নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উচ্চশিক্ষায় শিক্ষকদের করণীয়
পেশাগত দায়িত্ব সচেতন হওয়াঃ শিক্ষকরা যেন তাঁদের দায়িত্ব পালনে শতভাগ যত্নবান হন। পাশাপাশি সুশিক্ষা নিশ্চিতকরণে তাঁদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। শিক্ষকতার মহান পেশায় মেধাবী ও দায়িত্বপরায়ণরাই আসবে এমনটিই আমাদের আশা। অথচ শিক্ষাছুটি শেষে কাজে যোগ না দিয়ে চাকরিবিধি লংঘন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে আর দেশে ফিরেন না, অননুমোদিত ছুটি ভোগ করে বেতন নেন, কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক নির্ধারিত সময়সূচি মেনে ক্লাস নেন না, অনেকে নির্ধারিত ৩০টি ক্লাসের জায়গায় ৫ থেকে ১০টি ক্লাস নিয়ে কোর্স শেষ করেন, অনেকে ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ক্লাস না নিয়ে ছুটির দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে আসতে বাধ্য করেন। এমন নীতিভ্রষ্টতা বা অপেশাদারিত্ব শিক্ষক সমাজের কাছে কখনই কাম্য হতে পারে না।
শিক্ষকদের গ্রুপিং বন্ধ করাঃ শিক্ষক রাজনীতি বা শিক্ষকদের গ্রুপিং এর কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে দেখা গেছে শিক্ষক রাজনীতি ও ছাত্র-রাজনীতি মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। এছাড়া শিক্ষকরা অনেক সময় ছাত্রদেরকে ব্যবহারও করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপাচার্য নির্বাচন, ডিন নির্বাচন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচন, ফাইন্যান্স কমিটি নির্বাচনে ভোট কেনাবেচা করেন। এসব কারণে তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় অন্তকোঁন্দল, দলাদলি। যার প্রভাব শিক্ষার্থীদের উপর পড়ে। এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত একজন শিক্ষক তার আদর্শের অনুসারী ছাত্রদেরকে ব্যবহার করেন, কিন্তু বিপক্ষ মতাবলম্বীকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করে থাকেন। ফলে শিক্ষকদের রাজনীতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
শেষ কথা
যদি বিরাজমান সঙ্কটগুলোর সমাধান করে সম্ভাবনার বিকাশের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে বিশ্বমানের জনসম্পদ তৈরি করা সম্ভব হয় তবে এ জাতির উন্নতি ও অগ্রগতি কেউ থামাতে পারবে না। বিশ্বায়নের এই যুগে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে সম্মানজনক আসনে সমাসীন করতে শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্ব বাড়ানোর কোনো বিকল্প পথ নেই। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যোগ্য ও দক্ষ মানুষই পারবে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিটি সেক্টরকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে সামনে এগিয়ে নিতে। তাই দক্ষ, দেশপ্রেমী, সুনাগরিক গড়তে শিক্ষকতার মহান পেশার সাথে সংশ্লিষ্টদের জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় ক্ষুদ্র স্বার্থ পরিত্যাগ করে জ্ঞান আহরণ, জ্ঞান বিতরণ এবং নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে নিবেদিত হওয়া সময়ের অনিবার্য দাবি। শিক্ষকদের ভূমিকার ওপরই নির্ভর করছে এ জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিভাবে গড়ে উঠবে। তাই শিক্ষকরা যথেষ্ট মূল্যায়ন পাবে এবং সর্বোচ্চ আন্তরিকতা-দরদ দিয়ে আলোকিত মানুষ গড়ে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে- প্রত্যাশা এটাই।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২৫
কালীদাস বলেছেন: ছাত থাকা সময় থেকে দেখে আসছি, বেশিরভাগ পলিটিকাল টিচারই অন্তঃসারশুণ্য, কেবল বেনিফিটের জন্য প্রয়োজনমাফিক নিজ দলের পুটু লেহন করে। কোনরকম কন্ট্রিবিউশন নেই এদের নিজের সাবজেক্টে, প্রোমোশনের জন্য আছে অসংখ্য প্রমোশনের জার্নাল আর প্রয়োজনে রুলস চেন্জ/ক্রিয়েট করা হয় ব্যক্তিবিশেষকে সুবিধা দেয়ার জন্য। আমি ইদানিং প্রায়ই চিন্তা করি টিচিং ছেড়ে দেয়ার জন্য, দেশের সেবা এই পুটুলেহনকারীদের জন্য করতে পারছিনা, পারবও না কারও এস-লিক করতে পারবনা বলে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অভিযোগ তাদের গবেষণার সুযোগ নেই। তাই তারা লাল নীল হলুদ দল নিয়া গবেষণা করে। এমন দলাদলি হয় একজন শিক্ষক আরেক শিক্ষকের প্রশ্নপত্রে একটা লম্বা হাত ভরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে বাঁশ দেয়।
রাজনীতি করতে করতে এমন অবস্থা, নতুন কোন নোট বানায় না, পুরাতন নোট নিয়া আসে, সেই নোটের একটা পেজ মিস হলেও তারা বুঝতে পারে না।