অসম্ভব। আমার দৃষ্টিতে সবার সাথে বন্ধুত্ব কিংবা সবার সাথে শত্রুতা-দুটোই অযৌক্তিক। আমি মনে করি কাজের প্রকৃতি ও ধরণভেদে কিছু ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা আবার কিছু ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করাও দায়িত্বের অন্তভুক্ত।
আশা যত বাড়তে থাকে সুখ তত দূরে সরে যেতে থাকে।ত্যাগ স্বীকার ছাড়াই পাওয়া অধিকার ততটা অথপূণ নয় যতটা ত্যাগের বিনিময়ে অজিত অধিকার লাভে হয়।মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে তার ত্যাগের মাত্রার ধারা ভোগের পরিমাণ দ্বারা নয়। যেকোন ধরনের নতুন সম্পকে নতুন কিছু অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, অধিকার দেয়া-পাওয়ার প্রসঙ্গ আসায় কিছু দায়িত্ব বাড়ে। আসলে নতুন সম্পকে কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়ে কিছু কমে অথাৎ নৈতিক বাধ্যবাধকতায় কতব্যবোধ বৃদ্ধি পায়। ফলে নতুন বাস্তবতার এক নতুন আগামীর স্বপ্ন দেখতে শিখায়। অনেকের অনধিকার চচায় কারো অতি বেশি উৎসাহে আমি দারুণভাবে ব্যথিত হলাম। বড়ত্ব দেখানো ও সবজান্তার ভাব প্রদশন করতে যেয়ে অনেকে আত্মতৃপ্ত হয় তবে অন্যের হৃদয় থেকে বিদায় নেয়।
নারী শুধু গৃহের কাজ করবে আর পুরুষ গৃহের বাইরে এমন দৃষ্টিভঙ্গি অযৌক্তিক। জাতীয় স্বাথ ও ধমীয় প্রয়োজনকে সামনে রেখে ক্যারিয়ার গঠনে ৫ টি বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে,১.মেধা ২.যোগ্যতা ৩.পছন্দ ৪. জাতীয় প্রযোজন ৫. উম্মাহর প্রয়োজন। কখনো হতাশা নয়,আত্মবিশ্বাস ও আত্মপ্রত্যয় নিয়ে সামনে এগুতে হবে। অপরের সমালোচনায় কোন লাভ নেই। আত্মসমালোচনা করুন তাতে বেশি লাভবান হবেন।অন্যের সমালোচনা সহ্য করুন আর অন্য থেকে উপদেশ গ্রহণ করুন।সেলফ মোটিভেশন, সেলফ কনফিডেন্স কামিয়াবী হবার ক্ষেত্রে খুব বেশি জরুরী।
সমাজের সব মানুষের মেধা ও যোগ্যতা সমান নয়।আল্লাহ তাআলা যাকে যে ধরনের যোগ্যতা দিয়েছেন তা বিকশিত করার চেষ্টা করতে হবে।যোগ্যতার কোন বিকল্প নেই।অযোগ্য সৎ ব্যক্তিকে ভালবাসা যায় কিন্তু দায়িত্ব দেয়া যায়না।কোন সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠনের লক্ষ্য হতে হবে, স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ, মানবতার কল্যাণে ভুমিকা পালন-শুধুমাত্র দুনিয়ায় আত্মপ্রতিষ্ঠা নয়।নারী সমাজকে তাদের উপযোগী ক্যারিয়ার বাছাই ও যোগ্যতা বিকাশে সহযোগিতা করা পুরুষের দায়িত্ব।ভবিষ্যত সমস্যা ও সম্ভাবনার প্রতি লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।প্রত্যেকের মধ্যে যে রত্নতুল্য প্রতিভা রয়েছে তা হচ্ছে, ১.চিন্তাশক্তি (Thinking Power) ২.ইচ্ছাশক্তি (Will Power) ৩.মনন শক্তি (Power of your soul)৪. কমশক্তি (Physical strength or working capacity) এসব লুকায়িত আছে-ক.মস্তিষ্কে(In the brain) খ.মনে (In the mind) গ. আত্মায় (In the soul) ঘ. দেহে (In the body)
