নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেখানো বুলি অনেক সময়ই অনর্থের জন্ম দেয়। শুধু ছাত্রজীবনেই নয় কর্মজীবনে, পারিবারিক বা সামাজিক জীবনেও অন্ধ অনুকরণ ও অনুসরণ বা শেখানো বুলি হিতে বিপরীত ফল বয়ে আনে। তাই শিক্ষিত মূর্খ নয়, জ্ঞানী মানুষ চাইলে মুখস্ত বিদ্যা যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। জাগতিক উন্নতির স্বার্থে নামকাওয়াস্তে সার্টিফিকেট অর্জন বা জগৎ সংসারের প্রতি অনাসক্তি সৃষ্টির ফলে পাঠাভ্যাস বিমুখ হওয়া-কোনোটিই কল্যাণকর নয়। মানবিক গুণাবলী সমৃদ্ধ মানুষ গঠন তখনই সম্ভব হবে যখন পুথিঁগত জ্ঞানের সাথে ব্যবহারিক জ্ঞানের সমন্বয় হবে।
ডিগ্রিই গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মনকে জ্ঞানের আলোকে আলোকিত করা,যার কাছে জানা বা জ্ঞান অর্জন করার চেয়ে বস্তুগত প্রাপ্তিই বড় হয়ে ওঠবে না। মনে রাখতে হবে- পাঠ্যপুস্তক কেন্দ্রিক জ্ঞান আহরণে সীমাবদ্ধ রাখলে বা থাকলে সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন হয় না। তাই অর্থপূর্ণ পরিচর্যার মাধ্যমে সকল স্তরের শিক্ষার্থীকে জীবনোপযোগী কৌশল বা দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বোঝা ও চিন্তা করার ক্ষমতা আর তোতা পাখির মতো বুলি আওড়ানোর মধ্যেই ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এবং ব্যক্তিত্বহীন মানুষের প্রভেদ ধরা পড়ে।
©somewhere in net ltd.