নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনলাইন বর্তমানে একটি গবেষণা সম্পদ হিসেবে কাজ করছে। অনলাইনের একজন পাঠক একই সময়ে অনেকগুলো সংবাদপত্র পড়তে পারে। ফলে সঠিক তথ্য প্রদান না করলে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সম্পাদনাটা করতে হয় শুদ্ধভাবে। খেয়াল রাখতে হয় লেখার মান, সময়োপযোগিতা, বিষয়, সার্বজনীনতা এবং জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি। সাব এডিটরকে হতে হয় সৃষ্টিশীল লেখক, সম্পাদনার অতিরিক্ত দক্ষতা সম্পন্ন।
তোতা পাখির মতো কিছু সূত্র মুখস্ত করেই সাংবাদিকদের পরিচালনা করা যায় না। সংবাদের মূল্য নির্ধারণের মানদন্ড নিয়োগে কিছু প্রশ্ন হলো-এটি কি নতুন? এটি কি অস্বাভাবিক? এটি কি কৌতুহলোদ্দীপক, আগ্রহ সৃষ্টিকারী বা তাৎপয্যপূর্ণ? এটি কি মানুষের সাথে সম্পর্কিত? আসলে এসব দিক খেয়াল রাখার জন্যে মগজ থাকতে হয়, চোখ কান খোলা রাখতে হয়।
দেশে এতো বেশি অনলাইন পত্রিকা যার সঠিক সংখ্যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। এমনও পত্রিকা আছে সম্পাদক মহাশয়ও অনেক সময় সাইটের নাম ভুলে যান। আমাদের দেশে মূল্যবান জিনিসের দাম অনেক সময় বেশি সস্তা হয়ে যায় আর সস্তা জিনিসের দাম যায় বেড়ে। কেউ কোয়ালিটি নিয়ে মাথা খাটাতে যেয়ে কোয়ান্টিটিতে পেরে উঠেন না। আবার অনেকে প্রচলিত বা বাজারের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে সীমিত সামর্থ্যে অসীম অবদান রাখার আশায় কোয়ালিটি ঠিক রাখতে পারেন না।
রসিকতা করে অনেকে বলে, দরিদ্রের চেয়ে ধনী বিয়ে করতে বেশি হিসাব করে; শিক্ষিত সন্তান নিতে ভয় পায় লালন পালনের চিন্তায়, মুর্খের তা নেই। অর্থাৎ কোয়ালিটি যত কম কোয়ান্টিটি তত বেশি। অনলাইন সংবাদমাধ্যমে কাট কপি পেস্টের মাধ্যমে বেশি পোস্ট নয়, কোয়ালিটি মেইনটেন হওয়া দরকার। না হলে হাস্যরসের উদ্রেককারী প্রতিবেদন বা সংবাদ প্রকাশের ঘটনা বন্ধ হবে না।
©somewhere in net ltd.