বড় হতে চাইলে নিজেকে বিশ্বাস করুন, নিজের ওপর আস্থা রাখুন, নিজের যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করুন। সফল হতে চাইলে কঠোর পরিশ্রম করুন, শারীরিক শক্তি ব্যবহার করে সুস্থ থাকুন।সময়, শ্রম ও অথ অপচয় রোধ করুন, বেহুদা জিনিস পরিত্যাগ করুন।সমস্যাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুন। আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা অনেক জিনিস অপছন্দ কর কিন্তু তাতে তোমাদের কল্যাণ নিহিত আছে। আর অনেক জিনিস আছে যা তোমরা পছন্দ কর কিন্তু তাতে তোমাদের জন্য অকল্যাণ নিহিত আছে।’
স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হউন। রাসুল (সাবলেছেন, ‘তোমার ওপর তোমার শরীরেরও হক রয়েছে।’ ‘দুবল মুমিনের চেয়ে সবল মুমিন উত্তম। Virginia Woolf বলেছেন, ’One cannot think well, live well, sleep well, if one has not dined well পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। রাসুল (সাএর সুন্নাত হচ্ছে, পেটের ১ভাগ খাবার, ১ভাগ পানি আর বাকি ১ভাগ খালি রাখা। এতে শরীর সুস্থ থাকে। প্রতিদিন যেগ্রুপের খাবার কম বেশি গ্রহণ করতে হয়-১. সবুজ ও হলুদ রংয়ের তাজা শাক-সবজি ২. অন্তত একটি ফল-ফলাদি ৩.দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ৪. প্রোটিন ৫. শকরা ৬. চবি Balanced Diet গ্রহণ করতে হবে। যেমন: 1. Rice, Bread, Potato, Cereal-35% 2. Fruit & Vegetables-35% 3. Milk & Dairy products-12% 4. Fish, Meat, Lentils & beans-12% 5. Fat & Sugar-6% 6.Water (fluids)-8cups উচিৎ হচ্ছে, ভালোভাবে ক্ষুধা পেলে খানা খাওয়া এবং কিছু ক্ষুধা বাকি থাকতে খাওয়া শেষ করা। যে সকল খাবারের Law nutritional value বেশি তা না খাওয়া। Healthy natural diet খাওয়া। খুব বেশি চা কফি না খাওয়া।
নিয়মিত শরীর চচা করুন। কেননা ব্যায়ামের মাধ্যমে টেনশন লাঘব হয়, ঘুম ভালো হয়, ব্রেনে অক্সিজেন সরবরাহ বেশি হয়। শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করা। সকালে অন্তত আধ ঘন্টা পায়ে হাটা উত্তম।পরিমিত ঘুমানো উচিৎ। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে গভীর নিদ্রা প্রয়োজন। কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুমানো উত্তম। রাতে সকাল সকাল ঘুমানো ও অতি ভোরে সুবহে সাদিকের সময় ঘুম থেকে জাগা স্বাস্থ্যের জন্যে খুব ভাল।
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, উপরের হাত নিচের হাত থেকে উত্তম। দুনিয়ায় বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবীর মধ্যে এক হযরত আলী (রা ছাড়া বাকি নয়জন ছিলেন ব্যবসায়ী ও বিত্তশালী। এখন ব্যবসা করাটা সম্মানজনক তবে যদি কেউ কমচারীদের প্রাপ্য ন্যায্য পাওনা না দেন তাদের কথা ভিন্ন। তবে সততা, নৈতিকতা ,মানবিকতা, যৌক্তিক বোধ, বিবেকবোধ নিয়ে পথ চললে তাযে সবসময় মসৃণ হবে এমনটি নাও হতে পারে। কখনও নিজের ব্যক্তিত্বকে কলুষিত, হৃদয়কে মায়াহীন করা যাবে না। সিদ্ধান্তে অনঢ় ও নীতিতে অটল অবিচল থাকলে সুখ-শান্তি অবশ্যাম্ভাবী।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
বোকামন বলেছেন:
আপনার লেখাটি অনেক ভালো লাগলো।।
[পোস্টে কিছু ইমো আছে, এডিট করে দিন]
ভালো থাকবেন।।